সন্ধি কাকে বলে? সন্ধি কতো প্রকার ও কি কি? বিস্তারিত আলোচনা

বাংলা ব্যাকরণ
আলোচ্য বিষয়ঃ
সন্ধি
সন্ধি কাকে বলেঃ
সন্ধি শব্দের অর্থ মিলন। দ্রুত উচ্চারণের ফলে পরস্পর নিকটবর্তী দুটো ধ্বনির মিলনে যে ধ্বনিগত পরিবর্তন হয় তাকে সন্ধি বলে।
১. ধ্বনির মিলনঃ রবি+ইন্দ্র = রবীন্দ্র ( এখানে প্রথম শব্দের শেষ ধ্বনি এবং দ্বিতীয় শব্দের প্রথম ‘ই’ ধ্বনি মিলে ‘ঈ’ ধ্বনিতে রূপান্তরিত হয়েছে)।
২. ধ্বনি লোপঃ হিম+আলয় = হিমালয় (এখানে প্রথম শব্দের শেষ ধ্বনি ‘অ’ এবং দ্বিতীয় শব্দের প্রথম ‘আ’ ধ্বনি মিলিত হওয়ার ফলে ‘অ’ ধ্বনি লোপ পেয়েছে)।
৩. ধ্বনির বিকৃতিঃ চিৎ+ময় = চিন্ময় (প্রথম শব্দের ‘ৎ’ বিকৃতি হয়ে ‘ন’হয়েছে)।
সন্ধির প্রকারভেদঃ
বাংলা ব্যাকারণ অনুসারে সন্ধি দুই প্রকার -
১. স্বরসন্ধি। 
২. ব্যঞ্জনসন্ধি।
আবার সংস্কৃত ব্যাকরণ অনুসারে তিন প্রকার-
১. স্বরসন্ধি। 
২. ব্যঞ্জনসন্ধি।
৩. বিসর্গ সন্ধি।

স্বরসন্ধি
স্বরসন্ধিঃ স্বরধ্বনির সঙ্গে স্বরধ্বনির মিলনের নাম স্বরসন্ধি।

১. অ-কার কিংবা আ-কারের পর অ-কার কিংবা আ-কার থাকলে উভয়ে মিলে আ-কার হয়, আ-কার পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়। যেমন-
অ + অ = আ, নর + অধম = নরাধম। এ রূপ - হিমাচল, প্রাণাধিক, হস্তান্তর, হিতাহিত ইত্যাদি।
অ + আ = আ, হিম + আলয় = হিমালয়। এ রূপ - দেবালয়, রত্নাকর, সিংহাসন ইত্যাদি।
আ + অ = আ, যথা + অর্থ = যথার্থ। এ রূপ - আশাতীত, কথামৃত, মহার্ঘ ইত্যাদি।
আ + আ = আ, বিদ্যা + আলয় = বিদ্যালয়। এ রূপ - কারাগার, মহাশয়, সদানন্দ ইত্যাদি।

২. অ- কার কিংবা আ- কারের পর ই- কার কিংবা ঈ- কার থাকলে উভয় মিলে এ- কার হয়; এ- কার পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়। যেমন-
অ + ই = এ শুভ + ইচ্ছা = শুভেচ্ছা
আ + ই = এ যথা + ইষ্ট = যথেষ্ট
অ + ঈ = এ পরম + ঈশ = পরমেশ
আ + ঈ = এ মহা + ঈশ = মহেশ।
এ রূপ - পূর্ণেন্দু, শ্রবণেন্দ্রিয়, স্বেচ্ছা, নরেশ, রমেশ, নরেন্দ্র ইত্যাদি।

৩. অ- কার কিংবা আ- কারের পর উ- কার কিংবা ঊ- কার থাকলে উভয়ে মিলে ও- কার হয়; ও- কার পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনে যুক্ত হয়। যেমন-
অ + উ = ও সূর্য + উদয় = সূর্যোদয়।
আ + উ = ও যথা + উচিত = যথোচিত।
অ + ঊ = ও গৃহ +ঊর্ধ্ব = গৃহোর্ধ্ব।
আ + ঊ = ও গঙ্গা + ঊর্মি = গঙ্গোর্মি।
এ রূপ - নীলোৎপল, চলোর্মি, মহোৎসব, নবোঢ়া, ফলোদয়, যথোপযুক্ত, হিতোপদেশ, পরোপকার, প্রশ্নোত্তর ইত্যাদি।

৪. অ- কার কিংবা আ- কারের পর ঋ- কার থাকলে উভয়ে মিলে ‘র্অ’ হয় এবং তা রেফ (র্ ) রূপে পরবর্তী বর্ণের সাথে লেখা হয়। যেমন-
অ + ঋ = র্অ দেব + ঋষি = দেবর্ষি।
আ + ঋ = র্অ মহা + ঋষি = মহর্ষি।
এ রূপ - অধমর্ণ, উত্তমর্ণ, সপ্তর্ষি, রাজর্ষি ইত্যাদি।

৫. অ- কার কিংবা আ- কারের পর ‘ঋত’ - শব্দ থাকলে অ/আ+ঋ উভয় মিলে ‘র্আ’ হয় এবং বানানে পূর্ববর্তী বর্ণে আ ও পরবর্তী বর্ণে রেফ লেখা হয়। যেমন-
অ + ঋ = আর শীত + ঋত = শীতার্ত।
আ + ঋ = আর তৃষ্ণা + ঋত = তৃষ্ণার্ত।
এ রূপ - ভয়ার্ত, ক্ষুধার্ত ইত্যাদি।

৬. অ- কার কিংবা আ- কারের পর এ- কার কিংবা ঐ- কার থাকলে উভয়ে মিলে ঐ- কার হয়; ঐ- কার পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সাথে যুক্ত হয়। যেমন-
অ + এ = ঐ জন + এক = জনৈক।
আ + এ = ঐ সদা + এব = সদৈব।
অ + ঐ = ঐ মত + ঐক্য = মতৈক্য। 
আ + ঐ = ঐ মহা + ঐশ্বর্য = মহৈশ্বর্য।
এ রূপ - হিতৈষী, সর্বৈব, অতুলৈশ্বর্য ইত্যাদি।

৭. অ- কার কিংবা আ- কারের পর ও- কার কিংবা ঔ- কার থাকলে উভয়ে মিলে ঔ- কার হয়; ঔ- কার পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সাথে যুক্ত হয়। যেমন-
অ + ও = ঔ বন + ওষধি = বনৌষধি।
আ + ঔ = ঔ মহা + ঔষধি = মহৌষধি।
অ + ঔ = ঔ পরম + ঔষধ = পরমৌষধ।
আ + ঔ = ঔ মহা + ঔষধ = মহৌষধ।

৮. ই- কার কিংবা ঈ- কারের পর ই- কার কিংবা ঈ- কার থাকলে উভয়ে মিলে দীর্ঘ ঈ- কার হয়। দীর্ঘ ঈ- কার পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সাথে যুক্ত হয়। যেমন-
ই + ই = ঈ অতি + ইত = অতীত।
ই + ঈ = ঈ পরি + ঈক্ষা = পরীক্ষা।
ঈ + ই = ঈ সতী + ইন্দ্র = সতীন্দ্র।
ঈ + ঈ = ঈ সতী + ঈশ = সতীশ।
এ রূপ - গিরীন্দ্র, ক্ষিতীশ, মহীন্দ্র, শ্রীশ, অতীব, প্রতীক্ষা, প্রতীত, রবীন্দ্র, দিলীশ্বর ইত্যাদি।

