বাংলা (Bangla) সাধারণ জ্ঞান (GK) প্রশ্ন ও উত্তর PDF Download

গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ জ্ঞান বাংলা বিষয়াবলী প্রশ্ন ও উত্তর। সাধারণ জ্ঞান বাংলা বিষয়াবলি আপডেট। General knowledge in Bangla update mcq. GK in Bangla mcq
 GK - সাধারণ জ্ঞান 
 বাংলা - Bangla Literature 

১. Ballad কী?
[ক] লোকগীতি
[খ] লোকগাথা
✅ গীতিকা
[ঘ] গাথা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 Ballad-কে বাংলায় বলা হয়- ‘গীতিকা’ যা আখ্যানধর্মী লোকসাহিত্য।
🔶 Ballad-এর প্রধান গুণ- নাটকীয়তা ও সংলাপধর্মিতা।
🔶 Ballad-এর বিষয়বস্তুতে থাকে- একটিমাত্র ঘটনা বা সঙ্কটপূর্ণ কাহিনী।
🔶 Ballad-কে বলে- রাশিয়ায় byliny, সেঙনে romances, ডেনমার্কে viser, ইউক্রেনে dumi, সাইবেরিয়ায় Junacka pesme ইত্যাদি।
🔶 বাংলাসাহিত্যের উল্লেখযোগ্য Ballad- নাথ গীতিকা, ময়মনসিংহ গীতিকা ইত্যাদি।

২. ‘শাহনামা’ মৌলিক গ্রন্থটি কার?
[ক] মালিক জয়সী
✅ ফেরদৌসী
[গ] সৈয়দ হামজা
[ঘ] কাজী দৌলত উজির বাহরাম খাঁ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 গজনির অধিপতি সুলতান মাহমুদের রাজসভার কবি আবুল কাসিম মনসুর ফেরদৌসী রচনা করেন- ইরানের বিখ্যাত মহাকাব্য ‘শাহনামা’।
🔶 মহাকাব্যটিতে তৎকালীন ক্ষমতাসীনদের প্রশস্তি বর্ণনা করলেও মুখ্য বিষয় ছিল- ইরানের বীর ও বাদশা-সম্রাটদের কাহিনী।
🔶 ইরানিদের জাগরণের জয়গান সমৃদ্ধ মহাকাব্যটি রচিত হয়েছে- দীর্ঘ ত্রিশ বছর কঠোর পরিশ্রমে।

৩. ড.  মুহম্মদ শহীদুল্লাহর বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস গ্রন্থের নাম-
[ক] বঙ্গভাষা ও সাহিত্য
✅ বাংলা সাহিত্যের কথা
[গ] বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস
[ঘ] বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
বাংলা সাহিত্যের কথা
🔶 ড.  মুহম্মদ শহীদুল্লাহর বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস গ্রন্থ- ‘বাংলা সাহিত্যের কথা’ (১ম খন্ড ১৯৫৩, ২য় খন্ড ১৯৬৫)।
🔶 তার রচিত গবেষণা ও ভাষাতত্তব বিষয়ক গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত (১৯৬৫), ভাষা ও সাহিত্য (১৯৩১) ইত্যাদি।
🔶 ড.  মুহম্মদ শহীদুল্লাহ জন্মগ্রহণ করেন- পশ্চিমবঙ্গের চবিবশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে।
🔶 লেখকের অনুবাদ গ্রন্থ- ‘শিক্ওয়াহ ও জওয়াব-ই-শিক্ওয়াহ’।
🔶 ‘আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি’-উক্তিটি- ড.  মুহম্মদ শহীদুল্লাহর।
বঙ্গভাষা ও সাহিত্য
🔶 ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ গ্রন্থটি লিখেছেন- ড.  দীনেশচন্দ্র সেন।
বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস
🔶 ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস’ (প্রবন্ধ/৪ খন্ড) গ্রন্থটি লিখেছেন- ড.  কাজী দীন মুহম্মদ।
বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত
🔶 ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত’ (প্রবন্ধ) লিখেছেন- মুহাম্মদ আব্দুল হাই ও সৈয়দ আলী আহসান যৌথভাবে।

৪. ‘চৌ-হদ্দি’ শব্দটি কোন কোন ভাষার শব্দ মিলে রয়েছে?
[ক] বাংলা + ফারসি
[খ] সংস্কৃত + ফারসি
✅ ফারসি + আরবি
[ঘ] সংস্কৃত + আরবি

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘চৌ-হদ্দি’ হলো- চৌ + হদ্দ।
🔶 ‘চৌ’ অংশটুকু সংস্কৃত এবং ‘হদ্দ’ অংশটুকু আরবি ভাষার শব্দ। সংস্কৃত ‘চৌ’ অর্থ- চার ‘হদ্দ’ অর্থ সীমানা।
🔶 সুতরাং চৌ-হদ্দি শব্দের অর্থ- চতুঃসীমা। যেমন- বাড়ি বা জমির চৌহদ্দি।

চাকুরির প্রস্তুতি
ব্যাংক জব কোর্স
 ▶️ ৬৭টি ভিডিও লেকচার     ❓ ৬৬০টি কুইজ 
 📝 ১০টি মডেল টেস্ট   * ৬৬টি ক্লাস ম্যাটারিয়ালস 
 উত্তর মনে রাখার সহজ কৌশল! 

৫. ‘রুপ লাগি আঁখি ঝুরে গুণে মন ভোর’ কার রচনা?
✅ চন্ডিদাস
[খ] জ্ঞানদাস
[গ] বিদ্যাপতি
[ঘ] লোচনদাস

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 চৈতন্য পরবর্তী বৈষ্ণব পদাবলীর কবি জ্ঞানদাস (ষোড়শ শতাব্দী) রচিত কৃষ্ণানুরাগ বিষয়ক বিখ্যাত পদ- ‘রুপ লাগি আঁখি ঝুরে গুণে মন ভোর’ পঙক্তিটি।
🔶 তার রচিত পদের স্বাভাবিক সৌন্দর্য; মাধুর্য ও সূক্ষ্মতা তুলনা হতে পারে- একমাত্র চন্ডীদাসের পদের সাথেই।
🔶 তিনি অসাধারণ কৃতিতব প্রদর্শন করেন- আক্ষেপানুরাগ, রূপানুরাগ ও মাথুরবিষয়ক পদ রচনায়।
🔶 বাংলা ও ব্রজবুলি কিংবা এ দুয়ের মিশ্র ভাষায় তিনি গভীর শিল্পবোধের পরিচয় প্রদান করেন- রাধার তপস্বিনীভাব, অতৃপ্ত প্রণয়াকাংক্ষার তীব্র জ্বালা, মিলনের জন্য ব্যাকুলতা, মিলনের গভীর উল্লাস ও বিরহের মর্মস্পর্শী আর্তি চিত্রণে।

৬. ‘সাজাহান’ নাটকের প্রথম রচয়িতা কে?
[ক] ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ
[খ] তুলসী লাহিড়ি
✅ দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
[ঘ] বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ১৯০৯ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়- দ্বিজেন্দ্রলাল (১৮৬৩-১৯১৩) রচিত ‘সাজাহান’ নাটকটি।
🔶 একটি ঐতিহাসিক নাটক- ‘সাজাহান’।
🔶 দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত অন্যান্য ঐতিহাসিক নাটক- নূরজাহান (১৯০৮), প্রতাপসিংহ (১৯০৫), সিংহল বিজয় (১৯১৬) ইত্যাদি।

৭. ‘নেমেসিস’ নাটকে নুরুল মোমেন কোন বিষয়কে তুলে ধরেছেন?
✅ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ
[খ] ঊনপঞ্চাশের মন্বন্তর
[গ] বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন
[ঘ] একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ঊনপঞ্চাশের মন্বন্তর
🔶 বিশিষ্ট নাট্যকার নূরুল মোমেন (১৯০৬-১৯৮৯) ‘নেমেসিস’ (১৯৪৮) নাটকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন- ঊনপঞ্চাশের মন্বন্তরকে।
🔶 তিনি খ্যাতি অর্জন করেন- সামাজিক সংকটের পটভূমিকায় অন্তর্দ্বন্দ্বমূলক নাট্য-চরিত্র অংকন করে।
🔶 লেখকের এরূপ কিছু নাটক- ‘রূপান্তর’ (১৯৪৭), ‘আলোছায়া’ (১৯৬২) ইত্যাদি।
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন
🔶 ‘বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন’-এর পটভূমিতে রচিত হয়- ‘কবর’ (মুনীর চৌধুরী), বায়ান্নোর জবানবন্দী (এম.  আর আখতার মুকুল) ইত্যাদি।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ
🔶 একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে রচিত হয়েছে- বহু সাহিত্যকর্ম, যেমন- আরেক ফাল্গুন (জহির রায়হান), আগুনের পরশমণি (হুমায়ুন আহমেদ), আমি বিজয় দেখেছি (এম.  আর.  আখতার মুকুল) ইত্যাদি।

৮. ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর কোন রাজসভার কবি?
[ক] আরাকান রাজসভা
✅ কৃষ্ণনগর রাজসভা
[গ] রাজা গণেশের রাজসভা
[ঘ] লক্ষণ সেনের রাজসভা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 মধ্যযুগের মঙ্গলকাব্যধারার শ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ কবি- ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।
🔶 তিনি ছিলেন- নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি।
🔶 ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আদেশে রচনা করেন- ‘অন্নদামঙ্গল’ (১৮১৬) কাব্য।
🔶 রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ভারতচন্দ্রকে প্রদান করেন-‘রায়গুণাকর’ উপাধি।
🔶 তার গুরুতবপূর্ণ রচনা- অন্নদামঙ্গল, বিদ্যাসুন্দর, রসমঞ্জরী, সত্যপীরের পাঁচালি, নাগাস্টক ইত্যাদি।

৯. ‘যা কিছু হারায় গিন্নী বলেন, কেষ্টা বেটাই চোর’ - এখানে ‘হারায়’ কোন ধাতু?
[ক] প্রযোজ্য ধাতু
[খ] ভাববাচ্যের ধাতু
[গ] সংযোগমূলক ধাতু
[ঘ] নাম ধাতু

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
সঠিক উত্তর নেই।
🔶 সঠিক উত্তর- প্রযোজক ধাতু।
🔶 মৌলিক ধাতুর পরে প্রেরণার্থ (অপরকে নিয়োজিত করা অর্থে) ‘আ’ প্রত্যয় যোগ করে যে ধাতু গঠিত হয় তাকেই বলা হয়- প্রযোজক বা নিজন্ত ধাতু বা কখনও কখনও কর্মবাচ্যের ধাতু।
নাম ধাতু
🔶 নাম ধাতু হলো- বিশেষ্য, বিশেষণ ও অনুকার অব্যয়ের পরে ‘আ’ প্রত্যয় যোগে গঠিত ধাতু।
সংযোগমূলক ধাতু
🔶 সংযোগমূলক ধাতু হলো- বিশেষ্য, বিশেষণ বা ধ্বন্যাত্মক অব্যয়ের সাথে কর্, দে, পা, খা, ছাড় ইত্যাদি মৌলিক ধাতুর সংযোগে গঠিত ধাতু। যেমন- ঘুম (বিশেষ্য) + আ+ ক্রিয়া বিভক্তি = ঘুমাচ্ছে (নাম ধাতু) যোগ (বিশেষ্য) + কর (ধাতু) = যোগ কর (সংযোগমূলক ধাতু)।

১০. ‘মহুয়া’ পালাটির রচয়িতা-
✅ দ্বিজ কানাই
[খ] মনসুর বয়াতী
[গ] নয়নচাঁদ ঘোষ
[ঘ] দ্বিজ ঈশান

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘মহুয়া’ পালাটির রচয়িতা- দ্বিজ কানাই।
🔶 ময়মনসিংহের পূর্বাঞ্চল থেকে সংগৃহীত একটি পালা গান- মহুয়া।
🔶 এটি রচিত- বেদে সর্দার হোমরার পালিত কন্যা মহুয়া ও বামন কান্দার তরুণ জমিদার নদের চাঁদের প্রণয় সম্পর্ক ও তার বিষাদময় পরিণতি অবলম্বনে।
🔶 দ্বিজ কানাই প্রণীত এই পালা সংগ্রহ করেন- চন্দ্রকুমার দে এবং পরবর্তীতে তা ময়মনসিংহ গীতিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।

১১. ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে বাংলা বিভাগ খোলা হয়-
[ক] ১৮০০ সালে
✅ ১৮০১ সালে
[গ] ১৮০২ সালে
[ঘ] ১৮০৪ সালে

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে বাংলা বিভাগ চালু করা হয়- ১৮০১ খ্রিস্টাব্দে।
🔶 উইলিয়াম কেরি এ বিভাগের প্রধান অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িতব গ্রহণ করেন- ১৮০১ সালের ৪ মে।
🔶 কোম্পানি বাংলায় কর্তৃতব প্রতিষ্ঠা করার পর প্রশাসন চালাতে এ দেশী ভাষাজ্ঞান, সাহিত্য, সমাজ, ইতিহাস ইত্যাদি জানার প্রয়োজন অনুভব করে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠা করে- ১৮০০ খ্রিস্টাব্দের ১৮ আগস্ট।
🔶 এর প্রধান কাজ ছিল- কোম্পানির তরুণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দান।
🔶 এ কলেজটি বন্ধ হয়ে যায়- ১৯৫৪ সালের ২৪ জানুয়ারি।

১২. কে সর্বপ্রথম বাংলা টাইপ সহযোগে বাংলা ব্যাকরণ মুদ্রণ করেন?
[ক] স্যার উইলিয়াম জোনস
[খ] স্যার উইলিয়াম কেরি
[গ] রাজীব লোচন মুখোপাধ্যায়
✅ ব্রাসি হ্যালহেড

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ১৭৪৩ খ্রিস্টাব্দে পর্তুগিজ পাদ্রি মানো এল দা আসসুম্পসাঁও পর্তুগিজ ভাষায় একটি বাংলা ব্যাকরণ ও একটি পর্তুগিজ বাংলা শব্দকোষ প্রণয়ন করেন, যা ছিল- বাংলা ভাষার প্রথম ব্যাকরণ ও শব্দকোষ।
🔶 পরবর্তীতে ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে নাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড নামক ইংরেজ পন্ডিত ইংরেজি ভাষায় প্রথম বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেন- 'A Grammar of the Bengal Language' নামে।
🔶 এ গ্রন্থ মুদ্রণে ব্যবহৃত হয়- সর্বপ্রথম ধাতুতে খোদাই বাংলা হরফ।
🔶 বাংলা হরফে মুদ্রণ করা হয়েছিল- গ্রন্থটির আংশিক।

১৩. ‘তত্তববোধিনী’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন-
[ক] ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
✅ অক্ষয়কুমার দত্ত
[গ] প্যারিচাঁদ মিত্র
[ঘ] বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
অক্ষয়কুমার দত্ত
🔶 ‘তত্তববোধিনী’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন- অক্ষয়কুমার দত্ত।
🔶 সাহিত্য, বিজ্ঞান, দর্শন, ইতিহাস, রাজনীতি, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ‘তত্তববোধিনী’ পত্রিকাটি যাত্রা শুরু করে- ১৮৪৩ সালে।
🔶 অক্ষয়কুমার দত্ত ব্রাহ্মসমাজ ও তত্তববোধিনী পত্রিকা পরিত্যাগ করেন- ১৮৫৫ খ্রি.।
🔶 তত্তববোধিনীকে একটি মুদ্রণযন্ত্র দান করেন- রামমোহন রায়ের পুত্র রাধাপ্রসাদ রায়।
🔶 তত্তববোধিনী পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে- ১৯৩২ খ্রি. পর্যন্ত।
🔶 এর অন্যান্য সম্পাদকগণ হলেন- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নবীনচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়, সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর, হেমচন্দ্র বিদ্যারত্ন প্রমুখ।
🔶 ১৮৩৯ সালে প্রতিষ্ঠিত তত্তববোধিনী সভা কর্তৃক প্রকাশিত এ পত্রিকার মাধ্যমেই সমাজে সূচনা হয়- আধুনিক দৃষ্টিসম্পন্ন নতুন চিন্তাধারার।
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
🔶 ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়- ‘সংবাদ প্রভাকর’ (১৮৩১) ও ‘সংবাদ রত্নাবলী’ (১৮৩২)।
প্যারিচাঁদ মিত্র
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
🔶 বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়- ‘বঙ্গদর্শন’ (১৮৭২) পত্রিকা।

১৪. কোনটি দীনবন্ধু মিত্রের রচনা?
✅ কমলে কামিনী
[খ] চক্ষুদান
[গ] বিধবা বিবাহ
[ঘ] ভদ্রার্জুন

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
কমলে কামিনী
🔶 বাংলা সাহিত্যের একজন প্রখ্যাত নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্রের (১৮৩০-১৮৭৩ খ্রি)উল্লেখযোগ্য নাটক- ‘কমলে কামিনী’ (১৮৭৩)।

১৫. কোন গ্রন্থটি মহাকাব্য?
[ক] অবকাশ রঞ্জিনী
✅ বৃত্র সংহার
[গ] বিরহ বিলাপ
[ঘ] বীরাঙ্গনা কাব্য

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
বৃত্র সংহার
🔶 কিছু বিখ্যাত মহাকাব্য- বৃত্রসংহার (১ম ও ২য় খন্ড), রামায়ণ (বাল্মীকি), মহাভারত (বেদব্যাস), মেঘনাদবধ (মাইকেল মধুসূদন দত্ত, ১৮৬১), হেমচন্দ্র, (১৮৭৫ ও ১৮৭৭), মহাশ্মশান (কায়কোবাদ, ১৯০৪), ইলিয়াড (হোমার), প্যারাডাইস লস্ট (মিল্পন) ইত্যাদি।
🔶 কোনো জাতির উত্থান-পতনের কাহিনী ওজস্বী ছন্দে বর্ণিত সাহিত্যকর্ম হলো- মহাকাব্য।
🔶 ‘বৃত্রসংহার’ মহাকাব্যের উপজীব্য- ‘বৃত্র’ নামক অসুর কর্তৃক স্বর্গবিজয় ও দেবরাজ ইন্দ্র কর্তৃক স্বর্গের অধিকার পুনঃস্থাপন ও বৃত্তাসুরের নিধনই।
অবকাশ রঞ্জিনী
🔶 নবীনচন্দ্র সেনের কাব্যগ্রন্থ- ‘অবকাশ রঞ্জিনী’।
বিরহ বিলাপ
🔶 কায়কোবাদের প্রথম কাব্যগ্রন্থ- বিলাপ’।
বীরাঙ্গনা কাব্য
🔶 মাইকেল মধুসূদনের এগারোটি পূর্ণপত্রে রচিত পত্রকাব্য- ‘বীরাঙ্গনা কাব্য’।
🔶 প্রথম বাংলা শিল্পসার্থক মহাকাব্য- মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’।
🔶 ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ রচিত হয়েছে- রামায়ণ-এর কাহিনী নিয়ে।
🔶 মাইকেল মধুসূদন বাংলা ছাড়া পারদর্শী ছিলেন- গ্রীক, ল্যাটিন, সংস্কৃত, হিব্রু, ফারসি, জার্মান, ইতালিয়ান, তামিল ও তেলেগু ভাষায়।

১৬. বত্রিশ সিংহাসন কার রচনা?
✅ মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
[খ] রামরাম বসু
[গ] বিদ্যাসাগর
[ঘ] রাজীব লোচন মুখোপাধ্যায়

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
🔶 ভাষাবিদ মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার (১৭৬২-১৮১৯) ছিলেন- উইলিয়াম কেরির অধীন পন্ডিত।
🔶 তিনি অধ্যাপনার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠিত ছিলেন- ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের লেখকগণের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ লেখক হিসেবে।
🔶 তিনি উইলিয়াম কেরির উৎসাহে রচনা করেন- বত্রিশ সিংহাসন (১৮০২), রাজাবলি (১৮০৮), হিতোপদেশ (১৮০৮), বেদান্তচন্দ্রিকা (১৮১৭) ও প্রবোধচন্দ্রিকা (১৮৩৩)।
রামরাম বসু
🔶 রামরাম বসু (১৭৫৭-১৮১৩) ছিলেন- উইলিয়াম কেরির সহযোগী পাঠ্যপুস্তক রচনাকারীদের অন্যতম অগ্রণী।
🔶 তিনি দুটি গদ্যগ্রন্থ রচনা করেন- রাজা প্রতাপাদিত্যচরিত্র (১৮০১) ও লিপিমালা (১৮০২)।
বিদ্যাসাগর
🔶 বাংলা গদ্যের অবয়ব নির্মাণ, শিক্ষা বিস্তার ও সমাজ সংস্কারে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮২০-১৮৯১)।
🔶 তার কিছু সাহিতকর্ম- বেতাল পঞ্চবিংশতি (১৮৪৭), শকুন্তলা (১৮৫৪), সীতার বনবাস (১৮৬০), আখ্যানমঞ্জুরী (১৮৬৩), ভ্রান্তিবিলাস (১৮৬৯) ইত্যাদি।

১৭. ‘ঠকচাচা’ চরিত্রটি কোন উপন্যাসের?
[ক] হুতোম প্যাঁচার নক্সা
✅ আলালের ঘরের দুলাল
[গ] সধবার একাদশী
[ঘ] বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 প্যারীচাঁদ মিত্র রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস ‘আলালের ঘরের দুলাল’-এর একটি প্রধান চরিত্র- ‘ঠকচাচা’ চরিত্রটি।
🔶 এ উপন্যাসের অন্য প্রধান চরিত্র হলো- বাঞ্ছারাম ও বাবু রাম বাবু।

১৮. ‘উদাসীন পথিকের মনের কথা’ কোন জাতীয় রচনা?
[ক] নাটক
[খ] কাব্য
✅ আত্মজৈবনিক উপন্যাস
[ঘ] গীতি কবিতার সংকলন

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 মুসলমান নাট্যকার মীর মশাররফ হোসেন রচিত ‘উদাসীন পথিকের মনের কথা’- একটি আত্মজৈবনিক উপন্যাস।
🔶 এ উপন্যাসের উপজীব্য হলো- নীলচাষ ও নীল বিদ্রোহ। এখানে তিনি নিজ মনের কথা উপন্যাসের আঙ্গিকে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।

১৯. ‘তাজকেরাতুল আওলিয়া’ অবলম্বনে ‘তাপসমালা’ কে রচনা করেন?
[ক] মুন্সী আব্দুল লতিফ
[খ] কাজী আকরাম হোসেন
✅ গিরিশচন্দ্র সেন
[ঘ] শেখ আব্দুল জববার

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 গিরিশচন্দ্র সেন ‘তাপসমালা’ গ্রন্থটি রচনা করেন- শেখ ফরীদুদ্দীন সাত্তারের ফারসি ভাষায় রচিত ‘তাজকেরাতুল আওলিয়া’ অবলম্বনে।
🔶 গ্রন্থটিতে ছয় খন্ডে বর্ণিত হয়েছে- ছয়ানববই জন সুফী দরবেশের জীবনী।

২০. কোন নাটকটি সেলিম আল দীনের?
✅ মুনতাসীর ফ্যান্টাসী
[খ] পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়
[গ] কবর
[ঘ] বহুব্রীহি

