HSC ভূগোল ২য় পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর pdf download অধ্যায় ১০

এইচএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
HSC Geography 2nd Paper Srijonshil question and answer. HSC Geography 2nd Paper (Srijonshil) Creative Questions pdf download. HSC Vugol 2nd paper Srijonshil Proshno Uttor.

উচ্চ মাধ্যমিক
ভূগোল
দ্বিতীয় পত্র

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
অধ্যায়-১০

HSC Geography
2nd Paper
Srijonshil Question and Answer pdf download

১. মরিয়ম বললেন, কোনো ক্ষুদ্রাকৃতি দেশের বা কোনো দেশের অল্প পরিসর স্থানের মানচিত্র সঠিকভাবে অঙ্কনের জন্য যে অভিক্ষেপ অধিক উপযোগী তার সাহায্যে ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস প্রভৃতি দেশের মানচিত্র নির্ভুলভাবে অঙ্কন করা যায়।
ক. জিআইএস কী?
খ. মানচিত্র অভিক্ষেপ বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত অভিক্ষেপের ক্ষেত্রে ১৫° ব্যবধানে ১ঃ ১৪৭,০০০,০০০ স্কেলে এবং ৩০° পরিমিত অক্ষরেখা নিয়ে অভিক্ষেপটির গাণিতিক হিসাব নির্ণয় কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত অভিক্ষেপটির বৈশিষ্ট্য ও প্রয়োগ বিশ্লেষণ কর।

১ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ভৌগোলিক তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ ব্যবস্থাকে সংক্ষেপে জিআইএস বলা হয়।

খ. মানচিত্র অভিক্ষেপ বলতে কোনো সমতলের ওপর সৃষ্ট গ্রাটিকুলকে বোঝায়।
কোনো সমতল কাগজের উপর সমগ্র পৃথিবী বা এর কোনো অংশের মানচিত্র অঙ্কন করার জন্য নির্দিষ্ট স্কেলে অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখাগুলো জালের ন্যায় ছকে প্রকাশ করা হয়। একে অভিক্ষেপ বলে।

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত অভিক্ষেপটি হচ্ছে সরল শাঙ্কব অভিক্ষেপ।
উক্ত অভিক্ষেপের ক্ষেত্রে ১৫° ব্যবধানে ১ঃ ১,৪৭,০০,০০০ স্কেলে এবং ৩০° পরিমিত অক্ষরেখা (এক পরিমিত) নিয়ে অভিক্ষেপটির গাণিতিক হিসাব নিচে নির্ণয় করা হলো-
হিসাব নিরূপণ:
পৃথিবীর ব্যাসার্ধ, r =
=
= ১.৭ ইঞ্চি।
[N.B: পৃথিবীর প্রকৃত ব্যাসার্ধ ৪০০০ মাইল বা (৪০০০ × ৬৩,৩৬০) ইঞ্চি যা পূর্ণ সংখ্যায় ২৫০,০০০,০০০ ইঞ্চি ধরা হয়।]
চাপ দূরত্ব =
=
= ০.৪৫ ইঞ্চি।
অতএব, অক্ষরেখাগুলোর মধ্যবর্তী পরস্পর দূরত্ব, হবে ০.৪৫ ইঞ্চি। অর্থাৎ ০.৪৫ ইঞ্চি দূরে দূরে অক্ষরেখা নিয়ে একটি সরল শাঙ্কব অভিক্ষেপ আঁকতে হবে।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত অভিক্ষেপটি হচ্ছে সরল শাঙ্কব অভিক্ষেপ। নিচে এর বৈশিষ্ট্য ও প্রয়োগ বিশ্লেষণ করা হলো-
এ অভিক্ষেপে দ্রাঘিমাগুলো সর্বদা সমান এবং একই কেন্দ্র হতে বিচ্ছুরিত। কিন্তু অক্ষরেখাগুলো চাপের ন্যায় দৈর্ঘ্য উত্তরে ক্রমশ কম ও দক্ষিণে বেশি। সকল দ্রাঘিমা বরাবর স্কেল ঠিক থাকে কিন্তু কেবল পরিমিত অক্ষরেখা (Standard Parallel) ছাড়া অন্যান্য অক্ষরেখা বরাবর স্কেল ঠিক থাকে না। পরিমিত অক্ষরেখা তথা অভিক্ষেপের মধ্যভাগে স্কেল ঠিক থাকায় সেখানকার মানচিত্রের বিকৃতি খুবই কম। কিন্তু অন্যান্য অঞ্চলের মানচিত্রে যথেষ্ট বিকৃতি ঘটে। এ অভিক্ষেপে কেবল একটি গোলার্ধ দেখানো সম্ভব হয়। একই সাথে দুটি গোলার্ধ দেখানো সম্ভব নয়।
পরিমিত অক্ষরেখা বরাবর ও তার উভয় পার্শ্বে স্বল্প পরিসর স্থানের আয়তন কিছুটা নির্ভুল হয় বলে এর সাহায্যে কোনো ক্ষুদ্রাকৃতি দেশের বা কোনো দেশের অল্পস্থানের মানচিত্র নির্ভুলভাবে অঙ্কন করা যায়। এ কারণে ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ড প্রভৃতি ক্ষুদ্রাকৃতি দেশগুলোর মানচিত্র অঙ্কন করার জন্য এটি বিশেষভাবে উপযোগী।

২. পৃথিবী হচ্ছে একটা বড় গোলাকার বস্তু। তাই গোল পৃথিবীর আংশিক বা সম্পূর্ণ মানচিত্র সমতল কাগজের ওপর অঙ্কন করা খুবই কঠিন। এ কারণে পৃথিবী বা এর অংশবিশেষের মানচিত্র যথাসম্ভব সঠিকভাবে অঙ্কন করার জন্য অভিক্ষেপের প্রয়োজন হয়। সরল বেলনাকার অভিক্ষেপের নানা ধরনের বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
ক. অভিক্ষেপ বলতে কী বোঝায়?
খ. অভিক্ষেপ প্রধানত কয় প্রকার ও কী কী?
গ. সরল বেলনাকার ও শাঙ্কব অভিক্ষেপের পার্থক্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সরল বেলনাকার অভিক্ষেপের নানা ধরনের বৈশিষ্ট্য রয়েছে- উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।

২ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. সমগ্র পৃথিবী বা তার অংশবিশেষের মানচিত্র অঙ্কন করার জন্য নির্দিষ্ট স্কেলে পৃথিবীর অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখাগুলো সঠিকভাবে অঙ্কন করাকে অভিক্ষেপ বলে।

খ. পৃথিবীপৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থানের মানচিত্র অঙ্কনের ওপর ভিত্তি করে অভিক্ষেপকে প্রধানত ৪ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- (১) বেলনাকার অভিক্ষেপ, (২) শীর্ষদেশীয় অভিক্ষেপ, (৩) শাঙ্কব অভিক্ষেপ, (৪) ব্যবহারসিদ্ধ বা প্রচলিত অভিক্ষেপ।

গ. সরল বেলনাকার ও সরল শাঙ্কর অভিক্ষেপের মধ্যে কিছু পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় যা নিচে আলোচনা করা হলো- যে অভিক্ষেপে অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখাগুলো পরস্পর সমকোণে ছেদ করে এবং জালের ন্যায় সুবিন্যস্ত ছকটি কতিপয় সমান বর্গক্ষেত্রের সমষ্টিতে পরিণত হয়, তাকে সরল বেলনাকার অভিক্ষেপ বলে। অন্যদিকে, কেবল একটি নির্দিষ্ট অক্ষরেখার সাহায্যে যে অভিক্ষেপ অঙ্কন করা হয়, তাকে সরল শাঙ্কব অভিক্ষেপ বলে।
সরল বেলনাকার অভিক্ষেপ অক্ষ ও দ্রাঘিমারেখাগুলো সবই সরলরেখা এ অভিক্ষেপের অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখাগুলোর মধ্যবর্তী ব্যবধান সমান এবং সমকোণে ছেদ করে। এ অভিক্ষেপে উচ্চ অক্ষাংশের দেশগুলোর আকৃতি বিকৃতি হয়। অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখাগুলোর উপরে স্কেল নির্ভুল।
অন্যদিকে, সরল শাঙ্কব অভিক্ষেপ অক্ষরেখাগুলো সমকেন্দ্রিক বৃত্ত এবং দ্রাঘিমারেখাগুলো সবই সরলরেখা এ অভিক্ষেপের অক্ষরেখাগুলো চাপের ন্যায় এবং দৈর্ঘ্য উত্তরে ক্রমশ কম এবং দক্ষিণে বেশি দ্রাঘিমারেখাগুলো একই কেন্দ্র থেকে বিচ্ছুরিত। এ অভিক্ষেপের মধ্যভাগে স্কেল সঠিক থাকায় সেখানকার মানচিত্রের বিকৃতি খুবই কম কিন্তু অন্যান্য অঞ্চলের মানচিত্র যথেষ্ট বিকৃতি ঘটে। এ অভিক্ষেপের দ্রাঘিমারেখা বরাবর স্কেল সঠিক থাকে। কিন্তু সমান্তরাল ছাড়া অন্যান্য অক্ষরেখা বরাবর স্কেল ঠিক থাকে না।

ঘ. যে অভিক্ষেপে অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখাগুলো পরস্পর সমকোণে ছেদ করে এবং জালের ন্যায় সুবিন্যস্ত ছকটি কতিপয় সমান বর্গক্ষেত্রের সমষ্টিতে পরিণত হয় তাকে সরল বেলনাকার অভিক্ষেপ বলে। সরল বেলনাকার অভিক্ষেপের বৈশিষ্ট্যসমূহ নিচে আলোচনা করা হলো-
সরল বেলনাকার অভিক্ষেপের অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমা রেখাগুলো সবই সরলরেখা। এ অভিক্ষেপের অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমা রেখাগুলোর মধ্যবর্তী ব্যবধান সমান। অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমা রেখাগুলো সমকোণে ছেদ করে এবং রেখাগুলোর উপরের স্কেল নির্ভুল। এ অভিক্ষেপে উচ্চ অক্ষাংশের দেশগুলোর আকৃতি বিকৃত হয়। অভিক্ষেপটি সমআয়তনিক নয়।
পরিশেষে বলা যায়, সরল বেলনাকার অভিক্ষেপ তার বৈশিষ্ট্যের কারণে আকার ও আয়তনে নির্ভুল নয়। অভিক্ষেপটি কেবল নিরক্ষরেখার সন্নিকটস্থ স্থানের জন্য ব্যবহৃত হয়।

৩. মানচিত্রের উপযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে জিআইএস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া জিআইএস পদ্ধতিটি আজ উন্নত বিশ্বের উন্নতির হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে। বাংলাদেশও এ বিষয়টি গ্রহণে পিছিয়ে নেই।
ক. মানচিত্র বলতে কী বোঝায়?
খ. মানচিত্রের উপাদানগুলো উল্লেখ কর।
গ. ‘‘মানচিত্রের উপযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে জিআইএস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে’’- ব্যাখ্যা কর।
ঘ. জিআইএস পদ্ধতি উন্নতির হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ কর।

৩ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. পৃথিবী বা কোনো অঞ্চল বা এর অংশবিশেষকে কোনো সমতল ক্ষেত্রের উপর অঙ্কন করাকে মানচিত্র বলে।

খ. মানচিত্র একজন ভূগোলবিদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। এ মানচিত্র অঙ্কনে নিম্নলিখিত উপাদানগুলো প্রয়োজন।
(১) অঙ্কিত মূল মানচিত্র, (২) স্কেল (মানচিত্রটিকে যে স্কেলে অঙ্কন করা হয়েছে), (৩) অভিক্ষেপ (অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমা রেখা), (৪) দিকনির্দেশক, (৫) মানচিত্রের নাম ফলক (মানচিত্রের বিষয়ানুগ নাম), (৬) সূচক (মানচিত্রে ব্যবহৃত বিভিন্ন সাংকেতিক চিহ্নের ব্যাখ্যা), (৭) মূল মানচিত্রের চারদিকে (সীমায়) কোন দেশ, অঞ্চল বা ভূখন্ড রয়েছে তার নাম, (৮) মূল মানচিত্রটি কোনো বৃহৎ ভূখন্ডের অংশবিশেষ হলে তা চিহ্নিতকরণ, (৯) মানচিত্রের চারদিকে কাগজের ০.৫ ইঞ্চি থেকে ১ ইঞ্চি ভেতরের দিকে বর্ডার লাইন, অথবা কাগজের শেষাংশ পর্যন্ত অঙ্কন (ফ্লাসকাড, (১০) মানচিত্রের নিচে সূত্র ইত্যাদি।

