সাধারণ জ্ঞান বাংলা বিষয়াবলী প্রশ্ন ও উত্তর-৩৫ | General Knowledge in Bangla Update MCQ 35 - Exam Cares

Latest:

Saturday, March 18, 2023

সাধারণ জ্ঞান বাংলা বিষয়াবলী প্রশ্ন ও উত্তর-৩৫ | General Knowledge in Bangla Update MCQ 35

গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ জ্ঞান বাংলা বিষয়াবলী প্রশ্ন ও উত্তর। সাধারণ জ্ঞান বাংলা বিষয়াবলি। সাধারণ জ্ঞান বাংলা বিষয়াবলী প্রশ্ন উত্তর। সাম্প্রতিক বাংলা সাধারণ জ্ঞান আপডেট। বিসিএস বাংলা বিষয়াবলী প্রশ্ন ও উত্তর। সাধারণ জ্ঞান সাম্প্রতিক বাংলা বিষয়াবলি। General knowledge in Bangla current affairs question and answer. Bangla Current Affairs General Knowledge MCQ. General Knowledge Bangla Current affairs for BCS Preparation. General Knowledge in Bangla affairs for Govt Job Preparation. General Knowledge Bangla affairs for all Jobs Preparation.
 সাধারণ জ্ঞান 
 বাংলা 
 ৩৫তম পর্ব 
১. বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় কত সালে?
[ক] ২০০৭
✅ ১৯০৭
[গ] ১৯০৯
[ঘ] ১৯১৬

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয়- ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে।
🔶 চর্যাপদ আবিষ্কার করেন- মহামহোপাধ্যায় ড.  হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।
🔶 চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয়- নেপালের রাজগ্রন্থশালা থেকে।
🔶 চর্যাপদ রচিত হয়েছে- মাত্রাবৃত্ত ছন্দে।
🔶 চর্যাপদে পদ রয়েছে- সাড়ে ৪৬টি।
🔶 চর্যাপদ প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়- ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে।
🔶 ড.  হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সম্পাদনায় চর্যাপদকে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করে- বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ।
🔶 চর্যাপদ সর্বপ্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়- ‘হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’ নামে।
🔷 বিগত ২৮তম বিসিএস (BCS) পরীক্ষায় এই সংক্রান্ত প্রশ্ন এসেছে।

২. নিচের কোন্টি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম?
[ক] বীরবল
[খ] ভিমরুল
✅ অনিলাদেবী
[ঘ] যাযাবর

উত্তর বিশ্লেষণ:
অনিলাদেবী
🔶 শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘নারীর মূল্য’ ক্ষুদ্র পুস্তিকাটি লিখেছেন- ‘অনিলাদেবী’ ছদ্মনামে।
🔶 শরৎচন্দ্রের উপাধি- ‘অপরাজেয় কথাশিল্পী’।
🔶 শরৎচন্দ্রের প্রথম উপন্যাস- ‘বড়দিদি’ যা ‘ভারতী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।
🔶 শরৎচন্দ্রের ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত উপন্যাস- ‘পথের দাবী’।
🔶 শরৎচন্দ্রের একটি বিখ্যাত চিত্রকর্ম- ‘মহাশ্বেতা’ অয়েল পেইন্টিং।
🔷 ২৮তম বিসিএস (BCS) পরীক্ষায় এই সংক্রান্ত প্রশ্ন এসেছে।
বীরবল
🔶 ‘বীরবল’ ছদ্মনামটি- প্রমথ চৌধুরীর।
🔶 বাংলা চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক- প্রমথ চৌধুরী।
🔶 প্রমথ চৌধুরী মাসিক ‘সবুজপত্র’ প্রকাশ করেন- ১৯১৪ খ্রি.।
🔶 বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রুপাত্মক প্রবন্ধ রচনাকারী- প্রমথ চৌধুরী।
🔶 প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত অন্যান্য পত্রিকা- বিশ্বভারতী, রূপ ও রীতি এবং অলকা।
🔷 ২৮তম বিসিএস (BCS) পরীক্ষায় এই সংক্রান্ত প্রশ্ন এসেছে।
যাযাবর
🔶 ‘যাযাবর’ ছদ্মনামটি- বিনয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়-এর।
🔶 বিনয়কৃষ্ণের বিখ্যাত গ্রন্থ- ‘দৃষ্টিপাত’, ‘জনান্তিক’।

৩. ‘আধ্যাত্মিকা’ উপন্যাসের লেখক কে?
✅ প্যারীচাঁদ মিত্র
[খ] বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
[গ] দামোদর বন্দোপাধ্যায়
[ঘ] শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

