HSC রসায়ন ১ম পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর অধ্যায়-২ pdf download

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির গাইড
রসায়ন ১ম পত্র
অধ্যায়-২: গুণগত রসায়ন
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

HSC Chemistry 1st Paper
Chapter-2
Srijonshil
Question and Answer pdf download
 
জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন-১. ‘ডাল্টনের পরমাণুবাদ’ তত্ত্বটি কী?
উত্তর:মৌলিক পদার্থ মাত্রই অবিভাজ্য পরমাণুর সমষ্টি নিয়ে গঠিত।

প্রশ্ন-২. ডেমোক্রিটাস কর্তৃত প্রথম প্রস্তাবটি কি ছিল?
উত্তর: সকল বস্ত্ত অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পরমাণু নামক অবিভাজ্য কণার সমন্বয়ে গঠিত।

প্রশ্ন-৩. ডেমোক্রিটাস কে ছিলেন?
উত্তর: একজন গ্রীক দার্শনিক।

প্রশ্ন-৪. বর্ণালী কী?
উত্তর: পরমাণুর ইলেকট্রন শক্তি শোষণ বা বিকিরণের ফলে এক শক্তিস্তর থেকে অন্য শক্তিস্তরে গমন করে, এর ফলে বর্ণালী সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন-৫. হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা সূত্রটি কী?
উত্তর: হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা সূত্রটি হল ইলেট্রনের অবস্থান এবং গতিবেগ একত্রে কখনো সঠিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব নয়।

প্রশ্ন-৬. কোয়ান্টাম সংখ্যা কাকে বলে?
উত্তর: পরমাণু ইলেকট্রনের কক্ষপথ ও শক্তিস্তরের আকার, আকৃতি, ত্রিমাত্রিক বিন্যাস ও ঘূর্ণনের দিক নির্দেশক রাশিসমূহকে কোয়ান্টাম সংখ্যাকে চৌম্বক কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে।

প্রশ্ন-৭. অরবিটাল কাকে বলে?
পরমাণুর যে অঞ্চলে ইলেকট্রন প্রাপ্তির সম্ভাবনা ৯০-৯৫%, ইলেকট্রন মেঘের সে অঞ্চলকে অরবিটাল বলে।

প্রশ্ন-৮. উপশক্তিস্তর কাকে বলে?
উত্তর: প্রধান শক্তিস্তরের অন্তুর্ভুক্ত বৃত্তাকারা বা উপবৃত্তাকার শক্তিস্তরগুলোকে উপশিক্তিস্তর বলে।

প্রশ্ন-৯. আউফবাউ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: আউফবাউ জার্মান শব্দটির অর্থ উপর দিকে তৈরি করা।

প্রশ্ন-১০. হুন্ডের নিয়মটি কী?
উত্তর: একই শক্তি সম্পন্ন বিভিন্ন অরবিটালে উলেক্ট্রনগুলো এমভাবে প্রবেশ করবে যেন তারা সর্বাধিক পরিমাণে অযুগ্ম অবস্থায় থাকতে পারে। এই অযুগ্ম ইলেকট্রনগুলোর স্পিন একই মুখী হবে।

প্রশ্ন-১১. অবিচ্ছিন্ন বর্ণালী কাকে বলে?
উত্তর: অবিচ্ছিন্ন বর্ণালীতে দৃশ্যমান অঞ্চলের সব কম্পাঙ্কের অংশ বিদ্যমান থাকে তাকে অবিচ্ছিন্ন বর্ণালী বলে।

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির গাইড
রসায়ন ১ম পত্র
অধ্যায়-২: গুণগত রসায়ন
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