গ. ভৌগোলিক তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ ব্যবস্থাকে সংক্ষেপে জিআইএস বলে। এটি কম্পিউটারের মাধ্যমে সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ ব্যবস্থার মাধ্যমে স্থানিক ও পারিসরিক সমস্যা চিহ্নিতকরণ, মানচিত্রায়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়তা করে থাকে। জিআইএস মানচিত্রের উপযোগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
জিআইএস-এর মাধ্যমে একটি মানচিত্রের মধ্যে অনেক ধরনের উপাত্ত উপস্থাপন ঘটিয়ে সে উপাত্তগুলোকে মানচিত্রের মধ্যে বিশ্লেষণ করে মানচিত্রটির উপযোগিতা বাড়িয়ে দেওয়া যায়। যেমন- একটা মানচিত্রের মধ্যে পানি ব্যবস্থাপনা, টপোগ্রাফি, ভূমি ব্যবহার, যোগাযোগ, মৃত্তিকা, রাস্তা ইত্যাদি সবগুলো জিনিস দেখিয়ে আমরা তার মধ্য দিয়ে সে নির্দিষ্ট অঞ্চলের পুরোচিত্র সম্বন্ধে জানতে পারি।
অতএব বলা যায় যে, জিআইএস এর ব্যবহার মানচিত্রকে অধিক তথ্যবহুল করে এর উপযোগিতা বাড়িয়ে থাকে।

ঘ. জিআইএস এর প্রায়োগিক দিকটি এতই ব্যাপক যে, বর্তমানে উন্নত দেশগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এটিকে একটি আলাদা বিষয় হিসেবে পড়ানো হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশেও এর ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়েছে। নিচে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জি,আই,এস এর ব্যাপক ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পিত ভূমি ব্যবহার একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। ভূমির প্রকৃতি, মৃত্তিকার গুণাগুণ, জলবায়ু, জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা, সেচ ব্যবস্থা প্রভৃতির ওপর ভিত্তি করে ভূমির শ্রেণিবিভাগ ও ভূমি ব্যবহারের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হয়। আর বর্তমানে এ ধরনের একটি জটিল কাজ সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে জিআইএস প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া ভূমির রেকর্ড, ভূমির খাজনা আদায়, ভূমির নকশা ও খতিয়ান তৈরির ক্ষেত্রেও জিআইএস প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে।
GIS প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভূতাত্ত্বিক মানচিত্র তৈরি, ভূমিধস, এলাকার নকশা তৈরি, ভূমিকম্প অধ্যুষিত এলাকা চিহ্নিতকরণ মানচিত্র তৈরি সুচারুভাবে সম্পন্ন করা যায়। এসব মানচিত্র ও তথ্য আঞ্চলিক উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারে।
কোনো নগরের সেবা নিশ্চিত করতে পরিকল্পিতভাবে রাস্তা, পানির সরবরাহ লাইন, বিদ্যুৎ লাইন, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন লাইন জমির মালিকানা, ময়লা ফেলায় স্থান নির্ধারণ নাগরিকদের পরিচয়পত্র প্রদানসহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও ডেটাবেজ তৈরি করতে GIS ব্যবহার করা হয়।
তাই বলা যায়, জিআইএস পদ্ধতি বাংলাদেশের উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে।

৪. ১৯৮৬ সালের দিকে Arc Info সফটওয়্যারটি বাজারে আসে। এ সময় থেকে এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। এ সফটওয়্যারের বৈশিষ্ট্য হলো, কমান্ড লেখার মাধ্যমে এর বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করতে হয়। বর্তমানে এর চেয়ে অনেক উন্নত সংস্করণের সফটওয়্যার বাজারে এসেছে, যার মাধ্যমে আরও নিখুত পদ্ধতিতে মানচিত্রের কাজ করা যায়।
ক. অভিক্ষেপ কী?
খ. বেলনাকার অভিক্ষেপের বৈশিষ্ট্য ও প্রয়োগ উল্লেখ কর।
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত বিষয়টি বাংলাদেশে প্রয়োগের ক্ষেত্রটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. বাংলাদেশের অগ্রগতিতে উদ্দীপকের বিষয়টির ভূমিকা মূল্যায়ন কর।

৪ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. সমগ্র পৃথিবী বা তার অংশবিশেষের মানচিত্র অঙ্কন করার জন্য নির্দিষ্ট স্কেলে পৃথিবীর অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখাগুলো সঠিকভাবে অঙ্কন করাকে অভিক্ষেপ বলে।

খ. বেলনাকার অভিক্ষেপে অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখাগুলোর সবই সরলরেখা।
রেখাগুলো পরস্পর সমান ও সমান্তরাল। দ্রাঘিমারেখাগুলো, অক্ষরেখাগুলোকে সমকোণে ছেদ করে। প্রত্যেকটি অক্ষরেখা নিরক্ষরেখার সমান বলে নিরক্ষরেখা থেকে উভয় মেরুর দিকে পূর্বপশ্চিমে দূরত্ব বৃদ্ধি পায়। নিরক্ষরেখার আশপাশের দেশসমূহ দেখানোর জন্য এ অভিক্ষেপ অধিক উপযোগী।

গ. উদ্দীপকে GIS এর একটি সফটওয়্যার এর বিষয় বর্ণিত হয়েছে।
বর্তমানে GIS বা ভৌগোলিক তথ্য সিস্টেমের মাধ্যমে Arc Info এর মতো বিভিন্ন সফটওয়্যার বাংলাদেশের মানচিত্র অঙ্কন ও তা বিভিন্ন ব্যবহারিক বিষয়ে প্রয়োগ করা হচ্ছে।
সফটওয়্যার ভৌগোলিক তথ্য সিস্টেমের চারটি উপাদানের মধ্যে একটি যা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সমন্বয়সাধনের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র অঙ্কনে কাজ করছে। Arc Info সফটওয়্যার GIS এর এমন একটি সফটওয়্যার যা বাংলাদেশের বিভিন্ন ভৌগোলিক উপাত্ত ও মানচিত্র অঙ্কনে সহায়তা করে। এর মাধ্যমে সংগহীত তথ্যাবলির সংরক্ষণ, উন্নয়ন, বিশ্লেষণ, প্রদর্শন ও বর্তমানসাপেক্ষে ভবিষ্যৎ অবস্থার অনুমান এবং পরিকল্পনা গ্রহণ কৌশল বা সুনির্দিষ্ট ভৌগোলিক অবস্থান জানা যায়। তাই বাংলাদেশের কৃষি, পরিবেশ, নগর উন্নয়নে বর্তমানে Arc Info GIS এর প্রয়োগক্ষেত্র উন্মোচিত।