৯. ই- কার  কিংবা ঈ- কারের পর ই ও ঈ ভিন্ন অন্য স্বর থাকলে শুধুমাত্র ই বা ঈ এর পরিবর্তে ‘য্’ হয়। য- ফলা লেখার সময় পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সাথে লেখা হয়। এ ক্ষেত্রে পরবর্তী ভিন্নস্বরগুলো অপরিবর্তিত থাকে। যেমন-
ই + অ = য্ + অ অতি + অন্ত = অত্যন্ত।
ই + আ = য্ + আ ইতি + আদি = ইত্যাদি।
ই + উ = য্ + উ অতি + উক্তি = অত্যুক্তি।
ই + ঊ = য্ + ঊ প্রতি + ঊষ = প্রত্যুষ।
ঈ + আ = য্ + আ মসী + আধার = মস্যাধার।
ই + এ = য্ + এ প্রতি + এক = প্রত্যেক।
ঈ + অ = য্ + অ নদী + অম্বু = নদ্যম্বু।
এ রূপ - প্রত্যহ, অত্যধিক, গত্যন্তর, প্রত্যাশা, প্রত্যাবর্তন, আদ্যন্ত, যদ্যপি, পর্যন্ত, অভ্যুত্থান, অগ্নুৎপাত, অত্যাশ্চর্য, প্রত্যুপকার ইত্যাদি।

১০. উ- কার কিংবা ঊ- কারের পর উ- কার কিংবা ঊ- কার থাকলে উভয়ে মিলে ঊ- কার হয়; ঊ- কার পূর্ববর্তী ব্যঞ্জন ধ্বনির সাথে যুক্ত হয়। যেমন-
উ + উ = ঊ মরু + উদ্যান = মরূদ্যান।
উ + ঊ = ঊ বহু + ঊর্ধ্ব = বহূর্ধ্ব।
ঊ + উ = ঊ বধূ + উৎসব = বধূৎসব।
ঊ + ঊ = ঊ ভূ + ঊর্ধ্ব = ভূর্ধ্ব।

১১. উ- কার কিংবা ঊ- কারের পর উ/ঊ-কার ভিন্ন অন্য স্বর থাকলে শুধুামাত্র উ বা ঊ এ পরিবর্তে ‘ব্’ হয় এবং লেখার সময় ব-ফলা পূর্ববর্তী বর্ণের সাথে লেখা হয়। এ ক্ষেত্রে পরবর্তি ভিন্নস্বরগুলো অপরিবর্তিত থাকে। যেমন-
উ + অ = ব + অ সু + অল্প = স্বল্প।
উ + আ = ব + আ সু + আগত = স্বাগত।
উ + ই = ব + ই অনু + ইত = অন্বিত।
উ + ঈ = ব + ঈ তনু + ঈ = তন্বী।
উ + এ = ব + এ অনু + এষণ = অন্বেষণ।
এ রূপ - পশ্বধম, পশ্বাচার, অন্বয়, মন্বন্তর ইত্যাদি।

১২. ঋ- কারের পর ঋ ভিন্ন অন্য স্বর থাকলে ‘ঋ’ স্থানে র্‘’ হয় এবং র- ফলা পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়। যেমন- পিতৃ + আলয় = পিত্রালয়, পিতৃ + আদেশ = পিত্রাদেশ।

১৩. এ, ঐ, ও, ঔ- কারের পর ভিন্নস্বর থাকলে এ, ঐ স্থানে যথাক্রমে অয়্, আ্ এবং ও, ঔ স্থানে যথাক্রমে অব্ ও আব্ হয়। যেমন-
এ + অ = অয়্ + অ নে + অন = নয়ন শে + অন = শয়ন।
ঐ + অ = আয়্ + অ নৈ + অক = নায়ক গৈ + অক = গায়ক।
ও + অ = অব্ + অ পো + অন = পবন,
লো + অন = লবণ।
ঔ + অ = আব্ + অ পৌ + অক = পাবক।
ও + আ = অব্ + আ গো + আদি = গবাদি।
ও + এ = অব্ + এ গো + এষণা = গবেষণা।
ও + ই = অব্ + ই পো + ইত্র = পবিত্র।
ঔ + ই = আব্ + ই নৌ + ইক = নাবিক।
ঔ + উ = আব্ + উ ভৌ + উক = ভাবুক।

১৪. কতকগুলো সন্ধি কোনো নিয়ম অনুসারে হয় না, এগুলোকে নিপাতনে সিদ্ধ বলে। যেমন-
কুল + অটা = কুলটা (কুলাটা নয়), গো + অক্ষ = গবাক্ষ (গবক্ষ নয়), প্র + ঊঢ় = পৌঢ় (প্রোঢ় নয়), অন্য + অন্য = অন্যান্য, মার্ত = অণ্ড = মার্তণ্ড, শুদ্ধ + ওদন = শুদ্ধোদন।

ব্যঞ্জনসন্ধি
ব্যঞ্জনসন্ধি: স্বরে - ব্যঞ্জনে, ব্যঞ্জনে - স্বরে বা ব্যঞ্জনে-ব্যঞ্জনে যে সন্ধি হয় তাকে ব্যঞ্জন সন্ধি বলে। এ দিক থেকে ব্যঞ্জন সন্ধিকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- 
 ১. ব্যঞ্জনধ্বনি + স্বরধ্বনি
 ২. স্বরধ্বনি + ব্যঞ্জনধ্বনি 
 ৩. ব্যঞ্জনধ্বনি + ব্যঞ্জন ধ্বনি।
 
১. ব্যঞ্জনধ্বনি + স্বরধ্বনি
ক্ , চ্ , ট্ , ত্ , প্ - এর পরে স্বরধ্বনি থাকলে সেগুলো যথাক্রমে গ্ , জ্,    ড্ , (ড়্), দ্ , ব্ হয়। পরবর্তী স্বরধ্বনিটি পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনধ্বনির সঙ্গে যুক্ত হয়। যেমন-
ক্ + অ = গ  দিক্ + অন্ত = দিগন্ত।
চ্ + অ = জ  ণিচ + অন্ত = ণিজন্ত।
ট্ + আ = ড  ষট + আনন = ষড়ানন।
ত্ + অ = দ  তৎ + অবধি = তদবধি।
প্ + অ = ব  সুপ + অন্ত = সুবন্ত।
এ রূপ - বাগীশ, তদন্ত, বাগাড়ম্বর, কৃদন্ত, সদুপায়, সদুপদেশ, জগদিন্দ্র ইত্যাদি।

২.  স্বরধ্বনি + ব্যঞ্জনধ্বনি
 স্বরধ্বনির পর ছ থাকলে উক্ত ব্যঞ্জনধ্বনিটি দ্বিত্ব (চ্ছ) হয়। যথা-
অ + ছ = চ্ছ  এক + ছত্র = একচ্ছত্র।
আ + ছ = চ্ছ  কথা + ছলে = কথাচ্ছলে।
ই + ছ = চ্ছ  পরি + ছদ = পরিচ্ছদ।
এ রূপ - মুখচ্ছবি, বিচ্ছেদ, পরিচ্ছেদ, বিচ্ছিন্ন, অঙ্গচ্ছেদ, আলোকচ্ছটা, প্রতিচ্ছবি, প্রচ্ছদ, আচ্ছাদন, বৃক্ষচ্ছায়া, স্বচ্ছন্দে, অনুচ্ছেদ প্রভৃতি।

৩. ব্যঞ্জনধ্বনি + ব্যঞ্জনধ্বনি
 (ক) (i) ১. ত্ ও দ্ - এর পর চ্ ও ছ্ থাকলে ত্ ও দ্ স্থানে চ্ হয়। যেমন-
 ত্ + চ = চ্চ  সৎ + চিন্তা = সচ্চিন্তা।
 ত + ছ = চ্ছ  উৎ + ছেদ = উচ্ছেদ।
 দ + চ = চ্চ  বিপদ + চয় = বিপচ্চয়।
 দ + ছ = চ্ছ  বিপদ + ছায়া = বিপচ্ছায়া।
 এ রূপ - উচ্চারণ, শরচ্চন্দ্র, সচ্চরিত্র, তচ্ছবি, সচ্চিদানন্দ প্রভৃতি।
 