HSC Chemistry 1st Paper
Chapter-2
Srijonshil
Question and Answer pdf download
অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন-১. রাদারফোর্ড এর পরমাণু  মডেলকে সৌর মডেল বলা হয় কেন?
উত্তর: রাদারফোর্ড তাঁর পরমাণু মডেলে বলেছেন, সূর্যকে কেন্দ্র করে প্রহগুলো যেভাবে ঘুরছে, ইলেক্ট্রনও একই ভাবে নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। এই  ঘূর্ণনের ফলে সৃষ্ট কেন্দ্রমুখী বল এবং কেন্দ্রবিমুখী বল সমান থাকে  বলে এরা নিউক্লিয়াসে পতিত হয় না। সৌর জগতের সাথে তুলনা করা হয়েছে, বলে এই মডেলকে সৌর মডেল বলা হয়।

প্রশ্ন-২. রাদারফোর্ড পরমাণুর গঠন সম্পর্কে কী ধারণা দেন-ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল অনুসারে পরমাণু ইলেকট্রন, প্রোটিন ও নিউট্রন এই তিনটি মূল কণিকা দ্বারা গঠিত। 
প্রোটন ও নিউট্রন পরমাণুর কেন্দ্রস্থলে জড়াজড়ি করে থাকে। এই স্থানকে নিউক্লিয়াস বলে। ইলেকট্রনসমূহ নিউক্লিয়াসের বাইরে অবস্থান করে এবং সর্বদা ঘূর্ণায়মান।

প্রশ্ন-৩. পরমাণু অবিভাজ্য-এই উক্তিটি সটিক কিনা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: উক্তিটি সঠিক নয়। কারণ পরমাণুর অবিভাজ্যতা বর্তমানে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। পরমাণু আর পদার্থের ক্ষুদ্রতম অংশ নয়। যে কোন পরমাণু ক্ষুদ্রতর কতকগুলো কণিকার সমন্বয়ে গঠিত এবং পরমাণুকে এই সকল মূল কণিকায় বিভাজন করা সম্ভব। বর্তমানে এক মৌলের পরমাণুকে অন্য মৌলের পরমাণুতে পরিবর্তন করা সম্ভব হচ্ছে।
সুতরাং আমরা বলতে পারি পরমাণু বিভাজ্য।

প্রশ্ন-৪. কীভাবে বর্ণালী উৎপন্ন হয়?
উত্তর: কোন নির্দিষ্ট শক্তিস্তরে অবস্থানকালে ইলেকট্রন যদি একটি নির্দিষ্ট পরমাণ শক্তি শোষণ করে তাহলে লাফ দিয়ে উপরের স্তরে গমন করে। আবার যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ শক্তি বিকিরণ করে তবে লাফ দিয়ে নিচের স্তরে গমন করে। শক্তি আলো হিসেবে শোষিত বা বিকিরিত হয়। এর ফলেই বর্ণালী সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন-৫. বোর মডেল রাদারফোর্ডের মডেলের কোন কোন ত্রুটি দূর করে।
উত্তর: রাদারফোর্ডের মডেলে শক্তিস্তর সম্পর্কে ধারণা অস্পষ্ট কিন্তু বোর মডেলে শক্তিস্তর সম্পর্কে ধারনা দেয়া হয়েছে। আবার নির্দিষ্ট শক্তিস্তরে ইলেকট্রনের শক্তি সম্পর্কে রাদারফোর্ডের মডেলের ত্রম্নটি বোর মডেল হতে দূর হয়ে যায়।

রসায়ন ১ম পত্র অধ্যায়-২ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি - HSC Chemistry 1st Paper Chapter-2

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির গাইড
রসায়ন ১ম পত্র
অধ্যায়-২: গুণগত রসায়ন
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