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মুনতাসীর ফ্যান্টাসী
🔶 বিশিষ্ট নাট্যকার সেলিম আলদীনের একটি প্রতীকাশ্রয়ী কৌতুক নাটক- ‘মুনতাসীর ফ্যান্টাসী’।
🔶 নাট্যকার তার নাট্যচর্চার শুরুর দিকে লেখা এ নাটকটির নাম ‘মুনতাসীর ফ্যান্টাসী’ রাখলেও পরে নামকরণ করেন- ফ্যান্টাসী বাদ দিয়ে শুধুই ‘মুনতাসীর’।
পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়
🔶 সৈয়দ শামসুল হকের নাটক- ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’।
কবর
🔶 মুনীর চৌধুরীর নাটক- ‘কবর’ (১৯৬৬) ।
বহুব্রীহি
🔶 হুমায়ুন আহমেদের উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম- ‘বহুব্রীহি’।

২১. ‘দারিদ্র্য’ কবিতাটি নজরুল ইসলামের কোন কাব্যের অন্তর্ভুক্ত?
[ক] সাম্যবাদ্য
[খ] বিষের বাঁশী
✅ সিন্ধু হিল্লোল
[ঘ] নতুন চাঁদ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘সাম্যবাদী’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত- ‘দারিদ্র্য’ কবিতাটি।
🔶 কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়- ১৯২৫ সালে।

GK - সাধারণ জ্ঞান বাংলা বিষয়াবলী প্রশ্ন ও উত্তর-৩৬ | General Knowledge in Bangla Update MCQ 36

২২. কোন শব্দটি ফারসি?
[ক] মুসাফির
[খ] তকদির
✅ পেরেশান
[ঘ] মজলুম

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
পেরেশান
🔶 ‘পেরেশান’ শব্দটি ফারসি শব্দ, যার অর্থ- উদ্বিগ্ন বা চিন্তিত।
মুসাফির
🔶 ‘মুসাফির’ শব্দটি আরবি শব্দ, যার অর্থ- বিদেশে ভ্রমণকারী ব্যক্তি।
তকদির
🔶 ‘তকদির’ শব্দটি আরবি শব্দ, যার অর্থ- অদৃষ্ট, নসিব বা ভাগ্য।
মজলুম
🔶 ‘মজলুম’ শব্দটিও আরবি শব্দ, যার অর্থ- অত্যাচারিত।

২৩. উপসর্গ কোনটি?
✅ অতি
[খ] থেকে
[গ] চেয়ে
[ঘ] দ্বারা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 একটি সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ- ‘অতি’। এটা অধিক, অতিক্রান্ত, অনুচিত ইতাদি অর্থে বাক্যে যুক্ত করা হয়।
🔶 থেকে, চেয়ে ও দ্বারা হচ্ছে- অব্যয় পদ।

Bank Jobs Preparation - ব্যাংক জবস প্রস্তুতি

২৪. দাপ্তরিক কোন শব্দটি ইংরেজি ভাষা থেকে আগত?
[ক] আইন
[খ] দাখিল
✅ এজেন্ট
[ঘ] মুচলেকা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
এজেন্ট
🔶 ‘এজেন্ট’ (agent) শব্দটি এসেছে- ইংরেজি ভাষা থেকে, যার অর্থ শাসক, ব্যবসায়ী বা অন্য কারো প্রতিনিধি বা উকিল।
আইন
🔶 ‘আইন’ শব্দটি এসেছে- ফারসি ভাষা থেকে, যার অর্থ সরকারি বিধি, বিধান বা কানুন।
দাখিল
🔶 ‘দাখিল’ শব্দটি এসেছে- আরবি ভাষা থেকে যার অর্থ, পেশ বা উপস্থাপন করা।
মুচলেকা
🔶 ‘মুচলেকা’ শব্দটি এসেছে- তুর্কি ভাষা থেকে, যার অর্থ শর্তভঙ্গ করলে দন্ডভোগ করতে হবে, এই মর্মে লিখিত অঙ্গিকার।

২৫. ‘নেমেসিস’ কোন জাতীয় রচনা?
[ক] কাব্য
✅ নাটক
[গ] উপন্যাস
[ঘ] গীতি কবিতা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বিশিষ্ট নাট্যকার নূরুল মোমেন (১৯০৬-১৯৮৯) রচিত একটি নিরীক্ষাধর্মী নাটক- ‘নেমেসিস’।
🔶 নূরুল মোমেন অধিক খ্যাতি অর্জন করেন- সামাজিক সংকটের পটভূমিকায় অন্তর্দ্বন্দ্বমূলক নাট্য-চরিত্র অংকন করে। নেমেসিস (১৯৪৮) নাটকটিও এ আলোকেই রচিত।
🔶 তার এরূপ আরো কিছু নাটক- রূপান্তর (১৯৪৭), আলোছায়া (১৯৬২), আইনের অন্তরালে (১৯৬৭) ইত্যাদি।

২৬. ‘তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করি’- রবীন্দ্রনাথের কোন কাব্যের কবিতা?
[ক] পূরবী
✅ শেষলেখা
[গ] আকাশ প্রদীপ
[ঘ] সেজূঁতি

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 আলোচ্য অংশটুকু উদ্ধৃত হয়েছে- কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘শেষ লেখা’ কাব্যের অন্তর্গত ‘তোমার সৃষ্টির পথ’ কবিতা থেকে।
🔶 কবি কোলকাতায় জোড়াসাঁকোতে থাকাকালীন কবিতাটি রচনা করেন- ১৯৪১ সালের ৩০ জুলাই (১৪ শ্রাবণ ১৩৪৮)।

২৭. ‘জয়গুন’ কোন উপন্যাসের চরিত্র?
[ক] জননী
✅ সূর্য-দীঘল বাড়ী
[গ] সারেং বৌ
[ঘ] হাজার বছর ধরে

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 আবু ইসহাক (১৯২৬-২০০২ খ্রি) রচিত ‘সূর্য-দীঘল বাড়ী’ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র হলো- ‘জয়গুন’।
🔶 ১৯৬২ সালে রচিত এ উপন্যাসে জয়গুনের সংগ্রামী জীবনের মধ্য দিয়ে তিনি ফুটিয়ে তুলতে সচেষ্ট হয়েছেন- গ্রামীণ আর্থ-সামাজিক অবস্থা।

২৮. ‘নবান্ন’ শব্দটি কোন প্রক্রিয়ায় গঠিত?
[ক] সমাস
✅ সন্ধি
[গ] প্রত্যয়
[ঘ] উপসর্গ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 নবান্ন (= নতুন ধানের অন্ন) শব্দটিতে সমস্যমান পদের অর্থকে না বুঝিয়ে বোঝানো হয়েছে- একটি উৎসবকে। সুতরাং এটি একটি বহুব্রীহি সমাস।
🔶 আবার পূর্বপদে বিশেষণ ও পরপদে বিশেষ্য থাকায়- এটি সমানাধিকরণ বহুব্রীহি।

২৯. কোনটির অর্থ পক্ক অর্থে প্রকাশ পায়?
[ক] পাকা বাড়ি
[খ] পাকা রং
[গ] পাকা কাজ
✅ পাকা আম

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘পাকা’ শব্দটি সাধারণত ব্যবহৃত হয়- পক্ক, শুভ্র বা শুক্ল, স্থায়ী, নিপুণ, সম্পূর্ণ, খাঁটি ইত্যাদি হওয়া অর্থে।
🔶 এখানে পক্ক অর্থ বোঝানো হচ্ছে- ‘পাকা আম’ দ্বারা।

৩০. ‘পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল’- পঙক্তির রচয়িতা কে?
✅ মদনমোহন তর্কালংকার
[খ] রামনারায়ণ তর্করত্ন
[গ] বিহারীলাল চক্রবর্তী
[ঘ] কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 মদনমোহন তর্কালঙ্কার কর্তৃক রচিত ‘শিশু শিক্ষা’-এর একটি বিখ্যাত পঙক্তি- ‘পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল’।
🔶 বইটি পাঠ্যপুস্তকরূপে অত্যন্ত জনপ্রিয়- শিশুদের শিক্ষার প্রাথমিক বই হিসেবে।

৩১. ‘বনফুল’ কার ছদ্মনাম?
[ক] প্রমথ চৌধুরী
✅ বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়
[গ] যতীন্দ্রমোহন বাগচী
[ঘ] মোহিতলাল মজুমদার

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়
🔶 বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক বলাইচাঁমুখোপাধ্যায়ের (১৮৯৯-১৯৭৯ খ্রি) ছদ্মনাম- বনফুল।
🔶 এছাড়াও তিনি ভূষিত- ‘পদ্মভূষণ’ উপাধিতেও।
প্রমথ চৌধুরী
🔶 প্রখ্যাত সাহিত্যিক প্রমথ চৌধুরীর (১৮৬৮-১৯৪৬ খ্রি) ছদ্মনাম- ‘বীরবল’।
যতীন্দ্রমোহন বাগচী ও মোহিতলাল মজুমদার
🔶 বিশিষ্ট কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচী (১৮৭৮-১৯৪৮ খ্রি) এবং বিশিষ্ট কবি, প্রাবন্ধিক ও সাহিত্যিক মোহিতলাল মজুমদারের (১৮৮৮-১৯৫২ খ্রি) বিশেষ কোনো ছদ্মনাম নেই।

৩২. কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাস কোনটি?
✅ মৃত্যুক্ষুধা
[খ] আলেয়া
[গ] ঝিলিমিলি
[ঘ] মধুমালা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বিদ্রোহী কাজী কাজী নজরুল ইসলামের দ্বিতীয় উপন্যাস- ‘মৃত্যুক্ষুধা’ (১৯৩০)।
🔶 উপন্যাসটি রচিত- ব্রিটিশ বিরোধী অসহযোগ আন্দোলনের পটভূমিতে।

৩৩. ‘যে-ই তার দর্শন পেলাম, সে-ই আমরা প্রস্থান করলাম।’ -এটি কোন জাতীয় বাক্য?
[ক] সরল বাক্য
[খ] যৌগিক বাক্য
[গ] মৌলিক বাক্য
✅ মিশ্র বাক্য

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মিশ্র বাক্য
🔶 যে পূর্ণ বাক্যে একটি প্রধান খন্ডবাক্য ও এক বা একাধিক অপ্রধান খন্ডবাক্য পরস্পর সম্পর্কযুক্ত থাকে তাকে বলে- মিশ্র বা জটিল বাক্য। যেমন- যারা মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করে, তারা পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়।
🔶 সুতরাং আলোচ্য বাক্যটি- মিশ্র বাক্য।
সরল বাক্য
🔶 যে বাক্যে একটিমাত্র উদ্দেশ্য (কর্তা) ও একটিমাত্র বিধেয় (সমাপিকা ক্রিয়া) থাকে, তাকে বলে- সরল বাক্য, যেমন- রনি বল খেলে।
যৌগিক বাক্য
🔶 দুই বা ততোধিক বাক্য যখন ও, এবং, আর, কিন্তু, তথাপি ইত্যাদি অব্যয়ের সাহায্যে যুক্ত থাকে তখন তাকে বলে- যৌগিক বাক্য। যেমন- তুমি ও আমি বাজারে যাব।

৩৪. ‘লাঠালাঠি’-এটি কোন সমাস?
[ক] প্রাদি সমাস
✅ ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস
[গ] তৎপুরুষ সমাস
[ঘ] কর্মধারয় সমাস

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস
🔶 ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস হলো- যে সমাসে একই রূপ দুটি বিশেষপদ এক সাথে বসে পরস্পর একই জাতীয় কাজ করে। যেমন- কানে কানে যে কথা = কানাকানি।
🔶 লাঠালাঠি = লাঠিতে লাঠিতে যে যুদ্ধ- ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস।
প্রাদি সমাস
🔶 প্রাদি সমাস হলো- প্র, প্রতি, অনু প্রভৃতি অবয়ের সাথে কৃৎ প্রত্যয় সাধিত বিশেষ্যের সমাস। যেমন- পরি (চতুর্দিকে) যে ভ্রমণ = পরিভ্রমণ।
তৎপুরুষ সমাস
🔶 তৎপুরুষ সমাস হলো- যে সমাসে পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পায় এবং পরপদের অর্থ প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়। যেমন- ঢেঁকিতে ছাঁটা = ঢেঁকিছাটা।
কর্মধারয় সমাস
🔶 কর্মধারয় সমাস হলো- বিশেষণ ও বিশেষ্যপদ মিলে যে সমাস এবং বিশেষ্যের বা পরপদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়। যেমন- নীল যে পদ্ম = নীলপদ্ম।

৩৫. ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’-এর রচয়িতা কে?
[ক] ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়
[খ] চন্ডীদাস
✅ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
[ঘ] ভারতচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’-এর রচয়িতা- বাংলা সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিভা, কবি, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, ছোট গল্পকার, প্রাবন্ধিক ও সুরস্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১ খ্রি)।
🔶 ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’ কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়- ১৮৮৪ সালে।

৩৬. প্র, পরা, অপ-
[ক] বাংলা উপসর্গ
✅ সংস্কৃত উপসর্গ
[গ] বিদেশী উপসর্গ
[ঘ] উপসর্গ স্থানীয় অব্যয়

৩৭. টা, টি, খানা ইত্যাদি-
✅ পদাশ্রিত নির্দেশক
[খ] প্রকৃতি
[গ] বিভক্তি
[ঘ] উপসর্গ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 পদাশ্রিত নির্দেশক হলো- এক ধরনের অব্যয় বাপ্রত্যয় বিশেষ, যা পদের সংখ্যা বা পরিমাণ প্রকাশ করে। যেমন- টি, টাত, টু, টুকু, টুক, খান, খানা, খানি, গুলি, গুলো ইত্যাদি।
🔶 বিশেষ্য ও সর্বনাম পদকে নির্দেশ করে- পদাশ্রিত নির্দেশক।

৩৮. কাজী নজরল ইসলাম কোন কবিতা রচনার জন্য কারাবরণ করেন?
[ক] বিদ্রোহী
[খ] প্রলয়োল্লাস
✅ আনন্দময়ীর আগমনে
[ঘ] নারী

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 কবি কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬ খ্রি) কারারুদ্ধ হন এবং এক বছরের জন্য সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত হন- ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতাটি রচনার জন্য, ১৯২২ সালে। কবিতাটি ‘ধূমকেতু’ পত্রিকার পূজা সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।
🔶 তিনি ৬ মাস কারাদন্ডে দন্ডিত হন- ‘প্রলয়শিখা’ গ্রন্থের জন্য।
🔶 বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত- কাজী নজরুল ইসলাম।
🔶 তিনি বিদ্রোহী কবি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন- ‘বিদ্রোহী’ কবিতা রচনার মাধ্যমে।

 GK - সাধারণ জ্ঞান 
 বাংলা - Bangla Literature 
 ৩৫তম পর্ব 
১. বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় কত সালে?
[ক] ২০০৭
✅ ১৯০৭
[গ] ১৯০৯
[ঘ] ১৯১৬

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয়- ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে।
🔶 চর্যাপদ আবিষ্কার করেন- মহামহোপাধ্যায় ড.  হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।
🔶 চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয়- নেপালের রাজগ্রন্থশালা থেকে।
🔶 চর্যাপদ রচিত হয়েছে- মাত্রাবৃত্ত ছন্দে।
🔶 চর্যাপদে পদ রয়েছে- সাড়ে ৪৬টি।
🔶 চর্যাপদ প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়- ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে।
🔶 ড.  হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সম্পাদনায় চর্যাপদকে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করে- বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ।
🔶 চর্যাপদ সর্বপ্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়- ‘হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’ নামে।

২. নিচের কোন্টি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম?
[ক] বীরবল
[খ] ভিমরুল
✅ অনিলাদেবী
[ঘ] যাযাবর

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
অনিলাদেবী
🔶 শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘নারীর মূল্য’ ক্ষুদ্র পুস্তিকাটি লিখেছেন- ‘অনিলাদেবী’ ছদ্মনামে।
🔶 শরৎচন্দ্রের উপাধি- ‘অপরাজেয় কথাশিল্পী’।
🔶 শরৎচন্দ্রের প্রথম উপন্যাস- ‘বড়দিদি’ যা ‘ভারতী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।
🔶 শরৎচন্দ্রের ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত উপন্যাস- ‘পথের দাবী’।
🔶 শরৎচন্দ্রের একটি বিখ্যাত চিত্রকর্ম- ‘মহাশ্বেতা’ অয়েল পেইন্টিং।
বীরবল
🔶 ‘বীরবল’ ছদ্মনামটি- প্রমথ চৌধুরীর।
🔶 বাংলা চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক- প্রমথ চৌধুরী।
🔶 প্রমথ চৌধুরী মাসিক ‘সবুজপত্র’ প্রকাশ করেন- ১৯১৪ খ্রি.।
🔶 বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রুপাত্মক প্রবন্ধ রচনাকারী- প্রমথ চৌধুরী।
🔶 প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত অন্যান্য পত্রিকা- বিশ্বভারতী, রূপ ও রীতি এবং অলকা।
যাযাবর
🔶 ‘যাযাবর’ ছদ্মনামটি- বিনয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়-এর।
🔶 বিনয়কৃষ্ণের বিখ্যাত গ্রন্থ- ‘দৃষ্টিপাত’, ‘জনান্তিক’।

৩. ‘আধ্যাত্মিকা’ উপন্যাসের লেখক কে?
✅ প্যারীচাঁদ মিত্র
[খ] বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
[গ] দামোদর বন্দোপাধ্যায়
[ঘ] শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্যারিচাঁদ মিত্র (১৮১৪ - ১৮৮৩)
🔶 ‘আধ্যাত্মিকা’ উপন্যাসের লেখক- প্যারিচাঁদ মিত্র।
🔶 ‘আধ্যাত্মিকা’ উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়- ১৮৮০ খ্রি.।
🔶 বাংলা সাহিত্যের প্রথম ঔপন্যাসিক- প্যারিচাঁদ মিত্র।
🔶 বাঙালি কর্তৃক রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস- প্যারিচাঁদ মিত্রের ‘আলালের ঘরের দুলাল’ (১৮৫৭ খ্রি.)।
🔶 প্যারিচাঁদ মিত্রের অন্যান্য রচনা- কৃষিপাঠ, অভেদী, রামারঞ্জিকা, ডেভিড হেয়ারের জীবনচরিত, Agriculture in Bengal প্রভৃতি।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮ - ১৮৯৪)
🔶 বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-এর উপাধি- ‘সাহিত্য সম্রাট’।
🔶 বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস- বঙ্কিমচন্দ্রের ‘দূর্গেশনন্দিনী’।
🔶 বঙ্কিমের প্রথম উপন্যাস- Rajmohon's wife (১৮৬২ খ্রি.)।
🔶 বঙ্কিমের ছদ্মনাম- ‘কমলাকান্ত’।
🔶 বঙ্কিমের একমাত্র কাব্যগ্রন্থ- ললিতা তথা মানস।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৬ - ১৯৩৮)
🔶 শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-এর আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস- ‘শ্রীকান্ত’।
🔶 শরৎসাহিত্যে নারী উপস্থাপিত হয়েছে- মমতাময়ী সর্বংসহারূপে।
🔶 শরৎচন্দ্রের উপন্যাসের মূল বিষয়- পল্লীজীবন ও সমাজ।
🔶 শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত রচনা- বিন্দুর ছেলে, পরিণীতা, দেবদাস, চরিত্রহীন, দত্তা, দেনা-পাওনা, বৈকুণ্ঠের উইল প্রভৃতি।

৪. ‘অনীক’ শব্দের অর্থ-
[ক] সূর্য
[খ] সমুদ্র
[গ] যুদ্ধক্ষেত্র
✅ সৈনিক

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
সৈনিক
🔶 অনীক শব্দের অর্থ- সৈনিক।
🔶 সৈনিক শব্দের প্রতিশব্দ- অনীক, সেনানী, সৈন্য, সামন্ত।
সূর্য
🔶 সূর্যের প্রতিশব্দ- আদিত্য, প্রভাকর, দিবাকর, তপন, দিনেশ, দিননাথ, দিনপতি, অরুণ, ভাস্বর, বানু, মাতন্ড, পুষা, সবিতা, মিহির, রবি, মিত্র।
সমুদ্র
🔶 সমুদ্রের প্রতিশব্দ- অর্নব, সিন্ধু, পাথার, বারিধি, সাগর, জলধি, উদধি, পয়োবি, অম্বুপতি, অম্বুধি, বারীশ, রত্নাকর, পারাবার।
যুদ্ধক্ষেত্র
🔶 যুদ্ধক্ষেত্রের প্রতিশব্দ- রণক্ষেত্র, লড়াইক্ষেত্র, সমরক্ষেত্র, আহরক্ষেত্র, বিগ্রহক্ষেত্র, সংগ্রামক্ষেত্র।

৫. জ্যোৎস্নারাত কোন্ সমাসের দৃষ্টান্ত?
✅ মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
[খ] ষষ্ঠী তৎপুরুষ
[গ] পঞ্চমী তৎপুরুষ
[ঘ] উপমান কর্মধারয়

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মধ্যপদলাপী কর্মধারয়
🔶 জ্যোৎস্নারাত- মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাসের দৃষ্টান্ত।
🔶 পরস্পর সম্পর্কযুক্ত দুই বা ততোধিক পদের একপদে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে বলে- সমাস।
🔶 যে কর্মধারয় সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যপদ লোপ পায় তাকে বলে- মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস।
🔶 উদাহরণ- দুধভাত, পলান্ন, সিংহাসন ইত্যাদি।
ষষ্ঠী তৎপুরুষ
🔶 যে তৎপুরুষ সমাসে ষষ্ঠী বিভক্তি (র, এর) লোপ পায় তাকে বলে- ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস।
🔶 ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাসকে বর্তমানে বলে- সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস।
🔶 উদাহরণ- নদীতট, রাজপুত্র, ধানক্ষেত, গৃহকর্তা, বনফুল, মধুবন ইত্যাদি।
পঞ্চমী তৎপুরুষ
🔶 যে তৎপুরুষ সমাসে পঞ্চমী বিভক্তি (হতে, থেকে, চেয়ে, অপেক্ষা) লোপ পায় তাকে বলে- পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাস।।
🔶 পঞ্চমী তৎপুরুষ সমাসের বর্তমান নাম- অপাদান তৎপুরুষ সমাস।
🔶 উদাহরণ- কারামুক্ত, কৃষিজাত, দেশছাড়া, রোগমুক্তি, দুগ্ধজাত ইত্যাদি।
উপমান কর্মধারয়
🔶 যে কর্মধারয় সমাসের পূর্বপদে একটি উপমান-বিশেষ্য (যার সঙ্গে তুলনা করা হয়) ও পরপদে একটি সাধারণ ধর্মবোধক বিশেষণ পদ থাকে তাকে বলে- উপমান কর্মধারয় সমাস।
🔶 উদাহরণ- কাজলকালো, তুষারশুভ্র, রক্তলাল, তুষারধবল, বরফশীতল, শশব্যস্ত ইত্যাদি।