ঘ. বাংলাদেশের অগ্রগতিতে GIS সফটওয়্যারের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
Arc Info এর মতো GIS সফটওয়্যারের ব্যবহার বাংলাদেশে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষি সংক্রান্ত কাজ, বনজ সম্পদ ব্যবস্থাপনা, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনায় GIS এর ব্যাপক ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। বাংলাদেশের গ্রামীণ উন্নয়ন ও পরিকল্পনায় GIS ব্যবহার করা যেতে পারে। গ্রামের রাস্তাঘাট, কৃষিজমি, বসতি, ব্যবসা-বাণিজ্যকেন্দ্র ইত্যাদি চিহ্নিতকরণে এই সফটওয়্যার অধিক উপযোগী।
বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বর্তমানে GIS ব্যবহৃত হচ্ছে। দুর্যোগের মাত্রা ও মানচিত্রায়নে GIS ভূমিকা পালন করে। পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিশেষকরে পানির অবস্থান, গুণগত মান ইত্যাদির তথ্য সংগ্রহের জন্য GIS ভূমিকা রাখছে। সামরিক ক্ষেত্রে শত্রুর অবস্থান, যোগাযোগ, রসদ ইত্যাদি বিষয় সম্বন্ধে প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে GIS সহায়তা করে থাকে। বাংলাদেশের অগ্রগতিতে পরিবহন ব্যবস্থাপনা ও বিভিন্ন বিষয়ের গবেষণাকার্যে GIS এর সঠিক ব্যবহার ভূমিকা পালন করতে পারে। পরিশেষে বলা যায়, Arc Info বা GIS এর অন্যান্য সফটওয়্যার এর সঠিক প্রয়োগ বাংলাদেশের অগ্রগতিতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে পারে।

৫. সাকিব ও সাহেদ দুই বন্ধু। তারা ভূগোল ক্লাসে মানচিত্র নিয়ে গবেষণা করছিল। তারা মানচিত্রের উপরে, নিচে, ডানে, বামে বহু বর্গাকার ঘর দেখতে, পেল কিন্তু কিছু বুঝতে পারল না। তখন তারা ভূগোল শিক্ষকের কাছে গেল এবং শিক্ষক তাদেরকে বললেন, সমগ্র পৃথিবীকে সমতল কাগজের উপরে ক্ষুদ্রাকারে বোঝানোর জন্য অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখা দ্বারা কতিপয় ভাগে ভাগ করা হয়েছে যা মানচিত্র অভিক্ষেপ নামে পরিচিত। তিনি আরও বললেন এর যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।
ক. কাকে প্রথম মানচিত্র অভিক্ষেপের স্রষ্টা বলা হয়?
খ. বেলনাকার অভিক্ষেপ কী? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের শিক্ষকের বর্ণনাকৃত মানচিত্র অভিক্ষেপের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ কর।
ঘ. শিক্ষকের মতে, ‘‘মানচিত্র অভিক্ষেপের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।’’ উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।

৫ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ইরাটোসথেনিসকে প্রথম মানচিত্র অভিক্ষেপের স্রষ্টা বলা হয়।

খ. কাগজের তৈরি কোনো নলের মধ্যে ভূগোলকটিকে স্থাপন করে আলোর দ্বারা তার উপর অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখাগুলোর ছায়া। প্রতিফলিত করে কাগজের নলটিকে কেটে সোজা করলে যে ধরনের অভিক্ষেপ পাওয়া যায়, তাকে নলাকার বা বেলনাকার অভিক্ষেপ বলা হয়।
পথিবীর নিরক্ষীয় অঞ্চলের আশপাশ অর্থাৎ ক্রান্তীয় অঞ্চলের মানচিত্র সঠিকভাবে অঙ্কন করার জন্য বেলনাকার অভিক্ষেপ ব্যবহার করা হয়।

গ. মানচিত্র অভিক্ষেপের প্রধান তিনটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নিচে তা উল্লেখ করা হলো-
১. অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার সাহায্যে মানচিত্র অভিক্ষেপ অঙ্কন করা হয়।
২. পৃথিবীর প্রকৃত আকৃতি আনুপাতিক হারে ছোট করে অর্থাৎ নির্দিষ্ট স্কেলে অভিক্ষেপ অঙ্কন করা হয়।
৩. সমতলের উপরে অভিক্ষেপ অঙ্কন করা হয়।
উল্লিখিত তিনটি বৈশিষ্ট্যের যেকোনো একটির অভাব হলে তা অভিক্ষেপ হবে না।

ঘ. মানচিত্র অভিক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
আমরা জানি পৃথিবী গেস্নালাকার। তাই এ গোলাকার পৃথিবীকে সমতল কাগজে' উপস্থাপন করার জন্য মানচিত্রের অভিক্ষেপের প্রয়োজন হয়। সমতল কাগজে পৃথিবীকে বসানো সম্ভব নয়। তাই অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখা অনুযায়ী বক্রাকারে ঘর তৈরি করে গ্র্যাটিকুল বা গ্রিড তৈরি করা হয়। এরপর এই গ্রিড অনুযায়ী বিভিন্ন দেশের অংশগুলো ক্ষুদ্রাকারে উপস্থাপন করা হয়। যার ফলশ্রুতিতে আমরা মানচিত্রের। অভিক্ষেপ থেকে সহজেই ভূপ্রকৃতির আয়তন জানতে পারি।
সমগ্র পৃথিবী বা এর কোনো অংশের মানচিত্র আপেক্ষিক সঠিকতার সাথে অঙ্কন করার জন্য মানচিত্র অভিক্ষে ব্যবহৃত হয়। একটিমাত্রা অভিক্ষেপে সমগ্র পৃথিবীর মানচিত্র অঙ্কন করলে স্থানভেদে দেশের আকৃতির বিকৃতি ঘটে। এসব ত্রুটি দূর করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের মানচিত্র অভিক্ষেপ উদ্ভাবিত হয়েছে। তাছাড়া যেকোনো ও স্থানের বৃহৎ এলাকাকে স্কেলের মাধ্যমে ক্ষুদ্রাকৃতির করে কাগজে উপস্থাপন করা হয়। ফলে সহজেই মানচিত্র থেকে ঐ এলাকার আয়তন জানা যায়। তাছাড়া অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখা অনুযাযী কোনো এলাকার অবস্থান জানা যায়।
সুতরাং বলা যায় যে, মানচিত্র অভিক্ষেপের গুরুত্ব অপরিসীম।