উত্তর বিশ্লেষণ:
প্যারিচাঁদ মিত্র (১৮১৪ - ১৮৮৩)
🔶 ‘আধ্যাত্মিকা’ উপন্যাসের লেখক- প্যারিচাঁদ মিত্র।
🔶 ‘আধ্যাত্মিকা’ উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়- ১৮৮০ খ্রি.।
🔶 বাংলা সাহিত্যের প্রথম ঔপন্যাসিক- প্যারিচাঁদ মিত্র।
🔶 বাঙালি কর্তৃক রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস- প্যারিচাঁদ মিত্রের ‘আলালের ঘরের দুলাল’ (১৮৫৭ খ্রি.)।
🔶 প্যারিচাঁদ মিত্রের অন্যান্য রচনা- কৃষিপাঠ, অভেদী, রামারঞ্জিকা, ডেভিড হেয়ারের জীবনচরিত, Agriculture in Bengal প্রভৃতি।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮ - ১৮৯৪)
🔶 বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-এর উপাধি- ‘সাহিত্য সম্রাট’।
🔶 বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস- বঙ্কিমচন্দ্রের ‘দূর্গেশনন্দিনী’।
🔶 বঙ্কিমের প্রথম উপন্যাস- Rajmohon's wife (১৮৬২ খ্রি.)।
🔶 বঙ্কিমের ছদ্মনাম- ‘কমলাকান্ত’।
🔶 বঙ্কিমের একমাত্র কাব্যগ্রন্থ- ললিতা তথা মানস।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৬ - ১৯৩৮)
🔶 শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-এর আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস- ‘শ্রীকান্ত’।
🔶 শরৎসাহিত্যে নারী উপস্থাপিত হয়েছে- মমতাময়ী সর্বংসহারূপে।
🔶 শরৎচন্দ্রের উপন্যাসের মূল বিষয়- পল্লীজীবন ও সমাজ।
🔶 শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত রচনা- বিন্দুর ছেলে, পরিণীতা, দেবদাস, চরিত্রহীন, দত্তা, দেনা-পাওনা, বৈকুণ্ঠের উইল প্রভৃতি।
🔶 শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে তথ্যের জন্যে ২নং প্রশ্ন বিশ্লেষণ দেখুন।

৪. ‘অনীক’ শব্দের অর্থ-
[ক] সূর্য
[খ] সমুদ্র
[গ] যুদ্ধক্ষেত্র
✅ সৈনিক

উত্তর বিশ্লেষণ:
সৈনিক
🔶 অনীক শব্দের অর্থ- সৈনিক।
🔶 সৈনিক শব্দের প্রতিশব্দ- অনীক, সেনানী, সৈন্য, সামন্ত।
সূর্য
🔶 সূর্যের প্রতিশব্দ- আদিত্য, প্রভাকর, দিবাকর, তপন, দিনেশ, দিননাথ, দিনপতি, অরুণ, ভাস্বর, বানু, মাতন্ড, পুষা, সবিতা, মিহির, রবি, মিত্র।
সমুদ্র
🔶 সমুদ্রের প্রতিশব্দ- অর্নব, সিন্ধু, পাথার, বারিধি, সাগর, জলধি, উদধি, পয়োবি, অম্বুপতি, অম্বুধি, বারীশ, রত্নাকর, পারাবার।
যুদ্ধক্ষেত্র
🔶 যুদ্ধক্ষেত্রের প্রতিশব্দ- রণক্ষেত্র, লড়াইক্ষেত্র, সমরক্ষেত্র, আহরক্ষেত্র, বিগ্রহক্ষেত্র, সংগ্রামক্ষেত্র।

৫. জ্যোৎস্নারাত কোন্ সমাসের দৃষ্টান্ত?
✅ মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
[খ] ষষ্ঠী তৎপুরুষ
[গ] পঞ্চমী তৎপুরুষ
[ঘ] উপমান কর্মধারয়

উত্তর বিশ্লেষণ:
মধ্যপদলাপী কর্মধারয়
🔶 জ্যোৎস্নারাত- মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাসের দৃষ্টান্ত।
🔶 পরস্পর সম্পর্কযুক্ত দুই বা ততোধিক পদের একপদে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে বলে- সমাস।
🔶 যে কর্মধারয় সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যপদ লোপ পায় তাকে বলে- মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস।
🔶 উদাহরণ- দুধভাত, পলান্ন, সিংহাসন ইত্যাদি।
ষষ্ঠী তৎপুরুষ
🔶 যে তৎপুরুষ সমাসে ষষ্ঠী বিভক্তি (র, এর) লোপ পায় তাকে বলে- ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
🔶 ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাসকে বর্তমানে বলে- সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস।
🔶 উদাহরণ- নদীতট, রাজপুত্র, ধানক্ষেত, গৃহকর্তা, বনফুল, মধুবন ইত্যাদি।
পঞ্চমী তৎপুরুষ
🔶 যে তৎপুরুষ সমাসে পঞ্চমী বিভক্তি (হতে, থেকে, চেয়ে, অপেক্ষা) লোপ পায় তাকে বলে- পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস।।
🔶 পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাসের বর্তমান নাম- অপাদান তৎপুরুষ সমাস।
🔶 উদাহরণ- কারামুক্ত, কৃষিজাত, দেশছাড়া, রোগমুক্তি, দুগ্ধজাত ইত্যাদি।
উপমান কর্মধারয়
🔶 যে কর্মধারয় সমাসের পূর্বপদে একটি উপমান-বিশেষ্য (যার সঙ্গে তুলনা করা হয়) ও পরপদে একটি সাধারণ ধর্মবোধক বিশেষণ পদ থাকে তাকে বলে- উপমান কর্মধারয় সমাস।
🔶 উদাহরণ- কাজলকালো, তুষারশুভ্র, রক্তলাল, তুষারধবল, বরফশীতল, শশব্যস্ত ইত্যাদি।