৬. Anatomy শব্দের অর্থ-
[ক] সাদৃশ্য
[খ] স্নায়ুতন্ত্র
✅ শারীরবিদ্যা
[ঘ] অঙ্গ-সঞ্চালন

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
শারীরবিদ্যা
🔶 Anatomy শব্দের অর্থ- ‘শারীরবিদ্যা’ অর্থাৎ জীবদেহের গঠনসংক্রান্ত বিজ্ঞান অথবা ‘অঙ্গব্যবচ্ছেদ বিদ্যা’।
🔶 যে ব্যক্তি শব ব্যবচ্ছেদ করে বা জীবদেহের গঠন বিষয়ে অধ্যয়ন বা অধ্যাপনা করে তাকে বলে- Anatomist. 
সাদৃশ্য
🔶 সাদৃশ্য শব্দের ইংরেজি- Similarity. 
🔶 সাদৃশ্যের প্রতিশব্দ- সমধর্মিতা, সদৃশ দিক বা বিষয়।
স্নায়ুতন্ত্র
🔶 স্নায়ুতন্ত্রের ইংরেজি- The reneous system. 
অঙ্গ-সঞ্চালন
🔶 অঙ্গ-সঞ্চালনের ইংরেজি- Vinesioloty।

৭. ‘আফতাব’ শব্দের সমার্থক কোন্টি?
[ক] অর্ণব
[খ] রাতুল
✅ অর্ক
[ঘ] জলধি

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
অর্ক
🔶 ‘আফতাব’ শব্দের সমার্থক শব্দ- অর্ক, সূর্য, দিনবসু, দিনকর, দিনপতি, বালার্ক, আদিত্য।
অর্ণব
🔶 ‘অর্ণব’ শব্দের সমার্থক শব্দ- সমুদ্র, জলধি, সাগর, বারীন্দ্র, বারিনিধি, পারাবার।
জলধি
🔶 ‘জলধি’ শব্দের সমার্থক শব্দ- সমুদ্র, সিন্ধু, বারিধি, রত্নাকর, জলনিধি, পয়োধি, পাথার।

৮. কোন্ কবি নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিয়েছেন?
[ক] গোবিন্দ দাস
[খ] কায়কোবাদ
[গ] কাহ্ন পা
✅ ভুসুকু পা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ভুসুকুপা
🔶 নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিয়েছেন- ভুসুকুপা।
🔶 ভুসুকুপা চর্যাপদের দ্বিতীয় সর্বাধিক- ৮টি পদ রচয়িতা।
🔶 চর্যাপদের অন্যান্য বাঙালি কবি হচ্ছেন- লুইপা, কুক্কুরীপা, বিরূপা, ডোম্বীপা, শবরপা, ধর্মপা ও জয়ন্দীপা।
গোবিন্দ দাস
🔶 গোবিন্দ দাস পরিচিত- স্বভাব কবি হিসেবে।
🔶 আধুনিক যুগের গীতিকবি বলা হয়- গোবিন্দ দাসকে।
🔶 গোবিন্দ দাস ১৮৮৭-৮৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশ করেন- মাসিক পত্রিকা ‘বিভা’।
🔶 গোবিন্দ দাসের উল্লেখযোগ্য রচনা- মগের মুল্লুক, প্রসূন, প্রেম ও ফুল, চন্দন প্রভৃতি।
কায়কোবাদ
🔶 কায়কোবাদের প্রকৃত নাম- মোহাম্মদ কাজেম আল কোরেশী।
🔶 কায়কোবাদের প্রথম কাব্য- ‘বিরহবিলাস’।
🔶 কায়কোবাদের বিখ্যাত মহাকাব্য- ‘মহাশ্মশান’।
🔶 কায়কোবাদের অন্যান্য রচনা- কুসুম কানন, অশ্রুমালা, মহাশ্মশান, অমিয়ধারা প্রভৃতি।
কাহ্নপা
🔶 চর্যাপদের সর্বাধিক পদ রচয়িতা- কাহ্নপা।
🔶 কাহ্নপা পদ রচনা করেন- ১৩টি।
🔶 পাওয়া যায়নি- কাহ্নপা রচিত ২৪নং পদটি।

৯. বাগাড়ম্বর শব্দের সন্ধি-বিচ্ছেদ-
[ক] বাগ + অম্বর
[খ] বাগ + আড়ম্বর
[গ] বাক্ + অম্বর
✅ বাক্ + আড়ম্বর

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাগাড়ম্বর শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ- বাক্ + আড়ম্বর = বাগাড়ম্বর।
🔶 ‘বাগাড়ম্বর’ শব্দটি- ব্যঞ্জনসন্ধির উদাহরণ।
🔶 এটির সন্ধি বিচ্ছেদ হবে- ব্যঞ্জনধ্বনি + স্বরধ্বনি নিয়মে।
🔶 ক্, চ্, ট্,ত্, প্-এর পরে স্বরধ্বনি থাকলে সেগুলো হয় যথাক্রমে- গ্, জ্, ড্ (ড়্), দ্, ব্।
🔶 পরবর্তী স্বরধ্বনিটি যুক্ত হয়- পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনধ্বনির সঙ্গে। যেমন :
দিক্ + অন্ত = দিগন্ত
ষট্ + আনন = ষড়ানন

১০. সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি,/ সারাদিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি- এই চরণদ্বয়ের লেখক-
[ক] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
[খ] কুসুমকুমারী দাস
✅ মদনমোহন তর্কালঙ্কার
[ঘ] কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মদনমোহন তর্কালঙ্কার (১৮১৭ - ১৮৫৮)
🔶 সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি/সারাদিন আমি যেন ভাল হয়ে চলি- এই চরণদ্বয়ের লেখক- মদনমোহন তর্কালঙ্কার।
🔶 মদনমোহনের পারিবারিক উপাধি- ‘চট্টোপাধ্যায়’।
🔶 মদনমোহন স্থাপিত ছাপাখানা- ‘সংস্কৃত-যন্ত্র’।
🔶 কবি প্রতিভার জন্যে সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপকগণ কর্তৃক উপাধি পান- ‘কাব্যরত্নাকর’ ও ‘তর্কালঙ্কার’।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১ - ১৯৪১)
🔶 রবীন্দ্রনাথের প্রথম মুদ্রিত কবিতা- ‘অভিলাষ’ অন্যথায় ‘ভারতভূমি’।
🔶 রবীন্দ্রনাথের প্রথম দুটি উপন্যাস- ‘বউঠাকুরানীর হাট’ ও ‘রাজর্ষি’।
🔶 রবীন্দ্রনাথ ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার পান- ইংরেজি গীতাঞ্জলীর জন্যে।
🔶 ইংরেজি গীতাঞ্জলির নাম- Song offerings।
🔶 Song offerings-এর ভূমিকা লেখেন- ইংরেজ কবি ইয়েটস।
🔶 রবীন্দ্রনাথ ‘নাইট’ উপাধি ফিরিয়ে দেন- ১৯১৯ খ্রি. কুখ্যাত জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ডের প্রেক্ষিতে (উপাধি পান ১৯১৫ খ্রি.)।
🔶 রবীন্দ্রনাথের উল্লেখযোগ্য রচনাবলী- মানসী, সোনার তরী, সেজুতি, ডাকঘর, চিরকুমার সভা, রক্তকরবী, বিসর্জন, ঘরে বাইরে।
🔶 রবীন্দ্রনাথ রচিত প্রথম উপন্যাস- করুণা।
🔶 বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতটির রচয়িতা- রবীন্দ্রনাথ।
🔶 রবীন্দ্রনাথের প্রথম প্রকাশিত কাব্য- কবিকাহিনী (১৮৭৮)।
🔶 রবীন্দ্রনাথের প্রথম প্রকাশিত কবিতা- ‘হিন্দুমেলার উপহার’, ১৩ বছর বয়সে।
🔶 রবীন্দ্রনাথের প্রথম প্রকাশিত ছোটগল্প- ভিখারিনী (১৮৭৪)।
🔶 রবীন্দ্রনাথের প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধগ্রন্থ- ‘বিবিধ প্রসঙ্গ’ (১৮৮৩)।
🔶 রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন- ১৯০১ সালে।
🔶 রবীন্দ্রনাথ সম্পাদিত পত্রিকা- সাধনা (১৮৯৪), ভারতী (১৮৯৮), বঙ্গদর্শন (১৯০১), তত্ত্ববোধিনী (১৯১১)।
🔶 রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর প্রকাশিত একমাত্র গ্রন্থ- ‘শেষ লেখা’ (কবিতা)।
🔶 রবীন্দ্রনাথের শেষ জীবনের কয়েকটি কাব্য- ‘রোগশয্যায়’ (১৯৪০), ‘আরোগ্য’ (১৯৪১), ‘জন্মদিনে’ (১৯৪১), ‘শেষ লেখা’ (১৯৪১)।
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম গদ্য কাব্যগ্রন্থ- পুনশ্চ।
🔶 অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রবীন্দ্রনাথ ডি-লিট উপাধি পান- ১৯৩৬ সালে।
🔶 রবীন্দ্রনাথ মোট উপন্যাস রচনা করেন- ১৩টি।
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কয়েকটি প্রধান প্রবন্ধ গ্রন্থ- কালান্তর (১৯৩৭), সভ্যতার সংকট (১৯৪১), পঞ্চভূত (১৮৯৭), সাহিত্য (১৯০৭)।
🔶 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্রনাথকে ডি-লিট উপাধি দেয়- ২৯-এ জুলাই ১৯৩৬।
কুসুমকুমারী দাস
🔶 ‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে’ বিখ্যাত উক্তিটি- কুসুমকুমারী দাসের।
🔶 কবি জীবনানন্দ দাসের মা- কুসুমকুমারী দাস।
কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার (১৮৩৪ - ১৯০৭)
🔶 ‘চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখন ব্যথিত বেদন বুঝিতে কি পারে’- উক্তিটি- কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার-এর।
🔶 বাল্যকালে তাঁর ছদ্মনাম ছিল- রামচন্দ্র দাস বা রাম।
🔶 কবির আত্মচরিত রচনা- ‘রামের ইতিবৃত্ত’।
🔶 কৃষ্ণচন্দ্র যেসব পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন- ঢাকা প্রকাশ, মনোরঞ্জিকা, কবিতা কুসুমাবলী, বিজ্ঞাপনী, দ্বৈভাষিকী।
🔶 কবির উল্লেখযোগ্য রচনাবলী- সদ্ভাবশতক, কৈবল্যতত্তব, রাবণবধ প্রভৃতি।
🔶 মহাভারতের ‘বাসব-নহুষ-সংবাদ’ অবলম্বনে রচনা করেন- ‘মোহভোজ’।
🔶 পারস্য কবি হাফিজ ও সাদীর কাব্যাদর্শে রচনা করেন- ‘সদ্ভাবশতক’।

১১. ‘ঠাকুরমার ঝুলি’ কী জাতীয় রচনার সংকলন?
✅ রূপকথা
[খ] ছোটগল্প
[গ] গ্রাম্যগীতিকা
[ঘ] রূপকথা-উপকথা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘ঠাকুরমার ঝুলি’ একটি- রূপকথা।
🔶 ইংরেজিতে রূপকথা বা পরীকথাকে বলে- Fairy Tales।
🔶 ঠাকুরমার ঝুলি ও ঠাকুরদাদার ঝুলি-র সংগ্রাহক- দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার।
🔶 বাংলা রূপকথার স্রষ্টা- উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী।

১২. বাংলা ভাষায় ছন্দ প্রধানত কত প্রকার?
[ক] ২
[খ] ৪
✅ ৩
[ঘ] ৫

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা ছন্দ তিন রকমের- ক.  মাত্রাবৃত্ত খ.  স্বরবৃত্ত ও গ.  অক্ষরবৃত্ত।
🔶 প্রথম মাত্রাবৃত্ত ছন্দ পরিলক্ষিত হয়- চর্যাপদে।
🔶 এছাড়াও মাত্রাবৃত্তে রচিত গ্রন্থ- বৈষ্ণব পদাবলি, মানসী, অগ্নিবীণা ইত্যাদি।
🔶 মাত্রাবৃত্ত ছন্দ- রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টি।
🔶 স্বরবৃত্ত ছন্দে রচিত গ্রন্থ- গোপীচন্দ্রের গান, শ্যামাসঙ্গীত, বাউল পদ, পাঁচালি, ময়মনসিংহ গীতিকা ইত্যাদি।
🔶 অক্ষরবৃত্ত ছন্দে অনুবাদিত গ্রন্থ- রামায়ণ, মহাভারত ইত্যাদি।
🔶 বাংলা কাব্যের প্রধান ছন্দ- অক্ষরবৃত্ত ছন্দ।
🔶 এছাড়াও বংলা কাব্যে বিদ্যমান- ধামালি, ভঙ্গপয়ার, ললিত, দিগক্ষরা, মহাপয়ার, পয়ার ইত্যাদি ছন্দ।

১৩. ‘কাঁঠালপাড়া’য় জন্মগ্রহণ করেন কোন্ লেখক?
[ক] শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
[খ] সুভাষ মুখোপাধ্যায়
[গ] কাজী ইমদাদুল হক
✅ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮ - ১৮৯৪)
🔶 বঙ্কিমচন্দ্র চবিবশ পরগণা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন- ১৮৩৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৭-এ জুন।
🔶 বঙ্কিমের শেষ স্মরণীয় সাহিত্যকীর্তি- ‘আনন্দমঠ’।
🔶 বঙ্কিমচন্দ্র সম্পাদিত পত্রিকা- ‘বঙ্গদর্শন’।
🔶 বন্দে মাতরম, মাতৃভূমি, জন্মভূমি, স্বরাজ, মন্ত্র প্রভৃতি পোগান- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত প্রবন্ধের।
🔶 বঙ্কিমের উল্লেখযোগ্য রচনাবলী- দূর্গেশনন্দিনী, কপালকুন্ডলা, দেবী চৌধুরানী, রাজসিংহ, সীতারাম প্রভৃতি।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৭৬-১৮৩৮)

সুভাষ মুখোপাধ্যায়
🔶 সুভাষ মুখোপাধ্যায় পরিচিত- ‘পদাতিক কবি’ হিসেবে।
কাজী ইমদাদুল হক (১৮৮২ - ১৯২৬)
🔶 ‘আবদুল্লাহ’ উপন্যাসের লেখক- কাজী ইমদাদুল হক।
🔶 কাজী ইমদাদুল হক সম্পাদিত শিক্ষাবিষয়ক মাসিক পত্রিকা- ‘শিক্ষক’।
🔶 লেখকের প্রাপ্ত উপাধি- ‘খান সাহেব’ (১৯১৯) ও ‘খান বাহাদুর’ (১৯২৬)।
🔶 লেখকের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ- আঁখিজল, নবীকাহিনী, প্রবন্ধমালা, কামারের কান্ড প্রভৃতি।

১৪. নিচের কোন্টি অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনি?
[ক] ভ
[খ] ঠ
[গ] ফ
✅ চ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনি হচ্ছে- চ।
🔶 ক-ম পর্যন্ত ২৫টি বর্ণকে উচ্চারণ স্থানের দিক থেকে ভাগ করা হয়েছে- ৫টি বর্গে।
🔶 ২৫টি স্পর্শ বর্ণকে আবার ৪ ভাগে ভাগ করা হয়েছে- অঘোষ, ঘোষ, অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ ধ্বনি।
অঘোষধ্বনি
🔶 যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয় না তাকে বলে- অঘোষ ধ্বনি।
🔶 বর্গের ১ম ও ২য় ধ্বনিকে বলা হয়- অঘোষ ধ্বনি।
🔶 অঘোষ ধ্বনিসমূহ হলো- ক, চ, ট, ত, প, খ, ছ, ঠ, থ, ফ।
ঘোষ ধ্বনি
🔶 যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয় তাকে বলে- ঘোষ ধ্বনি।
🔶 বাংলা বর্ণমালার ব্যঞ্জণবর্ণের ৩য় ও ৪র্থ বর্ণকে বলা হয়- ঘোষ ধ্বনি।
🔶 ঘোষ ধ্বনিসমূহ হলো- গ, জ, ড, দ, ব, ঘ, ঝ, ঢ, ধ, ভ।
অল্পপ্রাণ ধ্বনি
🔶 যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় বাতাসের চাপের স্বল্পতা থাকে তাকে বলা হয়- অল্পপ্রাণ ধ্বনি।
🔶 বাংলা বর্ণমালার বর্গের ১ম ও ৩য় ধ্বনিসমূহ হলো- অল্পপ্রাণ ধ্বনি।
🔶 অল্পপ্রাণ ধ্বনিসমূহ হলো- ক, চ, ট, ত, প, গ, জ, ড, দ, ব।
মহাপ্রাণ ধ্বনি
🔶 যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় বাতাসের চাপের আধিক্য থাকে তাকে বলে- মহাপ্রাণ ধ্বনি।
🔶 বাংলা বর্ণমালার বর্গের ২য় ও ৪র্থ ধ্বনিসমূহ হলো- মহাপ্রাণ ধ্বনি।
🔶 মহাপ্রাণ ধ্বনিসমূহ হলো- খ, ছ, ঠ, থ, ফ, ঘ, ঝ, ঢ, ধ, ফ।
🔶 অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনি হলো- ক, চ, ট, ত, প।
🔶 অঘোষ মহাপ্রাণ ধ্বনি হলো- খ, ছ, ঠ, থ, ফ।
🔶 ঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনি হলো- গ, জ, ড, দ, ব।
🔶 ঘোষ মহাপ্রাণ ধ্বনি হলো- ঘ, ঝ, ঢ, ধ, ভ।

Bangla General Knowledge (GK) question answer pdf download.

১৫. ‘অপ’ কী ধরনের উপসর্গ?
✅ সংস্কৃত
[খ] বাংলা
[গ] বিদেশি
[ঘ] মিশ্র

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
সংস্কৃত উপসর্গ
🔶 ‘অপ’ হলো- সংস্কৃত উপসর্গ।
🔶 যেসব অব্যয় শব্দের নিজস্ব কোনো অর্থ নেই কিন্তু অন্য শব্দের আগে যুক্ত হয়ে সে শব্দের নতুন অর্থ সৃষ্টি করে তাকে বলে- উপসর্গ।
🔶 উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই কিন্তু আছে- অর্থদ্যোতকতা।
🔶 বাংলা ভাষায় উপসর্গ- ৩ প্রকার, তৎসম বা সংস্কৃত, খাঁটি বাংলা ও বিদেশি উপসর্গ।
🔶 যে সব উপসর্গ সংস্কৃত থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে তাদেরকে বলে- সংস্কৃত উপসর্গ।
🔶 সংস্কৃত উপসর্গ প্রধানত- ২০টি। যথা : প্র, প্ররা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দূর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অভি, অতি, অপি, উপ, আ।
🔶 বাংলা ভাষায় কখনো কখনো স্বাধীন প্রয়োগ হতে পারে- ২টি উপসর্গের; অতি ও প্রতি।
বাংলা উপসর্গ
🔶 বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত নিজস্ব উপসর্গকে বলা হয়- খাঁটি বাংলা উপসর্গ।
🔶 বাংলা উপসর্গ সাধারণত যুক্ত হয়- খাঁটি বাংলা শব্দের পূর্বেই।
🔶 খাঁটি বাংলা উপসর্গ- ২১টি। যথা : অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, উন (উনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
বিদেশি উপসর্গ
🔶 বিদেশি উপসর্গ হলো- আরবি, ফারসি, ইংরেজি ও হিন্দি ভাষার উপসর্গ।
🔶 ফারসি উপসর্গগুলো হলো- কার, সে, দর, না, নিম, ফি, বর, বে, বদ, ব, হর।
🔶 আরবি উপসর্গগুলো হলো- আম, খাস, লা, বাজে, গর, খয়ের।
🔶 উর্দু, হিন্দি উপসর্গগুলো (প্রত্যেক অর্থে) হলো- হররোজ, হরমাহিনা, হরকিসিম।
🔶 ইংরেজি উপসর্গগুলো হলো- সাব (Sub), হেড (Head), ফুল (Full), হাফ (Half)।

১৬. নিচের কোন্টি মীর মশাররফ হোসেনের জন্ম-মৃত্যু সাল?
[ক] ১৮৪৭-১৯১১
[খ] ১৮৫২-১৯১২
[গ] ১৮৫৭-১৯১১
✅ ১৮৪৭-১৯১২

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মীর মশাররফ হোসেন
🔶 মীর মশাররফ হোসেনের জন্মমৃত্যু সাল- ১৮৪৭ - ১৯১২।
🔶 মীর মশাররফ হোসেনের জন্ম- লাহিনী পাড়া, কুষ্টিয়ায়, ১৩ই নভেম্বর ১৮৪৭ খ্রিষ্টাব্দে।
🔶 ঊনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যের পথিকৃত- মীর মশাররফ হোসেন।
🔶 মশাররফের সাহিত্যগুরু ছিলেন- ‘গ্রামবার্তা’র সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ।
🔶 মশাররফ সম্পাদিত দুটি পত্রিকা- ‘আজিজননেহার’ ও ‘হিতকারী’।
🔶 মশাররফের ‘জমিদার দর্পণ’ নাটকটি রচিত- সিরাজগঞ্জে সংঘটিত ১৮৭২-৩৭ সালের কৃষক-বিদ্রোহের পটভূমিকায়।

১৭. রবীন্দ্রনাথের ‘সোনার তরী’ কবিতা কোন্ ছন্দে রচিত?
[ক] স্বরবৃত্ত
[খ] অক্ষরবৃত্ত
[গ] মন্দাক্রান্তা
✅ মাত্রাবৃত্ত

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মাত্রাবৃত্ত
🔶 রবীন্দ্রনাথের ‘সোনার তরী’ কবিতাটি রচিত- মাত্রাবৃত্ত ছন্দে।
🔶 মাত্রাবৃত্ত ছন্দের মূলপর্ব হয়- সাধারণত ৬ মাত্রার।
🔶 মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত প্রথম গ্রন্থ- ‘চর্যাপদ’।
🔶 মাত্রাবৃত্ত ছন্দটির সৃষ্টিকর্তা বলা হয়- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে।
🔶 মাত্রাবৃত্ত ছন্দের অন্যান্য নাম- ধ্বনিপ্রধান, বিস্তার প্রধান, সরল কলামাত্রিক।
স্বরবৃত্ত
🔶 স্বরবৃত্ত ছন্দের মূলপর্বের মাত্রাসংখ্যা- ৪।
🔶 স্বরবৃত্তের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- রবীন্দ্রনাথের ‘হসন্তের ছাঁচ’ অর্থাৎ বাংলা শব্দের হলন্ত বা ব্যঞ্জনান্ত উচ্চারণ প্রক্রিয়া।
🔶 বাউল গান, লোককথায় ও ছড়ায় পাওয়া যায়- স্বরবৃত্ত ছন্দ।
🔶 স্বরবৃত্ত ছন্দের প্রধান বৈশিষ্ট্য- উচ্চারণে দ্রুততা ও সবলতা।
🔶 ময়মনসিংহ গীতিকা, গোপীচন্দ্রের গান, শ্যামাসঙ্গীত, বাউল পদ, পাঁচালি প্রভৃতি- স্বরবৃত্ত ছন্দে রচিত।
অক্ষরবৃত্ত
🔶 অক্ষরবৃত্ত ছন্দের মূলপর্ব হয়- ৮ বা ১০ মাত্রার।
🔶 বাংলা কাব্যের প্রধান ছন্দ- অক্ষরবৃত্ত ছন্দ।
🔶 অক্ষরবৃত্তের উৎস হলো- অনুষ্টুপ (বৈদিক), বসন্ততিলক (বৃত্তছন্দ)।
🔶 ‘রামায়ণ’ ও ‘মহাভারত’-এর অনুবাদ হয়েছে- অক্ষরবৃত্ত ছন্দে।

