HSC পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর pdf download অধ্যায়-০৯

এইচএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্র
৯ম অধ্যায়
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

HSC Physics 1st Paper pdf download
Chapter-09
Srijonshil
Question and Answer

ক নং প্রশ্ন (জ্ঞানমূলক)
প্রশ্ন-১. যান্ত্রিক তরঙ্গ কী?
উত্তর: তরল বা গ্যাসীয় এবং কঠিন মাধ্যমে যে তরঙ্গের উদ্ভব হয় তাকে যান্ত্রিক তরঙ্গ বলে।

প্রশ্ন-২. সরল দোল তরঙ্গ কী?
উত্তর: মাধ্যমের কণাগুলো সরল দোল গতিতে কম্পিত হলে যে তরঙ্গের সৃষ্টি হয় তাকে সরল দোল তরঙ্গ বলে।

প্রশ্ন-৩. পূর্ণ কম্পন কী?
উত্তর: কম্পমান বস্তু একটি বিন্দু হতে যাত্রা শুরু করে আবার একই দিক হতে সে বিন্দুতে ফিরে এলে একে পূর্ণ কম্পন বলে।

প্রশ্ন-৪. তরঙ্গের দশা কাকে বলে?
উত্তর: তরঙ্গস্থিত কোনো একটি কণার কোনো মুহূর্তের অবস্থান এবং তার গতির অবস্থার ও দিক যার দ্বারা নির্দেশ করা হয় তাকে দশা বলে।

প্রশ্ন-৫. আদি দশা কী?
উত্তর: কোনো একটি কম্পমান বস্তু যে দশা নিয়ে কম্পন শুরু করে তাকে আদি দশা বলে।

প্রশ্ন-৬. তরঙ্গ শীর্ষ কাকে বলে?
উত্তর: আড় তরঙ্গের ক্ষেত্রে এর ধননাত্মক দিকে এক তরঙ্গদৈর্ঘ্য সর্বাধিক সরণের বিন্দুকে তরঙ্গ শীর্ষ বলে।

প্রশ্ন-৭. তরঙ্গ পাদ কী?
উত্তর: আড় তরঙ্গের ক্ষেত্রে এর ঋণাত্মক দিকে এক তরঙ্গদৈর্ঘ্যের সর্বাধিক সরণের বিন্দুকে তরঙ্গ পাদ বলে।

প্রশ্ন-৮. তরঙ্গের লুপ কী?
উত্তর: পরপর নিঃস্পন্দ বিন্দুর মধ্যবর্তী অংশকে লুপ বলে।

প্রশ্ন-৯. অনুনাদ কী?
উত্তর: কোনো বস্তুর উপর আরোপিত পর্যাবৃত্ত স্পন্দনের কম্পাঙ্ক বস্তুটির স্বাভাবিক কম্পাঙ্কের সমান হলে বস্তুটি সর্বোচ্চ বিস্তারে কম্পিত হয়। এ ধরনের কম্পনকে অনুনাদ বলে।

প্রশ্ন-১০. স্বর কম্পন কাকে বলে?
উত্তর: সমান বা প্রায় সমান তীব্রতা এবং প্রায় সমান কম্পাঙ্ক বিশিষ্ট একই দিকে অগ্রগামী দুটি শব্দ তরঙ্গের উপরিপাতনের ফলে শব্দের লব্ধি প্রাবল্যের হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটনাকে বিট বা স্বরকম্প বলে।

প্রশ্ন-১১. টোনিক কাকে বলে?
উত্তর: সর্বাপেক্ষা কম কম্পাঙ্কের সূচনা সুরকে টোনিক বলে।

প্রশ্ন-১২. ত্রয়ী কী?
উত্তর: তিনটি শব্দের কম্পাঙ্কের অনুপাত 5t 5t 6 হলে তাদের সমন্বয়ে যে সুরযুক্ত শব্দের উৎপত্তি হয় তাকে ত্রয়ী বলে।

প্রশ্ন-১৩. সলো কী?
উত্তর: একটি মাত্র বাদ্যযন্ত্র হতে যে স্বর সৃষ্টি হয় তাকে সলো বা একক সঙ্গীত বলে।