৬. Anatomy শব্দের অর্থ-
[ক] সাদৃশ্য
[খ] স্নায়ুতন্ত্র
✅ শারীরবিদ্যা
[ঘ] অঙ্গ-সঞ্চালন

উত্তর বিশ্লেষণ:
শারীরবিদ্যা
🔶 Anatomy শব্দের অর্থ- ‘শারীরবিদ্যা’ অর্থাৎ জীবদেহের গঠনসংক্রান্ত বিজ্ঞান অথবা ‘অঙ্গব্যবচ্ছেদ বিদ্যা’।
🔶 যে ব্যক্তি শব ব্যবচ্ছেদ করে বা জীবদেহের গঠন বিষয়ে অধ্যয়ন বা অধ্যাপনা করে তাকে বলে- Anatomist. 
সাদৃশ্য
🔶 সাদৃশ্য শব্দের ইংরেজি- Similarity. 
🔶 সাদৃশ্যের প্রতিশব্দ- সমধর্মিতা, সদৃশ দিক বা বিষয়।
স্নায়ুতন্ত্র
🔶 স্নায়ুতন্ত্রের ইংরেজি- The reneous system. 
অঙ্গ-সঞ্চালন
🔶 অঙ্গ-সঞ্চালনের ইংরেজি- Vinesioloty।

৭. ‘আফতাব’ শব্দের সমার্থক কোন্টি?
[ক] অর্ণব
[খ] রাতুল
✅ অর্ক
[ঘ] জলধি

উত্তর বিশ্লেষণ:
অর্ক
🔶 ‘আফতাব’ শব্দের সমার্থক শব্দ- অর্ক, সূর্য, দিনবসু, দিনকর, দিনপতি, বালার্ক, আদিত্য।
অর্ণব
🔶 ‘অর্ণব’ শব্দের সমার্থক শব্দ- সমুদ্র, জলধি, সাগর, বারীন্দ্র, বারিনিধি, পারাবার।
জলধি
🔶 ‘জলধি’ শব্দের সমার্থক শব্দ- সমুদ্র, সিন্ধু, বারিধি, রত্নাকর, জলনিধি, পয়োধি, পাথার।

৮. কোন্ কবি নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিয়েছেন?
[ক] গোবিন্দ দাস
[খ] কায়কোবাদ
[গ] কাহ্ন পা
✅ ভুসুকু পা

উত্তর বিশ্লেষণ:
ভুসুকুপা
🔶 নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিয়েছেন- ভুসুকুপা।
🔶 ভুসুকুপা চর্যাপদের দ্বিতীয় সর্বাধিক- ৮টি পদ রচয়িতা।
🔶 চর্যাপদের অন্যান্য বাঙালি কবি হচ্ছেন- লুইপা, কুক্কুরীপা, বিরূপা, ডোম্বীপা, শবরপা, ধর্মপা ও জয়ন্দীপা।
গোবিন্দ দাস
🔶 গোবিন্দ দাস পরিচিত- স্বভাব কবি হিসেবে।
🔶 আধুনিক যুগের গীতিকবি বলা হয়- গোবিন্দ দাসকে।
🔶 গোবিন্দ দাস ১৮৮৭-৮৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশ করেন- মাসিক পত্রিকা ‘বিভা’।
🔶 গোবিন্দ দাসের উল্লেখযোগ্য রচনা- মগের মুল্লুক, প্রসূন, প্রেম ও ফুল, চন্দন প্রভৃতি।
কায়কোবাদ
🔶 কায়কোবাদের প্রকৃত নাম- মোহাম্মদ কাজেম আল কোরেশী।
🔶 কায়কোবাদের প্রথম কাব্য- ‘বিরহবিলাস’।
🔶 কায়কোবাদের বিখ্যাত মহাকাব্য- ‘মহাশ্মশান’।
🔶 কায়কোবাদের অন্যান্য রচনা- কুসুম কানন, অশ্রুমালা, মহাশ্মশান, অমিয়ধারা প্রভৃতি।
কাহ্নপা
🔶 চর্যাপদের সর্বাধিক পদ রচয়িতা- কাহ্নপা।
🔶 কাহ্নপা পদ রচনা করেন- ১৩টি।
🔶 পাওয়া যায়নি- কাহ্নপা রচিত ২৪নং পদটি।

৯. বাগাড়ম্বর শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ-
[ক] বাগ + অম্বর
[খ] বাগ + আড়ম্বর
[গ] বাক্ + অম্বর
✅ বাক্ + আড়ম্বর

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাগাড়ম্বর শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ- বাক্ + আড়ম্বর = বাগাড়ম্বর।
🔶 ‘বাগাড়ম্বর’ শব্দটি- ব্যঞ্জনসন্ধির উদাহরণ।
🔶 এটির সন্ধি বিচ্ছেদ হবে- ব্যঞ্জনধ্বনি + স্বরধ্বনি নিয়মে।
🔶 ক্, চ্, ট্,ত্, প্-এর পরে স্বরধ্বনি থাকলে সেগুলো হয় যথাক্রমে- গ্, জ্, ড্ (ড়্), দ্, ব্।
🔶 পরবর্তী স্বরধ্বনিটি যুক্ত হয়- পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনধ্বনির সঙ্গে। যেমন :
দিক্ + অন্ত = দিগন্ত
ষট্ + আনন = ষড়ানন