১৮. ‘সাহচর্য’ শব্দের শুদ্ধ গঠন কোন্টি?
[ক] সহ + চর + র্য
[খ] সহচর + ৎ ফলা
✅ সহচর + য
[ঘ] কোনটিই নয়

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘সাহচর্য’ শব্দের শুদ্ধ গঠন- সহচর + য।
🔶 সাহচর্য হলো- তদ্ধিত প্রত্যয়।
🔶 শব্দ বা ক্রিয়ার মূলকে বলে- প্রকৃতি। যথা : পড় + আ = পড়া; পড় হলো প্রকৃতি।
🔶 প্রকৃতি ২ প্রকার- নাম প্রকৃতি ও ক্রিয়া প্রকৃতি।
🔶 বিভক্তিহীন শব্দকে বলা হয়- নাম প্রকৃতি।
🔶 নাম প্রকৃতির অন্য নাম- প্রাতিপাদিক।
🔶 ক্রিয়ামূলকে বলা হয়- ক্রিয়া প্রকৃতি।
🔶 ধাতু বা শব্দের পরে ভিন্নার্থের যে বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠিত হয় তাদের বলে- প্রত্যয়। যথা : দুল + অনা = দোলনা; অনা হলো প্রত্যয়।
🔶 প্রত্যয় দুই প্রকার- কৃৎ প্রত্যয় ও তদ্ধিত প্রত্যয়।
🔶 কৃৎ প্রত্যয় যুক্ত হয়- ধাতু বা ক্রিয়ার সাথে।
🔶 মৌলিক শব্দের শেষে যুক্ত হয়- তদ্ধিত প্রত্যয়।

১৯. ‘পাহাড়তলী’ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন -
[ক] মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
[খ] সৈয়দ শামসুল হক
[গ] শামসুর রাহমান
[ঘ] সেলিম আলদীন

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
সঠিক উত্তর নেই।
শামসুর রাহমান
🔶 কবি শামসুর রাহমানের পৈতৃক নিবাস- নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার পাহাড়তলী গ্রাম।
🔶 শামসুর রাহমানের জন্ম- পুরান ঢাকার মাহুতটুলীতে ১৯২৯ সালের ২৩-এ অক্টোবর।
🔶 শামসুর রাহমানের প্রথম কাব্যগ্রন্থ- ‘প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’ (১৯৬০)।
🔶 শামসুর রাহমানের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থাবলী- রৌদ্র করোটিতে, বিধ্বস্ত নীলিমা, নিজ বাসভূমে, বন্দী শিবির থেকে, প্রতিদিন ঘরহীন ঘরে, অক্টোপাস, এলাটিং বেলাটিং প্রভৃতি।
🔶 ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতাটি- শামসুর রাহমানের।
🔶 ‘এই বাঙ্গালায় তোমাকেই আসতে হবে, হে স্বাধীনতা’ পংক্তিটি- শামসুর রাহমানের।
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
🔶 মধ্যযুগীয় চন্ডীমঙ্গলের শ্রেষ্ঠ কবি- মুকুন্দরাম চক্রবর্তী।
🔶 বাঁকুড়ার জমিদার রঘুনাথের সভাকবি ছিলেন- মুকুন্দরাম।
🔶 মুকুন্দরামকে রঘুনাথ রায় প্রদত্ত উপাধি- কবিকঙ্কন।
🔶 মুকুন্দরাম ‘চন্ডীমঙ্গল’ কাব্য রচনা করেন- রঘুনাথের প্রেরণায়।
🔶 মুকুন্দরাম সৃষ্ট অমর চরিত্র- মুরারিশীল, ভাঁড়ূদত্ত, ফুল­রা প্রভৃতি।
সৈয়দ শামসুল হক
🔶 সৈয়দ শামসুল হক জন্মগ্রহণ করেন- ২৭-এ ডিসেম্বর ১৯৩৫ সালে, কুড়িগ্রামে।
🔶 কথাসাহিত্যিক ও গল্পকার সৈয়দ শামসুল হকের বিখ্যাত কলামের নাম- হৃৎকলমের টানে, দৈনিক সংবাদ।
🔶 শামসুল হকের উল্লেখযোগ্য রচনাবলী- এক মহিলার ছবি, খেলারাম খেলে যা, একদা এক রাজ্যে, তাস, রক্তগোলাপ, নুরুল দীনের সারাজীবন প্রভৃতি।
সেলিম আল-দীন
🔶 প্রখ্যাত নাট্যকার ও সাহিত্যিক সেলিম আল দীনের জন্ম- ১৯৪৮ সালে, নোয়াখালীতে।
🔶 গ্রাম থিয়েটার ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্তব বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা- সেলিম আল দীন।
🔶 সেলিম আল দীনের উল্লেখযোগ্য নাটক- অনিকেত, জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন, মুনতাসির ফ্যান্টাসি, কিত্তনখোলা, চাকা, যৈবতী কন্যার মন।

২০. ‘পূর্বাশা’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন-
[ক] মুন্সী মেহেরল্লা
✅ সঞ্জয় ভট্টাচার্য
[গ] কামিনী রায়
[ঘ] মোজাম্মেল হক

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘পূর্বাশা’ মাসিক পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন- সঞ্জয় ভট্টাচার্য।
🔶 কবি, ঔপন্যাসিক, সম্পাদক সঞ্চয় ভট্টাচার্য জন্মগ্রহণ করেন- বর্তমান কুমিল্লার শ্যামগ্রামে।

 GK - সাধারণ জ্ঞান 
 বাংলা - Bangla Literature 
 ৩৪তম পর্ব 
১. বাংলা বর্ণমালায় স্বরবর্ণ কয়টি?
[ক] ১৩টি
[খ] ১০টি
[গ] ১২টি
✅ ১১টি

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা বর্ণমালায় স্বরবর্ণ- ১১টি; অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ।
🔶 ব্যঞ্জনবর্ণ- ৩৯টি।
🔶 বাংলা বর্ণমালায় মোট বর্ণ- ৫০টি।
🔶 ৫০টি বর্ণের মধ্যে- মাত্রাহীন বর্ণ ১০টি, অর্ধমাত্রার বর্ণ ৮টি, পূর্ণমাত্রার বর্ণ ৩২টি।

২.  বাংলা সাহিত্যের আদি কবি কে?
[ক] কাহ্নপা
[খ] ঢেন্ডনাপা
✅ লুইপা
[ঘ] ভূসুকুপা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
লুইপা
🔶 বাংলা সাহিত্যের আদি কবি- লুইপা।
🔶 তিনি রচনা করেছেন- চর্যাপদের ১ম পদসহ ২টি পদ।
কাহ্নপা
🔶 কাহ্নপার প্রকৃত নাম- শান্তিদেব।
🔶 চর্যাপদে প্রাপ্ত কাহ্নপার অন্যান্য নাম- কৃষ্ণাচার্য, কৃষ্ণা।
ঢেন্ডনাপা
🔶 চর্যাপদের ১টি পদ রচয়িতা- ঢেন্ডনাপা।
ভুসুকুপা
🔶 ভূসুকুপা চর্যাপদের দ্বিতীয় সর্বাধিক- ৮টি পদ ও ২৩নং খন্ডিত পদটির রচয়িতা।
🔶 ২৩নং পদটি খন্ডাকারে পাওয়া গেছে- অর্থাৎ ১০টি পঙ্ক্তির মধ্যে ৬টি।

৩. তৎসম শব্দের ব্যবহার কোন রীতিতে বেশি হয়?
[ক] চলিত রীতি
[খ] সাধু রীতি
✅ মিশ্র রীতি
[ঘ] আঞ্চলিক রীতি

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 তৎসম শব্দের ব্যবহার বেশি হয়- সাধু রীতিতে।
🔶 যে ভাষা প্রধানত তৎসম শব্দবহুল, সর্বনাম ও ক্রিয়াপদসমূহ সুনির্ধারিত ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করে চলে এবং পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট তাকে বলা হয়- সাধু ভাষা।

৪. বাংলা ভাষায় প্রথম ব্যাকরণ রচনা করেন কে?
[ক] অক্ষয় দত্ত
[খ] মার্সম্যান
[গ] ব্রাসি হ্যালহেড
✅ রাজা রামমোহন

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
রাজা রামমোহন
🔶 বাংলা ভাষায় প্রথম ব্যাকরণ রচনা করেন- রাজা রামমোহন রায়।
🔶 তিনি ইংরেজি ভাষায় প্রথম বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেন- 'Bengali Grammar in English Language' নামে।
🔶 পরবর্তীতে গ্রন্থটি বাংলায় অনুবাদ করে নামকরণ করা হয়- গৌড়ীয় ব্যাকরণ।
ব্রাসি হ্যালহেড
🔶 ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে নাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড নামক ইংরেজ পন্ডিত ইংরেজি ভাষায় প্রথম বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেন- 'A Grammar of the Bengal Language' নামে।

৫. ফররুখ আহমদের শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থের নাম কি?
✅ সাত সাগরের মাঝি
[খ] পাখির বাসা
[গ] হাতেম তাই
[ঘ] নৌফেল ও হাতেম

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ফররুখ আহমদ-এর শ্রেষ্ঠ কাব্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়- সাত সাগরের মাঝি (১৯৪৪)।
🔶 চলি­শের দশকে আবির্ভূত শক্তিমান কবিদের অন্যতম ফররুখ আহমদের (১৯১৮-১৯৭৪ খ্রি) প্রথম কাব্যগ্রন্থ- ‘সাত সাগরের মাঝি’ (১৯৪৪)।
🔶 ফররুখ আহমদ সমধিক পরিচিত- ইসলামী পুনর্জাগরণের কবি নামে।
🔶 ফররুখ আহমদ তাঁর কবিতায় বেশি ব্যবহার করেছেন- আরবি-ফারসি শব্দ।
🔶 ফররুখ আহমদ আদমজী পুরস্কার লাভ করেন- হাতেম তায়ী গ্রন্থের জন্য।
🔶 ফররুখ আহমদ রচিত সনেট গ্রন্থ- ‘মুহূর্তের কবিতা’।
🔶 তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- ‘সিরাজাম মুনীরা’ (১৯৫২), ‘নৌফেল ও হাতেম’ (কাব্যনাট্য, ১৯৬১), ‘মুহূর্তের কবিতা’ (সনেট সংকলন, ১৯৬৩), ‘হাতেম তায়ী’ (কাহিনী কাব্য, ১৯৬৬) ইত্যাদি।

৬.  প্রাচীনতম বাঙ্গালী মুসলমান কবি কে?
[ক] আলাওল
[খ] সৈয়দ সুলতান
[গ] মুহম্মদ খান
✅ শাহ্ মুহম্মদ সগীর

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
শাহ্ মুহম্মদ সগীর
🔶 মধ্যযুগের প্রাচীনতম বাঙালি মুসলমান কবি- শাহ্ মুহম্মদ সগীর।
🔶 তিনি ছিলেন- গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের সভাকবি।
🔶 তিনিই প্রথম এদেশের পাঠকের কাছে তুলে ধরেন- বাংলা ভাষার মাধ্যমে আরবি-ফারসি সাহিত্যের বিষয়।
আলাওল
🔶 মধ্যযুগের সর্বাধিক গ্রন্থ রচয়িতা- আলাওল।
🔶 তিনি ছিলেন- আরাকান রাজসভার কবি।
🔶 তাকে বলা হয়- ‘পন্ডিত কবি’।
🔶 তাঁর ‘পদ্মাবতী’ মালিক মোহাম্মদ জায়সীকৃত হিন্দি ‘পদুমাবুৎ’, ‘সতীময়না-লোর-চন্দ্রানী’ সাধনকৃত ‘মৈনাসত’, ‘সপ্তপয়কর’ নিজামী গঞ্জভীকৃত ফারসি ‘হফ্ত পয়কর’, ‘তোহফা’ ইউসুফ গদাকৃত ফারসি ‘তুহুফ-এ-নসাঈহ’, ‘সয়ফুলমুলুক বদিউজ্জামাল’ গাওয়াসিকৃত ফারসি ‘সয়ফুলমুলুক বদিউজ্জামাল’ এবং ‘সিকান্দারনামা’ গঞ্জভীকৃত ফারসি ‘সিকান্দরনামা’ অনুসরণে রচিত।
সৈয়দ সুলতান
🔶 মধ্যযুগের কাহিনীকাব্য ও শাস্ত্রকাব্য রচয়িতা হিসেবে খ্যাতিমান কবি- সৈয়দ সুলতান।
🔶 কবির সর্ববৃহৎ ও শ্রেষ্ঠ রচনা- ‘নবীবংশ’ কাব্যটি।
মুহম্মদ খান
🔶 তাঁর শ্রেষ্ঠ রচনা- ‘হানিফার লড়াই’।

৭. চাচাকাহিনীর লেখক কে?
[ক] সৈয়দ শামসুল হক
[খ] শওকত ওসমান
✅ সৈয়দ মুজতবা আলী
[ঘ] ফররুখ আহমদ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
সৈয়দ মুজতবা আলী
🔶 সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত বিখ্যাত রম্যরচনা (ছোটগল্প গ্রন্থ)- চাচাকাহিনী।
🔶 তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ- দেশে বিদেশে ,অবিশ্বাস্য, শবনম।
সৈয়দ শামসুল হক
🔶 সৈয়দ শামসুল হক রচিত ছোটগল্প গ্রন্থ- এক মহিলার ছবি, খেলারাম খেলে যা, নীল দংশন।
শওকত ওসমান
🔶 শওকত ওসমানের প্রথম উপন্যাস- ‘বনী আদম’ (১৯৪৬)।
🔶 লেখকের প্রখ্যাত অন্যান্য উপন্যাস- ‘জননী’ (১৯৬১), ‘চৌরসন্ধি’ (১৯৬৮), ‘সমাগম’ (১৯৬৭), ‘জাহান্নাম হইতে বিদায়’ (১৯৭১), ‘দুই সৈনিক’ (১৯৭৩), ‘নেকড়ে অরণ্য’ (১৯৭৩), ‘পতঙ্গ পিঞ্জর’ (১৯৮৩), ‘রাজসাক্ষী’ (১৯৮৫), ‘জলাংগী’ (১৯৮৬), ‘পুরাতন খঞ্জর’ (১৯৮৭) প্রভৃতি।
ফররুখ আহমদ

৮. মুসলমান নারী জাগরণের কবি-
[ক] ফজিলাতুন্নেসা
[খ] ফয়জুন্নেসা
✅ বেগম রোকেয়া
[ঘ] সামসুন্নাহার

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 মুসলমান নারী জাগরণের কবি- বেগম রোকেয়া।
🔶 নারীশিক্ষা আন্দোলনের অগ্রদূত, সক্রিয় সমাজকর্মি এবং প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনার অন্যতম পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া জন্মগ্রহণ করেন- ৯ ডিসেম্বর, ১৮৮০সালে রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রামে।
🔶 নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন- আঞ্জুমানে খাওয়াতীনে ইসলাম, ১৯১৬ সালে।
🔶 তার উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগ্রন্থ- ‘মতিচূর’, ‘অবরোধবাসিনী’।

৯.  ‘‘শ্রীকৃষ্ণ কীর্ত্তনের’’ রচয়িতা কে?
[ক] জ্ঞানদাস
[খ] দীন চন্ডিদাস
✅ বড়ূ চন্ডিদাস
[ঘ] দীনহীন চন্ডিদাস

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’-এর রচয়িতা- বড়ূ চন্ডিদাস।
🔶 মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যের প্রথম নিদর্শন- ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’।
🔶 বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল­ভ খাঁটি বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ’ বা ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ উদ্ধার করেন- ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে (১৩১৬ বঙ্গাব্দ) পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বনবিষ্ণুপুরের কাঁকিল্যা গ্রামনিবাসী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের গোয়াল ঘর থেকে।
🔶 শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বিষয়বস্তু- রাধাকৃষ্ণের প্রণয়লীলা।
🔶 শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বিন্যস্ত- মোট ১৩ খন্ডে ও ৪১৮টি পদে।
🔶 শ্রীকৃষ্ণকীর্তন রচিত- পয়ার ও ত্রিপদী ছন্দে।
🔶 বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভের সম্পাদনায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়-১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে (১৩২৩ বঙ্গাব্দ)।

১০. বাংলা কথ্য ভাষার আদিগ্রন্থ কোনটি?
[ক] প্রভু যিশুর বাণী
✅ কৃপারশাস্ত্রের অর্থভেদ
[গ] ফুলমণি ও করুণার বিতরণ
[ঘ] মিশনারী জীবন

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা কথ্য ভাষার আদিগ্রন্থ- ১৭৩৪ সালে মনোএল-দ্য-আস্সুম্পসাঁও রচিত ‘কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ’।

১১. কবি আলাওলের জন্মস্থান কোনটি?
[ক] ফরিদপুরের সুরেশ্বর
[খ] চট্টগ্রামের জোবরা
[গ] বার্মার আরাকান
[ঘ] চট্টগ্রামের পটিয়া

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
সঠিক উত্তর নেই।
🔶 মধ্যযুগের সর্বাধিক গ্রন্থ রচয়িতা এবং আরাকান রাজসভার কবি আলাওল জন্মগ্রহণ করেন- চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ফতেয়াবাদে (মতান্তরে ফরিদপুরের ফতেয়াবাদে) ১৬০৭ সালে (সূত্র : বাংলাপিডিয়া)।

১২. ‘অনল প্রবাহ’ রচনা করেন-
✅ সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী
[খ] মোজাম্মেল হক
[গ] এয়াকুব আলী চৌধুরী
[ঘ] মুনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ইসমাইল হোসেন সিরাজী রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ- ‘অনল প্রবাহ’ (১৮৯৯)।
🔶 ‘অনল প্রবাহ’ ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয় কারণ কাব্যগ্রন্থটি- রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রচিত।
🔶 ইসমাইল হোসেন সিরাজী (১৮৮০-১৯৩১) পরিচিত- মুসলিম পুনর্জাগরণবাদী লেখক হিসেবে।
🔶 কবি, ঔপন্যাসিক ও রাজনীতিবিদ ইসমাইল হোসেন সিরাজীর জন্ম- ১৩ জুলাই, ১৮৮০ সালে, সিরাজগঞ্জে।
🔶 কবির বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ- ‘উচ্ছ্বাস’ (১৯০৭), ’উদ্বোধন’ (১৯০৭), ‘সেঙন বিজয় কাব্য’ (১৯১৪)।

১৩. ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যের প্রথম কবিতা কোনটি?
[ক] ধূমকেতু
[খ] বিদ্রোহী
✅ প্রলয়োল্লাস
[ঘ] অগ্রপথিক

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থে সংকলিত প্রথম কবিতা- ‘প্রলয়োল্লাস’।
🔶 কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ- ‘অগ্নিবীণা’।
🔶 এতে রয়েছে- মোট ১২টি কবিতা।
🔶 কাব্যগ্রমেথর দ্বিতীয় কবিতা- ‘বিদ্রোহী’।
🔶 কাব্যগ্রন্থটি নিষিদ্ধ হয়- ‘রক্তাম্বরধারিনী মা’ কবিতার জন্য।

১৪. বাংলা সাহিত্যে কথ্য রীতির প্রচলনে কোন পত্রিকার অবদান বেশি?
[ক] কল্লোল
✅ সবুজপত্র
[গ] বঙ্গদর্শন
[ঘ] কালিকলম

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা সাহিত্যে কথ্য রীতির প্রচলনে অবদান বেশি- প্রমথ চৌধুরীর সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘সবুজপত্র’ পত্রিকার (১৯১৪)।

১৫. ‘জনৈক’ শব্দটির সন্ধিবিচ্ছেদ-
[ক] জন + ইক
✅ জন + এক
[গ] জনৈ + এক
[ঘ] জন + ইক

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 স্বরসন্ধির উদাহরণ- জন + এক = জনৈক।
🔶 সন্ধিটির বিচ্ছেদ সাধিত হয়েছে- অ + এ = ঐ এ নিয়মে।

১৬. বাক্যের তিনটি গুণ কি কি?
[ক] আকাংখা, আসত্তি ও বিধেয়
✅ আকাংখা, আসত্তি ও যোগ্যতা
[গ] যোগ্যতা, উদ্দেশ্য ও বিধেয়
[ঘ] কোনটিই নয়

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাক্যের তিনটি গুণ- আকাংখা, আসত্তি ও যোগ্যতা।
🔶 অর্থবোধক বাক্যগঠনে বাক্যের- তিনটি গুণ থাকা আবশ্যক।

১৭. একাত্তরের চিঠি- কোন জাতীয় রচনা?
[ক] মুক্তিযুদ্ধের বিবরণ
[খ] মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস
✅ মুক্তিযোদ্ধাদের পত্র সংকলন
[ঘ] ভিন্নধর্মী ডায়েরী

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 মুক্তিযোদ্ধাদের পত্র সংকলন- ‘একাত্তরের চিঠি’।
🔶 গ্রামীন ফোন ও দৈনিক প্রথম আলোর প্রচেষ্টায় বাংলার বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের বেশ কিছু চিঠি সংকলন করে প্রকাশিত হয়- ‘একাত্তরের চিঠি’ নামে।

১৮. বাংলা একাডেমী কোন বছর প্রতিষ্ঠিত হয়?
✅ ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে
[খ] ১৩৫৫ বঙ্গাব্দে
[গ] ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে
[ঘ] ১৩৫২ বঙ্গাব্দে

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা ভাষা সংক্রান্ত সর্ববৃহৎ গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর (১৩৬২ বঙ্গাব্দের ১৭ অগ্রহায়ণ) ঢাকার বর্ধমান হাউসে।
🔶 এটি সরকারি অর্থে পরিচালিত স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা লাভ করে- ১৯৫৭ সালে ‘দি বেঙ্গলী একাডেমী অ্যাক্ট’ গৃহীত হলে।

১৯. সনেট কবিতার প্রবর্তক কে?
[ক] দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
[খ] রজনীকান্ত সেন
✅ মাইকেল মধুসূদন দত্ত
[ঘ] অতুলপ্রসাদ সেন

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা সাহিত্যের সনেট রচনার প্রবর্তক- মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
🔶 সনেটের উৎকৃষ্ট উদাহরণ- তাঁর ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’।
🔶 সনেটের আদি কবি- ইতালির পেত্রার্ক।

২০. সমাস ভাষাকে কি করে?
✅ সংক্ষেপ করে
[খ] বিস্তৃত করে
[গ] অর্থপূর্ণ করে
[ঘ] অর্থের রূপান্তর ঘটায়