HSC Chemistry 1st Paper
Chapter-2
Srijonshil
Question and Answer pdf download
১নং সৃজনশীল প্রশ্নঃ
একটি রঙিন লবণ পানিতে অদ্রবণীয় হলেও লঘু HCIএ বুদবুদসহ  দ্রবীভূত হয়। এ দ্রবণের্একাংশে পটাসিয়াম ফেরোসায়ানাইট দ্রবণ যোগ করলে বাদামী অধঃক্ষেপ পড়ে। আবার দ্রবণের অপর অংশে অ্যামোনিয়াম হাইড্রক্সাইড দ্রবণ যোগ করতে থাকলে প্রথমে নীল অধঃক্ষেপ পড়ে এবং পরে এ অধঃক্ষেপ দ্রবীভূত হয়ে গাঢ় নীল দ্রবণ সৃষ্টি হয়। এ দ্রবণ Pt তাড়ে স্পর্শ করে দীপ শিখায় ধরলে সবুজ শিখার সৃষ্টি হয়। 
ক. কোন ধরনের ধাতুর যৌগসমূহ রঙিন হয়? 
খ. উদ্দীপকে বর্ণিত লবণটিতে উপস্থিত অম্লীয় মূলক কী? সমীকরণসহ বুঝিয়ে লেখো। 
গ. শিখা পরীক্ষা ও পটাসিয়াম ফেরোসায়ানাইড দ্রবণ পরীক্ষা উলেস্নখ করে দেখাও লবণে উপস্থিত ক্ষারকীয় মূলকটি কী? 
ঘ. ধাতব আয়নের সঙ্গে NH4OH এর বিক্রিয়া সমীকরণসহ ব্যাখ্যা কর। উদ্দীপকে উল্লিখিত দুটি জটিল যৌগের গঠন লিখ। 
যৌগ দুটোতে কী কী লিগ্যান্ড রয়েছে? 

১নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: (ক).
d- ব্লক অন্তর্গত অবস্থান্তর ধাতুসমূহের যৌগ রঙিন হয়। 

১নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: (খ).
যেহেতু রঙিন লবণটি পানিতে অদ্রবণীয় হলেও HCI এ বুদবুদসহ দ্রবীভূত হয় তাই অম্লীয় মূলকটি CO32-। কারণ-
HCl+CO32-  ক্লোরাইড লবণ+H2O+CO2
CO2 গ্যাস বুদবুদ আকারে বের হয়ে উৎপন্নCO2  লবণে CO32- মূলকের উপস্থিতি নিশ্চিত করে। 

১নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: (গ).
ঘন হাইড্রোক্লোরিক এসিড সিক্ত উদ্দীপকের লবণ অনুজ্জ্বল শিখায় প্রবেশ করালে সবুজাভ নীল রঙ দেখা যায় যা লবণে Cu2+ আয়নের উপস্থিতি  নিশ্চিত করে। 
 
উদ্দীপকের লবণের দ্রবণে কয়েক ফোঁটা পটাশিয়াম ফেরোসায়ানাইড দ্রবণ যোগ করা হলে লালচে বাদামী বর্ণের কপার ফেরোসায়ানাইডের অধঃক্ষেপ পড়ে; যা Cu2+ আয়ন উপস্থিত নিশ্চিত করে। 
রাসায়নিক বিক্রিয়া:
2Cu2++K4[Fe(CN)6]→Cu2[Fe(CN)6]↓+4k+
লালচে বাদামী অধঃক্ষেপ

১নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: (ঘ).
কপার আয়নে(Cu2+) ধীরে ধীরে  দ্রবণ যোগ করলে প্রথমে ক্ষারকীয় কপারের নীল অধঃক্ষেপ পড়ে। পরে অতিরিক্ত  দ্রবণ যৌগে টেট্রা অ্যামিন কিউপ্রিক আযনের গাঢ় নীল দ্রবণ সৃষ্টি হয়। 
টেট্রা অ্যামিন কিউপ্রিক
আয়নের গাঢ় নীল দ্রবণ
উদ্দীপকের ২টি জটিল যৌগ হল-
গঠন 


একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির গাইড
রসায়ন ১ম পত্র
অধ্যায়-২: গুণগত রসায়ন
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

HSC Chemistry 1st Paper
Chapter-2
Srijonshil
Question and Answer
২নং সৃজনশীল প্রশ্নঃ
ক. স্ফুটনাঙ্ক কাকে বলে?
খ. প্লাঙ্কের সমীকরণটি প্রতিষ্ঠা করো।
গ. উদ্দীপকের পরীক্ষার সাহায্যে Au পরমাণুতে নিউক্লিয়াসের উপস্থিতি তুমি কীভাবে শনাক্ত করবে?
ঘ. পরমাণুর গঠন আবিষ্কারে উদ্দীপকের পরীক্ষাটির গুরম্নত্ব বিশ্লেষণ করো।

২নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: (ক).
 যে তাপমাত্রায় কোন তরল পদার্থ ফুটতে শুরম্ন করে তাকে ঐ তরলের স্ফুটনাঙ্ক বলে।

২নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: (খ).
 বিজ্ঞানী ম্যাক্স প্লাঙ্কের মতে, পদার্থ নিরবচ্ছিন্ন নয়, পদার্থ হতে বিকিরিত শক্তি ক্ষুদ্র্র্র্র ক্ষুদ্র প্যাকেট আকারে নির্গত হয়। শক্তির এ এককের নাম ফোটন। ফোটনের শক্তির পরিমাণ (E) এর বিকিরণের স্পন্দন সংখ্যার (V) সমানুপাতিক।
অর্থাৎ E 
বা,  E=hv
এ সমীকরণকে প্লাঙ্কের সমীকরণ বলে। এখানে হলো প্লাঙ্ক ধ্রুবক।এর মান 6.636×10-34Js

২নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: (গ).
উদ্দীপকের চিত্রটি বিজ্ঞানী রাদারফোর্ড কর্তৃক নিউক্লিয়াস আবিষ্কারের পরীক্ষা। নিচে এ পরীক্ষার সাহায্যে Au রমাণুতে নিউক্লিয়াসের উপস্থিতি শনাক্তকরণের বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হলো- তেজষ্ক্রিয় পদার্থ হতে বিকিরিত   রশ্নিকে খুব পাতলা  (0.0004 cm) Au মৌলির পাত বা ধাতব স্বর্ণপাতের ওপর আপতিত করলে দেখা যাবে যে,  অধিকাংশ কণাই স্বর্ণপাত ভেদ করে চলে যায়। অতি অল্প সংখ্যক  কণা ধাতব পাতে আঘাত করে তাদের নিজ সরলরৈখিক গতিপথ হতে বেঁকে যায় এবং প্রায় প্রতি ২০ হাজার কণিকার মধ্যে একটি পুরো বেঁকে চলে সোজা বিজরীত দিকে ফিরে আসে। 

এ পরীক্ষা হতে বুঝা যায় যে,  কণা যেহেতু ধানাত্মক আধানবিশিষ্ট, অতএব পরমাণুর অভ্যন্তরে অবশ্যই এমন কোনো ধানাত্মক অংশ আছে যা  ধনাত্মক কণাকে বিকর্ষণ করে বিচ্যুতি ঘটায়। কিন্তু অসংখ্য  কণার মধ্যে যেহেতু কয়েকটিমাত্র কণা বেশি কোণে বিচ্যুত হয়ে, অতএব পরমাণুর সমগ্র ধনাত্মক আধান তার কেন্দ্রস্থলে অতিক্ষুদ্র একটি পরিসরে পুঞ্জীভহত হয়ে থাকে, যাকে পরমাণুর নিউক্লিয়াস বলা হয়। এভাবে পরমাণুর কেন্দ্রস্থলে নিউক্লিয়াসের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়।

২নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: (ঘ).
পরমাণুর গঠন সম্পর্কে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জন ডাল্টনের মতবাদ ছিল পরমাণু অবিভাজ্য। কিন্তু আধুনিককালে বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন, পরমাণুও বিভাজ্য। পরমাণুকে ভাঙলে উলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন নামক মূল কণিকা পাওয়া যায়। আবার একটি পরমাণুর গঠনে সাধারণত দুটি অংশ থাকে। একটি নিউক্লিয়াস এবং অপরটি বহিস্থ শক্তিস্তর। নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রনের অবস্থান করে এবং উদ্দীপকে আলোচিত পাতলা স্বর্ণপাতের উপর   কণিকা বিক্ষেপণ পরীক্ষার মাধ্যমে সর্বপ্রথম নিউক্লিয়াস আবিষ্কৃত হয়। এ পরীক্ষা অনুসারে, পরমাণুর কেন্দ্রে তার সবটুকু ভর ও ধানাত্মক চার্জ পুঞ্জীভুত থাকে, যার নাম নিউক্লিয়াস। এর আয়তন সমগ্র পরমাণুর আয়তনের তুলনায় নগণ্য। 
এ পরীক্ষার ফলাফল বিশ্লেষণ করে পরমাণুর প্রকৃত গঠন সম্পর্কে বিভিন্ন বিজ্ঞানী বিভিন্ন মতবাদ উপস্থাপন করেন যা পরমাণু মডেল নামে পরিচিত।যেমন- থমসন পরমাণু মডেল, রাদারফোর্ড পরমাণু মডেল, বোর পরমাণু মডেল,  বোর-সমারফিল্ড পরমাণুর মডেল ইত্যাদি।


একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির গাইড
রসায়ন ১ম পত্র
অধ্যায়-২: গুণগত রসায়ন
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

HSC Chemistry 1st Paper
Chapter-2
Srijonshil
Question and Answer
৩নং সৃজনশীল প্রশ্নঃ
ক. s অরবিটালের আকৃতি কীরূপ ?
খ. ‘পরমাণুসমূহ অবিভাজ্য নয়’- ব্যাখ্যা কর।
গ. Z শক্তিস্তরের জন্য   ও m এর মান নির্ণয় করে এতে উপস্থিত মোট ইলেকট্রন সংখ্যা নির্ণয় কর।
ঘ. পরমাণুর সৌরজগৎ মডেলের সাথে চিত্র A এর মডেলের তুলনামূলক আলোচনা কর।

৩নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: (ক).
s অরবিটাল গোলাকার।

৩নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: (খ).
’ডাল্টনের পরমাণুবাদ’ তত্ত্বানুযায়ী পরমাণুসমূহ অবিভাজ্য। কিন্তু বিংশ শতাব্দীতে পরমাণুর সাতটি কণিকার অসিত্মত্ত্ব পরওয়া যায়। এদের মধ্যে তিনটি স্থায়ী মূল কণিকা। অর্থৎ পরমাণুকে ভাঙলে ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন পাওয়া যায়। যা পরমাণুসমূহ বিভাজ্য বলে প্রমাণ করে। 

৩নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: (গ).
পরমাণুর যে কোন শক্তি স্তরে   ও m এর মান ঐ শক্তি স্তরের প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা n এর উপর নির্ভরশীল। উদ্দীপকের Z শক্তিস্তরের জন্য প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা, n=3
সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা,   =0 থেকে (n-1)
=0,1 ও 2
m এর মান   এর মানের উপর নির্ভরশীল।
 =0 হলে m=0 3s উপস্তরে ১টি অরবিটাল
 =1 হলে 3p উপস্তরে ৩টি অরবিটাল
 =2 হলে 3d উপস্তরে ৫টি অরবিটাল
অতএব, Z শক্তিস্তরে মোট অরবিটাল সংখ্যা=1+3+5
=9
এখন, প্রতিটি অরবিটালে ২টি ইলেকট্রন থাকতে পারে।
Z অরবিটালে উপস্থিত ইলেকট্রন সংখ্যা = 9 × 2 = 18

