পরিবেশ দূষণ | অনুচ্ছেদ | বাংলা ২য় পত্র

পরিবেশ দূষণ
[ঢা. বো. ১৫]
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে প্রকৃতি ও পরিবেশের ওপর। জীবনযাপন তাই এখন অনেক আধুনিক, অনেক সহজ। কিন্তু তা করতে গিয়ে মানুষ পরিবেশ ধ্বংসের নেতিবাচক দিকে লক্ষ রাখছে না। মানুষসহ অন্যান্য জীবজন্তু পরিবেশও প্রকৃতির অংশ। প্রকৃতির দানেই মানুষ নানা আঙ্গিকে নিজের জীবনকে সাজিয়ে তুলেছে। অথচ অবিবেচক মানুষদের কারণেই পরিবেশ আজ ক্রমান্বয়ে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। পরিবেশ দূষণ মূলত দুটি কারণে ঘটে। একটি হচ্ছে প্রাকৃতিক কারণ আর অন্যটি মানবসৃষ্ট কারণ। বর্তমান সময়ে পরিবেশ দূষণের পেছনে মানুষের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। জনসংখ্যার বিস্ফোরণের কারণে প্রাকৃতিক সম্পদ- বায়ু, পানি, মাটির ওপর প্রচণ্ড চাপ পড়ছে। বনজ সম্পদ ধ্বংসে রীতিমতো উৎসব চলছে বিশ্বজুড়ে। ফলে পরিবেশ দূষণের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বাতাসে ধুলোবালি, কলকারখানা ও যানবাহনের ধোঁয়া, কীটনাশক ইত্যাদির উপস্থিতি বাড়ছে আশঙ্কাজনকভাবে। কলকারখানার বর্জ্য, কীটনাশক ইত্যাদি পানিকে করে তুলেছে বিষাক্ত। হাজারো রকমের উৎকট শব্দের কারণে শব্দদূষণ ঘটছে। নষ্ট হচ্ছে মনের শান্তি। ক্ষতিকর রাসায়নিক ও যত্রতত্র আবর্জনা ফেলায় দূষিত হচ্ছে মাটি। এভাবে দূষিত হতে থাকলে একসময় পরিবেশের ভারসাম্য সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে এই বিশ্ব জীবের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে উঠবে। অর্থাৎ পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব আজ মারাত্মক হুমকির মুখে। বিশ্বের পরিবেশবাদীরা চেষ্টা করছেন এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে তুলতে। নেওয়া হচ্ছে নানামুখী পদক্ষেপ। উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণ-এ দুয়ের মাঝে সমন্বয় সাধনের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে জনসংখ্যার বৃদ্ধি রোধ ও পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা ব্যাপক ভিত্তিতে তৈরি না হলে পরিবেশ দূষণ কমানো সম্ভব হবে না। পরিবেশ দূষণ যাতে না ঘটে সে ব্যাপারে সবারই ভূমিকা রাখা উচিত। সকলের সচেতনতাই আমাদের পরিবেশকে সুস্থ ও সুন্দর করে তুলতে পারে।

পরিবেশ দূষণ | অনুচ্ছেদ | বাংলা ২য় পত্র
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post