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 সমাস ভাষাকে- সংক্ষেপ করে।
🔶 সমাস শব্দের অর্থ- সংক্ষেপন, মিলন, একাধিক পদের একপদীকরণ।
🔶 পরস্পর সম্পর্কযুক্ত একাধিক পদের এক পদের মিলিত হওয়াকে বলে- সমাস।

 GK - সাধারণ জ্ঞান 
 বাংলা - Bangla Literature 
 ৩৩তম পর্ব 
১. চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় কোথা থেকে?
[ক] বাঁকুড়ার এক গৃহস্থের গোয়াল ঘর থেকে
[খ] আরাকান রাজগ্রন্থাগার থেকে
✅ নেপালের রাজগ্রন্থশালা থেকে
[ঘ] সুদূর চীন দেশ থেকে

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয়- নেপালের রাজগ্রন্থশালা থেকে।
🔶 চর্যাপদে মোট পদের অস্তিতব ছিল- ৫১টি (মতান্তরে ৫০টি)।
🔶 টীকাকার মুনিদত্ত ব্যাখ্যা করেন নি- ১১ নং পদের।
🔶 চর্যাপদ রচিত- মাত্রাবৃত্ত ছন্দে।

২. মঙ্গলযুগের সর্বশেষ কবির নাম কি?
[ক] বিজয় গুপ্ত
✅ ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
[গ] মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
[ঘ] কানাহরি দত্ত

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
🔶 মঙ্গলযুগের তথা আঠারো শতকের (মধ্যযুগ) সর্বশেষ বড় কবি- ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।
🔶 প্রকৃতপক্ষে বাংলা সাহিত্যে মধ্যযুগের অবসান ঘটে- ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে ভারতচন্দ্রের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে।
🔶 ভারতচন্দ্রের (১৭০৭) জন্মস্থান- পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার পান্ডুয়া গ্রাম।
🔶 মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন, আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে, না রবে প্রসাদগুণ না হবে রসাল/ অতএব কহি ভাষা যাবনী মিশাল। বিখ্যাত উক্তিগুলো- ভারতচন্দ্রের।
🔶 ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল কাব্যের প্রধান চরিত্রগুলো- ঈশ্বরী পাটনী, হীরা মালিনী, শিব, কালী, মানসিংহ, ভবানন্দ, বিদ্যা, সুন্দর।

বিজয়গুপ্ত
🔶 মনসামঙ্গলের দ্বিতীয় কবি- বিজয়গুপ্ত।
🔶 মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে বিজয়গুপ্ত রচিত মনসামঙ্গল কাব্য- ‘পদ্মাপুরাণ’।
🔶 কবি বিজয়গুপ্তের জন্মস্থান- বর্তমান বরিশাল জেলার গৈলা গ্রাম। এর পূর্ববর্তী নাম ফুল্লশ্রী।

মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
🔶 মধ্যযুগীয় চন্ডীমঙ্গলের শ্রেষ্ঠ কবি- মুকুন্দরাম চক্রবর্তী।
🔶 মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর উপাধি- ‘কবিকঙ্কণ’।
🔶 মুকুন্দরাম ছিলেন- বস্তুতান্ত্রিক ঔপন্যাসিকদের অগ্রদূত।
🔶 বাংলা সাহিত্যের অমর সৃষ্টি- মুকুন্দরাম রচিত চন্ডীমঙ্গলের মুরারি শীল, ভাঁড়ূদত্ত ও ফুল্লরা চরিত্র।

কানাহরি দত্ত
🔶 মধ্যযুগের মনসামঙ্গলের আদিকবি- কানাহরি দত্ত।
🔶 হরিদত্ত কাব্য রচনা করেন- সুলতান হুসেন শাহের আমলে।
🔶 মনসামঙ্গল কাব্য রচিত হয়- মনসা দেবীর মাহাত্ম্য কাহিনী নিয়ে।
🔶 মনসা দেবীর অন্য নামগুলো হলো- কেতকা, পদ্মাবতী।
🔶 মনসামঙ্গলের বিখ্যাত চরিত্র- চাঁদ সওদাগর, বেহুলা, দেবী মনসা।

৩. বিদ্যাপতি কোথাকার কবি ছিলেন?
[ক] নবদ্বীপের
✅ মিথিলার
[গ] বৃন্দাবনের
[ঘ] বর্ধমানের

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বিদ্যাপতি ছিলেন- মিথিলার রাজসভার কবি।
🔶 বিদ্যাপতি রচিত গ্রন্থ- পুরুষপরীক্ষা, লিখনাবলী, কীর্ত্তিলতা, ভূ-পরিক্রমা, দানবাক্যবলী ইত্যাদি।
🔶 বাঙালী না হয়েও এবং বাংলায় কোনো পদ রচনা না করেও বাঙালি বৈষ্ণবের গুরু-স্থানীয় হয়ে আছেন- মিথিলার কবি বিদ্যাপতি।
🔶 মৈথিলি ছাড়া বিদ্যাপতি গ্রন্থ রচনা করেন- আরও তিনটি ভাষায়; সংস্কৃত, অবহঠট ও ব্রজবুলি।
🔶 ‘এ ভরা বাদর মাহ ভাদর
শূন্য মন্দিরে মোর’ - চরণ দু’টির রচয়িতা- মিথিলার বিখ্যাত কবি বিদ্যাপতির।

৪. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের বড়ায়ি কি ধরনের চরিত্র?
[ক] শ্রী রাধার ননদিনী
[খ] শ্রী রাধার শাশুড়ি
✅ রাধাকৃষ্ণের প্রেমের দূতী
[ঘ] জনৈক গোপবালা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে বড়ায়ি চরিত্রের সৃষ্টি হয়েছে- রাধাকৃষ্ণের প্রেমের দূতী হিসেবে।
🔶 বড়ায়ি চরিত্রটি ছিল- কূটবুদ্ধিতে, রসিকতায় ও সার্থক ছদ্ম-অভিনয়ের পরিচায়ক।
🔶 কাব্যে রাধাকৃষ্ণের প্রেম সংগঠনে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে- বড়ায়ি।

৫. লোকসাহিত্য কাকে বলে?
[ক] গ্রামীণ নরনারীর প্রণয় সংবলিত উপাখ্যানকে
[খ] লোক সাধারণের কল্যাণে দেবতার স্ত্ততিমূলক রচনাকে
✅ লোকের মুখে মুখে প্রচলিত কাহিনী, গান, ছড়া ইত্যাদিকে।
[ঘ] গ্রামের অশিক্ষিত ও অখ্যাত লোকের সৃষ্ট রচনাকে

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 সাধারণত মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত উপকথা, কাহিনী, গান, প্রবাদ, ছড়া প্রভৃতিকে বলে- লোক সাহিত্য। এতে এক-একটি অঞ্চলের জীবন ধারার প্রতিফলন লক্ষ্যণীয়।
🔶 অতীত ঐতিহ্য ও বর্তমান অভিজ্ঞতাকে আশ্রয় করে রচিত মৌখিক ধারার সাহিত্য হচ্ছে- লোকসাহিত্য।
🔶 লোকসাহিত্য সাধারণত- অলিখিত সাহিত্য।
🔶 বাংলাদেশের প্রখ্যাত লোকসাহিত্য গবেষক- ড.  আশরাফ সিদ্দিকী।
🔶 লোকসাহিত্য প্রধানত ৮টি শাখায় বিভক্ত- লোকসঙ্গীত, গীতিকা, লোককাহিনী, লোকনাট্য, ছড়া, মন্ত্র, ধাঁধা ও প্রবাদ।

৬. বাংলা সাহিত্যে কখন গদ্যের সূচনা হয়?
✅ নবম শতকে
[খ] ত্রয়োদশ শতকে
[গ] ষোড়শ শতকে
[ঘ] উনিশ শতকে

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ধারাবাহিকভাবে বাংলা গদ্য রচনা ও চর্চার সূত্রপাত হয় নবম শতকে- ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ থেকে।
🔶 বাংলা গদ্যচর্চায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন- উইলিয়াম কেরী।
🔶 ফোর্ট উইলিয়াম পর্বের বাংলা গদ্যের ৮ জন পন্ডিতের উল্লেখযোগ্য কর্ম- উইলিয়াম কেরীর কথোপকথন (১৮০১), বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (১৮০১), ইতিহাসমালা (১৮১২), বাংলা ইংরেজি অভিধান; রামরাম বসুর রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র (১৮০২), লিপিমালা (১৮০২) ; গোলকনাথ শর্মার হিতোপদেশ (১৮০২); মৃত্যুঞ্জয় তর্কালংকারের বত্রিশ সিংহাসন (১৮০২); হিতোপদেশ (১৮০৮); রাজাবলী (১৮০৮); প্রবোধচন্দ্রিকা (১৮৩৩); তারিণীচরন মিত্রর ওরিয়েন্টাল ফেবুলিস্ট (১৮০৩); রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়ের মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়ষ্য চরিত্রং (১৮০৫); চন্ডীচরণ মুন্সীর তোতা ইতিহাস (১৮০৫) এবং হরপ্রসাদ রায়ের পুরুষপরীক্ষা (১৮১৫)।

৭. বাংলা ভাষায় প্রথম সাময়িকপত্র কোনটি?
ড় দিকদর্শন
[খ] সংবাদ প্রভাকর
[গ] তত্তববোধিনী
[ঘ] বঙ্গদর্শন

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
দিকদর্শন
🔶 বাংলা ভাষায় প্রথম সাময়িকপত্র- ‘দিকদর্শন’ (১৮১৮)।
🔶 দিকদর্শন পত্রিকার সম্পাদক- জন ক্লার্ক মার্শম্যান।
🔶 বাংলা সংবাদপত্রের ইতিহাসে যে তিনটি গুরুতবপূর্ণ (দিকদর্শন, সমাচার দর্পণ, বেঙ্গল গেজেট) পত্রিকা প্রকাশিত হয় হুগলি জেলার শ্রীরামপুরের খ্রিস্টান মিশনারিদের তত্তবাবধানে, তার মধ্যে অন্যতম- ‘দিকদর্শন’।
🔶 দিকদর্শন পত্রিকায় প্রকাশ হতো- ধর্মীয় নানা নীতিকথা ও উপদেশ।
🔶 পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যায়- মোট ২৬টি সংখ্যা প্রকাশিত হয়ে।

সংবাদ প্রভাকর
🔶 সাপ্তাহিক সংবাদ প্রভাকর প্রথম প্রকাশিত হয়- ২৮-এ জানুয়ারি ১৮৩১ খ্রি.।
🔶 বাংলাভাষায় প্রকাশিত সর্বপ্রথম দৈনিক পত্রিকা- সংবাদ প্রভাকর।
🔶 দৈনিক সংবাদ প্রভাকর প্রথম প্রকাশিত হয়- ১৪ই জুন ১৮৩৯ খ্রি.।
🔶 সংবাদ প্রভাকরের প্রথম প্রকাশক- ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।
🔶 প্রথমে এটি ছিল- বাংলা সাপ্তাহিক পত্রিকা।
🔶 মাসিক সংস্করণ প্রকাশিত হয়- ১৮৫৩ খ্রি. থেকে।
🔶 সর্বশেষ সম্পাদক- মনীন্দ্রকৃষ্ণ গুপ্ত।
🔶 নীলচাষের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে গুরুতবপূর্ণ ভূমিকা পালন করে- সংবাদ প্রভাকর।

তত্তববোধিনী
🔶 অক্ষয়কুমার দত্তের সম্পাদনায় ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই আগস্ট প্রথম প্রকাশিত হয়- ‘তত্তববোধিনী’ পত্রিকা।
🔶 তত্তববোধিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন- দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
🔶 তত্তববোধিনীসভার মুখপাত্র ও ব্রাহ্মধর্মের প্রচারের প্রধান মাধ্যম ছিল- তত্তববোধিনী।

‘বঙ্গদর্শন’
🔶 বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় ১৮৪২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়- মাসিক ‘বঙ্গদর্শন’।
🔶 ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার মাধ্যমে বাংলা গদ্যের প্রভূত উন্নতি সাধনের লক্ষ্যে বঙ্কিমচন্দ্র গড়ে তোলেন- একটি শক্তিশালী লেখকগোষ্ঠী।

৮. ইয়ং বেঙ্গল কি?
[ক] বাংলাভাষা শিক্ষার্থী ইংরেজ
ড় ইংরেজি ভাবধারাপুষ্ট বাঙালি যুবক
[গ] একটি সাহিত্যিক গোষ্ঠীর নাম
[ঘ] একটি সাময়িকপত্রের নাম

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ঊনিশ শতকের বাংলার নবজাগরণ বা রেনেসাঁসের বার্তাবাহী পাশ্চাত্য শিক্ষা, সভ্যতা ও সংস্কৃতির আলোকে আলোকিত বাঙালি যুবসমাজ- ইয়ং বেঙ্গল।
🔶 ইয়ং বেঙ্গলের প্রায় সকলেই ছিলেন- হিন্দু কলেজের ছাত্র এবং অধ্যাপক ডিরোজিওর শিস্য।
🔶 ইয়ং বেঙ্গলের মূল লক্ষ্য ছিল- হিন্দু সমাজের প্রচলিত ধর্মীয় সংস্কার ও নিয়মাদি অমান্য ও অগ্রাহ্য করে সংস্কারমুক্তির দিকে এগিয়ে যাওয়া।
🔶 ব্যাঙ্গার্থে ইয়ং বেঙ্গলের সদস্যরা পরিচিতি লাভ করেন- ‘নববাবু’ নামে।
🔶 ইয়ং বেঙ্গলদের সদস্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন- মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র, রাধানাথ শিকদার, রাজনারায়ণ বসু, ভূদেব মুখোপাধ্যায় প্রমুখ বিখ্যাত বাঙালি।
🔶 ইয়ং বেঙ্গলদের উচ্ছৃংখলতা নিয়ে রচিত দুটি বাংলা সাহিত্যের স্মরণীয় রচনা- মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ এবং দীনবন্ধু মিত্রের ‘সধবার একাদশী’ প্রহসন।

৯. দীনবন্ধু মিত্রের প্রহসন কোনটি?
[ক] বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ
✅ বিয়ে পাগলা বুড়ো
[গ] কিঞ্চিত জলযোগ
[ঘ] কল্কি অবতার

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
বিয়ে পাগলা বুড়ো
🔶 ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের অনুপ্রেরণায় কবিতা দিয়ে সাহিত্যে জীবন শুরু করা দীনবন্ধু মিত্র অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দেন- প্রহসন রচনায়।
🔶 তার রচিত দুটি প্রহসন- ‘সধবার একাদশী’ (১৮৬৬), ‘বিয়ে পাগলা বুড়ো’ (১৮৬৬)।
🔶 ‘বিয়ে পাগলা বুড়ো’ প্রহসনটি রচিত- সমাজের প্রাচীনপন্থিদের ব্যঙ্গ করে।
🔶 দীনবন্ধু মিত্রের শ্রেষ্ঠ রচনা ও শ্রেষ্ঠ নাটক- নীলদর্পণ (১৮৬০)।
বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ
🔶 বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মাইকেল মধুসূদন দত্তের দুটি প্রহসন- ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ (১৮৬০), ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ (১৮৬০)।
🔶 ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ প্রহসনটি রচিত- রক্ষনশীল হিন্দু সমাজের আচারসর্বস্ব ও নীতিভ্রষ্ট সমাজপতিদের গোপন লাম্পট্য তুলে ধরে।
🔶 ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ প্রহসনটি রচিত- ইংরেজি শিক্ষিত ইয়ং বেঙ্গলের মাদকাসক্তি, উচ্ছৃংখলতা ও অনাচারকে কটাক্ষ করে।
কিঞ্চিত জলযোগ
🔶 জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত প্রহসন- ‘কিঞ্চিত জলযোগ’ (১৮৭২), ‘এমন কর্ম আর করব না’ (১৮৭৭), ‘হঠাৎ নবাব’ (১৮৮৪), ‘হিতে বিপরীত’ (১৮৯৬), ‘দায়ে পড়ে দারগ্রহ’।
🔶 জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা।
🔶 তিনি ছিলেন- বিখ্যাত সাহিত্য পত্রিকা ভারতী-র (১৮৭৭) উদ্যোক্তা।
কল্কি অবতার
🔶 দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত প্রহসন- ‘কল্কি অবতার’ (১৮৯৫), ‘বিরহ’ (১৮৯৭), ‘ত্র্যহস্পর্শ’ (১৯০০)।
🔶 দ্বিজেন্দ্রলাল রায় (ডি এল রায়) ছিলেন- একাধারে কবি, নাট্যকার ও গীতিকার।
🔶 দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের বিশেষ অবদান- বাংলা গানে বিদেশি কোরাস গানের ঢং প্রয়োগ।

১০. মীর মশাররফ হোসেনের নাটক কোনটি?
[ক] নটির পূজা
✅ বেহুলা গীতাভিনয়
[গ] নবীন তপস্বিনী
[ঘ] কৃষ্ণকুমারী

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
বেহুলা গীতাভিনয়
🔶 কবি, নাট্যকার ও গীতিকার মীর মশাররফ হোসেন রচিত নাটক- ‘বসন্তকুমারী’ (১৮৭৩), ‘জমিদার দর্পণ’ (১৮৭৩), ‘বেহুলা গীতাভিনয়’ (১৮৮৯)।

নটির পূজা
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত নাটক- নটীর পূজা (১৯২৬)।
🔶 রবীন্দ্রনাথ নজরুলকে উৎসর্গ করেন- গীতিনাট্য ‘বসন্ত’ (১৯২৩)।
🔶 রবীন্দ্রনাথের প্রথম নাটক- ‘বাল্মিকী প্রতিভা’ (১৮৮১)।
🔶 রবীন্দ্রনাথ মোট নাটক রচনা করেন- ২৯টি।

নবীন তপস্বিনী
🔶 ‘নবীন তপস্বিনী’ (১৮৬৬) নাটকের রচয়িতা- দীনবন্ধু মিত্র।
🔶 দীনবন্ধু মিত্রের অন্যান্য নাটক- ‘লীলাবতী’ (১৮৬৭), ‘জামাই বারিক’ (১৮৭২), ‘কমলে কামিনী (১৮৭৩)।

কৃষ্ণকুমারী
🔶 ‘কৃষ্ণকুমারী’ (১৮৬১) নাটকের রচয়িতা- মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
🔶 বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ট্রাজেডি নাটক- কৃষ্ণকুমারী।
🔶 মাইকেল মধুসূদন দত্তের অন্যান্য নাটক- ‘পদ্মাবতী’ (১৮৬০), ‘শর্মিষ্ঠা’ (১৮৫৮), ‘মায়াকানন’।

১১. কলকাতায় প্রথম রঙ্গমঞ্চ তৈরি হয় কত সালে?
[ক] ১৮১৭ সালে
[খ] ১৮৩২ সালে
[গ] ১৮৫২ সালে
✅ ১৭৫৩ সালে

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 কলকাতায় প্রথম রঙ্গমঞ্চ তথা নাট্যমঞ্চ প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৭৫৩ সালে।
🔶 নাটক ও নৃত্যকর্মকে উৎসাহিত করতে ব্রিটিশরা প্রতিষ্ঠা করে- ‘প্লে হাউস’ নামক এ রঙ্গমঞ্চটি।
🔶 রঙ্গমঞ্চটি অবস্থিত- কলকাতার লালদিঘীর পূর্ব পাশে লালবাজার রোডে।
🔶 মঞ্চটির নকশা তৈরি করেন- উইলিয়াম উইলস।

১২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অতিপ্রাকৃত গল্প কোনটি?
[ক] একরাত্রি
[খ] নষ্টনীড়
✅ ক্ষুধিত পাষাণ
[ঘ] মধ্যবর্তিনী

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 অতিপ্রাকৃত শব্দের অর্থ- অলৌকিক, অনৈসর্গিক, supernatural।
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অতিপ্রাকৃত গল্পগুলো হলো- ‘ক্ষুধিত পাষাণ’, ‘গুপ্তধন’, ‘জীবিত ও মৃত’, ‘মণিহারা’, নিশীথে’, ‘সম্পত্তি সমর্পণ’ প্রভৃতি।
🔶 ‘একরাত্রি’, ‘নষ্টনীড়’ ও ‘মধ্যবর্তিনী’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত- প্রেম বিষয়ক গল্প।

১৩. বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম ঔপন্যাসিকের নাম কি?
[ক] মোতাহের হোসেন
[খ] ইসমাইল হোসেন সিরাজী
✅ মীর মশাররফ হোসেন
[ঘ] ফররুখ আহমদ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মীর মশাররফ হোসেন
🔶 বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম ঔপন্যাসিক- মীর মশাররফ হোসেন।
🔶 বাংলা সাহিত্যে মুসলিম রচিত প্রথম উপন্যাস- মীর মশাররফ হোসেনের ‘রত্নাবতী’ (১৮৬৯ )।
🔶 লেখকের বিখ্যাত উপন্যাস- ‘বিষাদসিন্ধু’ (১৮৮৫-১৮৯১)।
🔶 মীর মশাররফ হোসেনের অমর কীর্তি বিষাদসিন্ধুর (১৮৮৫-৯১) উপজীব্য- কারবালার কাহিনী।

মোতাহের হোসেন
🔶 ঢাকার মুসলিম সাহিত্য সমাজের (১৯২৬) মুক্তবুদ্ধি চর্চা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা- মোতাহের হোসেন চৌধুরী (১৯০৩-১৯৫৬)।
🔶 লেখকের রচিত গ্রন্থ- ‘সংস্কৃতির কথা’ (১৮৫৮), ‘সভ্যতা’ (১৯৬৫), ‘সুখ’ (১৯৬৮)।

ইসমাইল হোসেন সিরাজী
🔶 লেখকের প্রখ্যাত উপন্যাস- ‘তারা-বাঊ’ (১৯০৮), রায়নন্দিনী (১৯১৮), ফিরোজা বেগম (১৯২৩)।

ফররুখ আহমদ
🔶 ইসলামী স্বাতন্ত্র্যবাদী কবি- ফররুখ আহমদ (১৯১৮-১৯৭৪)।

১৪. নজরুল ইসলামের সম্পাদিত পত্রিকা কোনটি?
[ক] মাহে নও
[খ] সওগাত
✅ ধূমকেতু
[ঘ] কালিকলম

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ধূমকেতু
🔶 বাংলা সাহিত্যের বিদ্রোহী কবি ও বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত পত্রিকা- ‘দৈনিক নবযুগ’, (১৯২০), ‘ধূমকেতু’ (১৯২২), ‘লাঙ্গল’ (১৯২৫)।
মাহে নও
🔶 পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের মুখপাত্র ‘মাসিক মাহে নও’ (১৯৪৯)-এর সম্পাদক- আবদুল কাদির।
🔶 আবদুল কাদির রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ- দিলরুবা (১৯৩৩), উত্তর বসন্ত (১৯৬৭), কবি নজরুল (১৯৭০), বাংলা ছন্দের ইতিবৃত্ত (১৯৮৫)।