৬. সবুর একটি কাগজে পৃথিবীর মানচিত্র অঙ্কন করছে। রুমি বলল, ‘‘এ মানচিত্র আঁকতে চাইলে প্রথমে অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখাগুলো আঁকতে হবে।’’ তা শুনে রফিক বলল, ‘‘রেখাগুলো যেনতেনভাবে আঁকলে হবে না; বরং তুমি যদি সত্যিকার অর্থে মানচিত্রটি সঠিকভাবে আঁকতে চাও তাহলে নির্দিষ্ট স্কেল অনুসরণ করে রেখাগুলো ধারাবাহিকভাবে আঁকতে হবে।’’
ক. ভূগোলককে পৃথিবীর কী বলে?
খ. অদৃশ্যানানুগ অভিক্ষেপ বলতে কী বোঝ?
গ. রফিক মূলত কী অঙ্কনের কথা বলছে? রফিকের নির্দেশনা মেনে একটি দেশের মানচিত্র অঙ্কন কর।
ঘ. ‘‘রফিক মূলত যে বিষয়টি আঁকতে বলছে সেটিকে নানা শ্রেণিতে ভাগ করা যায়।’’- বিশ্লেষণ কর।

৬ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ভূগোলককে পৃথিবীর ক্ষুদ্র সংস্করণ বলে।

খ. যে অভিক্ষেপণে কোনো আলোকসম্পাত না করে শুধু গাণিতিক হিসাবের সাহায্যে Graticul গুলো তৈরি ও অঙ্কন করা হয় তাই অদৃশ্যানানুগ অভিক্ষেপ।
এ পদ্ধতিতে সাধারণত শীর্ষদেশীয় সমদূরবর্তী অভিক্ষেপ, সমআয়তনিক অভিক্ষেপ, নোমনিক অভিক্ষেপ, মেরুস্থানীয় নোমনিক অভিক্ষেপ প্রভৃতি অঙ্কন করা হয়।

গ. উদ্দীপকে রফিক মানচিত্র অভিক্ষেপ অঙ্কনের কথা বলেছেন। অর্থাৎ অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখাগুলো সঠিকভাবে অঙ্কনের মাধ্যমে অভিক্ষেপ আঁকতে হবে। রফিকের নির্দেশনা অনুযায়ী নিচে বাংলাদেশের একটি মানচিত্র অঙ্কন করা হলো-

ঘ. উদ্দীপকে রফিক মূলত যে বিষয়টি আঁকতে বলেছে তা হচ্ছে অভিক্ষেপ। মানচিত্র অভিক্ষেপকে প্রধানত চারভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা- ১. বেলন অভিক্ষেপ, ২. শাঙ্কব অভিক্ষেপ, ৩. শীর্ষদেশীয় অভিক্ষেপ, ৪. ব্যবহারসিদ্ধ অভিক্ষেপ।
কাগজের তৈরি কোনো নলের মধ্যে ভূগোলকটিকে স্থাপন করে আলোর দ্বারা তার উপর অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখাগুলোর ছায়া প্রতিফলিত করে কাগজের নলটিকে কেটে সোজা করলে যে ধরনের অভিক্ষেপ পাওয়া যায়, তাকে নলাকার বা বেলনাকার অভিক্ষেপ বলা হয়। পৃথিবীর নিরক্ষীয় অঞ্চলের আশপাশ অর্থাৎ ক্রান্তীয় অঞ্চলের মানচিত্র সঠিকভাবে অঙ্কন করার জন্য বেলনাকার অভিক্ষেপ ব্যবহার করা হয়।
এক খ- কাগজ বা পর্দাকে চোঙ্গাকৃতি করে ভূগোলকের উপর বসিয়ে যে অভিক্ষেপ অঙ্কন করা হয় তাকে শান্ধব অভিক্ষেপ (Conical Projection) বলা হয়। বিশেষকরে ৩০° - ৬০° অক্ষাংশের মধ্যকার স্থানের মানচিত্র শাঙ্কব জাতীয় অভিক্ষেপে সঠিকভাবে অঙ্কন করা যায়। যখন কোনো সমতল (Plane) ক্ষেত্রের কোনো একটি বিন্দুতে বা অংশে গোলক স্পর্শ করে এবং ঐ তলের উপর জালের মতো অক্ষ ও দ্রাঘিমারেখাগুলোর ছায়াপাত করে অভিক্ষেপের ছক অঙ্কন করা হয়, তখন তাকে শীর্ষদেশীয় বা মেরুদেশীয় অভিক্ষেপ (Zenithal Projection) বলা হয়। পৃথিবীর মেরু অঞ্চলের মানচিত্র সঠিক স্কেলে অঙ্কনের জন্য মেরুদেশীয় অভিক্ষেপ ব্যবহার করা হয়। বিশেষকরে ৩০° - ৯০° অক্ষাংশের মধ্যকার স্থানের মানচিত্র এ জাতীয় অভিক্ষেপে সঠিকভাবে অঙ্কন করা যায়।
সমগ্র পৃথিবীর মানচিত্র সঠিক ও নির্ভুলভাবে অঙ্কন করার জন্য গাণিতিক হিসাব ব্যবহার করে সামান্য ভুল-ত্রুটি পরিহার করে কিছু অভিক্ষেপ অঙ্কন করা হয়, এসব অভিক্ষেপকে ব্যবহারসিদ্ধ বা প্রচলিত অভিক্ষেপ বলে। এ ধরনের অভিক্ষেপের মধ্যে রয়েছে- সিনুসোইডাল অভিক্ষেপ, গল-এর অভিক্ষেপ, মলউইডস অভিক্ষেপ, দিগংশিক অভিক্ষেপ প্রভৃতি।

HSC ভূগোল ২য় পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর অধ্যায় ১০ pdf download

৭. নিচের উদ্দীপকটি লক্ষ কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।

ক. GIS -এর প্রধান উপাদান কয়টি?
খ. মানচিত্র অঙ্কনে সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি জিআইএস-ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের 'A' প্রযুক্তির ব্যবহার শুরুর প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের 'A'-কে কেন্দ্র করে যে উপাদানগুলো উপস্থাপিত হয়েছে তা বিশ্লেষণ কর।