(ii) ত্ ও দ্ - এ পর জ্ ও ঝ্ থাকলে ত্ ও দ্ - এর স্থানে জ্ হয়। যেমন-
 ত + জ = জ্জ  সৎ + জন = সজ্জন।
 দ + জ = জ্জ  বিপদ + জাল = বিপজ্জাল।
 ত + ঝ = জ্ঝ  কুৎ + ঝটিকা = কুজ্ঝটিক।
 এ রূপ - উজ্জ্বল, তজ্জন্য, যাবজ্জীবন, জগজ্জীবন ইত্যাদি।
 
(iii) ত্ ও দ্ - এর পর শ্ থাকলে ত্ ও দ্ - এর স্থলে চ্ এবং শ্ - এর স্থলে ছ্ উচ্চারিত হয়। যেমন-
 ত + শ = চ + ছ = চ্ছ  উৎ + শ্বাস = উচ্ছ্বাস
 এ রূপ - চলচ্ছক্তি, উচ্ছৃঙ্খল ইত্যাদি।

(iv) ত্ ও দ্ - এর পর ড্ থাকলে ত্ ও দ্ এর স্থানে ড্ হয়। যেমন-
 ত্ + ড = ডড   উৎ + ডীন = উড্ডীন।

(v) ত্ ও দ্ - এর পর হ থাকলে ত্ ও দ্ - এর স্থলে দ্ এবং হ্-এর স্থলে ধ্ হয়। যেমন- 
 ত্ + হ = দ + ধ = দ্ধ   উৎ + হার = উদ্ধার।
 দ্ + হ = দ + ধ = দ্ধ  পদ + হতি = পদ্ধতি।
 এ রূপ - উদ্ধৃত, উদ্ধত, তদ্ধিত ইত্যাদি।

(vi) ত্ ও দ্ - এর পর ল্ থাকলে ত্ ও দ্ - এর স্থলে ল উচ্চারিত হয়। যেমন-
 ত্ + ল = ল্+ল= ল্ল   উৎ + লাস = উল্লাস।
 এ রূপ - উল্লেখ, উলি­খিত, উল্লেখ্য, উল্লঙ্ঘন ইত্যাদি।

 (খ) 
১.  বর্গীয় প্রথম ধ্বনির পর যে কোনো বর্গের তৃতীয় বা চতুর্থ ধ্বনি কিংবা ‘য’ ও ‘র’ থাকলে বর্গের প্রথম ধ্বনিগুলে নিজস্ব বর্গের তৃতীয় ধ্বনি রূপে উচ্চারিত হয়। যথা:
 ক্ + দ্ = গ্ + দ্  বাক্ + দান = বাগদান
 ট্ + য = ড্ + য  ষট + যন্ত্র = ষড়যন্ত্র।
 ত্ + ঘ = দ্ + ঘ  উৎ + ঘাটন = উদ্ঘাটন।
 ত্ + য = দ্ + য  উৎ + যোগ = উদ্যোগ।
 ত্ + র = দ্ + র  তৎ + রূপ = তদ্রƒপ।
এ রূপ - দিগ্বিজয়, উদ্যম, উদ্গার, উদ্গিরণ, উদ্ভব, বাগ্জাল, সদ্গুরু, বাগ্দেবী ইত্যাদি।

২. ঙ, ঞ, ণ, ন, ম পরে থাকলে পূর্ববর্তী অঘোষ অল্পপ্রাণ স্পর্শ ধ্বনি সেই বর্গীয় ঘোষ স্পর্শ ধ্বনি কিংবা নাসিক্য ধ্বনি হয়। যথা-
 ক্ + ন = গঙ + ন দিক্ + নির্ণয় = দিগ্নির্ণয় বা দিঙ্ নির্ণয়।
 ত্ + ম = দ/ন + ম তৎ + মধ্যে = তদ্মধ্যে বা তন্মধ্যে।
লক্ষণীয় : এ রূপ ক্ষেত্রে সাধারণত নাসিক্য ব্যঞ্জনই বেশি প্রচলিত। যেমন - বাক্ + ময় = বাঙ্ময়, তৎ + ময় = তন্ময়, মৃৎ + ময় = মৃন্ময়, জগৎ + নাথ = জগন্নাথ ইত্যাদি। এ রূপ - উন্নয়ন, উন্নীত, চিন্ময় ইত্যাদি।

৩.  ম্ এর পর যে কোনো বর্গীয় ধ্বনি থাকলে ম্ ধ্বনিটি সেই বর্গের নাসিক্য ধ্বনি হয়। যেমন-
 ম + ক = ঙ + ক  শম্ + কা = শঙ্কা।
 ম্ + চ = ঞ + চ  সম্ + চয় = সঞ্চয়।
 ম্ + ত = ন + ত  সম + তাপ = সন্তাপ।
 এ রূপ - কিম্ভূত, সন্দর্শন, কিন্নর, সম্মান, সন্ধান, সন্ন্যাস ইত্যাদি। 

৪.  ম্ - এর পর অন্তঃস্থ ধ্বনি য, র, ল, ব কিংবা শ, ষ, স, হ থাকলে, ম্ স্থলে অনুস্বার (ং) হয়। যেমন-
 সম্ + যম = সংযম,  সম্ + বাদ = সংবাদ,  সম্+ রক্ষণ = সংরক্ষণ,
 সম্ + লাপ = সংলাপ, সম্ + শয় = সংশয়,  সম্ + সার = সংসার,
 সম্ + হার = সংহার। 
এ রূপ - বারংবার, কিংবা, সংবরণ, সংযোগ, সংযোজন, সংশোধন, সর্বংসহা, স্বয়ংবরা। ব্যতিক্রম : সম্রাট (সম্ + রাট)।

৫.  চ্ ও জ্ - এর পরে নাসিক্য ধ্বনি তালব্য হয়। যেমন-
 চ্ + ন = চ + ঞ,  যাচ্ + না = যাচ্ঞা, রাজ্ + নী = রাজ্ঞী।
 জ্ + ন = জ + ঞ, যজ্ + ন = যজ্ঞ,

৬. দ্ ও ধ্ - এর পরে ক, চ, ট, ত, প, খ, ছ, ঠ, থ, ফ থাকলে দ্ ও ধ্ স্থলে অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনি হয়। যেমন-
 দ্ > ত  তদ্ + কাল = তৎকাল
 ধ্ > ত  ক্ষুধ্ + পিপাসা = ক্ষুৎপিপাসা।
 এ রূপ - হৃৎকম্প, তৎপর, তত্ত্ব ইত্যাদি।

৭.  দ্ কিংবা ধ্ - এর পরে স্ থাকলে, দ্ ও ধ্ স্থলে অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনি হয়। যেমন-
 বিপদ + সংকুল = বিপৎসংকুল। এরূপ - তৎসম।

৮. ষ - এর পরে ত্ বা থ্ থাকলে, যথাক্রমে ত্ ও থ্ স্থানে ট ও ঠ হয়। যেমন-
 কৃষ্ + তি = কৃষ্টি, ষষ্ + থ = ষষ্ঠ।

৯.  বিশেষ নিয়মে সাধিত কতগুলো সন্ধি। যেমন-
 উৎ + স্থান = উত্থান,  সম + কার = সংস্কার,   উৎ + স্থাপন = উত্থাপন,
 সম্ + কৃত = সংস্কৃত,  পরি + কার = পরিষ্কার।
 এ রূপ = সংস্কৃতি পরিস্কৃত ইত্যাদি।