সওগাত
🔶 ‘সওগাত’ (মাসিক ১৯১৮, সাপ্তাহিক ১৯২৮)-এর সম্পাদক- মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন।
🔶 তিনি সৃজনশীল লেখক ও সাংবাদিকদের পুরস্কৃত করার জন্য প্রদান করা শুরু করেন- নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক (১৯৭৬)।
🔶 নারী স্বাধীনতার পক্ষে জনমত সৃষ্টির লক্ষে ১৯৪৬ সালে প্রকাশ করেন- ‘বেগম’ নামক সাপ্তাহিক পত্রিকা।
কালিকলম
🔶 ‘কালিকলম’ (১৯২৬)-এর সম্পাদক ছিলেন- প্রেমেন্দ্র মিত্র।

১৫. জীবনানন্দ দাশের প্রবন্ধগ্রন্থ কোনটি?
[ক] ধূসর পান্ডুলিপি
✅ কবিতার কথা
[গ] ঝরা পালকের কবি
[ঘ] দুর্দিনের যাত্রী

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
কবিতার কথা
🔶 জীবনানন্দ দাশ রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ- ‘কবিতার কথা’ (১৯৫৫)।
ধূসর পান্ডুলিপি
🔶 জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪)-এর কাব্যগ্রন্থ- ‘ঝরাপালক’ (১৯২৭), ‘ধূসর পান্ডুলিপি’ (১৯৩৬), ‘বনলতা সেন’ (১৯৪২), ‘সাতটি তারার তিমির’ (১৯৪), ‘রূপসী বাংলা’ (১৯৫৭), উপন্যাস ‘মাল্যবান’ (১৯৭৩), ‘সতীর্থ’ (১৯৭৪)।
🔶 জীবনানন্দ দাশকে বলা হয়- তিমির হননের কবি।
ঝরা পালকের কবি
🔶 জীবনানন্দ দাশের প্রথম কাব্যগ্রন্থ- ঝরাপালক (১৯২৭)।
দুর্দিনের যাত্রী
🔶 কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রবন্ধ গ্রন্থ- ‘দুর্দিনের যাত্রী’ (১৯২২), ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ (১৯২৩), ‘যুগবাণী’ (১৯২৬)।

১৬. ‘সাত সাগরের মাঝি’ কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কে?
[ক] কাজী নজরুল ইসলাম
✅ ফররুখ আহমদ
[গ] আব্দুল কাদির
[ঘ] বন্দে আলী মিয়া

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ফররুখ আহমদ
🔶 ইসলামী স্বাতন্ত্র্যবাদী কবি ফররুখ আহমদের কাব্যগ্রন্থ- ‘সাত সাগরের মাঝি’(১৯৪৪), ‘মুহূর্তের কবিতা’ (১৯৬৩)।
কাজী নজরুল ইসলাম
🔶 কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬) রচিত কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ- ‘অগ্নিবীণা’ (১৯২২), ‘দোলনচাঁপা’ (১৯২৩), ‘সিন্ধু হিন্দোল’ (১৯২৭), ‘বিষের বাঁশি’ (১৯২৪), ‘ভাঙ্গার গান’ (১৯২৪), ‘ছায়ানট’ (১৯২৪), ‘প্রলয় শিখা’ (১৯৩০), ‘পূবের হাওয়া’ (১৯২৫), ‘সর্বহারা’ (১৯২৬)।
আব্দুল কাদির
🔶 ছান্দসিক কবি আব্দুল কাদিরের কবিতা গ্রন্থ- ‘দিলরুবা’ (১৯৩৩), ‘উত্তর বসন্ত’ (১৯৬৭)।
বন্দে আলী মিয়া
🔶 পল্লী প্রকৃতির সৌন্দর্য বর্ণনায় নৈপুণ্যের স্বাক্ষরকারী বন্দে আলী মিয়া রচিত কাব্যগ্রন্থ- ‘ময়নামতির চর’ (১৯৩২), ‘অনুরাগ’ (১৯৩২)।

১৭. বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনভিত্তিক উপন্যাস কোনটি?
[ক] অগ্নিসাক্ষী
[খ] চিলেকোঠার সেপাই
✅ আরেক ফাল্গুন
[ঘ] অনেক সূর্যের আশা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
আরেক ফাল্গুন
🔶 কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্র পরিচালক জহির রায়হান (১৯৩৫-১৯৭২) রচিত উপন্যাস- ‘আরেক ফাল্গুন’ (১৯৬৮)।
🔶 উপন্যাসটি রচিত- ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে।
চিলেকোঠার সেপাই
🔶 আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত উপন্যাস- চিলেকোঠার সেপাই।
🔶 উপন্যাসটি রচিত- ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে।
অনেক সূর্যের আশা
🔶 সরদার জয়েনউদ্দীন রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- অনেক সূর্যের আশা (১৯৬৬)।
🔶 এই উপন্যাসটির জন্যে লেখক বাংলা একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন- ১৯৬৭ সালে।
🔶 উপন্যাসটি রচিত- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং স্বাধীকার আন্দোলনের পটভূমিকায়।

১৮. মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস কোনটি?
[ক] শংখনীল কারাগার
[খ] কাঁটাতারে প্রজাপতি
✅ জাহান্নাম হইতে বিদায়
[ঘ] আর্তনাদ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
জাহান্নাম হইতে বিদায়
🔶 শওকত ওসমানের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস- ‘জাহান্নাম হইতে বিদায়’ (১৯৭১)।
🔶 লেখকের অন্যান্য উলে­খযোগ্য উপন্যাস- ‘নেকড়ে অরণ্য’ (১৯৭৩), ‘দুই সৈনিক’ (১৯৭৩), ‘জলাংগী’ (১৯৮৬)।
শংখনীল কারাগার
🔶 কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- ‘শংখনীল কারাগার’।
🔶 তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- ‘নন্দিত নরকে’,‘আগুনের পরশমণি’, ‘জোছনা ও জননীর গল্প’ ইত্যাদি।
🔶 ‘আগুনের পরশমণি’ একটি- মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস।
কাঁটাতারে প্রজাপতি
🔶 সেলিনা হোসেনের উপন্যাস- ‘কাঁটাতারে প্রজাপতি’ (১৯৮৯)।
🔶 উপন্যাসটি রচিত- সোমেন চন্দ্রের সাহিত্য আন্দোলন ও ইলা মিত্রের রাজশাহীর তেভাগা আন্দোলন নিয়ে।
আর্তনাদ
🔶 খান মোহাম্মদ মইনউদ্দীন রচিত কাব্যগ্রন্থ-আর্তনাদ (১৯৫৮)।

১৯. শওকত ওসমান কোন উপন্যাসের জন্য আদমজী পুরস্কার লাভ করেন?
[ক] বনী আদম
[খ] জননী
[গ] চৌরসন্ধি
✅ ক্রীতদাসের হাসি

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমান ‘ক্রীতদাসের হাসি’ (১৯৬২) উপন্যাসের জন্য আদমজী পুরস্কার লাভ করেন- ১৯৬৬ সালে।
🔶 এ উপন্যাসটিতে প্রতীকাশ্রয়ে সমালোচনা করা হয়- তৎকালীন পাকিস্তানিদের বিরূপ শাসনের।
🔶 ‘ক্রীতদাসের হাসি' উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদ- 'A Slave Laughs' (১৯৭৬)।

২০. ‘উপরোধ’ শব্দের অর্থ কি?
[ক] প্রতিরোধ
[খ] উপস্থাপন
✅ অনুরোধ
[ঘ] উপযোগী

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
অনুরোধ
🔶 ‘উপরোধ’ শব্দের অর্থ- বিশেষ অনুরোধ, সুপারিশ, খাতির। ‘উপরোধে ঢেকি গেলা’ বাগধারাটিতে এ শব্দের ব্যবহার দেখা যায়, যার অর্থ অনুরোধ এড়াতে না পেরে অনিচ্ছা সত্তেবও কোনো কাজ করা।
প্রতিরোধ
🔶 ‘প্রতিরোধ’ অর্থ- বিরোধ, নিবারণ, বাধাদান, প্রতিবন্ধ, আটক, ব্যাঘাত ইত্যাদি।
উপস্থাপন
🔶 ‘উপস্থাপন’ শব্দের অর্থ- উপস্থিতকরণ, আনয়ন, অবতারণা, প্রস্তাবনা, উত্থাপন প্রভৃতি।
উপযোগী
🔶 ‘উপযোগী’ শব্দের অর্থ- উপযুক্ত, যোগ্য, সঙ্গত, কার্যকর, অনুকূল ইত্যাদি।

 GK - সাধারণ জ্ঞান 
 বাংলা - Bangla Literature 
 ৩২তম পর্ব 
১. কোনটি উপন্যাস?
[ক] নতুন চাঁদ
✅ কন্যাকুমারী
[গ] গড্ডলিকা
[ঘ] নেমেসিস

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
কন্যাকুমারী
🔶 আবদুর রাজ্জাক কর্তৃক রচিত উপন্যাস- কন্যাকুমারী।
নতুন চাঁদ
🔶 কাজী নজরুল ইসলাম রচিত কাব্যগ্রন্থ- নতুন চাঁদ।
🔶 কবির প্রথম প্রকাশিত রচনা- বাউন্ডুলের আত্মকথা। ‘সওগাত’-এ ১৩২৬ বঙ্গাব্দের জৈষ্ঠ্য সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।
🔶 বাংলাদেশের রণসঙ্গীতের রচয়িতা ও সুরকার- কাজী নজরুল ইসলাম।
🔶 বিদ্রোহী কবির প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থের নাম- গল্পগ্রন্থ ‘ব্যথার দান’ (১৯২২)।
🔶 নজরুলের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ- অগ্নিবীণা (১৯২২)।
🔶 নজরুলের প্রথম উপন্যাস- বাঁধনহারা (১৯২৭)।
🔶 নজরুলের প্রথম প্রকাশিত নাটক- ঝিলিমিলি (১৩৩৪)।
🔶 ইংরেজ ঔপনিবেশিক আমলে নজরুলের নিষিদ্ধ গ্রন্থ- অগ্নিবীণা, বিষের বাঁশি, ভাঙ্গার গান, প্রলয়শিখা, যুগবাণী, চন্দ্রবিন্দু।
🔶 কবিকে একুশে পদক দেয়া হয়- ১৯৭৫ সালে।
গড্ডলিকা
🔶 রাজশেখর বসুর গল্পগ্রন্থ- গড্ডলিকা।
নেমেসিস
🔶 নুরুল মোমেনের বিখ্যাত নাটক- নেমেসিস।

২. লৌকিক কাহিনীর প্রথম রচয়িতা কে?
[ক] আলাওল
[খ] কোরেশী মাগন
✅ দৌলত কাজী
[ঘ] সৈয়দ সুলতান

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
দৌলত কাজী
🔶 লৌকিককাহিনীর প্রথম রচয়িতা- দৌলত কাজী।
🔶 আবহমানকাল ধরে পুরুষানুক্রমে মুখে মুখে প্রচলিত বর্ণনামূলক গল্পই হলো- লৌকিককাহিনী বা লোককাহিনী।
🔶 এর উপজীব্য বিষয়- দেব-দৈত্য, জ্বিন-পরী, রাক্ষস-খোক্ষস, রাজা-প্রজা, সাধু-সন্ন্যাসী ইত্যাদি।
🔶 তিনি (১৬০০-১৬৩৮) ছিলেন- আরাকান রাজসভার কবি।
🔶 তাঁর প্রণয়োপাখ্যানমূলক কাব্য- ‘সতীয়মনা ও লোরচন্দ্রানী’।

৩. সাপ্তাহিক ‘সুধাকর’-এর সম্পাদক কে?
[ক] মুন্সি মোহাম্মদ রিয়াজউদ্দিন আহমদ
[খ] মুন্সি মোহাম্মদ মেহের উল্লা
✅ শেখ আব্দুর রহিম
[ঘ] ইসমাইল হোসেন সিরাজী

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
শেখ আব্দুর রহিম
🔶 সাপ্তাহিক ‘সুধাকর’ (১৮৯৪), মাসির ‘মিহির’ (১৮৯২), মাসিক ‘হাফেজ’, ‘মোসলেম ভারত’ প্রভৃতি পত্রিকার সম্পাদনা করেন- শেখ আবদুর রহিম।
মুন্সি মোহাম্মদ রিয়াজউদ্দিন আহমদ
🔶 ‘মুসলমান’ (১৮৮৪), সাপ্তাহিক ‘নব সুধাকর’ (১৮৮৫), ‘ইসলাম’ (১৮৮৫) ইত্যাদি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন- মুন্সী মোহাম্মদ রেয়াজুদ্দীন আহমদ।
মুন্সি মোহাম্মদ মেহের উল্লা
🔶 মুন্সী মেহেরুল্লাহ ছিলেন- ধর্মপ্রচারক। তিনি কোনো পত্রিকা সম্পাদনা করেননি। তিনি ‘খ্রিস্টান ধর্মের অসারতা’ নামে একটি প্রচার পুস্তিকা প্রকাশ করেন।
ইসমাইল হোসেন সিরাজী
🔶 মাসিক ‘নূর’ (১৯১৯) ও সাপ্তাহিক ‘সুলতান’ (১৯২৩) পত্রিকা সম্পাদনা করেন- ইসমাইল হোসেন সিরাজী।

৪. মাসিক মোহাম্মদী কোন সালে প্রকাশিত হয়?
[ক] ১৯২৬
✅ ১৯২৭
[গ] ১৯২৮
[ঘ] ১৯২৯

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 দৈনিক আজাদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মোহাম্মদ আকরম খাঁর সম্পাদনায় ১৯০৩ সালের ১৮ আগস্ট কলকাতায় আত্মপ্রকাশ করে- ‘মোহাম্মদী’।
🔶 পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়েছে- দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক, এমনকি বার্ষিক হিসেবেও।
🔶 মোহাম্মদ আকরম খাঁর সম্পাদনায় ‘সাপ্তাহিক মোহাম্মদী’ নামে প্রকাশিত হয়- ১৯১০ সালে।
🔶 এটি দৈনিক পত্রিকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে- ১৯২২ সালে।
🔶 ‘মাসিক মোহাম্মদী’ আবার নতুনভাবে প্রকাশিত হয়- ১৯২৭ সালের ৬ নভেম্বর।
🔶 ‘বার্ষিক মোহাম্মদী’ সাহিত্যপত্রও প্রকাশিত হয়- ১৯২৮ সালের ডিসেম্বর মাসে।

৫. কোন পত্রিকাটি ১৯২৩ সালে প্রকাশিত হয়?
[ক] কালিকলম
[খ] প্রগতি
✅ কল্লোল
[ঘ] সবুজপত্র

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
কল্লোল
🔶 দীনেশরঞ্জন দাসের সম্পাদনায় ১৯২৩ সালে প্রকাশিত হয়- মাসিক ‘কল্লোল’ পত্রিকাটি।
কালিকলম
🔶 শৈলজানন্দের সম্পাদনায় সচিত্র মাসিক ‘কালিকলম’ প্রকাশিত হয়- ১৯২৬ সালে।
প্রগতি
🔶 বুদ্ধদেব বসু ও অজিত দত্তের সম্পাদনায় সচিত্র মাসিক ‘প্রগতি’ প্রকাশিত হয়- ১৯২৭ সালে।
🔶 বুদ্ধদেব বসু পরিচিত- সাহিত্যিক, গদ্যশিল্পী, সমালোচক, সম্পাদক হিসেবে।
🔶 বুদ্ধদেব বসুর জন্ম- ৩০ নভেম্বর, ১৯০৮ সালে, কুমিল্লায়।
সবুজপত্র
🔶 প্রমথ চৌধুরীর সম্পাদনায় ‘সবুজপত্র’ প্রকাশিত হয়- ১৯১৪ সালে।

৬. ঢাকা থেকে ত হয় কোন পত্রিকাটি?
[ক] অরণি
[খ] পরিচয়
[গ] নবশক্তি
✅ ক্রান্তি

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ঢাকা থেকে প্রকাশিত পত্রিকাগুলো হলো- ক্রান্তি, কবিতা কুসুমাবলী, মনপঞ্জিকা, বঙ্গবন্ধু, ঢাকা প্রকাশ, মহাপাপ, বাল্যবিবাহ, বেঙ্গল টাইমস ইত্যাদি।

৭. গ্রিক শব্দ কোনটি?
[ক] তুফান
[খ] লুঙ্গী
[গ] কুশন
✅ দাম

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
দাম
🔶 ‘দাম’ হচ্ছে- গ্রিক শব্দ।
তুফান
🔶 ‘তুফান হচ্ছে- চীনা শব্দ।
লুঙ্গী
🔶 লুঙ্গী হচ্ছে- বর্মি শব্দ।

৮. বাংলা ভাষায় কয়টি খাঁটি উপসর্গ আছে?
[ক] উনিশ
[খ] কুড়ি
✅ একুশ
[ঘ] বাইশ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা ভাষায় খাঁটি বাংলা উপসর্গ রয়েছে- ২১টি; অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, উন, কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
🔶 সংস্কৃত উপসর্গের সংখ্যা- ২০টি।

৯. ‘শিশুরাজ্যে এই মেয়েটি একটি ছোটখাট বর্গির উপদ্রব বলিলেই হয়।’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন গল্পের সংলাপ?
[ক] একরাত্রি
[খ] শুভা
✅ সমাপ্তি
[ঘ] পোস্টমাস্টার

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 সংলাপটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সমাপ্তি’ ছোটগল্পের নায়িকা ‘মৃন্ময়ী’ সম্পর্কে- লেখকের উক্তি।

১০. বাংলা সাহিত্যের প্রথম ইতিহাস গ্রন্থ কোনটি?
[ক] বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস
✅ বঙ্গভাষা ও সাহিত্য
[গ] বাংলা সাহিত্যের কথা
[ঘ] বাংলা সাহিত্যের রূপরেখা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
বঙ্গভাষা ও সাহিত্য
🔶 বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বিষয়ক প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ- দীনেশচন্দ্র সেনগুপ্তের ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’।
🔶 এটি প্রকাশিত হয়- ১৮৯৬ সালে।
🔶 দীনেশচন্দ্র সেনের সম্পাদনায় ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ প্রকাশিত হয়- ১৯২৩ সালে।
🔶 দীনেশচন্দ্র সেনের সম্পাদনায় ‘পূর্ববঙ্গ গীতিকা’ প্রকাশিত হয়- ১৯২৬ সালে।
🔶 দীনেশচন্দ্র সেনের ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক ইতিহাস গ্রন্থ- বঙ্গভাষা ও সাহিত্য (১৮৯৬)।
🔶 দীনেশচন্দ্র সেনের বাংলা সাহিত্য বিষয়ক ইতিহাস গ্রন্থ- বঙ্গ সাহিত্য পরিচয় (১৯১৪)।
🔶 দীনেশচন্দ্র সেনের ইংরেজিতে রচিত গ্রন্থ- History of Bengali Language and Literature.
বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস
🔶 ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস’ (৫খন্ড)-এর রচয়িতা- ড.  সুকুমার সেন।
বাংলা সাহিত্যের কথা
🔶 ‘বাংলা সাহিত্যের কথা’ (২খন্ড) -এর রচয়িতা- ড.  মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
🔶 ড.  মুহম্মদ শহীদুল্লাহর বাংলা ভাষার ইতিহাস সম্পর্কিত গ্রন্থ- বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত।
বাংলা সাহিত্যের রূপরেখা
🔶 গোপাল হালদার রচিত বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বিষয়ক গুরুতবপূর্ণ গ্রন্থ- বাংলা সাহিত্যের রূপরেখা।

১১. কত খ্রিস্টাব্দে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জগত্তারিণী’ পদক লাভ করেন?
[ক] ১৯১৬
✅ ১৯২৩
[গ] ১৯৩৩
[ঘ] ১৯০৩

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 অপরাজেয় কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তার সামগ্রিক সাহিত্যকর্মের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘জগত্তারিণী’ স্বর্ণপদক লাভ করেন- ১৯২৩ সালে।
🔶 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ডি লিট’ উপাধি লাভ করেন- ১৯৩৬ সালে।
🔶 তিনি হুগলীতে জন্মগ্রহণ করেন- ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৮৭৬ সালে।
🔶 শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-এর কথাসাহিত্য মূলত গড়ে উঠেছে- গ্রামীণ বাংলার সমাজজীবন আশ্রয় করে।
🔶 শরৎসাহিত্যে নারী উপস্থাপিত হয়েছে- মমতাময়ী সর্বংসহারূপে।
🔶 শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-এর আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস- শ্রীকান্ত।
🔶 লেখকের বিখ্যাত রচনা- ‘শ্রীকান্ত’, ‘দেবদাস’, ‘গৃহদাহ’ ইত্যাদি।
🔶 তিনি মৃত্যুবরণ করেন- ১৬ জানুয়ারি ১৯৩৮ সালে।

১২. রাজা রামমোহন রচিত বাংলা ব্যাকরণের নাম কি?
[ক] মাগ্ধীয় ব্যাকরণ
✅ গৌড়িয় ব্যাকরণ
[গ] মাতৃভাষা ব্যাকরণ
[ঘ] ভাষা ও ব্যাকরণ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 রাজা রামমোহন রায় প্রথম বাঙালি হিসেবে ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’ রচনা করেন- ১৮৩৩ সালে।
🔶 পাঠ্য পুস্তকের বাইরে সর্বপ্রথম বাংলা গদ্য রীতির ব্যবহার করেন- রাজা রামমোহন রায়।
🔶 রামমোহন রায়ের কয়েকটি রচনা- ‘বেদান্তসার’ (১৮১৫), ‘বেদান্ত গ্রন্থ’, ‘ভট্টাচার্যের সহিত বিচার’ (১৮১৭), ‘গোস্বামীর সহিত বিচার’ (১৮১৮), ‘পথ্য প্রদান’ (১৯২৩), প্রবর্তক ও নিবর্তকের সম্বাদ’ (১৮১৮) প্রভৃতি।

১৩. ‘মেছো’ শব্দের প্রকৃতি-প্রত্যয় কি?
[ক] মাছ + ও
[খ] মেছ + ও
[গ] মাছি + উয়া > ও
✅ মাছ + উয়া > ও

১৪. কোন সন্ধিটি নিপাতনে সিদ্ধ?
[ক] বাক্ + দান = বাগদান
[খ] উৎ + ছেদ = উচ্ছেদ
✅ পর + পর = পরস্পর
[ঘ] সম + সার = সংসার

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 কোনো নিয়ম অনুসরণ না করে যখন সন্ধি সাধিত হয় তখন তাকে বলে- নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি।
পর + পর = পরস্পর
🔶 প্রশ্নের সন্ধিগুলোর মধ্যে ‘পর + পর = পরস্পর’ ছাড়া অন্য সন্ধিগুলো- ব্যাকরণের সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে সম্পন্ন হয়েছে।
বাক্ + দান = বাগদান
🔶 ‘বাক্ + দান = বাগদান’-এটি ব্যঞ্জন সন্ধি। এর নিয়ম হচ্ছে- ক, চ, ট, ত, প বর্ণের পর স্বরবর্ণ থাকলে ক, র, ট, ত, প যথাক্রমে গ, জ, ড, দ, ব-এ পরিণত হয়।
উৎ + ছেদ = উচ্ছেদ
🔶 ত কিংবা দ-এর পর চ কিংবা ছ থাকলে- ত ও দ স্থলে চ হয়। যেমন- উৎ + ছেদ = উচ্ছেদ।
সম + সার = সংসার
🔶 ‘ম-এর পরে ব, র, র, শ, ষ, স বা হ থাকলে-পূর্ববর্তী ম স্থানে ং হয়। যেমন- সম + সার = সংসার।