১০. সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি,/ সারাদিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি- এই চরণদ্বয়ের লেখক-
[ক] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
[খ] কুসুমকুমারী দাস
✅ মদনমোহন তর্কালঙ্কার
[ঘ] কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার

উত্তর বিশ্লেষণ:
মদনমোহন তর্কালঙ্কার (১৮১৭ - ১৮৫৮)
🔶 সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি/সারাদিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি- এই চরণদ্বয়ের লেখক- মদনমোহন তর্কালঙ্কার।
🔶 মদনমোহনের পারিবারিক উপাধি- ‘চট্টোপাধ্যায়’।
🔶 মদনমোহন স্থাপিত ছাপাখানা- ‘সংস্কৃত-যন্ত্র’।
🔶 কবি প্রতিভার জন্যে সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপকগণ কর্তৃক উপাধি পান- ‘কাব্যরত্নাকর’ ও ‘তর্কালঙ্কার’।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১ - ১৯৪১)
🔶 রবীন্দ্রনাথের প্রথম মুদ্রিত কবিতা- ‘অভিলাষ’ অন্যথায় ‘ভারতভূমি’।
🔶 রবীন্দ্রনাথের প্রথম দুটি উপন্যাস- ‘বউঠাকুরানীর হাট’ ও ‘রাজর্ষি’।
🔶 রবীন্দ্রনাথ ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার পান- ইংরেজি গীতাঞ্জলীর জন্যে।
🔶 ইংরেজি গীতাঞ্জলির নাম- Song offerings।
🔶 Song offerings-এর ভূমিকা লেখেন- ইংরেজ কবি ইয়েটস।
🔶 রবীন্দ্রনাথ ‘নাইট’ উপাধি ফিরিয়ে দেন- ১৯১৯ খ্রি. কুখ্যাত জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ডের প্রেক্ষিতে (উপাধি পান ১৯১৫ খ্রি.)।
🔶 রবীন্দ্রনাথের উল্লেখযোগ্য রচনাবলী- মানসী, সোনার তরী, সেজুতি, ডাকঘর, চিরকুমার সভা, রক্তকরবী, বিসর্জন, ঘরে বাইরে।
🔶 রবীন্দ্রনাথ রচিত প্রথম উপন্যাস- করুণা।
🔶 বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতটির রচয়িতা- রবীন্দ্রনাথ।
🔶 রবীন্দ্রনাথের প্রথম প্রকাশিত কাব্য- কবিকাহিনী (১৮৭৮)।
🔶 রবীন্দ্রনাথের প্রথম প্রকাশিত কবিতা- ‘হিন্দুমেলার উপহার’, ১৩ বছর বয়সে।
🔶 রবীন্দ্রনাথের প্রথম প্রকাশিত ছোটগল্প- ভিখারিনী (১৮৭৪)।
🔶 রবীন্দ্রনাথের প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধগ্রন্থ- ‘বিবিধ প্রসঙ্গ’ (১৮৮৩)।
🔶 রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন- ১৯০১ সালে।
🔶 রবীন্দ্রনাথ সম্পাদিত পত্রিকা- সাধনা (১৮৯৪), ভারতী (১৮৯৮), বঙ্গদর্শন (১৯০১), তত্ত্ববোধিনী (১৯১১)।
🔶 রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর প্রকাশিত একমাত্র গ্রন্থ- ‘শেষ লেখা’ (কবিতা)।
🔶 রবীন্দ্রনাথের শেষ জীবনের কয়েকটি কাব্য- ‘রোগশয্যায়’ (১৯৪০), ‘আরোগ্য’ (১৯৪১), ‘জন্মদিনে’ (১৯৪১), ‘শেষ লেখা’ (১৯৪১)।
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম গদ্য কাব্যগ্রন্থ- পুনশ্চ।
🔶 অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রবীন্দ্রনাথ ডি-লিট উপাধি পান- ১৯৩৬ সালে।
🔶 রবীন্দ্রনাথ মোট উপন্যাস রচনা করেন- ১৩টি।
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কয়েকটি প্রধান প্রবন্ধ গ্রন্থ- কালান্তর (১৯৩৭), সভ্যতার সংকট (১৯৪১), পঞ্চভূত (১৮৯৭), সাহিত্য (১৯০৭)।
🔶 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্রনাথকে ডি-লিট উপাধি দেয়- ২৯-এ জুলাই ১৯৩৬।
কুসুমকুমারী দাস
🔶 ‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে’ বিখ্যাত উক্তিটি- কুসুমকুমারী দাসের।
🔶 কবি জীবনানন্দ দাসের মা- কুসুমকুমারী দাস।
কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার (১৮৩৪ - ১৯০৭)
🔶 ‘চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখন ব্যথিত বেদন বুঝিতে কি পারে’- উক্তিটি- কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার-এর।
🔶 বাল্যকালে তাঁর ছদ্মনাম ছিল- রামচন্দ্র দাস বা রাম।
🔶 কবির আত্মচরিত রচনা- ‘রামের ইতিবৃত্ত’।
🔶 কৃষ্ণচন্দ্র যেসব পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন- ঢাকা প্রকাশ, মনোরঞ্জিকা, কবিতা কুসুমাবলী, বিজ্ঞাপনী, দ্বৈভাষিকী।
🔶 কবির উল্লেখযোগ্য রচনাবলী- সদ্ভাবশতক, কৈবল্যতত্তব, রাবণবধ প্রভৃতি।
🔶 মহাভারতের ‘বাসব-নহুষ-সংবাদ’ অবলম্বনে রচনা করেন- ‘মোহভোজ’।
🔶 পারস্য কবি হাফিজ ও সাদীর কাব্যাদর্শে রচনা করেন- ‘সদ্ভাবশতক’।