১০.  কতকগুলো সন্ধি নিপাতনে সিদ্ধ হয়। যেমন-
 আ + চর্য = আশ্চর্য,   গো + পদ = গোষ্পদ        বন + পতি = বনস্পতি,
 বৃহৎ + পতি = বৃহস্পতি, তৎ + কর = তস্কর,  পর + পর = পরস্পর,
 মনস + ঈষা = মনীষা, ষট্ + দশ = ষোড়শ,  এক + দশ = একাদশ,
 পতৎ + অঞ্জলি = পতঞ্জলি ইত্যাদি।

সন্ধি | বাংলা ব্যাকরণ লেকচার শীট

বিসর্গ সন্ধি
বিসর্গ সন্ধি: সংস্কৃত সন্ধির নিয়মে পদের অন্তস্থিতর্  ও স্ অনেক ক্ষেত্রে অঘোষ উষ্ম ধ্বনি অর্থাৎ হ ধ্বনিরূপে উচ্চারিত হয় এবং তা বিসর্গ (ঃ) রূপে লেখা হয়।র্  ও স্ বিসর্গ ব্যঞ্জন ধ্বনিমালার অন্তর্গত। সে কারণে বিসর্গ সন্ধি ব্যঞ্জন সন্ধির অন্তর্গত। বস্তুত বিসর্গর্  এবং স্ - এর সংক্ষিপ্ত রূপ। 

বিসর্গকে দু ভাগে ভাগ করা হয়েছে - 
 ১.র্  - জাত বিসর্গ ও 
 ২. স্ - জাত বিসর্গ।
 
 ১. র্  - জাত বিসর্গ : র স্থানে যে বিসর্গ হয় তাকে বলে র - জাত বিসর্গ। যেমন-
 অন্তর - অন্তঃ, প্রাতর - প্রাতঃ, পুনর - পুনঃ ইত্যাদি।

 ২. স্ - জাত বিসর্গ : স্ স্থানে যে বিসর্গ হয় তাকে বলে স্ - জাত বিসর্গ। যেমন- 
 নমস্ - নমঃ, পুরস্ - পুরঃ, শিরস্ - শিরঃ, তিরস্- তিরঃ, মনস্- মনঃ ইত্যাদি।
বিসর্গের সাথে অর্থাৎর্  ও স্ - এর সাথে স্বরধ্বনির কিংবা ব্যঞ্জনধ্বনির যে সন্ধি হয় তাকে বিসর্গ সন্ধি বলে। বিসর্গ সন্ধি দু ভাবে সাধিত হয় : ১. বিসর্গ + স্বর এবং ২. বিসর্গ + ব্যঞ্জন।

১.  বিসর্গ ও স্বরের সন্ধি
অ - ধ্বনির পরস্থিত বিসর্গের পর অ ধ্বনি থাকলে অ +ঃ + অ - এ তিনে মিলে ‘ও’- কার হয়। যেমন- ততঃ + অধিক = ততোধিক।

২.  বিসর্গ ও ব্যঞ্জনের সন্ধি
ক. অ-কারের পরস্থিত স্ - জাত বিসর্গের পর ঘোষ ধ্বনি কিংবা হ, য, ব, র, ল থাকলে অ-কার ও স্ - জাত বিসর্গ উভয় স্থলে ও - কার হয়। যেমন- তিরঃ + ধান = তিরোধান, মনঃ + রম = মনোরম, মনঃ + হর = মনোহর, তপঃ + বন = তপোবন ইত্যাদি।

খ. অ-কারের পরস্থিতর্  - জাত বিসর্গের পর স্বরধ্বনি ও  উপরিউক্ত ধ্বনিসমূহের কোনোটি থাকলে বিসর্গ স্থানে ‘র্’ হয়। যেমন -
 অন্তঃ + গত = অন্তর্গত 
 অন্তঃ + ধান = অন্তর্ধান 
 পুনঃ + আয় = পুনরায় 
 পুনঃ + উক্ত = পুনরুক্ত 
 অহঃ + অহ = অহরহ
 এ রূপ - পুনর্জন্ম, পুনর্বার, প্রাতরুত্থান, অন্তর্ভুক্ত, পুনরপি, অন্তর্বর্তী ইত্যাদি।

গ. অ ও আ ভিন্ন অন্য স্বরের পরে বিসর্গ থাকলে এবং তার সঙ্গে অ, আ, ঘোষ ধ্বনি কিংবা হ, য, ব, র, ল - এর সন্ধি হলে বিসর্গ স্থানে ‘র্’ হয়। যেমন
নিঃ + আকার = নিরাকার, আশীঃ + বাদ = আশীর্বাদ, দুঃ + যোগ = দুর্যোগ ইত্যাদি।
এ রূপ - নিরাকরণ, জ্যোতির্ময়, প্রাদুর্ভাব, নির্জন, বহির্গত, দুর্লোভ, দুরন্ত ইত্যাদি।
ব্যতিক্রম : ই কিংবা উ ধ্বনির পরের বিসর্গের সঙ্গে ‘র’ এর সন্ধি হলে বিসর্গের লোপ হয় ও বিসর্গের পূর্ববর্তী হ্রস্ব স্বর দীর্ঘ হয়। যেমন - নিঃ + রব = নীরব, নিঃ + রস = নীরস ইত্যাদি।

ঘ. বিসর্গের পর অঘোষ অল্পপ্রাণ কিংবা মহাপ্রাণ তালব্য ব্যঞ্জন থাকলে বিসর্গের স্থলে তালব্য শিশ ধ্বনি হয়, অঘোষ অল্পপ্রাণ কিংবা অঘোষ মহাপ্রাণ মূর্ধন্য ব্যঞ্জন থাকলে বিসর্গ স্থলে মূর্ধন্য শিশ ধ্বনি হয়, অঘোষ অল্পপ্রাণ কিংবা অঘোষ মহাপ্রাণ দন্ত্য ব্যঞ্জনের স্থলে দন্ত্য শিশ ধ্বনি হয়। যেমন-
 ঃ + চ / ছ = শ + চ / ছ নিঃ + চয় = নিশ্চয়, 
 শিরঃ + ছেদ = শিরচ্ছেদ।
 ঃ + ট / ঠ = ষ + ট / ঠ ধনুঃ + টঙ্কার = ধনুষ্টঙ্কার, 
 নিঃ + ঠুর = নিষ্ঠুর। 
 ঃ + ত / থ = স + ত / থ দুঃ + তর = দুস্তর, দুঃ + থ = দুস্থ।

ঙ. অঘোষ অল্পপ্রাণ ও অঘোষ মহাপ্রাণ কণ্ঠ্য কিংবা ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জন (ক, খ, প, ফ) পরে থাকলে অ বা আ ধ্বনির পরস্থিত বিসর্গ স্থলে অঘোষ দন্ত্য শিশ ধ্বনি (স্) হয় এবং অ বা আ ব্যতীত অন্য স্বরধ্বনির পরস্থিত বিসর্গ স্থলে অঘোষ মূর্ধন্য শিশ্ ধ্বনি (ষ) হয়। যেমন-
 অ এর পরে বিসর্গঃ + ক = স্ + ক নমঃ + কার = নমস্কার।
 অ এর পরে বিসর্গঃ + খ = স্ + খ পদঃ + খলন = পদস্খলন।
 ই এর পরে বিসর্গঃ + ক = ষ + ক নিঃ + কর = নিষ্কর।
 উ এর পরে বিসর্গঃ + ক = ষ + ক দুঃ + কর = দুষ্কর।
এ রূপ - পুরস্কার, মনস্কামনা, তিরস্কার, চতুষ্পদ, নিষ্ফল, নিষ্পাপ,দু®প্রাপ্য, বহি®কৃত, দু®কৃতি, আবিষ্কার, চতুষ্কোণ, বাচস্পতি, ভাস্কর ইত্যাদি।