৩নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: (ঘ).
বোর পরমাণু মডেলের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল ইলেকট্রনের অবস্থানের জন্য নির্দিষ্ট শক্তিস্তরের অসিত্মত্ব।
উদ্দীপকের চিত্রটিতে ইলেকট্রন আবর্তনের বিভিন্ন নির্দিষ্ট শক্তিস্তরের অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অতএব এটি বোর পরমাণু মডেল। সৌর জগতের সাথে তুলনা করে রাদারফোর্ড তার পরমাণু মডেল বর্ণনা করেন। রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলে একাধিক ইলেকট্রনের অবস্থান নিয়ে কিছু বলা হয়নি কিন্তু শক্তিস্তরের বিন্যাসের কারণে একাধিক ইলেকট্রনের অবস্থান বোঝা যায়। এছাড়াও ইলেকট্রন যদি সৌরজগতের গ্রহের মত নিউক্লিয়াসের চারপাশে আবর্তিত হতে থাকে তবে তা শক্তি বিকিরণ করতে করতে কেন্দ্রে পতিত হবে। ফলে পরমাণু মহেলটির আর অসিত্মত্ব থাকবে না। কিন্তু বোরের মডেল অনুযায়ী একটি ইলেকট্রন একটি নির্দিষ্ট শক্তিস্তরে অবস্থান করে এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ শক্তি গ্রহণ বা বিকিরণ করে যথাক্রমে উপরের বা নিচের শক্তিস্তরে গমন করে।
রাদারফোর্ড পরমাণু মডেল একটি ইলেকট্রন বিশিষ্ট পরমাণু যেমন হাইড্রোজেন পরমাণু জন্য আবর্তন ব্যাখ্যা করতে পারলেও একাধিক ইলেকট্রন বিশিষ্ট পরমাণুর জন্য কোন ব্যাখ্যা দেয় না। কিন্তু বোরের মডেল দ্বারা এই ব্যাখ্যা দেয়া সম্ভব।

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির গাইড
রসায়ন ১ম পত্র
অধ্যায়-২: গুণগত রসায়ন
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

HSC Chemistry 1st Paper
Chapter-2
Srijonshil
Question and Answer
৪নং সৃজনশীল প্রশ্নঃ
ক. বর্ণালী কী?
খ.  -এর তাৎপর্য লেখো।
গ. উদ্দীপক অনুযায়ী x এর ক্ষেত্রে বর্ণালী রেখার দৈর্ঘ্য নির্ণয় করো।
ঘ. উদ্দীপকে y এর ক্ষেত্রে সৃষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্য x এর তুলনায় কম না বেশি উদ্দীপকের সমীকরণের আলোকে বিশ্লেষণ করো।

৪নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: (ক).
 ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের একাধিক বর্ণের আলোক রশ্মির সমাহারকে বর্ণালী বলে।

৪নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: (খ).
 -ইলেকট্রন তরঙ্গের তীব্রতার সমানুপাতিক। অর্থাৎ কোনো নির্দিষ্ট শক্তির ইলেকট্রনকে নিউক্লিয়াসের চতুর্দিকে কোন অঞ্চলে পাওয়ার সম্ভাবনা সর্বাধিক তা  -এর মান থেকে জানা যায়। আর নিউক্লিয়াসের নির্দিষ্ট শক্তির ইলেকট্রনের অবস্থানের সম্ভাবনা বেশি তাকে অরবিটাল বলে। তাই,  -এর মান দ্বারা পরমাণুতে বিভিন্ন শক্তির অরবিটাল প্রকাশ পায়।

৪নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: (গ).
 উদ্দীপকের x এর ক্ষেত্রে, n1=2
n2=4
RH=10.97×106m-1
আমরা পাই,
 
বা, 
বা, 
সুতরাং, উদ্দীপক অনুসারে x এর ক্ষেত্রে ইলেকট্রন স্থানান্তরের জন্য বর্ণালী রেখার দৈর্ঘ্য 4.863×10-7m

৪নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: (ঘ).
 উদ্দীপকের সমীকরণ :
উদ্দীপক অনুসারে
y এর ক্ষেত্রে

আবার এর ক্ষেত্রে, z n1=1 
n2=4 
 
বা,  9.724×10-8m 
সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে y এর ক্ষেত্রে সৃষ্ট তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বেশি হবে।

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির গাইড
রসায়ন ১ম পত্র
অধ্যায়-২: গুণগত রসায়ন
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

HSC Chemistry 1st Paper
Chapter-2
Srijonshil
Question and Answer
PDF Version

✅ HSC রসায়ন ১ম পত্র: ৫ম অধ্যায়: সৃজনশীল এবং বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

2 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post