১১. ‘ঠাকুরমার ঝুলি’ কী জাতীয় রচনার সংকলন?
✅ রূপকথা
[খ] ছোটগল্প
[গ] গ্রাম্যগীতিকা
[ঘ] রূপকথা-উপকথা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘ঠাকুরমার ঝুলি’ একটি- রূপকথা।
🔶 ইংরেজিতে রূপকথা বা পরীকথাকে বলে- Fairy Tales।
🔶 ঠাকুরমার ঝুলি ও ঠাকুরদাদার ঝুলি-র সংগ্রাহক- দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার।
🔶 বাংলা রূপকথার স্রষ্টা- উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী।

১২. বাংলা ভাষায় ছন্দ প্রধানত কত প্রকার?
[ক] ২
[খ] ৪
✅ ৩
[ঘ] ৫

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা ছন্দ তিন রকমের- ক.  মাত্রাবৃত্ত খ.  স্বরবৃত্ত ও গ.  অক্ষরবৃত্ত।
🔶 প্রথম মাত্রাবৃত্ত ছন্দ পরিলক্ষিত হয়- চর্যাপদে।
🔶 এছাড়াও মাত্রাবৃত্তে রচিত গ্রন্থ- বৈষ্ণব পদাবলি, মানসী, অগ্নিবীণা ইত্যাদি।
🔶 মাত্রাবৃত্ত ছন্দ- রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টি।
🔶 স্বরবৃত্ত ছন্দে রচিত গ্রন্থ- গোপীচন্দ্রের গান, শ্যামাসঙ্গীত, বাউল পদ, পাঁচালি, ময়মনসিংহ গীতিকা ইত্যাদি।
🔶 অক্ষরবৃত্ত ছন্দে অনুবাদিত গ্রন্থ- রামায়ণ, মহাভারত ইত্যাদি।
🔶 বাংলা কাব্যের প্রধান ছন্দ- অক্ষরবৃত্ত ছন্দ।
🔶 এছাড়াও বংলা কাব্যে বিদ্যমান- ধামালি, ভঙ্গপয়ার, ললিত, দিগক্ষরা, মহাপয়ার, পয়ার ইত্যাদি ছন্দ।
🔷বিগত ২৫তম বিসিএস (BCS) পরীক্ষায় এই প্রশ্নটি এসেছে।

১৩. ‘কাঁঠালপাড়া’য় জন্মগ্রহণ করেন কোন্ লেখক?
[ক] শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
[খ] সুভাষ মুখোপাধ্যায়
[গ] কাজী ইমদাদুল হক
✅ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

উত্তর বিশ্লেষণ:
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮ - ১৮৯৪)
🔶 বঙ্কিমচন্দ্র চবিবশ পরগণা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন- ১৮৩৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৭-এ জুন।
🔶 বঙ্কিমের শেষ স্মরণীয় সাহিত্যকীর্তি- ‘আনন্দমঠ’।
🔶 বঙ্কিমচন্দ্র সম্পাদিত পত্রিকা- ‘বঙ্গদর্শন’।
🔶 বন্দে মাতরম, মাতৃভূমি, জন্মভূমি, স্বরাজ, মন্ত্র প্রভৃতি পোগান- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত প্রবন্ধের।
🔶 বঙ্কিমের উল্লেখযোগ্য রচনাবলী- দূর্গেশনন্দিনী, কপালকুন্ডলা, দেবী চৌধুরানী, রাজসিংহ, সীতারাম প্রভৃতি।
🔶 বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্যে ২নং প্রশ্ন বিশ্লেষণ দেখুন।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৭৬-১৮৩৮)
🔶 শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে তথ্যের জন্যে ১নং ও ২নং প্রশ্ন বিশ্লেষণ দেখুন।
সুভাষ মুখোপাধ্যায়
🔶 সুভাষ মুখোপাধ্যায় পরিচিত- ‘পদাতিক কবি’ হিসেবে।
কাজী ইমদাদুল হক (১৮৮২ - ১৯২৬)
🔶 ‘আবদুল্লাহ’ উপন্যাসের লেখক- কাজী ইমদাদুল হক।
🔶 কাজী ইমদাদুল হক সম্পাদিত শিক্ষাবিষয়ক মাসিক পত্রিকা- ‘শিক্ষক’।
🔶 লেখকের প্রাপ্ত উপাধি- ‘খান সাহেব’ (১৯১৯) ও ‘খান বাহাদুর’ (১৯২৬)।
🔶 লেখকের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ- আঁখিজল, নবীকাহিনী, প্রবন্ধমালা, কামারের কান্ড প্রভৃতি।

