G

বাংলাদেশ (BD) সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান GK pdf download

GK

সাধারণ জ্ঞানঃ বাংলাদেশ


সাংবিধানিক নাম- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ (The people’s Republic of Bangladesh)

রাজধানী- ঢাকা, বানিজ্যিক রাজধানী- চট্টগ্রাম।

সরকার পদ্ধতি- সংসদীয় পদ্ধতির সরকার।

আয়তন- ১,৪৭,৪৭০ বর্গকিমি/ ৫৬,৯৭৭ বর্গমাইল।

রাজনৈতিক অবস্থান- দক্ষিণ এশিয়ায় অবস্থিত।

ভৌগোলিক অবস্থান- ২০° ৩' উত্তর অক্ষাংশ হতে ২৬°৩৮' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°১' পূর্ব দ্রাঘিমা হতে ৯২°৪১' পূর্ব দ্রাঘিমায় অবস্থিত।

সমুদ্রসীমা- রাজনৈতিক (১২ নটিক্যাল মাইল), অর্থনৈতিক (২০০ নটিক্যাল মাইল)

সীমানা- ৫১৩৮ কি. মি (ভারত ৪১৪৪, সমুদ্রসীমা ৭১১, মায়ানমার ২৮৩)

বিভাগ- ৭টি, জেলা- ৬৪টি, উপজেলা- ৪৮৩, থানা- ৬০৯, সিটি কর্পোরেশন- ১৫, পৌরসভা- ৩০৯, ইউনিয়ন- ৪৪৯৮/৪৫০১

বৃহৎবিভাগ- ঢাকা (লোকসংখ্যা), চট্টগ্রাম (আয়তন)

ক্ষুদ্র বিভাগ- সিলেট (লোকসংখ্যা ও আয়তন)

বৃহত্তর জেলা- রাঙ্গামাটি (৬,১১৬ বগূকিলোমিটার)

ক্ষুদ্র জেলা- মেহেরপুর (৭১৬ বর্গমিলোমিটা)

বেশী ঘনবসতিপূর্ণ জেলা- ঢাকা।

কম ঘনবসতিপূর্ণ জেলা- বান্দরবান (৬৫/বর্গকি.মি.)

জলবায়ুর ধরণ- ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু।

গড় বৃষ্টিপাত- ২০৩ সে. মি।

উষ্ণতম মাস- এপ্রিল, শীতলতম মাস- জানুয়ারী।

টেলিভিশন কেন্দ্র- ২টি (ঢাকা ও চট্টগ্রাম)

বেতার কেন্দ্র- ৬টি (ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর)

বিমানবন্দর- ১৪টি (আন্তর্জাতিক-৩টি) 

প্রথম রাষ্ট্রপতি- শেখ মুজিবুর রহমান।

প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি- সৈয়দ নজরুল ইসলাম।

প্রথম প্রধানমন্ত্রী- তাজউদ্দীন আহমেদ।

বর্তমান রাষ্ট্রপতি- আব্দুল হামিদ

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী- শেখ হাসিনা

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার-

বিশ্ববিদ্যালয়- সরকারী (৩১)-, বেসরকারী (৫৯), 

মেডিকেল কলেজ- ১৮, টি, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়-১টি

ক্যাডেট কলেজ- ১২টি,

তফসিল ভূক্ত ব্যাংকের সংখ্যা- ৪৮টি

EPZ-এর সংখ্যা- ৮টি

নদনদীর সংখ্যা- ২৩০টি, আন্তর্জাতিক-৫৭টি।

দীর্ঘতম নদী- মেঘনা

বৃহত্তম বন- সুন্দরবন (বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন, ৫,৫৭৫ বর্গ কি. মি.)

সমুদ্রবন্দর- ২টি (চট্টগ্রাম, মংলা)

স্থলবন্দর- ১৪টি

বৃহৎদ্বীপ- ভোলা, একমাত্র প্রবাল দ্বীপ- সেন্টমার্টিন, বৃহৎ বদ্বীপ- সুন্দরবন, 

বৃহৎ সৈকত- কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত (১৫৫ কিলোমিটার)

বাংলার উদ্ভবঃ দেশবাচক নাম হিসেবে ‘বাংলা’র ব্যবহার মুসলিম অধিকারের যুগে প্রচলিত হয়। সুলতান শামসউদ্দিন ইলিয়াস শাহ (১৩৫২-১৩৫৮) লক্ষণাবতী, রাঢ়, বাঙ্গালা প্রভৃতি অঞ্চলের রাজনৈতিক ঐক্য স্থাপন করে নিজে শাহ-ই-বাঙ্গালা ও সুলতান-ই-বাঙ্গালা উপাধি ধারণ করেন। এ সময় থেকেই সমগ্র বাংলা ভাষাভাষী ভূ-ভাগ বাঙ্গালা নামে পরিচিত হয় এবং অধিবাসীরা বাঙ্গালি নামে অভিহিত হয়। খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০ বছর আগেকার ঋগ্বেদের ‘ঐতরেয় আরণ্যক’ গ্রন্থে ‘বঙ্গ’ নামে দেশের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়।