৭ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. GIS -এর প্রধান উপাদান ৬টি।

খ. পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো পরিকল্পনা প্রণয়নের প্রস্তুতকৃত মানচিত্রে জিআইএস ব্যবহার করছে। মানচিত্র তৈরি, পঠন, পাঠন ও ব্যবস্থাপনায় GIS বর্তমানে সারা বিশ্বেই বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি। তাই বলা যায়, মানচিত্র অঙ্কনে সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি GIS।

গ. উদ্দীপকের 'A' প্রযুক্তি হচ্ছে GIS প্রযুক্তি।
১৯৬৪ সালে প্রকৃত অর্থে কানাডার Federal Department of Forestry and Rural Development কর্তৃক জিআইএস প্রয়োগ শুরু হয়। এ পদ্ধতির উন্নয়ন ঘটান Dr. Roger Tomlinson; কিন্তু এর ব্যবহার শুরুর প্রেক্ষাপট আরেকটু প্রাচীন।
GIS এ যেভাবে মানচিত্রে তথ্য উপস্থাপন করা হয়, ১৮৫৪ সালে অনুরূপ এক পদ্ধতিতে জন স্নো (John Snow) সর্বপ্রথম একটি মানচিত্র প্রদর্শন করেন। লন্ডন শহরে কলেরা বিস্তার লাভ করলে তিনি আক্রান্ত স্থানগুলো মানচিত্রে উপস্থাপনের পাশাপাশি মৃত মানুষের সংখ্যা, আক্রাপ্রান্তের সম্ভবনা ইত্যাদিও উপস্থাপন করেন। ফলে সরকার কলেরার বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সক্ষম হয়। ফলে এ ধরনের মানচিত্র ইংল্যান্ডে ব্যাপক প্রশংসিত হয়। এরপর বিশ শতাব্দীর প্রথম দিকে 'Photo lithography-এর উন্নয়ন ঘটে যেখানে নির্দিষ্ট মানচিত্রকে বিভিন্ন স্তরে পৃথক করা সম্ভব হয়। তারপর ৬০-এর দশকের গোড়াতেই কম্পিউটারে মানচিত্রায়নের প্রয়োগ শুরু হয়। আর ইতিহাসের এ প্রেক্ষাপটেই GIS রূপ লাভ করে।

ঘ. উদ্দীপকে 'A' কে তথা GIS কে কেন্দ্র করে যে উপাদানগুলো চিহ্নিত হয়েছে তা মূলত GIS এর প্রয়োগক্ষেত্র।
উদ্দীপকে GIS কেন্দ্রিক মানচিত্রাঙ্কন, দূর অনুধাবন, কম্পিউটারভিত্তিক নকশা এবং উপাত্তভিত্তিক ব্যবস্থাপনা বিষয়গুলো উল্লিখিত হয়েছে। বস্তুত GIS এমন এক কম্পিউটারভিত্তিক আধুনিক প্রযুক্তি যার মাধ্যমে এ কাজগুলো অনায়াসেই করা যায়।
GIS পদ্ধতির মাধ্যমে ভৌগোলিক ও পারিসরিক তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ, পরিবর্ধন, বিন্যাস ও প্রদর্শন করা হয়। সংগৃহীত পারিসরিক তথ্যের মানচিত্র উপস্থাপন GIS এর অন্যতম কাজ। উপরন্তু GIS দূর অনুধাবন পদ্ধতিতেও কাজ করতে পারে। যেমন- ছবি, আকাশ থেকে গৃহীত আলোকচিত্র বিশ্লেষণও GIS পদ্ধতিতে সম্ভব। আবার পারিসরিক তথ্যের মানচিত্র ছাড়া অস্থানিক ও স্থানিক উপাত্ত সংবলিত নকশাও GIS পদ্ধতিতে কম্পিউটারের মাধ্যমে করা সম্ভব। যেমন, জলবায়ু সম্পর্কিত গবেষণায় GIS এর ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। যেমন- বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ুচাপ ইত্যাদি সমোন্নতি রেখার মাধ্যমে দেখানো যায়। এভাবে GIS স্থানিক ও অস্থানিক উপাত্তের বিশ্লেষণ করে কেবল তা ফলাফলে উপস্থাপন বা প্রদর্শনই করে না; বরং সংগৃহীত সকল উপাত্তের ব্যবস্থাপনাও করে থাকে। ফলে দেখা যায় GIS প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোনো খানের গৃহীত তথ্য (যেমন, ভূমি ব্যবহার) কোনো নির্দিষ্ট গবেষণা ক্ষেত্রে (যেমন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা) ব্যবহারের পর তা পরবর্তীতে এ অন্য কোনো উদ্দেশ্যে (যেমন, উন্নয়ন পরিকল্পনা) ব্যবহার করা যায়।
সুতরাং বলা যায়, প্রযুক্তিগত দিক থেকে GIS ব্যাপকভাবে প্রায়োগিক যা উদ্দীপকে নির্দেশিত হয়েছে।

৮. ভূগোল শিক্ষক উত্তম শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের আরও একবার বোঝাতে চেয়েছে জিআইএস ব্যবহারে আজকাল তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ সব উপাত্ত অতি সহজেই পাওয়া যায়।
ক. মূলমধ্যরেখা কী?
খ. জিআইএস এর উপাত্ত কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
গ. উদ্দীপকের আলোকে জিআইএস উপাত্ত কীভাবে ব্যবহার করা হয়?
ঘ. জিআইএস এর দৃষ্টিভঙ্গি তোমার নিজের ভাষায় ব্যাখ্যা কর।

৮ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. গ্রিনিচ মান মন্দিরের উপর দিয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত বিস্তৃত কল্পিত রেখাই হলো মূলমধ্যরেখা।

খ. জিআইএস এক বিশাল তথ্যভান্ডার যা ভৌগোলিক উপাত্ত থেকে প্রাপ্ত।
জিআইএস (GIS) এর উপাত্ত দুইভাগে ভাগ করা হয়। যেমন-
১. স্থানিক: ভৌগোলিক অবস্থান সম্পর্কিত তথ্য উপাত্ত;
২. অস্থানিক: স্থানিক তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত।