চ. কোনো কোনো ক্ষেত্রে সন্ধির বিসর্গ লোপ হয় না। যেমন-
প্রাতঃ + কাল = প্রাতঃকার, মনঃ + কষ্ট = মনঃ কষ্ট, শিরঃ + পীড়া = শিরঃপীড়া।

ছ. যুক্ত ব্যঞ্জন ধ্বনি স্ত, স্থ কিংবা স্প পরে থাকলে পূর্ববর্তী বিসর্গ অবিকৃত থাকে অথবা লোপ পায়। যেমন-
 নিঃ + স্তব্ধ = নিঃস্তব্ধ কিংবা নিস্তব্ধ। 
 দুঃ + স্থ = দুঃস্থ কিংবা দুস্থ। 
 নিঃ + স্পন্দ = নিঃস্পন্দ কিংবা নিস্পন্দ।

 কয়েকটি বিশেষ বিসর্গ সন্ধির উদাহরণ
 বাচঃ + পতি = বাচস্পতি 
 ভাঃ + কর = ভাস্কর 
 অহঃ + নিশা = অহর্নিশ 
 অহঃ + অহ = অহরহ ইত্যাদি।

গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিজাত শব্দসম্ভার
অগ্নুৎপাত = অগ্নি + উৎপাত
অত্যাচার = অতি + আচার 
আধোভাগ = অধঃ +ভাগ
অঙ্গচ্ছেদ = অঙ্গ + ছেদ
অজন্ত = অচ্ + অন্ত
অতীন্দ্র = অতি + ইন্দ্র
অতীন্দ্রয় = অতি + ইন্দ্রিয়
অতীব = অতি + ইব
অতীশ = অতি + ঈশ
অত্যদ্ভুত = অতি + অদ্ভুত
অত্যধিক = অতি + অধিক
অত্যাচার = অতি + আচার
অত্যৈশ্বর্য = অতি + ঐশ্বর্য
অত্যুক্তি = অতি = উক্তি
অত্যুন্নতি = অতি + উন্নতি
অত্যাশ্চর্য = অতি + আশ্চর্য
অদ্রীশ = অদ্রি + ঈশ
অধঃপতন = অধঃ + পতন
অধোগমন = অধঃ + গমন
অধোগামী = অধঃ + গামী
অধোভাগ = অধঃ + ভাগ
অধোমুখ = অধঃ + মুখ
অধোরেখ = অধঃ + রেখ
অধ্যয়ন = অধি + অয়ন
অন্তঃকরণ = অন্তঃ + করণ 
অন্তঃকোণ = অন্তঃ + কোণ
অন্তঃক্রীড়া = অন্তঃ + ক্রীড়া
 অন্তঃপুর = অন্তঃ + পুর
অন্তঃশত্রু = অন্তঃ + শত্রু
অন্তঃশীল = অন্তঃ + শীল
অন্তঃসঙ্গতি = অন্তঃ + সঙ্গতি
অন্তঃসলিলা = অন্তঃ + সলিলা
অন্তরালোক = অন্তঃ + আলোক
অন্তর্জগৎ = অন্তঃ + জগৎ
অন্তর্জল = অন্তঃ + জল
অন্তর্জ্ঞান = অন্তঃ + জ্ঞান
অন্তর্নিহিত = অন্তঃ + নিহিত
অন্তর্বর্তী = অন্তঃ + বর্তী
অন্তর্ভেদী = অন্তঃ + ভেদী
অন্তর্মাধুর্য = অন্তঃ + মাধুর্য
ঐশ্বর্য = ঈশ্বর + য
ঐহিক = ইহ + ইক্ 
ওজস্বী = ওজস্ + বিন্ 
ঔচিত্য = উচিত + য
ঔৎসুক্য = উৎসুক + য 
ঔদ্ধত্য = উদ্ধত + য 
ঔরস = উরস্ + অ
ঔষ্ঠ্য = ওষ্ঠ + য 
কথামৃত = কথা + অমৃত 
কথোপকথন = কথা + উপকথন
কর্তা = কৃ + তৃ 
কর্ম = কৃ + ম
কাঁচ্কলা = কাঁচা + কলা
কারাগার = কারা + আগার
কিংবদন্তী = কিম্ + বদন্তী
কিংবা = কিম্ + বা 
কিঞ্চিৎ = কিম্ + চিৎ
কুজ্ঝাটিকা = কুৎ + ঝটিকা 
কুশাসন = কুশ + আসন 
কৃষ্টি = কৃষ্ + তি 
ক্ষণেক = ক্ষণ + এক 
ক্ষত = ক্ষণ্ + ত
ক্ষয় = ক্ষি + অ 
ক্ষিপ্ত = ক্ষিপ্ + ত
ক্ষুদ্র = ক্ষুদ্ + র 
ক্ষুধা = ক্ষুধ্ + আ
ক্ষুধার্ত = ক্ষুধা + ঋত
ক্ষুব্ধ = ক্ষুভ্ + ত
খানিক = খান + ইক 
খেচর = খে + চর 
গণ্য = গণ্ + য
গতি = গম্ + তি 
গত্যন্তর = গতি + অন্তর 
গদ্য = গদ্ + য 
গন্তব্য = গম্ + তব্য
গবাক্ষ = গো + অক্ষ
গবাদি = গো + আদি
গবেষণা = গো + এষণা
গিরীশ = গিরি + ঈশ
গীতি = গৈ + তি 
গুরুপদেশ = গুরু + উপদেশ
গৈরিক = গিরি + ইক্ 
তিলেক = তিল + এক 
তৃষ্ণার্ত = তৃষ্ণা + ঋত
তেজস্ত্রিয় = তেজঃ + ক্রিয়
তেজস্কর = তেজঃ + কর 
তেজোময়ী = তেজঃ + ময়ী 
ত্রয়োদশ = ত্রয়ঃ + দশ
ত্রৈমাসিক = ত্রিমাস + ইক্
দিগন্ত = দিক্ + অন্ত 
দিগ্ভ্রান্ত = দিক্ + ভ্রান্ত
দিগ্বিজয় = দিক্ + বিজয়
দিগ্বিদিক = দিক্ + বিদিক 
দুঃশাসন = দুঃ + শাসন
সুসংবাদ = দুঃ + সংবাদ
দুঃস্থ = দুঃ + স্থ
দুস্বপ্ন = দুঃ + স্বপ্ন
দুগ্ধ = দুহ্ + ত
নভোমন্ডল = নভঃ + মন্ডল
নমনীয় = নম্ + অনীয়
নমস্কার = নমঃ + কার 
নয়ন = নে + অন
নরাধম = নর + অধম
নরোত্তম = নর + উত্তম
নর্তক = নৃত্ + ণক
নর্তকী = নর্তক + ঈ
নশ্বর = নশ্ + বর
নাটক = নট্ + অক 
নাবিক = নৌ + ইক 
নায়ক = নৈ + অক
নাস্তিক = নাস্তি + ক 
নিঃশত্রু = নিঃ + শত্রু
নিঃশব্দ = নিঃ + শব্দ 
নিঃসংশয় = নিঃ + সংশয় 
নিঃসঙ্গ = নিঃ + সঙ্গ
নিঃসন্দেহ = নিঃ + সন্দেহ
নিঃসহায় = নিঃ + সহায়
নিঃস্ব = নিঃ + স্ব
নিগ্রহ = নিঃ + গ্রহ 
নিন্দুক = নিন্দা + উক 
নিশ্চুপ = নিঃ + চুপ
নিশ্চেতন = নিঃ + চেতন
নিশ্চেষ্ট = নিঃ + চেষ্ট
নিষ্কর = নিঃ + কর 
নিষ্করুণ = নিঃ + করুণ 
নি®কৃতি = নিঃ + কৃতি 
