ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ, ফেনী
মডেল টেস্ট
এসএসসি পরীক্ষা
বাংলা ১ম পত্র
সৃজনশীল প্রশ্ন pdf download
বিষয় কোড: ১০১
সময়: ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট পূর্ণমান: ৭০
[দ্রষ্টব্য: ডান পাশের সংখ্যা প্রশ্নের পূর্ণমান জ্ঞাপক। প্রদত্ত উদ্দীপকগুলো মনোযোগ সহকারে পড় এবং সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। গদ্য অংশ থেকে ন্যূনতম ২টি, কবিতা অংশ থেকে ন্যূনতম ২টি, উপন্যাস অংশ থেকে ন্যূনতম ১টি ও নাটক অংশ থেকে ন্যূনতম ১টি করে মোট ৭টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। একই প্রশ্নোত্তরে সাধু ও চলিত ভাষারীতির মিশ্রণ দূষণীয়]
ক অংশ - গদ্য
১. আরজ আলী মাতুব্বর একজন স্বশিক্ষিত মানুষ। বরিশালের এক প্রত্যন্ত গ্রামে তার বাড়ি। বাল্যকাল থেকে নতুন কিছু জানা এবং বইয়ের প্রতি আগ্রহ ছিল প্রচুর। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার বেশি দূর লেখাপড়া হয়ে ওঠেনি। কিন্তু বইয়ের প্রতি তার বই অদম্য আগ্রহের কাছে সকল প্রতিবন্ধকতা হার মানে। পরবর্তী সময়ে তিনি বরিশালের পাবলিক লাইব্রেরিতে খুব সামান্য বেতনে চাকরি নেন। লাইব্রেরির বই পরিষ্কার করার ফাঁকে ফাঁকে বইয়ের মধ্যে বুঁদ হয়ে থাকতেন। বই পড়াই হয়ে ওঠে তার একমাত্র নেশা। আর এ নেশাই তাকে পরবর্তী সময়ে একজন দার্শনিকে পরিণত করে। সুশিক্ষিত লোক মাত্রই যে স্বশিক্ষিত তা আরজ আলী মাতুব্বরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
ক. প্রমথ চৌধুরীর পৈত্রিক নিবাস কোথায়? ১
খ. ‘যে জাতির জ্ঞানের ভান্ডার শূন্য, সে জাতির ধনের ভাঁড়েও ভবানী’ উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. বাঙালি সমাজ ভাবনায় অর্থনৈতিক প্রসঙ্গ উদ্দীপকে ও ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে কীভাবে ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত” মন্তব্যটি উদ্দীপক ও ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের আলোকে মূল্যায়ন কর। ৪
২. শিববাড়ির বড় মন্দির। পূজার মস্ত আয়োজনে ব্যস্ত গ্রামের সকলে। সুন্দর করে সাজানো হয়েছে মন্দির। গ্রামের জমিদার নিজ হাতে মন্দির সাজানোর কাজ করছেন। পাশের গ্রাম থেকে ভক্তরা আসছে মায়ের পূজা দিতে। পুরোহিতের কণ্ঠে মন্ত্রের উচ্চারণে পূজা শুরু হলো। পুরোহিত মন্ত্র পড়ার ফাঁকে ফাঁকে পূজার ঘণ্টা বাজান। এমন সময় গর্জে উঠল জমিদারের কণ্ঠ। মন্দিরে পূজা দিতে এসেছে এক মেথরের গৃহবধূ। জমিদার বলল, ‘ছোট জাত হয়ে মায়ের মন্দিরে পূজা দেবার শখ?” জমিদারের নির্দেশে তাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হলো মন্দির থেকে। আঁচল দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে চলে গেল গৃহবধূ। আবার শুরু হলো পূজা।
ক. কাঙালীর বাবার নাম কী? ১
খ. ‘বাগদি-দুলে ঘরের কেউ কখনো ওষুধ খেয়ে বাঁচে না’- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের মূলভাব ‘অভাগীর স্বর্গ’ গল্পের কোন ঘটনাকে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “মেথরের গৃহবধূকে মন্দির থেকে বের করে দেওয়ায় তৎকালীন হিন্দু সমাজের সংকীর্ণ মনেরই পরিচয় পাওয়া যায়”- উক্তিটির সত্যতা অভাগীর
স্বর্গ’ গল্পের আলোকে যাচাই কর। ৪
এসএসসি বোর্ড পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতির জন্য পড়ুন সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্ন-উত্তরসহ:
৩. তোমরা একতারা বাজাইয়ো না, দোতারা বাজাইয়ো না
গিটার আর বঙ্গ বাজা রে, তোমরা গিটার আর বঙ্গ বাজাও রে
একতা বাজাইলে মনে পইড়া যায়, একদিন বাঙালি ছিলাম রে।
ক. ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ সম্পাদনা করেন কে? ১