গ. GIS এর তথ্য ও উপাত্ত সফটওয়্যারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যবহার করা হয়।
ভূমি ব্যবহার মানচিত্র তৈরি করে কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়ন, জনসংখ্যার মানচিত্র তৈরি করে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং জনসংখ্যাকে সম্পদে পরিণত করা, পরীক্ষিত ও যানজটমুক্ত সড়ক মানচিত্র তৈরি প্রভৃতি জিআইএস প্রযুক্তির মাধ্যমে করা হচ্ছে।
GIS প্রযুক্তির প্রথমে তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। এরপর কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমে মানচিত্রে উপস্থাপন করা হয়। অতঃপর সফটওয়্যারের মাধ্যমে জিআইএস ডাটাবেজ গড়ে তোলা হয়। আর এই ডাটাবেজ থেকে তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে একজন পরিকল্পনাবিদ খুব সহজেই নিজের এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারেন। এভাবে জিআইএস এ প্রয়োজন অনুসারে উপাত্ত ব্যবহার করা হয়।

ঘ. জিআইএস এর দৃষ্টিভঙ্গি প্রযুক্তিকে আশ্রয় করে ব্যাপক রূপ লাভ করেছে। পৃথিবীর উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কলাকৌশল ব্যবহার করছে; এ প্রেক্ষাপটেই GIS এর দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে উঠেছে।
জিআইএস প্রযুক্তির উদ্দেশ্য পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের স্থানিক ও অস্থানিক তথ্য উপাত্ত মানচিত্রে উপস্থাপন করে একটি মডেল তৈরি করা। যেমন- ভূগোলোর পঠন ও পাঠনে জিআইএস প্রযুক্তি যুক্ত হয়েছে যার প্রধান উদ্দেশ্য হলো স্থানিক পার্থক্য অনুসন্ধান করা এবং মানুষ ও পরিবেশের সম্পর্ক স্থান ও কালের প্রেক্ষিতে বিশ্লেষণ করা। সুতরাং GIS প্রযুক্তি ভৌগোলিক দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করে।
জিআইএস প্রযুক্তিতে ব্যবহারকারীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী তথ্য উপাত্ত ব্যবহার করা হয়। এ প্রেক্ষিতেই জিআইএস-এর দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে উঠেছে।

৯. ভূগোলবিষয়ক একটি সেমিনারে একজন ভূগোলবিদ বললেন কম্পিউটারের কিছু বিশেষ সফটওয়্যারসমূহ ভূমি জরিপ, আকাশ থেকে গৃহীত আলোকচিত্র, ভৌগোলিক বিষয়াদি বিশ্লেষণে ব্যবহার করা যায়।
ক. অভিক্ষেপ কত প্রকার?
খ. বেলনকার অভিক্ষেপ বলতে কী বোঝ?
গ. ভূগোলবিদের বলা বিশেষ সফটওয়্যারসমূহের কর্মপদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ভূগোলবিদের বলা বিশেষ সফটওয়্যারসমূহের প্রয়োজনীয়তা নিজের ভাষায় বিশ্লেষণ কর।

৯ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. অভিক্ষেপ প্রধানত ৪ প্রকার।

খ. কাগজের তৈরি কোনো নলের মধ্যে ভূগোলকটিকে স্থাপন করে আলোর দ্বারা তার উপর অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখাগুলোর ছায়া প্রতিফলিত করে কাগজের নলটিকে কেটে সোজা করলে যে ধরনের অভিক্ষেপ পাওয়া যায়, তাকে নলাকার বা বেলনাকার অভিক্ষেপ বলা হয়।
পৃথিবীর নিরক্ষীয় অঞ্চলের আশপাশ অর্থাৎ ক্রান্তীয় অঞ্চলের মানচিত্র সঠিকভাবে অঙ্কন করার জন্য বেলনাকার অভিক্ষেপ ব্যবহার করা হয়।

গ. ভূগোলবিদের বলা বিশেষ সফটওয়্যারটি হলো জিআইএস।
জিআইএস কর্মপদ্ধতিকে চারটি ধাপে বিভক্ত করা হয়ে থাকে। সেগুলো হলো- উপাত্ত সংগ্রহ, উপাত্ত মজুদকরণ, উপাত্ত ব্যবহার ও ফলাফল।
প্রথম পর্যায়ে, উপাত্ত সংগ্রহ, পরিবর্তন, পরীক্ষণ, পরিমার্জন করে থাকে। দ্বিতীয় পর্যায়ে, GIS উপাত্ত মজুদকরণ করে। এক্ষেত্রে সাময়িক মজুদকরণ ও তুলনামূলক স্থায়ী মজুদকরণ করে থাকে। তৃতীয় পর্যায়ে, মানচিত্র অঙ্কন সম্পর্কিত কাজ, উপাত্ত একত্রীকরণ, কাঠামোগত পরিমাপ, পারিসরিক বিশ্লেষণ, পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণ এ পর্যায়ে করা হয়।
ফলাফল পর্যায়ে, মানচিত্র অঙ্কন সম্পর্কিত কাজ করা হয়। বিভিন্ন উপাত্তকে একত্রীকরণ করা হয়। কাঠামোগত পরিমাপ ছাড়াও প্রয়োজন অনুসারে পারিসরিক ও পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণ করা হয়। সর্বশেষ পর্যায়ে উপাত্তসমূহের ব্যবহারযোগ্য উপস্থাপন করা হয়। ফলাফলস্বরূপ GIS মানচিত্র, স্তম্ভলেখ, সারণি প্রভৃতি প্রকাশ করে।
সুতরাং জিআইএস মূলত একটি কম্পিউটারভিত্তিক পদ্ধতি। এটি এমন একটি সমন্বিত পদ্ধতি যার মাধ্যমে ভৌগোলিক তথ্যাদি সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা যায়।