নিষ্ক্রিয় = নিঃ + ক্রিয়া 
নিষ্ঠুর = নিঃ + ঠুর 
নিষ্পত্র = নিঃ + পত্র 
নিষ্পাপ = নিঃ + পাপ 
নিষ্প্রদীপ = নিঃ + প্রদীপ 
নি®প্রাণ = নিঃ + প্রাণ 
নি®প্রয়োজন = নিঃ + প্রয়োজন 
নিষ্ফল = নিঃ + ফল 
নিন্তার = নিঃ + তার 
নিস্তেজ = নিঃ + তেজ
নীরক্ত = নিঃ + রক্ত
নীরব = নিঃ + রব 
নীরস = নিঃ + রস
নীরোগ = নিঃ + রোগ 
পদ্ধতি = পদ + হতি 
পবন = পো + অন
পবিত্র = পো + ইত্র
পরস্পর = পর + পর 
পরীক্ষা = পরি + ঈক্ষা 
পরোপকার = পর + উপকার 
পর্যালোচনা = পরি + আলোচনা 
পাচক = পচ্ + অক 
পাবক = পৌ + অক
পিত্রালয় = পিতৃ + আলয় 
পুনঃপুন = পুনঃ + পুন
পুনঃপ্রবেশ = পুনঃ + প্রবেশ
পুনরাগত = পুনঃ + আগত 
পুনরাগমন = পুনঃ + আগমন
 পুনরাবৃত্তি = পুনঃ + আবৃত্তি
পুনরায় = পুনঃ + আয়
পুনরুজ্জীবিত = পুনঃ + উজ্জীবিত 
পুনরুৎপত্তি = পুনঃ + উৎপত্তি
মতানৈক্য = মত + অনৈক্য
মতৈক্য = মত + ঐক্য
মনঃপূত = মনঃ + পূত 
মনশ্চক্ষু = মনঃ + চক্ষু
মনস্কাম = মনঃ +কাম 
মনস্তত্ত¡ = মনঃ + তত্ত¡ 
মনস্কামনা = মনঃ + কামনা 
মনস্তাপ = মনঃ + তাপ
মনস্তুষ্টি = মনঃ + তুষ্টি 
মনীষা = মনস্ + ঈষা
মনান্তর = মন + অন্তর 
মনোগামী = মনঃ + গামী 
মনোজ = মনঃ + জ 
মনোজগৎ = মনঃ + জগৎ
মনোবাঞ্ছা = মনঃ + বাঞ্ছা
মনোভিলাষ = মনঃ + অভিলাষ 
মনোমোহিনী = মনঃ + মোহিনী
মনোযোগ = মনঃ + যোগ
মনোরম = মনঃ + রম 
মনোহর = মনঃ + হর
মনোহরণ = মনঃ + হরণ 
মনোহারী = মনঃ + হারী 
মরূদ্যান = মরু + উদ্যান 
মহত্ত¡ = মহৎ + ত্ব 
মহার্ঘ = মহা + অর্ঘ
মহাশয় = মহা + আশয়
মহোৎসব = মহা + উৎসব 
মহোদয় = মহা + উদয়
মহৌষধ = মহা + ঔষধ
মার্তণ্ড = মার্ত + অণ্ড
মিথ্যা = মিথ্ + যা 
মিথ্যুক = মিথ্যা + উক 
মিশকাল = মিশি + কাল
মুক্তা = মুচ্ + তা 
মুখচ্ছবি = মুখ + ছবি 
মুখ্য = মুখ + য 
মূলোচ্ছেদ = মূল + উচ্ছেদ 
সিংহাসন = সিংহ + আসন 
ঈর্ষান্বিত = ঈর্ষা + অন্বিত 
উচ্চকিত = উৎ + চকিত
উচ্চারণ = উৎ + চারণ
উচ্ছ¡াস = উৎ + শ্বাস
উজ্জীবিত = উৎ + জীবিত
উড্ডীন = উৎ + ডীন
উৎসর্গ = উৎ + সর্গ
উত্তমর্ণ = উত্তম + ঋণ
উত্তরোত্তর = উত্তর + উত্তর
উদ্ধত = উৎ + হত
উদ্ধরণ = উৎ + হরণ
উদ্ধৃত = উৎ + হৃত
উন্নয়ন = উৎ + নয়ন
উন্নিদ্র = উৎ + নিদ্র 
উন্নীত = উৎ + নীত
উন্মূল = উৎ + মূল 
উন্মেষ = উৎ + মেষ 
উমেশ = উমা + ঈশ 
উল­ম্ফন = উৎ + লম্ফন
উল­ম্ব = উৎ +  লম্ব
উলে­খ = উৎ + লেখ 
ঋতু  = ঋ + তু
নির্দয় = নিঃ + দয় 
নির্দিষ্ট = নিঃ + দিষ্ট 
নির্দোষ = নিঃ + দোষ 
নির্দ্ব›দ্ব = নিঃ + দ্ব›দ্ব
নির্ধারণ = নিঃ + ধারণ 
নির্বাক = নিঃ + বাক্ 
নির্বাহ = নিঃ + বাহ 
নির্বেদ = নিঃ + বেদ
নির্ভীক = নিঃ + ভীক 
নির্মাণ = নিঃ + মান 
নির্মূল = নিঃ + মূল 
নির্মোহ = নিঃ + মোহ 
নির্যাস = নিঃ + যাস 
নির্লিপ্ত = নিঃ + লিপ্ত
নির্লোভ = নিঃ + লোভ
নিশ্চয় = নিঃ + চয়
নিশ্চল = নিঃ + চল
নিশ্চিন্ত = নিঃ + চিন্ত
নিশ্চিহ্ন = নিঃ + চিহ্ন
ভক্তি = ভজ্ + তি 
ভয় = ভী + অ 
ভয়ার্ত = ভয় + ঋত 
ভাগ্য = ভজ্ + য 
ভাত = ভা + ত 
ভাবুক = ভৌ + উক 
ভাস্কর = ভাঃ + কর 
ভিক্ষা = ভিক্ষ্ + আ
ভুক্ত = ভুজ্ + ত
ভূয়োদর্শী = ভূয়ঃ + দর্শী
সংঘর্ষ = সম্ + ঘর্ষ 
সংঘাত = সম্ + ঘাত
সংজ্ঞা = সম্ + জ্ঞা 
সংবর্ধনা = সম্ + বর্ধনা 
সংবাদ = সম্ + বাদ
সংযম = সম্ + যম
সংযোগ = সম্ + যোগ
সংলগ্ন = সম্ + লগ্ন
সংলাপ = সম্ + লাপ
সংশয় = সম্ + শয় 
সংশোধন = সম্ + শোধন 
সংসদ = সম্ + সদ
সংসার = সম্ + সার 
সংস্কার = সম্ + কার
সংস্কৃত = সম্ + কৃত
সংহার = সম্ + হার 
সঙ্গীত = সম্ + গীত 
সচ্চরিত্র = সৎ + চরিত্র 
সঞ্চয় = সম্ + চয়
সদানন্দ = সদা + আনন্দ
সদ্ভাব = সৎ + ভাব 
সদ্যোজাত = সদ্যঃ + জাত
সদ্যোমৃত = সদ্যঃ + মৃত
সন্তোষ = সম্ + তোষ 
জ্যোতির্ময় = জ্যোতিঃ + ময়
ঝঞ্ঝাট = ঝঞ্ঝা + ট
ঝনৎকার = ঝনৎ + কার
ঝরনা = র্ঝ + না 
টাঁকশাল = টাকা + শাল 
টেকসই = টেক + সই
ঠকবাজ = ঠক + বাজ 
ঠুনকা = ঠুন্ + কা 
ডাকঘর = ডাক + ঘর 
ডাকাত = ডাক + আইত 
ডিঙি = ডিঙা + ই
তন্ময় = তৎ + ময় 