১৫. বাংলা মৌলিক নাটকের যাত্রা শুরু হয় কোন নাট্যকারের হাতে?
[ক] মধুসূদন দত্ত
[খ] দীনবন্ধু মিত্র
[গ] জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর
✅ রামনারায়ণ তর্করত্ন

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
রামনারায়ণ তর্করত্ন
🔶 উনিশ শতকের গোড়ার দিকে সংস্কৃত নাটকের অনুবাদ শুরু হলেও প্রকৃতপক্ষে মৌলিক বাংলা নাট্যসাহিত্যের সূত্রপাত হয়- রামনারায়ণ তর্করত্নের ‘কুলীনকুল সর্বস্ব’ (১৮৫৪) ও তারাপদ শিকদারের ‘ভদ্রার্জুন’ (১৮৫২) নাটক থেকে।
মধুসূদন দত্ত
🔶 পাশ্চাত্যের নাট্যরীতিতে বাংলা নাটক রচনা করেন- মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
🔶 প্রথম বাংলা সার্থক ট্রাজেডি- মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘কৃষ্ণকুমারী’ নাটক।
🔶 মাইকেল মধুসূদন বাংলা কাব্যে প্রবর্তন করেন- অমিত্রাক্ষর ছন্দের।
🔶 মধুসূদন প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দের ব্যবহার করেন- ‘পদ্মাবতী’ নাটকের ২য় অঙ্কের ২য় গর্ভাঙ্কে।
🔶 মাইকেল জন্মগ্রহণ করেন- ২৫ জানুয়ারি, ১৮২৪, যশোরের সাগরদাঁড়ি গ্রাম।
🔶 তার ঐতিহাসিক বিয়োগান্ত নাটক- ‘কৃষ্ণকুমারী’ (১৮৬১)।
🔶 তার দুটি পৌরাণিক কাহিনী অবলম্বনে রচিত নাটক- ‘শর্মিষ্ঠা’ (১৮৫৯) ও ‘পদ্মাবতী’ (১৮৬০)।
দীনবন্ধু মিত্র
🔶 মধুসূদনের সমসাময়িক সার্থক নাট্যকার ছিলেন- দীনবন্ধু মিত্র।
🔶 তার রচিত বিখ্যাত নাটক- ‘নীল দর্পণ’ (১৮৬০), ‘নবীন তপস্বিনী’ (১৮৬৩) ‘লীলাবতী’ (১৮৬৭) ইত্যাদি।
🔶 বৃটিশ কলকাতার নব্যশিক্ষিত যুবকদের মদ্যপান ও পতিতাসঙ্গ নিয়ে ব্যঙ্গ করে দীনবন্ধু রচিত প্রহসন- ‘সধবার একাদশী’।
🔶 দীনবন্ধু মিত্রের নাটকের মূল বিষয়বস্ত্ত- সমকালীন সমাজবাস্তবতা।
🔶 ‘নীলদর্পণ’ নাটকের সংলাপে ব্যবহার করেন- যশোরের গ্রাম্য আঞ্চলিক ভাষা।
🔶 বহুবিবাহ সমর্থনকারীদের ব্যঙ্গ করে দীনবন্ধু রচিত নাটক- বিয়ে পাগলা বুড়ো।
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৬. প্রত্যক্ষ কোনো বস্তুর সাথে পরোক্ষ কোনো বস্তুর তুলনা করলে প্রত্যক্ষ বস্তুটিকে বলা হয়-
[ক] উপমিত
[খ] উপমান
✅ উপমেয়
[ঘ] রূপক

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
উপমেয়
🔶 প্রত্যক্ষ কোনো বস্তুর সাথে অন্য কোনো পরোক্ষ বস্তুর তুলনা করা হলে ঐ প্রত্যক্ষ বস্তুটিকে বলা হয়- ‘উপমেয়’।
উপমান
🔶 ‘উপমান’ শব্দের অর্থ- ‘তুলনীয় বস্তু’।
🔶 যার সাথে উপমা দেয়া হয় বা তুলনা করা হয় তাকে বলে- ‘উপমান’। যেমন- ‘পদ্মআঁখি’ শব্দটিতে পদ্মের সাথে আঁখির উপমা দেয়া হয়েছে। সুতরাং ‘পদ্ম’ উপমান এবং ‘আঁখি’ উপমেয়।
উপমিত
🔶 ‘উপমান’ ও ‘উপমেয়’ পদের সমাস হলে যদি উপমেয়ের অর্থ প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয় তাকে বলে- উপমিত সমাস। যেমন- পুরুষ সিংহের ন্যায় = পুরুষসিংহ।
রূপক
🔶 যে স্থলে উপমান ও উপমেয় সমাস হয়েছে এবং উভয়ের মধ্যে অভেদ কল্পনা করা হয়েছে তাকে বলে- রূপক সমাস। যেমন- ফুল রূপ কুমারী = ফুলকুমারী।

১৭. ‘পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল’ পংক্তির রচয়িতা-
[ক] রামনারায়ণ তর্করত্ন
[খ] বিহারী লাল
[গ] কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
✅ মদনমোহন তর্কালংকার

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 পঙক্তিটির রচয়িতা- মদনমোহন তর্কালঙ্কার (১৮১৭- ১৮৫৮)।
🔶 কবি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন- ‘শিশু শিক্ষা’ (১ম ও ২য় ভাগ-১৮৪৯ এবং ৩য় ভাগ-১৮৫০) নামক শিশুতোষ গ্রন্থ রচনা করে।
🔶 ‘পাখি সব করে রব, রাতি পোহাইল’ পঙক্তিটি- এ গ্রন্থের প্রথমভাগের একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় শিশুতোষ কবিতা।
🔶 কবির অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে- ‘রসতরঙ্গিনী’ ও ‘বাসবদত্তা’।

১৮. ‘আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি’-এর রচয়িতা কে?
[ক] সিকান্দার আবু জাফর
✅ আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
[গ] ফররুখ আহমদ
[ঘ] আহসান হাবীব

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
🔶 ‘আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি’- আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ রচিত কাব্যগ্রন্থ (১৯৮১)।
🔶 আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ বিখ্যাত দুটি কবিতা- ‘আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি’ এবং ‘কোনো এক মাকে’।
🔶 লেখকের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ- ‘সাতনরী হার’(১৯৫৫), ‘কখনও রং কখনও সুর’ (১৯৭০), ‘কমলের চোখ’, ‘সহিষ্ণু প্রতিক্ষা’ (১৯৮২), ‘প্রেমের কবিতা’ ‘নির্বাচিত কবিতা’ ইত্যাদি।
সিকানদার আবু জাফর
🔶 সিকান্দার আবু জাফর জন্মগ্রহণ করেন- খুলনার তেতুলিয়া গ্রামে।
🔶 লেখক বাংলা সাহিত্যে স্মরণীয়- কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, গীতিকার, গল্পকার ও সম্পাদক হিসেবে।
🔶 মুক্তিযুদ্ধের সময়ে প্রেরণা যোগায়- লেখকের ‘আমাদের সংগ্রাম চলবেই, জনতার সংগ্রাম চলবেই’ গানটি।
🔶 সিকানদার আবু জাফরের কাব্যগ্রন্থগুলো হচ্ছে- ‘প্রসন্ন প্রহর’, ‘বৈরীবৃষ্টিতে’, ‘তিমিরান্তক’, ‘কবিতা’ ইত্যাদি।
ফররুখ আহমদ

আহসান হাবীব
🔶 বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান কবি, লেখক ও সাংবাদিক- আহসান হাবীব।
🔶 তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ- রাত্রিশেষ (১৯৪৭), ছায়াহরিণ (১৯৬২), আশার বসতি (১৯৭৫)।
🔶 তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস- অরণ্যে নীলিমা (১৯৬২)।

১৯. ‘জীবনে ও জ্যাঠামি ও সাহিত্যে ন্যাকামি’ সহ্য করতে পারতেন না-
[ক] বঙ্কিমচন্দ্র
[খ] সৈয়দ মুজতবা আলী
✅ প্রমথ চৌধুরী
[ঘ] প্রমথনাথ বিশী

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘জ্যাঠামি’ শব্দের অর্থ- বাচালতা, পাকামি, অকালপক্কতা ইত্যাদি আর ‘ন্যাকামি’ শব্দের অর্থ- সারল্য বা সাধুতার ভানকারী, অজ্ঞতার ভান ইত্যাদি।
🔶 বাংলা সাহিত্যে চলিত ভাষার প্রবর্তক প্রমথ চৌধুরী ছিলেন- মার্জিত রুচি, প্রখর বুদ্ধিদীপ্ত ও অপূর্ব বাক-চাতুর্যের অধিকারী।
🔶 সাহিত্যের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তার মত হলো- ‘সাহিত্যের উদ্দেশ্য হচ্ছে সকলকে আনন্দ দান করা, কারও মনোরঞ্জন নয়। সাহিত্য ছেলের হাতের খেলনাও নয়, গুরুর হাতের বেতও নয়।’

২০. ‘এ মাটি সোনার বাড়া’-এ উদ্ধৃতিতে ‘সোনা’ কোন অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে?
✅ বিশেষণের অতিশায়ন
[খ] রূপবাচক বিশেষণ
[গ] উপাদানবাচক বিশেষণ
[ঘ] বিধেয় বিশেষণ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বিশেষণ পদ যখন দুই বা ততোধিক বিশেষ পদের মধ্যে গুণ, অবস্থা, পরিমাণ প্রভৃতি বিষয় তুলনায় একের উৎকর্ষ বা অপকর্ষ বুঝিয়ে থাকে তাকে বলে- ‘বিশেষণের অতিশায়ন’।
🔶 ‘এ মাটি সোনার বাড়া’ শব্দ- খাঁটি বাংলা শব্দের অতিশায়ন। এখানে মাটিকে সোনার চেয়ে বড় বা মূল্যবান মনে করা হয়েছে।

 GK - সাধারণ জ্ঞান 
 বাংলা - Bangla Literature 
 ৩০তম পর্ব 
১. ‘বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত’ কে রচনা করেন?
[ক] সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
[খ] সুকুমার সেন
✅ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
[ঘ] মুহম্মদ এনামুল হক

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১৮৮৫-১৯৬৯ খ্রি)
🔶 ড.  মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলেন- একজন বিশিষ্ট ভাষাবিদ, ভাষাবিজ্ঞানী, গবেষক ও শিক্ষাবিদ।
🔶 তিনি তার জীবদ্দশায় রচনা করেন- বহু গবেষণা, ভাষাতত্তব ও প্রবন্ধ গ্রন্থ।
🔶 এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- বাংলা সাহিত্যের কথা (১ম খন্ড, ১৯৫৩; ২য় খন্ড, ১৯৬৫), ভাষা ও সাহিত্য (১৯৩১), বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত (১৯৬৫) ইত্যাদি।
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (১৮৯০-১৯৭৭ খ্রি)
🔶 সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের উল্লেখযোগ্য এ জাতীয় গ্রন্থ- 'The origin and Development of the Bengali Language' বাঙ্গালা ভাষাতত্তেবর ভূমিকা, ভাষা প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ ইত্যাদি।
সুকুমার সেন (১৯০১-১৯৯২ খ্রি)
🔶 সুকুমার সেনের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ- বাঙ্গালা সাহিত্যের কথা (১৯৩৯), বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস (১ম খন্ড পূর্বার্ধ, ১৯৪০, ১ম খন্ড অপরার্ধ- ১৯৪২, ২য় খন্ড, ১৩৫০, ৩য় খন্ড, ১৩৫৩, ৪র্থ খন্ড ১৩৬৫), বাঙ্গালা সাহিত্যে গদ্য (১৯৪১) ইত্যাদি।
মুহম্মদ এনামুল হক (১৯০৬-১৯৮২ খ্রি)
🔶 মুহম্মদ এনামুল হকের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ- আরাকান রাজসভার বাঙ্গালা সাহিত্য (১৯৩৫), বাংলা ভাষার সংস্কার (১৯৪৪), ব্যাকরণ মঞ্জুরী (১৯৫২), মুসলিম বাঙ্গালা সাহিত্য (১৯৫৭) ইত্যাদি।

২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন গ্রন্থটি উপন্যাস?
✅ শেষের কবিতা
[খ] বলাকা
[গ] ডাকঘর
[ঘ] কালান্তর

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
শেষের কবিতা
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত উলে­খযোগ্য উপন্যাস- ‘শেষের কবিতা’ (১৯২৯), ‘বৌ ঠাকুরাণীর হাট’ (১৮৮৩), ‘রাজর্ষি’ (১৮৮৩), ‘চোখের বালি’ (১৯০৩), ‘নৌকাডুবি’ (১৯০৬), ‘গোরা’ (১৯১০), ‘চতুরঙ্গ’ (১৯১৬), ‘ঘরে বাইরে’ (১৯১৬), ‘যোগাযোগ’ (১৯২৯), ইত্যাদি।
বলাকা
🔶 তার রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- ‘বলাকা’ (১৯১৫), ‘সন্ধ্যা সঙ্গীত (১৮৮২), ‘প্রভাত সঙ্গীত’ (১৮৮৩), ‘কড়ি ও কোমল’ (১৮৮৬), ‘মানসী’ (১৮৯০), ‘সোনার তরী’ (১৮৯৪), ‘ক্ষণিকা’ (১৯০০), ‘গীতাঞ্জলি’ (১৯১০), ‘পুনশ্চ’ (১৯৩২), ‘শেষ লেখা’ (১৯৪১) ইত্যাদি।
ডাকঘর
🔶 তার রচিত উল্লেখযোগ্য নাটক- ‘ডাকঘর’ (১৯১২), ‘বিসর্জন’ (১৮৯১), ‘অচলায়তন’ (১৯১০), ‘রক্তকরবী’ (১৯২৪) ইত্যাদি।
কালান্তর
🔶 তার রচিত উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগ্রন্থ- ‘কালান্তর’ (১৯৩৭), ‘স্বদেশ’ (১৯০৮), ‘সভ্যতার সংকট’ (১৯৪১) ইত্যাদি।

৩. কাজী নজরুল ইসলামের নামের সাথে জড়িত ‘ধূমকেতু’ কোন ধরনের প্রকাশনা?
[ক] কবিতা
✅ পত্রিকা
[গ] উপন্যাস
[ঘ] ছোটগল্প

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬) ছিলেন- ‘দৈনিক নবযুগ’ (১৯২০) পত্রিকার যুগ্ম-সম্পাদক।
🔶 তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়- অর্ধ সাপ্তাহিক ‘ধূমকেতু’ (১৯২২)।
🔶 পত্রিকাটিতে দেশের মুক্তির দিশারি হিসেবে ‘অনুশীলন’ ও ‘যুগান্তর’ দলের সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনকে উৎসাহ প্রদান ও ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতা দাবি করে প্রকাশিত হয়- বহু অগ্নিঝরা সম্পাদকীয়, কবিতা ও প্রবন্ধ।
🔶 তিনি গ্রেপ্তার হন- ‘ধূমকেতু’র পূজা সংখ্যায় (২২ সেপ্টেম্বর ১৯২২) তার ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতা প্রকাশিত হওয়ায়।
🔶 এছাড়া তিনি সম্পাদনা করেছিলেন- ‘লাঙ্গল’ (১৯২৫) নামক সাপ্তাহিক পত্রিকা।

৪. জসীম উদ্দীনের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
✅ রাখালী
[খ] সোজন বাদিয়ার ঘাট
[গ] নক্শী কাঁথার মাঠ
[ঘ] বালুচর

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 পল্লীকবি জসীমউদ্দীন (১৯০৩-১৯৭৬ খ্রি) প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ- ‘রাখালী’ (১৯২৭)।
🔶 তার প্রকাশিত অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ- ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ (১৯২৯), ‘বালুচর’ (১৯৩০), ‘ধানক্ষেত’ (১৯৩১), ‘সোজনবাদিয়ার ঘাট’ (১৯৩৩), ‘হাসু’ (১৯৩৮), ‘মা যে জননী কান্দে’ (১৯৬৩) ইত্যাদি।
🔶 কবির ‘রাখালী’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত-বিখ্যাত ‘কবর’ কবিতা।
🔶 উল্লেখ্য, জসীমউদ্দীনের প্রথম নাটক- ‘পদ্মাপাড়’ (১৯৫০)।
🔶 প্রথম আত্মকথা- ‘যাঁদের দেখেছি’ (১৯৫২)।
🔶 প্রথম ভ্রমণ সাহিত্য- ‘চলে মুসাফির’ (১৯৫৭)।
🔶 প্রথম প্রবন্ধ- ‘জারীগান’ (১৯৬৮)।
🔶 প্রথম ও একমাত্র উপন্যাস- ‘বোবা কাহিনী’ (১৯৬৪)।

৫. ‘রাইফেল রোটি আওরাত’ উপন্যাসের রচয়িতা কে?
[ক] হাসান হাফিজুর রহমান
[খ] জহির রায়হান
[গ] শহীদুল্লাহ কায়সার
✅ আনোয়ার পাশা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
আনোয়ার পাশা (১৯২৮-১৯৭১ খ্রি)
🔶 বিশিষ্ট কবি, কথাসাহিত্যিক, সমালোচক ও শিক্ষাবিদ আনোয়ার পাশা রচিত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপন্যাস- ‘রাইফেল রোটি আওরাত’ (১৯৭৩)।
🔶 তার রচিত অন্যান্য উপন্যাস- ‘নীড় সন্ধানী’ (১৯৬৮) এবং ‘নিষুতি রাতের গাথা’ (১৯৬৯)।
হাসান হাফিজুর রহমান (১৯৩২-১৯৮৩ খ্রি)
🔶 বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক হাসান হাফিজুর রহমান রচিত কোনো উপন্যাস না পাওয়া গেলেও তার সম্পাদিত ভাষা আন্দোলনের ওপর প্রথম সংকলন- ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ (১৯৫৩)।
জহির রায়হান (১৯৩৫-১৯৭২ খ্রি)
🔶 বিশিষ্ট কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্র পরিচালক জহির রায়হান রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- ‘হাজার বছর ধরে’ (১৩৭১), ‘আরেক ফাল্গুন’ (১৩৭৫), ‘বরফ গলা নদী’ (১৯৭৬), ‘শেষ বিকেলের মেয়ে’ (১৩৬৭) ইত্যাদি।
শহীদুল্লাহ কায়সার (১৯২৭-১৯৭১ খ্রি)
🔶 সাংবাদিক ও সাহিত্যিক শহীদুল্লাহ কায়সার রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- ‘সারেং বৌ’ (১৯৬২), ‘সংশপ্তক’ (১৯৬৫) ইত্যাদি।

৬. জঙ্গম-এর বিপরীতার্থক শব্দ কি?
[ক] অরণ্য
[খ] পর্বত
✅ স্থাবর
[ঘ] সমুদ্র

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
জঙ্গম
🔶 জঙ্গম-এর বিপরীতার্থক শব্দ- স্থাবর।
🔶 ‘জঙ্গম’ বিশেষণ পদটির অর্থ- গতিশীল, শক্তিপূর্ণ, অস্থাবর, প্রাণবিশিষ্ট।

৭. ‘উৎকর্ষতা’ কি কারণে অশুদ্ধ?
[ক] সন্ধিজনিত
✅ প্রত্যয়জনিত
[গ] উপসর্গজনিত
[ঘ] বিভক্তিজনিত

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 এখানে ‘উৎকর্ষতা’ শব্দটি অশুদ্ধ- প্রত্যয়জনিত কারণে।
🔶 ‘উৎকর্ষ’ একটি বিশেষ্য পদ, যার অর্থ- শ্রেষ্ঠতা, উন্নতি, বৃদ্ধি, আধিক্য ইত্যাদি।
🔶 এর বিশেষণ- ‘উৎকৃষ্টতা’, যা দ্বারা বস্তুর, ভাবের বা রুচির উৎকর্ষ বোঝায়।

৮. তুমি না বলেছিলে আগামীকাল আসবে?-এখানে ‘না’-এর ব্যবহার কি অর্থে?
[ক] না-বাচক
✅ হ্যাঁ-বাচক
[গ] প্রশ্নবোধক
[ঘ] বিস্ময়সূচক

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
হ্যাঁ-বাচক
🔶 উপরি-উক্ত বাক্যটি দেখতে প্রশ্নবোধক মনে হলেও বাক্যটির অন্তর্নিহিত ভাবটি আগামীকাল আসার কথা (বিবৃতি) বলা হয়েছে। তাই এটি- হ্যাঁ-বাচক।
না-বাচক
🔶 না-বোধক হলে হতো- ‘তুমি বলেছিলে আগামীকাল আসবে না’।
প্রশ্নবোধক
🔶 বাক্যটি প্রশ্নবোধক হলে হতো- ‘তুমি কি বলেছিলে যে, আগামীকাল আসবে?’
বিস্ময়সূচক
🔶 বিস্ময়সূচক হলে হতো- ‘আচ্ছা! তুমি না বললে আগামীকাল আসবে।’

৯. কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাস কোনটি?
✅ মৃত্যুক্ষুধা
[খ] আলেয়া
[গ] ঝিলিমিলি
[ঘ] মধুমালা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত উপন্যাস- ‘মৃত্যুক্ষুধা’ (১৯৩০)।
🔶 প্রশ্নে উল্লেখিত ‘আলেয়া’, ‘ঝিলিমিলি’ ও ‘মধুমালা’- নজরুল ইসলাম রচিত নাটক।

১০. ‘মা যে জননী কান্দে’ কোন ধরনের রচনা?
✅ কাব্য
[খ] নাটক
[গ] উপন্যাস
[ঘ] প্রবন্ধ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 পল্লীকবি জসীমউদ্দীন রচিত ‘মা যে জননী কান্দে’ (১৯৬৩)- একটি কাব্যগ্রন্থ।
🔶 তার রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- রাখালী (১৯২৭), ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ (১৯২৯), ‘বালুচর’ (১৯৩০), ‘ধানক্ষেত’ (১৯৩১), ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ (১৯৩৩), ‘হাসু’ (১৯৩৮), ‘মাটির কান্না’ (১৯৫১) ইত্যাদি।
🔶 লেখক রচিত উল্লেখযোগ্য নাটক- ‘পদ্মাপাড়’ (১৯৫০), ‘বেদের মেয়ে’ (১৯৫১), ‘মধুমালা; (১৯৫১) ইত্যাদি।
🔶 লেখক রচিত উপন্যাস- বোবা কাহিনী (১৯৬৪)।
🔶 লেখক রচিত প্রবন্ধ ও সম্পাদিত গ্রন্থ- ‘জারীগান’ (১৯৬৮) ও ‘মুর্শিদী গান’ (১৯৭৭)।

১১. কোনটা ঠিক?
[ক] সোজন বাদিয়ার ঘাট (উপন্যাস)
[খ] কাঁদো নদী কাঁদো (কাব্য)
✅ বহিপীর (নাটক)
[ঘ] মহাশ্মশান (নাটক)