১৪. নিচের কোন্টি অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনি?
[ক] ভ
[খ] ঠ
[গ] ফ
✅ চ

উত্তর বিশ্লেষণ:
🔶 অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনি হচ্ছে- চ।
🔶 ক-ম পর্যন্ত ২৫টি বর্ণকে উচ্চারণ স্থানের দিক থেকে ভাগ করা হয়েছে- ৫টি বর্গে।
🔶 ২৫টি স্পর্শ বর্ণকে আবার ৪ ভাগে ভাগ করা হয়েছে- অঘোষ, ঘোষ, অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ ধ্বনি।
অঘোষধ্বনি
🔶 যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয় না তাকে বলে- অঘোষ ধ্বনি।
🔶 বর্গের ১ম ও ২য় ধ্বনিকে বলা হয়- অঘোষ ধ্বনি।
🔶 অঘোষ ধ্বনিসমূহ হলো- ক, চ, ট, ত, প, খ, ছ, ঠ, থ, ফ।
ঘোষ ধ্বনি
🔶 যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয় তাকে বলে- ঘোষ ধ্বনি।
🔶 বাংলা বর্ণমালার ব্যঞ্জণবর্ণের ৩য় ও ৪র্থ বর্ণকে বলা হয়- ঘোষ ধ্বনি।
🔶 ঘোষ ধ্বনিসমূহ হলো- গ, জ, ড, দ, ব, ঘ, ঝ, ঢ, ধ, ভ।
অল্পপ্রাণ ধ্বনি
🔶 যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় বাতাসের চাপের স্বল্পতা থাকে তাকে বলা হয়- অল্পপ্রাণ ধ্বনি।
🔶 বাংলা বর্ণমালার বর্গের ১ম ও ৩য় ধ্বনিসমূহ হলো- অল্পপ্রাণ ধ্বনি।
🔶 অল্পপ্রাণ ধ্বনিসমূহ হলো- ক, চ, ট, ত, প, গ, জ, ড, দ, ব।
মহাপ্রাণ ধ্বনি
🔶 যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় বাতাসের চাপের আধিক্য থাকে তাকে বলে- মহাপ্রাণ ধ্বনি।
🔶 বাংলা বর্ণমালার বর্গের ২য় ও ৪র্থ ধ্বনিসমূহ হলো- মহাপ্রাণ ধ্বনি।
🔶 মহাপ্রাণ ধ্বনিসমূহ হলো- খ, ছ, ঠ, থ, ফ, ঘ, ঝ, ঢ, ধ, ফ।
🔶 অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনি হলো- ক, চ, ট, ত, প।
🔶 অঘোষ মহাপ্রাণ ধ্বনি হলো- খ, ছ, ঠ, থ, ফ।
🔶 ঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনি হলো- গ, জ, ড, দ, ব।
🔶 ঘোষ মহাপ্রাণ ধ্বনি হলো- ঘ, ঝ, ঢ, ধ, ভ।

সাধারণ জ্ঞান বাংলা বিষয়াবলী প্রশ্ন ও উত্তর-৩৫ | General Knowledge in Bangla Update MCQ 35

১৫. ‘অপ’ কী ধরনের উপসর্গ?
✅ সংস্কৃত
[খ] বাংলা
[গ] বিদেশি
[ঘ] মিশ্র

উত্তর বিশ্লেষণ:
সংস্কৃত উপসর্গ
🔶 ‘অপ’ হলো- সংস্কৃত উপসর্গ।
🔶 যেসব অব্যয় শব্দের নিজস্ব কোনো অর্থ নেই কিন্তু অন্য শব্দের আগে যুক্ত হয়ে সে শব্দের নতুন অর্থ সৃষ্টি করে তাকে বলে- উপসর্গ।
🔶 উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই কিন্তু আছে- অর্থদ্যোতকতা।
🔶 বাংলা ভাষায় উপসর্গ- ৩ প্রকার, তৎসম বা সংস্কৃত, খাঁটি বাংলা ও বিদেশি উপসর্গ।
🔶 যে সব উপসর্গ সংস্কৃত থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে তাদেরকে বলে- সংস্কৃত উপসর্গ।
🔶 সংস্কৃত উপসর্গ প্রধানত- ২০টি। যথা : প্র, প্ররা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দূর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অভি, অতি, অপি, উপ, আ।
🔶 বাংলা ভাষায় কখনো কখনো স্বাধীন প্রয়োগ হতে পারে- ২টি উপসর্গের; অতি ও প্রতি।
বাংলা উপসর্গ
🔶 বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত নিজস্ব উপসর্গকে বলা হয়- খাঁটি বাংলা উপসর্গ।
🔶 বাংলা উপসর্গ সাধারণত যুক্ত হয়- খাঁটি বাংলা শব্দের পূর্বেই।
🔶 খাঁটি বাংলা উপসর্গ- ২১টি। যথা : অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, উন (উনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
বিদেশি উপসর্গ
🔶 বিদেশি উপসর্গ হলো- আরবি, ফারসি, ইংরেজি ও হিন্দি ভাষার উপসর্গ।
🔶 ফারসি উপসর্গগুলো হলো- কার, সে, দর, না, নিম, ফি, বর, বে, বদ, ব, হর।
🔶 আরবি উপসর্গগুলো হলো- আম, খাস, লা, বাজে, গর, খয়ের।
🔶 উর্দু, হিন্দি উপসর্গগুলো (প্রত্যেক অর্থে) হলো- হররোজ, হরমাহিনা, হরকিসিম।
🔶 ইংরেজি উপসর্গগুলো হলো- সাব (Sub), হেড (Head), ফুল (Full), হাফ (Half)।