খ. ‘নচেৎ এ সকল কেবলি ভুয়া, কেবলি ফক্কিকার’- বুঝিয়ে লেখ। ২
গ. উদ্দীপকে ‘পল্লিসাহিত্য’ প্রবন্ধের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে?- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘পল্লিসাহিত্য’ প্রবন্ধের বিষয়বস্তুকে সামগ্রিকভাবে ধারণ করেনি”- মন্তব্যটি বিচার-বিশ্লেষণ কর। ৪
৪. পনেরো বছর বয়সে বাড়ির বড় বউ হয়ে এসেছে বিন্দু। তার চোখের চাহনি যেন কবিতায় মোড়ানো এক ছন্দময় কবিতা। বাড়ির পাঁচিলের ধারে গাছে গাছে আমের মুকুল এলে আর দক্ষিণা বাতাস মন ছুঁয়ে গেলে সে বুঝতে পারে ধরাতলে বসন্ত এসেছে। তবে বিশ্বজগৎ তার ঋতুর সুধাপাত্র হাতে করে যেমন করেই ডাক দিক না কেন, বিন্দু বুঝতে পারে অতি তুচ্ছ ইট-কাঠের অন্তরালেই তাকে তিলে তিলে মরতে হবে। বিয়ের বিশটি বছর পর সে আবিষ্কার করে নিজেকে। দেখে- সংসারের প্রতিদিনকার জীবনযাত্রার
মধ্যে কখন সে হারিয়ে ফেলেছে তার ব্যক্তিক সত্তাকে, তার কাব্যিক সত্তাকে।
ক. বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় কোন পত্রিকায় ব্যাঙ্গাত্মক কবিতা ও প্যারোডি লিখে সাহিত্যাঙ্গনে প্রবেশ করেন? ১
খ. ‘নিমগাছের ইচ্ছে করতে লাগলো লোকটার সঙ্গে চলে যেতে’- কেন? বুঝিয়ে লেখ। ২
গ. উদ্দীপকের বিন্দুর সাথে ‘নিমগাছ’ গল্পের প্রতীকী নিমগাছের ও লক্ষীবউর সাদৃশ্য/বৈসাদৃশ্য নিরূপণ কর। ৩
ঘ. “উদ্দীপকটি ‘নিমগাছ’ গল্পের মূলগল্পকে উপস্থাপন করেছে’- ‘নিমগাছ’ গল্পের আলোকে উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪
খ অংশ - কবিতা
৫. উদ্দীপক-১
এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে- সবচেয়ে সুন্দর করুণ;
সেখানে সবুজ ডাঙা ভ’রে আছে মধুক‚পী ঘাসে অবিরল;
সেখানে গাছের নাম: কাঁঠাল, অশ্বত্থ, বট, জারুল, হিজল;
সেখানে ভোরের মেঘে নাটার রঙের মতো জাগিছে অরুণ।
উদ্দীপক-২
সন্ধ্যা হলে? মৌমাছি চাক আজো বাঁধে না কি
জামের নিবিড় ঘন ডালে, মৌ খাওয়া হয়ে গেলে আজো তারা
উড়ে যায় কুয়াশায় সন্ধ্যার বাতাসেÑ
কতো দুরে যায়, আহা... অথবা হয়তো কেউ চালতার ঝরাপাতা জ্বালে
মধুর চাকের নিচে- মাছিগুলো উড়ে যায়... ঝরে পড়ে... ম’রে থাকে ঘাসে।
ক. ‘মাল্যবান’ কী জাতীয় রচনা? ১
খ. ‘সেদিনও দেখিবে স্বপড়ব’ বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? ২
গ. উদ্দীপক-১ ও ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময়তার যে চিত্র অঙ্কিত হয়েছে তা চিহ্নিত কর। ৩
ঘ. “ব্যক্তি মানুষ হারিয়ে যায় প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে কিন্তু পৃথিবীর গল্পগুলো বেঁচে থাকে চিরকাল” উদ্দীপক-২ ও ‘সেইদিন এই মাঠ’ কবিতার আলোকে উক্তিটি বিচার কর। ৪
৬. একটি নতুন পৃথিবীর জন্ম হতে চলেছে।
ক. মতলব মিয়া কে? ১
খ. ‘একটি নতুন পৃথিবীর জন্ম হতে চলেছে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. চিত্র-১ এ ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতার কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “স্বাধীনতাযুদ্ধে নারীর অবদান সমুজ্জ্বল ত্যাগের মহিমায়, সংগ্রামী চেতনায়”- ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা’ কবিতার আলোকে উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর। ৪
৭. মা তুই যাসনে আর ঐ বদ্যি বাড়ি
একলা ঘরে তোর সাথে আজ বাঁধব আড়ি।
চুপ করে থাক ল²ী খোকা এইতো আমি।
যাবো আসবো বদ্যিমশায় অনেক দামি
তুই ছাড়া মোর ভুবনখানা শ্মশন কালো
সুস্থ হয়ে করবি আমার কোল যে আলো।
ঠিক আছে মা, আনগে ওষুধ এই বেলা।
কালকে আবার পাড়ার মাঠে সেই খেলা।
ক. সাত নবি সিকায় কী বেঁধে রাখার কথা বলা হয়েছে? ১
