বরেণ্য মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা উপলক্ষে একখানি অভিনন্দনপত্র

বরেণ্য মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা উপলক্ষে একখানি অভিনন্দন-পত্র রচনা করো।
বরেণ্য মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা উপলক্ষে একখানি অভিনন্দনপত্র

দেশবরেণ্য মুক্তিযোদ্ধাদের .... আগমন উপলক্ষে

অভিনন্দনপত্র
হে দেশের সূর্যসন্তান,
বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের কিংবদন্তির মহানায়ক তোমরা। তোমাদের কীর্তি কখনো ভোলার নয়। এদেশবাসী সোনার হরফে লিখে রাখবে তোমাদের নাম। আজ তোমাদের আগমনে এই এলাকার সর্বত্র জেগেছে নব প্রাণের স্পন্দন। আজ আমাদের এই ক্ষুদ্র আয়তনে গভীর আনন্দে আমরা অন্তরের অন্তস্থল থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।

হে বীর সেনানীরা!
তোমরা ইতিহাসস্রষ্টা। তোমাদের সুদক্ষ রণকৌশল, চেতনাশক্তি, সাহসী ভূমিকা আর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব জাতিকে দিয়েছে মুক্তির স্বাদ। দেশমাতৃকাকে মুক্ত করার প্রত্যয়ে তোমাদের এমন বীরত্বপূর্ণ ভূমিকায় আমরা গর্বিত।

হে মহান দেশপ্রেমিকেরা!
দেশাত্মবোধের মহান প্রেরণাকে বুকে ধারণ করে তোমরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলে মুক্তির সংগ্রামে। দেশ এবং জাতির প্রতি তোমাদের এই আমরা আত্মত্যাগ কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি। এ দেশের প্রতিটি মানুষের মনে তোমাদের ত্যাগের স্মৃতি রইবে অম্লান।

হে মৃত্যুঞ্জয়ী বীরেরা!
বাংলার মুক্তিসংগ্রামে সমগ্র প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে মৃত্যুকে পদদলিত করে যুদ্ধ করেছ তোমরা। পাক-হানাদারদের সুদক্ষ বাহিনীর মুখোমুখি হতেও পিছপা হওনি তোমরা। মৃত্যুকে নিশ্চিত জেনেও এগিয়ে গিয়েছিলে সেদিন। ফিরে এসেছ মৃত্যুঞ্জয়ীর বেশে। তোমাদের এই অবদান চির-ভাস্বর হয়ে থাকবে জাতির মানসভূমে। তোমরা আমাদের চেতনা, তোমরা আমাদের সঞ্জীবনী সত্তা।

হে সুমহান নেতৃবৃন্দ!
তোমাদের আগমন আমাদের এতটাই বিমোহিত করেছে, যা বোঝানোর কিংবা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। তোমাদের কী দিয়ে বরণ করে নেব সেটাও যে ভুলে গেছি আজ। আজ এমন দিনে, এমন একটি ক্ষণে তোমাদের প্রতি রইল আমাদের অন্তহীন ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার্ঘ্য। তোমাদের আগমন আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

পরিশেষে, মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে বিনীত নিবেদন করছি তিনি যেন তোমাদের সুদীর্ঘ জীবন দান করেন। তোমাদের অনাগত দিনগুলো যেন সুখের হয় সে প্রত্যাশাই করব আজীবন। খোদা হাফেজ।

বিনয়াবনত-
তোমাদের গুণমুগ্ধ
তারাগুনিয়ার সর্বস্তরের জনতা
তারিখ: ৩০শে মে, ২০২২।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post