সন্ত্রাস = সম্ + ত্রাস 
সন্ধান = সম্ + ধান
সন্ন্যাস = সম্ + ন্যাস
সপ্তর্ষি = সপ্ত + ঋষি
সম্বন্ধ = সম্ + বন্ধ
সম্মান = সম্ + মান 
সম্রাট = সম্ + রাট
সরোবর = সরঃ + বর
সর্বংসহা = সর্বং + সহা 
অন্তর্যামী = অন্তঃ + যামী
অন্যান্য = অন্য +অন্য
অন্তর্লীন = অন্তঃ + লীন
অপরাপর = অপর + অপর
অপেক্ষা = অপ + ঈক্ষা
অবেক্ষণ = অব + ঈক্ষণ
অভ্যাগত = অভি + আগত
অভ্যুত্থান = অভি + উত্থান
অভ্যুদয় = অভি + উদয়
অয়োময় = অয়ঃ + ময়
অরুণাচল = অরুণা + অচল
অলংকার = অল্ম + কার 
অস্ত্রোপচার = অস্ত্র + উপচার
অহর্নিশ = অহঃ + নিশা
অহরহ = অহঃ + অহ
আকৃষ্ট = আকৃষ্ + ত
আছন্ন = আ + ছন্ন
আচ্ছাদন = আ + ছাদন
আদ্যন্ত = আদি + অন্ত
আন্না = আর + না
আমায় = আমা + এ 
আয়ুষ্কাল = আয়ুঃ + কাল
আলোকচ্ছটা = আলোক + ছটা 
আলোয় = আলো + এ 
আশাতিরিক্ত = আশা + অতিরিক্ত
আশাতীত = আশা + অতীত
আশানুরূপ = আশা + অনুরূপ
আশীর্বাদ = আশীঃ + বাদ
আশ্চর্য = আ + চর্য
আস্পদ = আ + পদ
ইতঃপূর্বে = ইতঃ + পূর্বে
ইতরেতর = ইতর + ইতর 
ইতোমধ্যে = ইতঃ + মধ্যে
ইত্যাবসরে = ইতি + অবসরে 
ইত্যাকার = ইতি + আকার
ইত্যাদি = ইতি + আদি
ঈশ্বর = ইশ্ + বর
ঈযদুষ্ণ = ঈযৎ + উষ্ণ
গোমাদ = গো + মিদ
গোষ্পদ = গো + পদ
গ্রন্থি = গ্রন্থ + ই 
গ্রামাঞ্চল = গ্রাম + অঞ্চল
ঘটক = ঘট্ + অক
ঘটকালি = ঘটক + আলি
ঘর্ম = ঘৃ + ম 
ঘর্ষণ = ঘৃষ্ + অন 
ঘোড়দৌড় = ঘোড়া + দৌড় 
ঘ্রাণ = ঘ্রা + অন
চক্ষুশূল = চক্ষুঃ + শূল
চতুরানন = চতুঃ + আনন
চতুর্থ = চতু + থ
চতুর্দিক = চতুঃ + দিক
চতুর্দোলা = চতুঃ + দোলা
চতুর্বিধ = চতুঃ + বিধ 
চতুর্বেদ = চতুঃ + বেদ
চতুর্ভুজ = চতুঃ + ভুজ 
চতুর্মুখ = চতুঃ + মুখ
চতুষ্কোণ = চতুঃ + কোণ
চতুষ্টয় = চতুঃ + তয়
চতুষ্পদ = চতুঃ + পদ
চতুষ্পার্শ্ব = চতুঃ + পার্শ্ব 
চতুষ্পীঠ = চতুঃ + পীঠ 
চন্দ্র = চন্দ্ + র 
চরণ = র্চ + অন
চরিত্র = চি + ইত্র 
চাক্ষুস = চক্ষুস্ + অ
চামার = চাম্ + আর 
চাষাবাদ = চাষা + আবাদ
চিন্ময় = চিৎ + ময়
চিরায়ত = চির + আয়ত
চুনারি = চুন্ + আরি
ছত্রচ্ছায়া = ছত্র + ছায়া 
ছাত্র = ছত্র + অ
ছাত্রাবাস = ছাত্র + আবাস 
ছেলেমি = ছেলে + আমি 
জগদ্দল = জগৎ + দল
জগন্নাথ = জগৎ + নাথ 
জগন্ময় = জগৎ +ময়
দুরদৃষ্ট = দুঃ + অদৃষ্ট
দুরন্ত = দুঃ + অন্ত 
দরবস্থা = দুঃ + অবস্থা 
দুরভিসন্ধি = দুঃ + অভিসন্ধি
দুর্গত = দুঃ + গত
দুর্গতি = দুঃ + গতি
দুর্ঘটনা = দুঃ + ঘটনা 
দুর্জন = দুঃ + জন 
দুর্জ্ঞেয় = দুঃ + জ্ঞেয়
দুর্দম = দুঃ + দম 
দুর্দশা = দুঃ + দশা 
দুর্দান্ত = দুঃ + দান্ত
দুর্দিন = দুঃ + দিন
দুর্নাম = দু + নাম
দুর্নীতি = দুঃ + নীতি
দুর্বহ = দুঃ + বহ
দুর্বার = দুঃ + বার 
দুর্বিনীতি = দুঃ + বিনীতি
নিপীড়ন = নি + পীড়ন 
নিরক্ষর = নিঃ + অক্ষর 
নিরঙ্কুশ = নিঃ + অঙ্কুশ
নিরন্ন = নিঃ + অন্ন
নিরপরাধ = নিঃ + অপরাধ 
নিরবচ্ছিন্ন = নিঃ + অবচ্ছিন্ন
নিরবধি = নিঃ + অবধি
নিরভিমান = নিঃ + অভিমান
নিরলঙ্কার = নিঃ + অলঙ্কার 
নিরাকার = নিঃ + আকার 
নিরাপদ = নিঃ + আপদ 
নিরাবরণ = নিঃ + আবরণ
নিরাময় = নিঃ + আময়
নিরাশা = নিঃ + আশা
নিরীক্ষণ = নিঃ + ঈক্ষণ 
নিরীহ = নিঃ + ঈহ
নিরদ্বিগ্ন = নিঃ + উদ্বিগ্ন
নিরুদ্বেগ = নিঃ + উদ্বেগ
নিরুপায় = নিঃ + উপায়
নির্গত = নিঃ + গত 
নির্ঘাত = নিঃ + ঘাত 
নির্জন = নিঃ + জন 
পুনরুদ্ধার = পুনঃ + উদ্ধার 
পুনরুদ্ভব = পুনঃ + উদ্ভব 
পুনর্জন্ম = পুনঃ + জন্ম 
পুনর্বার = পুনঃ + বার 
পুনর্বাসন = পুনঃ + বাসন 
পুনর্ভব = পুনঃ + ভব 
পুনর্বাসন = পুনঃ + বাসন
পুনর্ভব = পুনঃ + ভব 
পুনর্মিলন = পুনঃ + মিলন
পুনশ্চ = পুনঃ + চ 
পুরস্কার = পুরঃ + কার 
পুরোগামী = পুরঃ + গামী
পুরোবর্তী = পুরঃ + বর্তী 
প্রতিচ্ছবি = প্রতি + ছবি 
প্রতীক্ষা = প্রতি + ঈক্ষা 
প্রত্যহ = প্রতি + অহ 
প্রত্যাখ্যান = প্রতি + আখ্যান 
প্রত্যাশা = প্রতি + আশা 
প্রত্যুক্তি = প্রতি + উক্তি 
প্রত্যুত্তর = প্রতি + উত্তর 
প্রত্যুপকার = প্রতি + উপকার 