প্রশ্ন-১৪. অর্কেস্ট্রা কী?
উত্তর: যখন একাধিক বাদ্যযন্ত্র একত্রে বাজিয়ে একটি সমতান অথবা মেলোডি অথবা সনাতন মেলোডি উভয়ই উৎপন্ন করে তখন তাকে অর্কেস্ট্রা বলে।
HSC পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর অধ্যায়-০৯
খ নং প্রশ্ন (অনুধাবনমূলক)
প্রশ্ন-১. অগ্রগামী তরঙ্গের ৪টি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর : অগ্রগামী তরঙ্গের ৪টি বৈশিষ্ট্য:
i. অগ্রগামী তরঙ্গ মাধ্যমের ঘনত্ব ও স্থিতিস্থাপকতার উপর নির্ভর করে। এক বিশেষ গতিবেগে ইহা মাধ্যমের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়।
ii. মাধ্যমের কণাগুলো সাম্যাবস্থানের সাপেক্ষে একই কম্পাঙ্ক ও বিস্তারে কম্পিত হয়। তরঙ্গ গতির অভিমুখের সাপেক্ষে এ কম্পন আড় অথবা অনুদৈর্ঘ্য হতে পারে।
iii. অগ্রগামী তরঙ্গের প্রবাহে মাধ্যমের চাপ ও ঘনত্বের কোনো পরিবর্তন ঘটে না।
iv. কণার কম্পনের দশা, তরঙ্গের বিস্তার রেখা বরাবর পরবর্তী কণাতে স্থানান্তরিত হয় এবং এ রেখা বরাবর দুইটি কণার দশা পার্থক্য তাদের দূরত্বের সমানুপাতিক।

প্রশ্ন-২. তরঙ্গের ব্যতিচার বলতে কী বুঝ?
উত্তর : দুটি বা ততোধিক তরঙ্গ একই দিকে চলতে থাকলে এদের উপরিপাতনের ফলে কখনো তীব্রতা খুব বেড়ে যায় অথবা কখনো তীব্রতা কমে যায় বা একেবারে শূন্য হয়ে যায়। এ ঘটনাকে তরঙ্গের ব্যতিচার বলে। ব্যতিচারের ক্ষেত্রে শব্দ তরঙ্গ দুটির কম্পাঙ্ক ও বিস্তার প্রায় সমান হয়। একই দিকে চলমান দুটি শব্দ তরঙ্গ যে স্থানে উপরিপাতনের ফলে একই দশায় মিলিত হয় সেখানে শব্দের তীব্রতা বেশি হয় যেখানে তরঙ্গ দুটি বিপরীত দশায় মিলিত হয় সেখানে শব্দের তীব্রতা সর্বনিম্ন হয়।

প্রশ্ন-৩. তরঙ্গের তীব্রতা কী- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : কোনো তরঙ্গের সমকোণে একক ক্ষেত্রফলের মধ্য দিয়ে এক সেকেন্ডে যে পরিমাণ শক্তি প্রবাহিত হয় তাকে ঐ তরঙ্গের তীব্রতা বলে। একে I দ্বারা সূচিত করা হয়।
তরঙ্গের তীব্রতা, I = শক্তি ঘনত্ব × তরঙ্গ বেগ
গাণিতিকভাবে দেখানো যায় যে, I = 2pπ²a²n²v
এখানে, r মাধ্যমের ঘনত্ব
n তরঙ্গের কম্পাঙ্ক
a তরঙ্গের বিস্তার এবং
v তরঙ্গের বেগ।

প্রশ্ন-৪. কোন তরঙ্গের ক্ষেত্রে কণাগুলোর বিস্তার অসমান ব্যাখ্যা কর?
উত্তর : স্থির তরঙ্গের ক্ষেত্রে কণাগুলোর বিস্তার অসমান হয়।
স্থির তরঙ্গের ক্ষেত্রে কোনো কোনো বিন্দুতে বস্তুকণার বিস্তার শূণ্য এবং কোনো কোনো বিন্দুতে বিস্তার সর্বাধিক। যে বিন্দুগুলোতে বিস্তার সর্বাধিক তাদেরকে সুস্পন্দ বিন্দু এবং যে সকল বিন্দুতে বিস্তার শূন্য তাদেরকে নিস্পন্দ বিন্দু বলে।

