G

বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিবরণ দিয়ে বন্ধুর কাছে পত্র

মনে করো, তুমি আফসান এবং তোমার বন্ধু মারুফ। তোমাদের বিদ্যালয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিবরণ দিয়ে বন্ধুর কাছে পত্র লেখো। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সম্পর্কে বন্ধুর নিকট পত্র। বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সম্পর্কে তোমার বন্ধুর নিকট পত্র লেখ।

বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিবরণ দিয়ে বন্ধুর কাছে পত্র

মোংলা, বাগেরহাট।
১৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

প্রিয় মারুফ,
তোমার চিঠি পেয়ে ভীষণ খুশি হয়েছি। তোমার ভ্রমণের বৃত্তান্ত পড়ে খুব ভালো লাগল। গত সপ্তাহে আমাদের স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই কথা জানাতেই এই চিঠি।

প্রায় এক মাস আগে থেকে এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি শুরু হয়। প্রতিটি ক্লাস থেকে বিভিন্ন ইভেন্টের জন্য প্রতিযোগী বাছাই করা হয়। এ কটা দিন সব ছাত্রছাত্রীই প্রচণ্ড উৎসাহ ও উত্তেজনার মধ্য দিয়ে কাটিয়েছে। সবার এক চিন্তা- বাছাইপর্বের চেয়ে ভালো করতে হবে। যা হোক, অবশেষে এলো সেই প্রতীক্ষিত দিন। সকাল আটটায় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সাথে সাথে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। এরপর প্রজ্জ্বলিত হয় অলিম্পিক মশাল। মাননীয় প্রধান অতিথি তাঁর সংক্ষিপ্ত ভাষণ শেষে শান্তির প্রতীক শ্বেত কপোত ও রঙবেরঙের বেলুন মুক্তাকাশে উড়িয়ে প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ৮টা ৩৫ মিনিটে শুরু হয় ক্রীড়া প্রতিযোগীদের মার্চপাস্ট। সকাল ৯টায় শুরু হয় মূল ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পরিচালনা করেন আমাদের ক্রীড়াবিষয়ক শিক্ষক। তাঁকে সহযোগিতা করে রোভার স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরা। মোট ১৫টি ইভেন্টে ১২০ জন প্রতিযোগী অংশ নেয়। এদের মধ্যে ছাত্র ৭২ জন এবং ছাত্রী ৪৮ জন। দৌড়, হাই জাম্প, লং জাম্প, গোলক নিক্ষেপ, চাকতি নিক্ষেপ, বর্শা নিক্ষেপসহ প্রায় সবগুলো ইভেন্টেই দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়।

সবচেয়ে মজার ইভেন্টটি ছিল আমন্ত্রিত অতিথি ও স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যে রশি টানাটানি খেলা। খুব হৈ-হুল্লোড়ের মাঝে অতিথিরাই জিতে যান। আমন্ত্রিত মহিলাদের জন্য ছিল মিউজিক্যাল চেয়ার। এটাতেও খুব মজা হয়। ছাত্রছাত্রীদের জন্য আরেকটি ব্যতিক্রমী ইভেন্ট ছিল ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’। বছরের এই একটি দিনের সুযোগ অনেকেই কাজে লাগিয়ে ইচ্ছেমতো সেজেছিল। বিকেল ৫টায় পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার। সবাই পুরস্কার পায়নি, কিন্তু কারো মুখেই পরাজিত হওয়ার কোনো গ্লানি ছিল না- এটিই হলো খেলাধুলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও মহৎ শিক্ষা। আমি ২০০ মিটার দৌড়ে অংশ নিয়ে ২য় স্থান অধিকার করেছি।

আজ এখানেই ইতি টানছি। তোমার কাছে নতুন কোনো বই থাকলে জানিয়ো। ভালো থেকো। 

ইতি
তোমারই
আফসান
[নাম ঠিকানাসহ নমুনা খাম]
 
প্রেরক,
নাম: আফসান ইসলাম
ঠিকানা: তাজমহল রোড, মোংলা, বাগেরহাট।
ডাকটিকিট
প্রাপক,
নাম: মারুফ হাসান
ঠিকানা: সাউথ সেন্ট্রাল রোড, খুলনা।

No comments:

Post a Comment