১৬. নিচের কোন্টি মীর মশাররফ হোসেনের জন্ম-মৃত্যু সাল?
[ক] ১৮৪৭-১৯১১
[খ] ১৮৫২-১৯১২
[গ] ১৮৫৭-১৯১১
✅ ১৮৪৭-১৯১২

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মীর মশাররফ হোসেন
🔶 মীর মশাররফ হোসেনের জন্মমৃত্যু সাল- ১৮৪৭ - ১৯১২।
🔶 মীর মশাররফ হোসেনের জন্ম- লাহিনী পাড়া, কুষ্টিয়ায়, ১৩ই নভেম্বর ১৮৪৭ খ্রিষ্টাব্দে।
🔶 ঊনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যের পথিকৃত- মীর মশাররফ হোসেন।
🔶 মশাররফের সাহিত্যগুরু ছিলেন- ‘গ্রামবার্তা’র সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ।
🔶 মশাররফ সম্পাদিত দুটি পত্রিকা- ‘আজিজননেহার’ ও ‘হিতকারী’।
🔶 মশাররফের ‘জমিদার দর্পণ’ নাটকটি রচিত- সিরাজগঞ্জে সংঘটিত ১৮৭২-৩৭ সালের কৃষক-বিদ্রোহের পটভূমিকায়।

১৭. রবীন্দ্রনাথের ‘সোনার তরী’ কবিতা কোন্ ছন্দে রচিত?
[ক] স্বরবৃত্ত
[খ] অক্ষরবৃত্ত
[গ] মন্দাক্রান্তা
✅ মাত্রাবৃত্ত

উত্তর বিশ্লেষণ:
মাত্রাবৃত্ত
🔶 রবীন্দ্রনাথের ‘সোনার তরী’ কবিতাটি রচিত- মাত্রাবৃত্ত ছন্দে।
🔶 মাত্রাবৃত্ত ছন্দের মূলপর্ব হয়- সাধারণত ৬ মাত্রার।
🔶 মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত প্রথম গ্রন্থ- ‘চর্যাপদ’।
🔶 মাত্রাবৃত্ত ছন্দটির সৃষ্টিকর্তা বলা হয়- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে।
🔶 মাত্রাবৃত্ত ছন্দের অন্যান্য নাম- ধ্বনিপ্রধান, বিস্তার প্রধান, সরল কলামাত্রিক।
স্বরবৃত্ত
🔶 স্বরবৃত্ত ছন্দের মূলপর্বের মাত্রাসংখ্যা- ৪।
🔶 স্বরবৃত্তের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- রবীন্দ্রনাথের ‘হসন্তের ছাঁচ’ অর্থাৎ বাংলা শব্দের হলন্ত বা ব্যঞ্জনান্ত উচ্চারণ প্রক্রিয়া।
🔶 বাউল গান, লোককথায় ও ছড়ায় পাওয়া যায়- স্বরবৃত্ত ছন্দ।
🔶 স্বরবৃত্ত ছন্দের প্রধান বৈশিষ্ট্য- উচ্চারণে দ্রুততা ও সবলতা।
🔶 ময়মনসিংহ গীতিকা, গোপীচন্দ্রের গান, শ্যামাসঙ্গীত, বাউল পদ, পাঁচালি প্রভৃতি- স্বরবৃত্ত ছন্দে রচিত।
অক্ষরবৃত্ত
🔶 অক্ষরবৃত্ত ছন্দের মূলপর্ব হয়- ৮ বা ১০ মাত্রার।
🔶 বাংলা কাব্যের প্রধান ছন্দ- অক্ষরবৃত্ত ছন্দ।
🔶 অক্ষরবৃত্তের উৎস হলো- অনুষ্টুপ (বৈদিক), বসন্ততিলক (বৃত্তছন্দ)।
🔶 ‘রামায়ণ’ ও ‘মহাভারত’-এর অনুবাদ হয়েছে- অক্ষরবৃত্ত ছন্দে।

১৮. ‘সাহচর্য’ শব্দের শুদ্ধ গঠন কোন্টি?
[ক] সহ + চর + র্য
[খ] সহচর + ৎ ফলা
✅ সহচর + য
[ঘ] কোনটিই নয়