প্রশ্ন-৫. ‘শব্দ একটি অগ্রগামী লম্বিক তরঙ্গ’ - ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : আমরা জানি, বস্তুর কম্পনের ফলে শব্দ উৎপন্ন হয়। আবার বস্তুকণার কম্পনের ফলে তরঙ্গের উদ্ভব ঘটে। সুতরাং উৎস অনুসারে শব্দ ও তরঙ্গ একই অর্থাৎ, শব্দকে তরঙ্গ বলা যায়। শব্দ অগ্রগামী তরঙ্গের ন্যায় জড় ও স্থিতিস্থাপক মাধ্যমে ক্রমাগত অগ্রসর হয়। আবার শব্দ তরঙ্গ বায়বীয় মাধ্যমের স্তরসমূহের পর্যায়ক্রমিক সংকোচন ও প্রসারণ দ্বারা সঞ্চালিত হয়। একই পদ্ধতিতে লম্বিক তরঙ্গও সঞ্চালিত হয়। সুতরাং লম্বিক তরঙ্গের সকল বৈশিষ্ট্য শব্দ তরঙ্গ মেনে চলে। তাই শব্দ তরঙ্গকে লম্বিক তরঙ্গ বলা হয়।
পুনরায়, আড় তরঙ্গের সমাবর্তন ঘটে। কিন্তু লম্বিক তরঙ্গের ক্ষেত্রে সমাবর্তন ঘটে না। শব্দ তরঙ্গের ক্ষেত্রে সমাবর্তনের কোনো পরীক্ষালব্ধ প্রমাণ নেই। অতএব বলা যায় যে, শব্দ একটা অগ্রগামী লম্বিক তরঙ্গ।

প্রশ্ন-৬. সুরযুক্ত শব্দের বৈশিষ্ট্যসমূহ লিখ।
উত্তর: সুরযুক্ত শব্দের তিনটি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। যথা–
i. তীব্রতা বা প্রাবল্য
ii. তীক্ষ্ণতা এবং
iii. গুণ বা জাতি।

প্রশ্ন-৭. স্বরকম্পের কয়েকটি প্রয়োগ উল্লেখ কর।
উত্তর: বিট বা স্বরকম্পের তিনটি বহুল প্রচলিত প্রয়োগ আছে। এগুলো নিচে দেওয়া হলো-
i. স্বরকম্পের সাহায্যে সুরশলাকার অজ্ঞাত কম্পাঙ্ক নির্ণয় করা যায়।
ii. স্বরকম্পের সাহায্যে খনিতে দূষিত বাতাসের অস্তিত্ব নির্ণয় করা যায়।
iii. বাদ্যযন্ত্রাদির সুর নির্ণয় করা যায়।

প্রশ্ন-৮. আরোপিত কম্পন বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: নির্দিষ্ট সময় অন্তর যদি কোনো পরিবর্তনশীল বলের মান এবং দিক একই থাকে তাহলে এ বলকে পর্যাবৃত্ত বল বলে। এ পর্যাবৃত্ত বল কোনো বস্তুর উপর প্রযুক্ত হলে বস্তুটি প্রথমে তার নিজস্ব স্বাভাবিক কম্পাঙ্কে কম্পিত হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু কিছুক্ষণ অনিয়মিতভাবে কম্পিত হওয়ার পর বস্তুটি প্রযুক্ত পর্যাবৃত্ত বলের কম্পাঙ্কে স্পন্দিত হতে থাকে। পর্যাবৃত্ত বল যতক্ষণ বস্তুর উপর ক্রিয়াশীল থাকে বস্তুটি ততক্ষণ প্রযুক্ত বলের কম্পাঙ্কে স্পন্দিত হতে থাকে। এই ধরনের কম্পনকে পরবশ কম্পন বা আরোপিত কম্পন বলে।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post