G

বাংলাদেশের অবস্থান, আয়তন ও ভূ-প্রকৃতি

বাংলাদেশের অবস্থান ও সীমা

১. অবস্থানঃ ২০°৩৪' -২৬°৩৮' উ. অক্ষাংশ এবং ৮৮°০১' -৯২°৪১' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।
২. সীমাঃ বাংলাদেশের পূর্বে ভারতের আসাম, ত্রিপুরা রাজ্য, মিজোরাম এবং মায়ানমার, পশ্চিমে পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরে ভারতের পশ্চিম বঙ্গ, মেঘালয় ও আসাম এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত।
৩. আয়তনঃ ১৪৭৫৭০ বর্গ কি. মি/ ৫৬৯৭৭ বর্গ মাইল।
৪. মোট সীমানাঃ ৫১৩৮ কি. মি., ভারত-৪১৪৪ কি. মি., সমুদ্র- ৭১১ কি. মি., মায়ানমার-২৮৩ কি. মি.।
৫. অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা- ২০০ নটিক্যাল মাইল ও রাজনৈতিক- ১২ নটিক্যাল মাইল।
৬. কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য-১৫৫ কি. মি.।
৭. সর্ব উত্তরের জায়গা- জায়গীর জোত, ইউনিয়ন- বাংলাবান্ধা, উপজেলা-তেতুলিয়া, জেলা- পঞ্চগড়।
৮. সর্ব দক্ষিণের জায়গা- ছেড়া দ্বীপ, ইউনিয়ন-সেন্টমার্টিন, উপজেলা, টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার।
৯. সর্ব পূর্বের জায়গা- আখানইঠং, উপজেলা- থানচি, জেলা-বান্দরবান।
১০. সর্ব পশ্চিমের জায়গা- মনাকশা, উপজেলা- শিবগঞ্জ, জেলা- চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
১১. সর্ব পূর্বের থানা- জকিগঞ্জ (সিলেট), দক্ষিণ-পশ্চিমের থান- শ্যামনগর (সাতক্ষীরা)।
১২. দক্ষিণ-পূর্বের থানা- টেকনাফ (কক্সবাজার), উত্তর-পশ্চিমের থানা-তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়)।
১৩. বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা-৩১টি।
১৪. দেশে মোট উপজেলা-৪৮৩। মোট থানা- ৬০৯। মোট পৌরসভা-৩০৯টি।
বাংলাদেশের অবস্থান, আয়তন ও ভূ-প্রকৃতি

বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতিঃ 

১। টারশিয়ারী যুগের পাহাড়সমূহ
২। প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ
৩। সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমি।

১। টারশিয়ারী যুগের পাহাড় সমূহঃ দক্ষিণপূর্ব ও উত্তর পূর্ব অঞ্চলের পাহাড়সমূহ এ বিভাগের অন্তর্গত। পাহাড়গুলোকে আসামের লুসাই এবং আরাকানের পাহাড়ের সমগোত্রীয় বলে ধারণা করা হয়। এ পাহাড়গুলো বেলেপাথর, শেল পাথর ও কর্দম দ্বারা গঠিত। দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের পাহাড়সমূহের গড় উচ্চতা ৬১০ মিটার। এখানে রয়েছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ বিজয় (তাজিংডং), উচ্চতা ৩১৮৫ ফুট। উত্তর পূর্বাঞ্চলের পাহাড়গুলোর সর্বোচ্চ উচ্চতা ২৪৪ মিটার। কোথাও কোথাও এদের উচ্চতা ৩০ থেকে ৯০ মিটার।

২। প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহঃ আনুমানিক ২৫,০০০ বছর পূর্বের সময়কে প্লাইস্টোসিনকাল বলা হয়। উত্তর পশ্চিমাংশের বরেন্দ্রভূমি, মধ্যভাগের ভাওয়ালের গড় এবং কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড় ও উচ্চভূমি এ বিভাগের অন্তর্গত। এ অঞ্চলের মাটির রং লাল ও ধুসর।

৩। সাম্প্রতিককালের প্লাবন সমভূমিঃ টারশিয়ারী গুগের পাহাড়সমূহ এবং প্লাইস্টোসিনকালের সোপানসমূহ চাড়া সমগ্র বাংলাদেশ এক বিস্তীর্ণ সমভূমি। এটি নদীবিধৌত পলি দ্বারা সুষ্ট এক বিস্তীর্ণ সমভূমি। প্লাবন সমভূমি বাংলাদেশের উত্তরাংশ থেকে উপক‚লের দিকে ক্রমনিম্নভাবে নেমেছে।

No comments:

Post a Comment