ঘ. ভূগোলবিদের বলা বিশেষ সফটওয়্যারটির নাম জিআইএস।
সমগ্র বিশ্বজুড়ে জিআইএস প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই বর্তমান যুগে এওঝ এর প্রয়োজনীয়তা অত্যধিক।
ভূমির নকশা তৈরি করতে, নতুন করে মানচিত্র তৈরি করতে GIS প্রয়োজন। ভূমির সঠিকভাবে দূরত্ব পরিমাপ করতে, খনিজ সম্পদ সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করতেও GIS প্রয়োগ করা হচ্ছে। মানচিত্র নির্ভুলভাবে তৈরি করার জন্য বর্তমানে GIS বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া মানচিত্রে বিভিন্ন স্থান সঠিকভাবে নির্দেশ করার জন্য, নগর পরিকল্পনার নকশা প্রণয়নে, রোড নেটওয়ার্ক সঠিকভাবে উপস্থাপনেও GIS এর গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিবেশের ওপর উন্নয়ন কর্মকান্ডের প্রভাব বিশ্লেষণে GIS ব্যবহৃত হচ্ছে। পারিসরিক পরিবর্তন নির্ণয়েও GIS কাজে লাগছে। জলবায়ু সম্পর্কিত গবেষণাতেও জিআইএস নির্ণয়েও GIS কাজে লাগছে। জলবায়ু সম্পর্কিত গবেষণাতেও জিআইএস ব্যবহৃত হচ্ছে।
এছাড়া ভূপৃষ্ঠের ওপর অবস্থিত যেকোনো বস্তুর মানচিত্র অঙ্কন, দূরত-, আয়তন, অবস্থান নির্ণয় ও বিশ্লেষণ এবং গবেষণায় ভিআই.এস. এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।

১০. মামুন যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করে সেখানে জিপিএস (GPS) পদ্ধতি প্রয়োগ করে কার্য পরিচালিত হয়। জিআইএস (GIS) ও জিপিএস (GPS) মানচিত্র তৈরি, পঠন ও ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে আধুনিক মাধ্যম। এ দুই পদ্ধতিতে ভূ-উপগ্রহ থেকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য ধারণ করে অতিদ্রুত কার্য সমাধা করে থাকে। বর্তমানে এর ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে।
ক. GPS-এর পূর্ণরূপ কী?
খ. GPS দ্বারা কী কী কাজ করা যায়?
গ. মামুনের কর্মরত প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত মাধ্যমটির ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধর।
ঘ. ‘‘GIS প্রযুক্তির ভূগোলের উত্তরোত্তর উন্নতিতে নতুন মাত্রার সংযোজন।’’ - উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।

১০ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. GPS-এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Global Positioning System.

খ. বর্তমানে মানচিত্র তৈরি, পঠন এবং ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে আধুনিক ব্যবহার হচ্ছে জিপিএস (GPS)।
জিপিএস দ্বারা যেসব কাজ করা যায় তা হলো কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ নির্ণয়, কোনো স্থানের দূরত্ব ও উচ্চতা পরিমাপ, ঐ স্থানের উত্তর দিক, তারিখ ও সময় প্রভৃতি জানা যায়।

গ. উদ্দীপকে মামুনের কর্মরত প্রতিষ্ঠানে GPS (জিপিএস) মাধ্যম ব্যবহার করে কার্য পরিচালনা করে থাকে।
জিপিএস দ্বারা কোনো একটি স্থানের অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ, উচ্চতা ও দূরতব, ঐ স্থানের উত্তর দিক, তারিখ ও সময় জানার সুবিধা পেয়ে থাকে। তেমনি এর ব্যবহারিক কিছু অসুবিধাও রয়েছে। নিচে GPS- এর ব্যবহারিক ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো সম্বন্ধে আলোচনা। করা হলো-
GPS একটি অত্যন্ত মূল্যবান যন্ত্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এ যন্ত্রের সাহায্যে মুহূর্তের মধ্যে মামুনের কর্মরত প্রতিষ্ঠান কোনো স্থানের অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ থেকে শুরু করে সব বিষয়ে জানতে পারছে। বিশেষ করে আমাদের দেশে ভূমি জরিপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝামেলা হয়। এখন তারা GPS-এর মাধ্যমে ঝামেলা ছাড়াই জমির সীমানা চিহ্নিত করতে পারবে। এতে করে সময় অনেক কম অপচয়। হবে। আবার, যেকোনো দুর্যোগকালীন অবস্থায় GPS -এর মাধ্যমে কোনো একটি স্থানের অক্ষাংশ, দ্রাঘিমাংশ জানতে পেরে সেখানে সাহায্য পাঠাতে পারবে। অপরদিকে, GPS অসুবিধার মধ্যে হচ্ছে-এর মল্য বেশি তাই সহজলভ্য নয়। আবার, বেশিরভাগ জনগণ এর সাথে পরিচিত নয়। এছাড়া বেশিরভাগ লোক এটি চালাতেও পারে না।

ঘ. GPS -এর অর্থ হচ্ছে Geographical Information System. ভৌগোলিক তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ ব্যবস্থাকে সংক্ষেপে GIS বলে।
এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানচিত্র এবং উপগ্রহ চিত্রে উপস্থাপিত পারিসরিক তথ্যের বিভিন্ন স্তর সহজ উপায়ে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করা যায়। এর ব্যবস্থাপনার জন্য বেশকিছু উপকরণ রয়েছে সেগুলো হচ্ছে- কম্পিউটার, ডিজিটাইজার, জিপিএস, নেটওয়ার্ক, সিডিরম, প্রিন্টার, জিআইএস ভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার যার সাহায্যে এসব উপকরণকে সংযোগ সাধনের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে প্রোগ্রামটিকে কার্যক্ষম করে। সুতরাং GIS হচ্ছে এমন একটি কম্পিউটারভিত্তিক পদ্ধতি; যা পৃথিবী সম্পর্কিত তথ্য সংরক্ষণ, সংঘটন ও বিশ্লেষণ করতে পারে এবং একই সাথে এসব তথ্যের আর্থসামাজিক সম্পর্ক নির্ণয় করতে পারে।
বাংলাদেশে কৃষি, পরিবেশ, স্বাস্থ্য, বনবিদ্যা, আঞ্চলিক ও স্থানিক পরিকল্পনা, শিক্ষা ও গবেষণা, সম্পদ, সামাজিক অধ্যয়ন, পরিবহন নেটওয়ার্ক, আবহাওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে GIS প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া GIS এর মাধ্যমে একটি মানচিত্রের মধ্যে অনেক ধরনের উপাত্ত উপস্থাপন ঘটিয়ে সেই উপাত্তগুলোকে মানচিত্রের মধ্যে বিশ্লেষণ করে এর উপযোগিতা বাড়িয়ে দেয়। GIS ভূগোলের প্রতিটি বিষয়ই সহজ করে দিচ্ছে।
সুতরাং বলা যায় যে, ভূগোলের উত্তরোত্তর উন্নতিতে GIS পদ্ধতিটি একটি নতুন মাত্রার সংযোজন ঘটিয়েছে।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post