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘সাহচর্য’ শব্দের শুদ্ধ গঠন- সহচর + য।
🔶 সাহচর্য হলো- তদ্ধিত প্রত্যয়।
🔶 শব্দ বা ক্রিয়ার মূলকে বলে- প্রকৃতি। যথা : পড় + আ = পড়া; পড় হলো প্রকৃতি।
🔶 প্রকৃতি ২ প্রকার- নাম প্রকৃতি ও ক্রিয়া প্রকৃতি।
🔶 বিভক্তিহীন শব্দকে বলা হয়- নাম প্রকৃতি।
🔶 নাম প্রকৃতির অন্য নাম- প্রাতিপাদিক।
🔶 ক্রিয়ামূলকে বলা হয়- ক্রিয়া প্রকৃতি।
🔶 ধাতু বা শব্দের পরে ভিন্নার্থের যে বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠিত হয় তাদের বলে- প্রত্যয়। যথা : দুল + অনা = দোলনা; অনা হলো প্রত্যয়।
🔶 প্রত্যয় দুই প্রকার- কৃৎ প্রত্যয় ও তদ্ধিত প্রত্যয়।
🔶 কৃৎ প্রত্যয় যুক্ত হয়- ধাতু বা ক্রিয়ার সাথে।
🔶 মৌলিক শব্দের শেষে যুক্ত হয়- তদ্ধিত প্রত্যয়।

১৯. ‘পাহাড়তলী’ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন -
[ক] মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
[খ] সৈয়দ শামসুল হক
[গ] শামসুর রাহমান
[ঘ] সেলিম আলদীন

উত্তর বিশ্লেষণ:
সঠিক উত্তর নেই।
শামসুর রাহমান
🔶 কবি শামসুর রাহমানের পৈতৃক নিবাস- নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার পাহাড়তলী গ্রাম।
🔶 শামসুর রাহমানের জন্ম- পুরান ঢাকার মাহুতটুলীতে ১৯২৯ সালের ২৩-এ অক্টোবর।
🔶 শামসুর রাহমানের প্রথম কাব্যগ্রন্থ- ‘প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’ (১৯৬০)।
🔶 শামসুর রাহমানের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থাবলী- রৌদ্র করোটিতে, বিধ্বস্ত নীলিমা, নিজ বাসভূমে, বন্দী শিবির থেকে, প্রতিদিন ঘরহীন ঘরে, অক্টোপাস, এলাটিং বেলাটিং প্রভৃতি।
🔶 ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতাটি- শামসুর রাহমানের।
🔶 ‘এই বাঙ্গালায় তোমাকেই আসতে হবে, হে স্বাধীনতা’ পংক্তিটি- শামসুর রাহমানের।
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
🔶 মধ্যযুগীয় চন্ডীমঙ্গলের শ্রেষ্ঠ কবি- মুকুন্দরাম চক্রবর্তী।
🔶 বাঁকুড়ার জমিদার রঘুনাথের সভাকবি ছিলেন- মুকুন্দরাম।
🔶 মুকুন্দরামকে রঘুনাথ রায় প্রদত্ত উপাধি- কবিকঙ্কন।
🔶 মুকুন্দরাম ‘চন্ডীমঙ্গল’ কাব্য রচনা করেন- রঘুনাথের প্রেরণায়।
🔶 মুকুন্দরাম সৃষ্ট অমর চরিত্র- মুরারিশীল, ভাঁড়ূদত্ত, ফুল­রা প্রভৃতি।
সৈয়দ শামসুল হক
🔶 সৈয়দ শামসুল হক জন্মগ্রহণ করেন- ২৭-এ ডিসেম্বর ১৯৩৫ সালে, কুড়িগ্রামে।
🔶 কথাসাহিত্যিক ও গল্পকার সৈয়দ শামসুল হকের বিখ্যাত কলামের নাম- হৃৎকলমের টানে, দৈনিক সংবাদ।
🔶 শামসুল হকের উল্লেখযোগ্য রচনাবলী- এক মহিলার ছবি, খেলারাম খেলে যা, একদা এক রাজ্যে, তাস, রক্তগোলাপ, নুরুল দীনের সারাজীবন প্রভৃতি।
সেলিম আল-দীন
🔶 প্রখ্যাত নাট্যকার ও সাহিত্যিক সেলিম আল দীনের জন্ম- ১৯৪৮ সালে, নোয়াখালীতে।
🔶 গ্রাম থিয়েটার ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্তব বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা- সেলিম আল দীন।
🔶 সেলিম আল দীনের উল্লেখযোগ্য নাটক- অনিকেত, জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন, মুনতাসির ফ্যান্টাসি, কিত্তনখোলা, চাকা, যৈবতী কন্যার মন।

২০. ‘পূর্বাশা’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন-
[ক] মুন্সী মেহেরল্লা
✅ সঞ্জয় ভট্টাচার্য
[গ] কামিনী রায়
[ঘ] মোজাম্মেল হক

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘পূর্বাশা’ মাসিক পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন- সঞ্জয় ভট্টাচার্য।
🔶 কবি, ঔপন্যাসিক, সম্পাদক সঞ্চয় ভট্টাচার্য জন্মগ্রহণ করেন- বর্তমান কুমিল্লার শ্যামগ্রামে।


No comments:

Post a Comment