প্রত্যূষ = প্রতি + ঊষ 
প্রত্যেক = প্রতি + এক 
প্রাতঃকাল = প্রাত + কাল 
প্রাতঃরাশ = প্রাতঃ + আশ
প্রাতঃস্মরণীয় = প্রাতঃ + স্মরণীয়
প্রাপ্তি = প্র + আপ্তি
প্রায়শ্চিত্ত = প্রায়ঃ + চিত্ত
প্রেক্ষা = প্র + ঈক্ষা
প্রেষণ = প্রে + এষণ
ফলন = ফল + অন
ফলন্ত = ফল্  + অন্ত
ফলাহার = ফল + আহার 
ফলোদয় = ফল + উদয়
বক্তা = বচ্ + তৃ
বজ্জাত = বদ্ + জাত
বনৌষধি = বন + ওষধি
বন্ধু = বন্ধ + উ 
 মৃন্ময় = মৃৎ + ময়
মেয়েলি = মেয়ে + আলি
যথার্থ = যথা + অর্থ
যথেচ্ছা = যথা + ইচ্ছা 
যথেষ্ট = যথা + ইষ্ট 
যথোচিত = যথা + উচিত
যশোভিলাষ = যশঃ + অভিলাষ
যাবজ্জীবন = যাবৎ + জীবন 
রত্নাকর = রত্ন + আকর
রাজর্ষি = রাজা + ঋষি 
রাজ্ঞী = রাজ্ + নী    
রূপসী = রূপ + সী 
রূপালি = রূপা + আলি 
লক্ষ্য = লক্ষ + য
লবণ = লো + অন
লুকোচুরি  = লুকা + চুরি
লুপ্ত = লুপ্ + ত 
লেখক = লিখ্ + অক 
শঙ্কা = শম্ + কা 
শতেক = শত + এক 
শয়ন = শে + অন 
শশাঙ্ক = শশ + অঙ্ক
শাঁখারী = শাঁখা + আরি
শিরঃপীড়া = শিরঃ + পীড়া
শিরোধার্য = শিরঃ + ধার্য
শীতার্ত = শীত + ঋত
শুভেচ্ছা = শুভ + ইচ্ছা 
শোকার্ত = শোক + ঋত 
শ্রবণ = শ্রো + অন
ষড়ঋতু = ষট্ + ঋতু
ষড়যন্ত্র = ষট্ + যন্ত্র 
ষষ্ঠ = ষষ্ + থ
ষান্মাসিক = ষট্ + মাস + ইক 
ষোড়শ = ষট্ + দশ
সংকলন = সম্ + কলন
সংখ্যা = সম + খ্যা 
সংঘটন = সম্ + ঘটন 
সিক্ত = সিচ্ + ত
একচ্ছত্র = এক + ছত্র 
একত্রিত = একত্র + ইত
একাদশ = এক + দশ
একান্ত = এক + অন্ত
একাহারী = এক + আহারী
একেক = এক + এক 
একোন = এক + ঊন 
একোনবিংশ = এক + ঊনবিংশ
এতৎসত্তে¡ও = এতদ্ + সত্তে¡ও 
ঐকান্তিক = একান্ত + ইক্
ঐক্য = এক + য 
ঐচ্ছিক = ইচ্ছা + ইক্ 
ঐতিহাসিক = ইতিহাস + ইক্
ঐতিহ্য = ইতিহ্ + য 
ঐন্দ্রজালিক = ইন্দ্রজাল + ইক্
ঐশ্বরিক = ঈশ্বর + ইক্
জনক = জন্ + অক
জনৈক = জন্ + এক 
জবরজং = জবর + জং
জোতিঃপুঞ্জ = জ্যোতি + পুঞ্জ
জীবদ্দশা = জীবৎ + দশা 
জ্যোতির্বিদ = জ্যোতিঃ + বিদ
বয়ঃসন্ধি = বয় + সন্ধি
বনস্পতি = বন + পতি 
বয়ন = বে + অন
বয়োতিরিক্ত = বয়ঃ + অতিরিক্ত
বয়োধিক = বয়ঃ + অধিক 
বয়োধিক = বয়ঃ + অধিক
বয়োবৃদ্ধ = বয়ঃ + বৃদ্ধ
বর্জন = বৃজ্ + অন
বর্হিগত = বহিঃ + গত
বহিঃশত্রু = বহিঃ + শত্রু
বহিঃসমুদ্র = বহিঃ + সমুদ্র 
বহিরাগত = বহিঃ + আগত 
বহিরাবরণ = বহিঃ + আবরণ
বর্হিগত = বহিঃ + গত
বহির্বাণিজ্য = বহিঃ + বাণিজ্য
বহির্ভূত = বহিঃ + ভূত 
বহিষ্কার = বহিঃ + কার 
বহি®কৃত = বহিঃ + কৃত
বাগদান = বাক্ + দান 
বাঙ্গাল = বঙ্গ্ + আল
বারেক = বার + এক
বিচ্ছেদ = বি + ছেদ
বিদ্যালয় = বিদ্যা + আলয়
বিদ্যুদ্বেগ = বিদ্যুৎ + বেগ
বীরেন্দ্র = বীর + ইন্দ্র 
বৃষ্টি = বৃষ্ + তি 
বেশকম = বেশি + কম 
ব্যর্থ = বি + অর্থ 
তস্কর = তৎ + কর  
তন্বী = তনু + ঈ
তপস্বী = তপস্ + বিন্ 
তপোধন = তপঃ + ধন 
তপোবন = তপঃ + বন
তরুচ্ছায়া = তরু + ছায়া 
তিরস্কার = তিরঃ + কার
তিরোধান = তিরঃ + ধান 
দুর্বোধ = দুঃ + বোধ
দুর্ভাগ্য = দুঃ + ভাগ্য 
দুর্যোগ = দুঃ + যোগ
দুর্লভ = দুঃ + লভ
দুশ্চরিত্র = দুঃ + চরিত্র 
দুশ্চিন্তা = দুঃ + চিন্তা
দুষ্কর্ম = দুঃ + কর্ম
দু®কৃতি = দুঃ + কৃতি 
দুষ্কার্য = দুঃ + কার্য
দুষ্পাচ্য = দুঃ + পাচ্য
দুষ্কর = দুঃ + কর
দুস্তর = দুঃ + তর
ধনুর্বিদ্যা = ধনুঃ + বিদ্যা 
ধনুষ্টঙ্কার = ধনুঃ + টঙ্কার
ধন্না = ধার + না
নবান্ন = নব + অন্ন
নবীন = নব + ঈন 
নভন্তল = নভঃ + তল
নির্জলা = নিঃ + জলা
নির্জীব = নিঃ + জীব 
নির্ণয় = নিঃ + নয়
ঢাকাই = ঢাকা + আই
ঢাকেশ্বরী = ঢাকা + ঈশ্বরী
ঢুলী = (ঢোল >) ঢুল + ঈ
ঢেঁকিশাল = ঢেঁকি + শাল
তৎকাল = তদ্ + কাল
তৎপর = তদ্ + পর
তৎসম = তদ্ + সম
ততোধিক = ততঃ + অধিক 
তথাপি = তথা + অপি
তথৈব = তথা + এব
তদন্ত = তদ্ + অন্ত
তদ্ধিত = তদ্ + হিত 
তদ্ভব = তদ্ + ভব 
তদ্রুপ = তদ্ + রূপ
সর্বৈব = সর্ব + এর 
সূর্যোদয় = সূর্য + উদয়
সিংহ = সিন্ + হ 

আরো পড়ুনঃ  ধ্বনি পরিবর্তন
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post