১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সময় বাংলা প্রদেশ পূর্ববাংলা ও পশ্চিমবাংলা নামে দুটি প্রদেশে বিভক্ত হয়। পূর্ববাংলা পাকিস্তান রাষ্ট্রের এবং পশ্চিমবাংলা ভারত রাষ্ট্রের অন্তর্ভূক্ত হয়। পরে পূর্ববাংলার নাম পরিবর্তন করে পূর্ব পাকিস্তান রাখা হয়। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ পূর্ব পাকিস্তান রাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে স্বাধীন রাষ্ট্ররূপে বাংলাদেশ নাম গ্রহণ করে। অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ ঘটে।


জনপদ সমূহঃ
প্রাচীনকালে বাংলাদেশে কোনো একক রাষ্ট্র ছিল না। এটি তখন কতকগুলো অঞ্চলে বিভক্ত ছিল। অঞ্চলগুলো জনপদ নামে পরিচিত ছিল। প্রায় ১৬টি জনপদের কথা জানা যায়। ভিন্ন ভিন্ন রাজা এক একটি জনপদ শাসন করতেন।

জনপদ: সীমানা

বঙ্গ: কুষ্টিয়া, যশোর, নদীয়া, শান্তিপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ

সমতট: কুমিল্লা, নোয়াখালী

হরিকেল: চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, ত্রিপুরা, সিলেট

রাঢ়: মেদিনীপুর

চন্দ্রদ্বীপ: বরিশাল

বরেন্দ্র/পুণ্ড: রাজশাহী, বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর

গৌড়: চাঁপাইনবাবগঞ্জ, উড়িষ্যা, মুর্শিদাবাদ

সপ্তগাঁও: খুলনা ও সমুদ্রবীরবর্তী সকল অঞ্চল

আরাকান: কক্সবাজার

বাংলাদেশ সম্পর্কিত সাধারণ জ্ঞান


 বিভিন্ন সালে আগত প্রশ্ন সংশ্লিষ্ট তথ্যাবলীঃ

১. প্রাচীন পুন্ড্রনগর মহাস্থানগড়ে অবস্থিত।

২. বর্তমান ঢাকা জেলা প্রাচীনকালে বঙ্গ জনপদের অধীনে ছিল।

৩. ইবনে বতুতা (মরক্কো) সোনারগাঁ এসেছিলেন।

৪. বাংলায় মুসলিম আধিপত্য বিস্তারের সূচনা করেন ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি।

৫. ইরানের কবি হাফিজের সাথে পত্রালাপ হয়েছিল গিয়াসউদ্দীন আজম শাহের।

৬. মহাস্থান বাংলাদেশের প্রাচীনতম নগরকেন্দ্র।

৭. পাহাড়পুরের বৌদ্ধ বিহারের নিমার্তা ধর্মপাল।

৮. বাংলাদেশের মহাস্থানগড়ে মৌর্যযুগের শিলালিপি পাওয়া গেছে।

৯. চাপাঁইনবাবগঞ্জ জেলায় প্রাচীন গৌড় নগরীর অংশবিশেষ অবস্থিত।

১০. রাজশাহী বিভাগের উত্তর পশ্চিমাংশ বরেন্দ্রভূমি নামে পরিচিত।

১১. বাংলার শেষ হিন্দু রাজা লক্ষণ সেন।

১২. ষাট গম্বুজ মসজিদের গম্বুজ ৮১টি।

১৩. শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহের সময় হতে সমগ্র বাংলা পরিচিত হয় বাঙ্গালাহ নামে।

১৪. বিখ্যাত সাধক শাহ সুলতান বলখীর মাজার মহাস্থানগড়ে অবস্থিত।

১৫. সোনারগাঁও মসলিন শিল্পের জন্য বিখ্যাত।

১৬. চন্দ্রদ্বীপ বরিশালের প্রাচীন নাম।

১৭. বাংলার রাজধানী হিসাবে সোনারগাঁও-এর পত্তন করেন ঈশা খাঁ।

১৮. হযরত শাহজালাল গৌড় গোবিন্দকে পরাজিত করে সিলেটে আযান ধ্বনি দিয়েছিলেন।

১৯. সিলেটকে বলা হয় ৩৬০ আউলিয়ার দেশ।

২০. প্রাচীন কালে সমতট বলতে নোয়াখালী ও কুমিল্লা জেলাকে বোঝানো হত।

২১. বাংলার আদি জনগোষ্ঠী অস্ট্রিক ভাষা-ভাষী ছিল।

২২. অতীশ দীপঙ্কর মুন্সিগঞ্জ জেলার অধিবাসী।

২৩. প্রচীনকালে এদেশের নাম বঙ্গ ছিল।

২৪. অতীশ দীপঙ্কর তিব্বতে বৌদ্ধধর্ম প্রচার করে বিখ্যাত হন।

২৫. বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মধ্যযুগীয় মসজিদ ষাট গম্বুজ মসজিদ।

২৬. বখতিয়ার খলজি বাংলা জয় করেন ১২০৪ সালে।

২৭. ‘শাহ-ই-বাঙ্গালাহ’- শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের উপাধি।

No comments:

Post a Comment