খ. ‘আঁধারের সাথে যুঝিয়া তাহার ফুরায়ে এসেছে তেল’- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের খোকার সাথে ‘পল্লিজননী’ কবিতার ছেলেটির সাদৃশ্য কোথায়? নির্ণয় কর। ৩
ঘ. “সন্তান বাৎসল্যই উদ্দীপকের খোকার মা ‘পল্লিজননী’ কবিতার পল্লি মাকে এক সূত্রে বেঁধেছে”- আলোচনা কর। ৪
গ অংশ - উপন্যাস
৮. স্বাধীনতা, বাংলাদেশ-এই মতো শব্দ থেকে ওরা
আমাকে বিচ্ছিনড়ব করে রাখছে সর্বদা। অথচ জানেনা ওরা কেউ
গাছের পাতায়, ফুটপাতে
পাখির পালকে কিংবা নারীর দু'চোখে
পথের ধুলোয়
বস্তির দুরন্ত ছেলেটার
হাতের মুঠোয়
সর্বদাই দেখি জ্বলে স্বাধীনতা নামক শব্দটি।
ক. বুধাকে কে ছনড়বছাড়া বলে ডাকে? ১
খ. ‘ওর সামনে জেগে ওঠে একটি ভয়াবহ কুটিল রাত’Ñ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকটি ‘কাকতাড়–য়া’ উপন্যাসের বুধার সাথে কীভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকটি ‘কাকতাড়–য়া’ উনপ্যাসের সমগ্র ভাবকে ধারণ করে কি? যুক্তিসহ প্রমাণ কর। ৪
৯. মুক্তিকামী দুরন্ত পথিক বিপ্লবের অগিড়বমন্ত্রে দীক্ষিত এক মুক্ত সৈনিক। সে জানে মুক্তির পথ বন্ধুর পথ। সে পথে পথে মৃত্যু ওঁৎ পেতে আছে। তবু করুণ মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে তার কোনো দ্বিধা নেই। কারণ দুরন্ত পথিক চিরন্তন মুক্তিকামী।
ক. ‘পোকামাকড়ের ঘরবসতি’ কার লেখা? ১
খ. ‘এবার মৃত্যুর উৎপাত শুরু করে ভিন্ন রকমের মানুষ’- এ কথা দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের কোন দিকটি উদ্দীপকে প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “উদ্দীপকের দুরন্ত পথিক ও ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধা সমধর্মী হলেও পুরোপুরি এক নয়”- মন্তব্যটির ক্ষেত্রে তোমার মতামত ব্যক্ত কর। ৪
ঘ অংশ - নাটক
১০. দুরন্ত হরিণীর মতো চঞ্চলা স্বভাবের মেয়ে জমিলা বউ হয়ে যার ঘরে আসে তার নাম মজিদ। লোকটি গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলোর অসহায়তার সুযোগ নিয়ে অজ্ঞাতনামা প্রাচীন কবরকে মাজার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে প্রভাব প্রতিপত্তি গড়ে তুলেছে। জমিলা মজিদকে প্রথম দেখার অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করতে গিয়ে বলে, “তয় দেইখা আমি কই; দ্যুত, তুমি আমার লগে মস্করা কর খোদেজা বুবু। কারণ কী আমি ভাবলাম, তানি বুঝি দু লার বাপ।”
ক. ‘বহিপীর’ নাটকটি কত সালে প্রকাশিত হয়? ১
খ. ‘তাহারা তাহাদের নতুন জীবনের পথে যাইতেছে’Ñ বহিপীরের এরূপ উক্তির কারণ ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের জমিলা চরিত্রের সাথে ‘বহিপীর’ নাটকের তাহেরার সাদৃশ্যপূর্ণ দিকটি তুলে ধর। ৩
ঘ. “ধর্মকে পুঁজি করে স্বীয় স্বার্থ চরিতার্থ করাই মজিদ এবং বহিপীরের প্রকৃত ধর্ম”- উদ্দীপক ও ‘বহিপীর’ নাটকের আলোকে মন্তব্যটি যাচাই কর। ৪
১১. সন্ধ্যাবেলা পুকুর ঘাটে পানি নিতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায় মিনতি। পরিবারের সকলের এবং প্রতিবেশীদের বিশ্বাস তার উপর জিন-ভূতের আছর পড়েছে। শীঘ্রই কোনো পীরফকিরের কাছে নিতে হবে। এ সিদ্ধান্তে ঘোর বিরোধিতা করে মিনতির বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া পিসতুতো ভাই সুকুমার। সে মিনতিকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে ডাক্তার দেখালে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। মূলত শারীরিক দুর্বলতার কারণেই এমনটি হয়েছিল।
ক. সূর্যাস্ত আইন কত সালে প্রণীত হয়? ১
খ. ‘খালি কচুরিপানা, কেবল কচুরিপানা ভেসে যায়’- কে কখন কেন এই উক্তিটি করেছে? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের সুকুমার ও ‘বহিপীর’ নাটকের হাশেমের চেতনার সাদৃশ্য বিচার কর। ৩