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
বহিপীর (নাটক)
🔶 সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত নাটক- ‘বহিপীর’ (১৯৬০)।
সোজন বাদিয়ার ঘাট (উপন্যাস)
🔶 জসীমউদ্দীন রচিত কাহিনী কাব্য- ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ (১৯৩৩)।
কাঁদো নদী কাঁদো (কাব্য)
🔶 সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত উপন্যাস- ‘কাঁদো নদী কাঁদো’ (১৯৬৮)।
মহাশ্মশান (নাটক)
🔶 কায়কোবাদ রচিত মহাকাব্য- ‘মহাশ্মশান’ (১৯০৪)।

১২. ‘কার মাথায় হাত বুলিয়েছ’ এখানে ‘মাথা’ শব্দের অর্থ-
[ক] স্বভাব নষ্ট করা
[খ] সঙর্ধা বাড়া
✅ ফাঁকি দেওয়া
[ঘ] কোনো উপায়ে

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 একই শব্দকে বিভিন্ন বাক্যে বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার করা যায়। উপরিউক্ত বাক্যে ‘মাথা’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে- ‘ফাঁকি দেয়া’ অর্থে।
🔶 ‘মাথা’ শব্দটির আরো কিছু ব্যবহার-
অঙ্গবিশেষ- তার মাথার চুল কালো।
জ্ঞান- ছাত্রটির ইংরেজিতে মাথা ভালো।
মনের অবস্থা- রাগের মাথায় কোনো কাজ করা ঠিক নয়।
দিব্যি দেয়া- মাথা খাও, চিঠি দিতে ভুল করো না।
আস্কারা পাওয়া- ছেলেটি আদর পেয়ে একেবারে মাথায় উঠেছে।

১৩. শরৎচন্দ্রের কোন উপন্যাসটি সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়েছিল?
✅ পথের দাবী
[খ] নিষ্কৃতি
[গ] চরিত্রহীন
[ঘ] দত্তা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৬-১৯৩৮ খ্রি) রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস- ‘পথের দাবী’ বিপ্লববাদীদের প্রতি সমর্থনের অভিযোগে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়।
🔶 উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়- ১৯২৬ সালে।
🔶 শরৎচন্দ্র রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- ‘নিষ্কৃতি’, চরিত্রহীন (১৯১৭), ‘দত্তা’ (১৯১৮), ‘পরিণীতা’ (১৯১৪), ‘বিরাজ বৌ’ (১৯১৪), ‘বৈকুণ্ঠের উইল’ (১৯১৬), ‘দেবদাস’ (১৯১৭), ‘শ্রীকান্ত’ (১ম পর্ব- ১৯১৭, ২য় পর্ব- ১৯১৮), ৩য় পর্ব- ১৯২৭ ও ৪র্থ পর্ব- ১৯৩৩), ‘গৃহদাহ’ (১৯২০), ‘দেনাপাওনা’ (১৯২৩), ‘শেষ প্রশ্ন’ (১৯৩১), ‘বিপ্রদাস’ (১৯৩৫) ইত্যাদি।

১৪. কোন গ্রন্থটির রচয়িতা এস ওয়াজেদ আলী?
[ক] আশা-আকাংক্ষার সমর্থনে
✅ ভবিষ্যতের বাঙালি
[গ] উন্নত জীবন
[ঘ] সভ্যতা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ভবিষ্যতের বাঙালি
🔶 বিশিষ্ট সাহিত্যিক এস.  ওয়াজেদ আলী (১৮৯০-১৯৫১ খ্রি) রচিত একটি প্রবন্ধ গ্রন্থ- ‘ভবিষ্যতের বাঙালী’ (১৯৪৩)।
🔶 তার রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ- মুসলিম সংস্কৃতির আদর্শ (প্রবন্ধ), গুলদাস্তা (১৯২৭), প্রাচ্য ও প্রতীচ্য (১৯৪৩) ইত্যাদি।
উন্নত জীবন
🔶 প্রাবন্ধিক ও চিন্তাবিদ ডা.  লুৎফর রহমান (১৮৮৯-১৯৩৬ খ্রি) রচিত একটি প্রবন্ধগ্রন্থ- ‘উন্নত জীবন’ (১৯২৭)।
সভ্যতা
🔶 বিশিষ্ট সাহিত্যিক মোতাহের হোসেন চৌধুরী (১৯০৩-১৯৫৬ খ্রি) রচিত ক্লাইভ বেলের সিভিলাইজেশনের অনুবাদ- ‘সভ্যতা’ (১৯৬৫)।

১৫. নিত্য মূর্ধন্য-ষ কোন শব্দে বর্তমান?
[ক] কষ্ট
[খ] উপনিষৎ
[গ] কল্যাণীয়েষু
✅ আষাঢ়

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 সংস্কৃত ভাষায় আদিকাল থেকে কিছু শব্দে মূর্ধন্য-ষ চলে আসছে, এসব শব্দের বানান হয়- নিত্য মূর্ধন্য-ষ। সে হিসেবে ‘আষাঢ়’ শব্দটিতে নিত্য মূর্ধন্য-ষ বর্তমান।
🔶 ব্যাকরণের যে নিয়মানুযায়ী দন্ত-ষ মূর্ধন্য-ষ তে রূপান্তরিত হয়, সে নিয়মসমূহকে বলে- ষতব বিধান। যেমন- সু + সম = সুষম, এখানে ‘সম’ শব্দটি দন্ত-স মূর্ধন্য-ষ তে পরিবর্তিত হয়েছে।

১৬. ‘ভাষা মানুষের মুখ থেকে কলমের মুখে আসে, উল্টোটা করতে গেলে মুখে শুধু কালি পড়ে’ বলেছেন-
[ক] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
[খ] কাজী নজরুল ইসলাম
[গ] বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়
✅ প্রমথ চৌধুরী

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘ভাষা মানুষের মুখ থেকে কলমের মুখে আসে, উল্টোটা করতে গেলে মুখে শুধু কালি পড়ে’ বলেছেন- বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট সাহিত্যিক প্রথম চৌধুরীর (১৮৬৮-১৯৪৬ খ্রি)।
🔶 প্রমথ চৌধুরীর আরেকটি গুরুতবপূর্ণ পঙ্ক্তি- ‘সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত’।

১৭. ‘অক্ষির সমীপে’ এর সংক্ষেপণ হলো-
✅ সমক্ষ
[খ] পরোক্ষ
[গ] প্রত্যক্ষ
[ঘ] নিরপেক্ষ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
সমক্ষ
🔶 ‘অক্ষির সমীপে’-এর সংক্ষেপণ- সমক্ষ।
পরোক্ষ
🔶 ‘অক্ষির অগোচরে’-এর সংক্ষেপণ- পরোক্ষ।
প্রত্যক্ষ
🔶 ‘অক্ষির সম্মুখে’-এর সংক্ষেপণ- প্রত্যক্ষ।
নিরপেক্ষ
🔶 ‘পক্ষপাতহীন বা মুখাপেক্ষী নয় এমন’-এর সংক্ষেপণ- নিরপেক্ষ।

১৮. উপসর্গের সঙ্গে প্রত্যয়ের পার্থক্য-
[ক] অব্যয় ও শব্দাংশ
[খ] নতুন শব্দ গঠনে
✅ উপসর্গ থাকে সামনে, প্রত্যয় থাকে পিছনে
[ঘ] ভিন্ন অর্থ প্রকাশে

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 যেসব অব্যয় শব্দ বা ধাতুর পূর্বে বসে মূল শব্দের অর্থের পরিবর্তন ঘটায় ও নতুন শব্দ গঠন করে তাকে বলে- উপসর্গ। যেমন- বে + কার = বেকার; এখানে ‘ব’ উপসর্গ।
🔶 যেসব বর্ণ বা সমষ্টি ধাতু বা শব্দের পরে বসে নতুন শব্দ গঠন করে তাকে বলে- প্রত্যয়। যেমন- কাঁদ + অন = কাঁদন, এখানে ‘অন’ প্রত্যয়।
🔶 সুতরাং উপরিউক্ত প্রশ্নে (গ)-ই যথার্থ উত্তর।

১৯. ‘তুমি এতক্ষণ কী করেছ?’ এই বাক্যে ‘কী’ কোন পদ?
[ক] বিশেষণ
[খ] অব্যয়
✅ সর্বনাম
[ঘ] ক্রিয়া

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
সর্বনাম
🔶 সর্বনাম হলো- যা বিশেষ্যের পরিবর্তে বসে। যেমন- আমি, তুমি, সে, তাকে, আমার ইত্যাদি।
🔶 সুতরাং উপরিউক্ত বাক্যে ‘তুমি’ ও ‘কী’ উভয়ই- সর্বনাম।
বিশেষণ
🔶 বিশেষণ হলো- যা বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের দোষ, গুণ ইত্যাদি প্রকাশ করে। যেমন- ভালো, ছোট, বড়, পাঁচটি ইত্যাদি।
অব্যয়
🔶 অব্যয় হলো- যে পদের কোনো পরিবর্তন নেই। যেমন- এবং, কিংবা, কিন্তু, অথবা ইত্যাদি।
ক্রিয়া
🔶 ক্রিয়া হলো- যে পদ দ্বারা কার্য সম্পন্ন হয়। যেমন- করা, খাওয়া, যাওয়া ইত্যাদি।

২০. ‘আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস।’- এই বাক্যে ‘আকাশে’ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তির উদাহরণ?
[ক] কর্তৃকারকে সপ্তমী
[খ] কর্মকারকে সপ্তমী
[গ] অপাদান কারকে তৃতীয়া
✅ অধিকরণ কারকে সপ্তমী

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
অধিকরণ কারকে সপ্তমী
🔶 যে স্থানে বা যে কালে ক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয় তাকে বলে- অধিকরণ কারক। যেমন- নদীতে পানি আছে।
🔶 সুতরাং উপরিউক্ত বাক্যে ‘আকাশে’ শব্দটি অধিকরণ কারক এবং এখানে ‘এ’ বিভক্তি থাকায় এটি- সপ্তমী বিভক্তি।
কর্তৃকারকে সপ্তমী
🔶 যে ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে বলে- কর্তৃকারক। যেমন- পাখি সব করে রব।
কর্মকারকে সপ্তমী
🔶 যাকে উদ্দেশ্য করে ক্রিয়া সম্পাদিত হয় তাকে বলে- কর্মকারক। যেমন- সালাম বই পড়ে।
অপাদান কারকে তৃতীয়া
🔶 যে স্থান থেকে কোনো ঘটনার আরম্ভ বা যা দ্বারা কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর উৎপত্তি, চলন, উত্থান, পতন ইত্যাদি সংঘটিত হয় তাকে বলে- অপাদান কারক। যেমন- মেঘ হতে বৃষ্টি হয়।

 GK - সাধারণ জ্ঞান 
 বাংলা - Bangla Literature 
 ২৯তম পর্ব 

১. ‘ভানুসিংহ’ কার ছদ্মনাম?
✅ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
[খ] সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের
[গ] প্রমথ চৌধুরীর
[ঘ] টেকচাঁদ ঠাকুরের

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছদ্মনাম- ‘ভানুসিংহ’।

সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের
🔶 সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কোনো ছদ্মনাম নেই। তার উপাধি- ‘ছন্দের যাদুকর’।
প্রমথ চৌধুরীর
🔶 প্রমথ চৌধুরীর ছদ্মনাম- ‘বীরবল’।
🔶 বাংলা সহিত্যের ইতিহাসে প্রমথ চৌধুরীর প্রধান অবদান- সাহিত্যের ভাষা হিসেবে চলিত রীতির প্রবর্তন।
🔶 বাংলা ছাড়া প্রমথ চৌধুরীর পান্ডিত্য ছিল- ইংরেজি ও ফরাসি ভাষায়।
🔶 প্রমথ চৌধুরীর চলিত রীতির প্রথম গদ্যরচনা- ১৯০২ সালে ‘ভারতী’ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘হালখাতা’।

টেকচাঁদ ঠাকুরের
🔶 প্যারীচাঁদ মিত্রের ছদ্মনাম- ‘টেকচাঁদ ঠাকুর’।

২. কোন গ্রন্থটি এয়াকুব আলী চৌধুরী প্রণীত?
[ক] মোস্তফা চরিত
[খ] নয়াজাতির স্রষ্টা হযরত মোহাম্মদ
[গ] বিশ্বনবী
✅ মানব-মুকুট

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মানব-মুকুট
🔶 বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সাংবাদিক মোহাম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরী (১৮৮৮-১৯৪০ খ্রি) প্রণয়ন করেন- ‘মানব মুকুট’ (১৯২২) গ্রন্থটি।
🔶 মোহাম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরী রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ- ‘নূরনবী’ (১৯১৮), ‘শান্তিধারা’ (১৯১৯) ইত্যাদি।
মোস্তফা চরিত
🔶 ‘মোস্তফা চরিত’ গ্রন্থটির রচয়িতা- মাওলানা আকরাম খাঁ (১৮৬৯-১৯৬৯ খ্রি)।
নয়াজাতির স্রষ্টা হযরত মোহাম্মদ
🔶 ‘নয়াজাতির স্রষ্টা হযরত মোহাম্মদ’ গ্রন্থটির রচয়িতা- মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ (১৮৯৮-১৯৭৪ খ্রি)।
বিশ্বনবী
🔶 ‘বিশ্বনবী’ গ্রন্থটির রচয়িতা- কবি গোলাম মোস্তফা।

৩. ‘সুন্দর মাত্রেরই একটা আকর্ষণ শক্তি আছে’। - এই বাক্যে সুন্দর শব্দটি কোন পদ?
✅ বিশেষ্য
[খ] বিশেষণ
[গ] সর্বনাম
[ঘ] বিশেষণের বিশেষণ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 এখানে ‘সুন্দর’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে- বিশেষ্য হিসেবে।
🔶 সাধারণ অর্থে ‘সুন্দর’ শব্দটি বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয় যার অর্থ- লাবণ্যময়, মনোহর, উত্তম ইত্যাদি।

৪. ‘সাম্য’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
[ক] কাজী নজরুল ইসলাম
[খ] মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ
✅ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
[ঘ] মোহাম্মদ লুৎফর রহমান

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-১৮৯৪ খ্রি)
🔶 বাংলা উপন্যাস সাহিত্যের স্থপতি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি বিখ্যাত প্রবন্ধগ্রন্থ- ‘সাম্য’ (১৮৭৯)।
🔶 তার অন্যান্য উলে­খযোগ্য গ্রন্থ- ‘দুর্গেশনন্দিনী’ (১৮৬৫), ‘কপালকুন্ডলা’ (১৮৬৬), ‘মৃণালিনী’ (১৮৬৯), ‘বিষবৃক্ষ’ (১৮৭৩), ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ (১৮৭৮), ‘আনন্দমঠ’ (১৮৮২),দেবী চৌধুরানী (১৮৮৪),কমলাকান্তের দপ্তর (১৮৭৫), ‘কৃষ্ণচরিত্র’ (১৮৮৬) ইত্যাদি।

কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬ খ্রি)
🔶 উলে­খ্য কাজী নজরুল ইসলামের উলে­খযোগ্য প্রবন্ধ গ্রন্থ- ‘যুগবাণী’ (১৯২২), ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ (১৯২৩), ‘দুর্দিনের যাত্রী’ (১৯২৬) ও রুদ্রমঙ্গল।
🔶 নজরুলের প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধ- তুর্কী মহিলার ঘোমটা খোলা। সওগাতের কার্তিক সংখ্যায় প্রকাশিত হয় ১৩২৬ বঙ্গাব্দে।
🔶 নজরুলের প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধ গ্রন্থ- যুগবাণী, (১৯২২)।
মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ (১৮৯৮-১৯৭৪ খ্রি)
🔶 গদ্যশিল্পী মোহাম্মদ বরকতুল্লাহর উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ গ্রন্থ- ‘পারস্য প্রতিভা’ (১ম খন্ড’ ১৯২৪ ও ২য় খন্ড ১৯৩২) ও ‘মানুষের ধর্ম’ (১৯৩৪)।
মোহাম্মদ লুৎফর রহমান (১৮৮৯-১৯৩৬ খ্রি)
🔶 ডাক্তার লুৎফর রহমান -এর উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ গ্রন্থ- ‘উচ্চজীবন’ (১৯১৯), ‘মহৎজীবন’ (১৯২৬), ‘উন্নত জীবন’ (১৯২৭), ‘মানবজীবন’ (১৯২৭) ও ‘সত্যজীবন’ (১৯৪০)।

৫. সিকান্দার আবু জাফর সম্পাদিত পত্রিকাটির নাম কি?
[ক] সওগাত
✅ সমকাল
[গ] উত্তরণ
[ঘ] শিখা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
সমকাল
🔶 সাহিত্য মাসিক ‘সমকাল’ পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক- কবি, সঙ্গীত রচয়িতা, নাট্যকার ও সাংবাদিক সিকান্দর আবু জাফর (১৯১৯-১৯৭৫ খ্রি)।
🔶 ১৯৫৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে প্রকাশিত এ পত্রিকাটি ছাড়াও তিনি অধীন ছিলেন- দৈনিক ইত্তেফাকের (১৯৫৩) সহযোগী সম্পাদক এবং দৈনিক মিল্লাতের (১৯৫৪) প্রধান সম্পাদক পদে।
সওগাত
🔶 ‘সওগাত’ (১৯১৮) পত্রিকাটির সম্পাদক- মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন।
উত্তরণ
🔶 ‘উত্তরণ’ পত্রিকাটির সম্পাদক- হাসান হাফিজুর রহমান।
শিখা
🔶 ‘শিখা’ পত্রিকাটির সম্পাদক- কাজী মোতাহের হোসেন।
🔶 ‘শিখা’ (১৯২৭) নামে একটি বার্ষিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে, যার সম্পাদক ছিলেন- আবুল হোসেন।

৬. ‘ফণি-মনসা’ কাব্যের রচয়িতা কে?
✅ কাজী নজরুল ইসলাম
[খ] আহসান হাবীব
[গ] সিকান্দার আবু জাফর
[ঘ] হাসান হাফিজুর রহমান

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬ খ্রি)
🔶 ১৯২৭ সালে প্রকাশিত কবি নজরুল ইসলামের একটি বিদ্রোহপ্রকাশক কাব্যগ্রন্থ- ‘ফনি-মনসা’।
🔶 কবির অন্যান্য উলে­খযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- ‘অগ্নিবীণা’ (১৯২২), ‘বিষের বাঁশি’ (১৯২৪), ‘ভাঙ্গার গান’ (১৯২৪), ‘সাম্যবাদী’ (১৯২৫), ‘সর্বহারা’ (১৯২৬), ‘জিঞ্জির’ (১৯২৮), ‘সন্ধ্যা’ (১৯২৯), ‘প্রলয়শিখা’ (১৯৩০), ‘দোলনচাপা’ (১৯২৩), ‘ছায়ানট’ (১৯২৪), ‘সিন্ধু-হিলে­vল’ (১৯২৭), ‘চক্রবাক’ (১৯২৯), ‘মরুভাস্কর’ (১৯৫৭) ইত্যাদি।
আহসান হাবীব (১৯১৭-১৯৮৫ খ্রি)
🔶 কবি ও সাংবাদিক আহসান হাবীবের উলে­খযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- রাত্রিশেষ (১৯৪৭), ‘ছায়াহরিণ’ (১৯৬২), ‘মেঘ বলে চৈত্রে যাবো’ (১৯৭৬), ‘প্রেমের কবিতা’ (১৯৮১) ইত্যাদি।
সিকান্দার আবু জাফর (১৯১৯-১৯৭৫ খ্রি)
🔶 কবি ও সাংবাদিক সিকান্দার আবু জাফর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- ‘প্রসন্ন প্রহর’ (১৯৬৫), ‘বৈরী বৃষ্টিতে’ (১৯৬৫), ‘তিমিরান্তক’ (১৯৬৫), ‘কবিতা ১৩৭২’ (১৯৭২) ইত্যাদি।
হাসান হাফিজুর রহমান (১৯৩২-১৯৮৩ খ্রি)
🔶 কবি ও সাংবাদিক হাসান হাফিজুর রহমানের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- ‘বিমুখ প্রান্তর’ (১৯৬৩)’ ‘আর্ত শব্দাবলী’ (১৯৬৮), ‘যখন উদ্যত সঙ্গীন’ (১৯৭২), ‘বজ্রে চেরা আঁধার আমার’ (১৯৭৬) ইত্যাদি।

৭. ‘বীরবলের হালখাতা’ গ্রন্থটি কোন ধরনের রচনা?
[ক] কাব্য
[খ] নাটক
[গ] উপন্যাস
✅ প্রবন্ধ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা সাহিত্যে চলিত ভাষার প্রবর্তক ও বিদ্রূপাত্মক প্রাবন্ধিক প্রমথ চৌধুরী (১৯৬৮-১৯৪৬ খ্রি) প্রণীত একটি প্রবন্ধ গ্রন্থ- ‘বীরবলের হালখাতা’ (১৯১৬)।
🔶 তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ- ‘তেল-নুন-লাকড়ি’ (১৯০৬), ‘নানাকথা’ (১৯১৯), ‘আমাদের শিক্ষা’ (১৯২০), ‘রায়তের কথা’ (১৯২৬), ‘চার ইয়ারী কথা’ (১৯১৬), ‘সনেট পঞ্চাশৎ’ (১৯১৩) ইত্যাদি।

৮. বাংলা একাডেমীর ‘আঞ্চলিক অভিধান’ সম্পাদনা কে করেন?
✅ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
[খ] মুহম্মদ এনামুল হক
[গ] মুহম্মদ মনসুর উদ্দিন
[ঘ] মুহম্মদ আবদুল হাই

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১৮৮৫-১৯৬৯ খ্রি)
🔶 বিশিষ্ট ভাষাবিদ, ভাষাবিজ্ঞানী, গবেষক ও শিক্ষাবিদ ড.  মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদনা করেছেন- বাংলা একাডেমী কর্তৃক প্রকাশিত দুই খন্ডে বিভক্ত ‘আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’।
🔶 তার সংকলিত ও সম্পাদিত অন্যান্য গ্রন্থ- পদ্মাবতী (১৯৫০), প্রাচীন ধর্মগ্রন্থে শেষনবী (১৯৫২) এবং গল্প সংকলন (১৯৫৩)।
মুহম্মদ এনামুল হক (১৯০৬-১৯৮২ খ্রি)
🔶 বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক মুহাম্মদ এনামুল হক সম্পাদিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ-বাংলাদেশের ব্যবহারিক অভিধান (স্বরবর্ণাংশ সম্পাদনা, ১৯৭৪) Perso-Arabic Elements in Bengali (ড.  জি.  এম.  হেলালী সহযোগে, ১৯৬৭) ইত্যাদি।
মুহম্মদ মনসুর উদ্দিন (১৯০৪-১৯৮৭ খ্রি)
🔶 বিশিষ্ট ফোকলোর বিশেষজ্ঞ, লেখক ও শিক্ষাবিদ মুহাম্মদ মনসুরউদ্দিন সম্পাদিত গ্রন্থ- হারামনি (১ম খন্ড ১৯৩০, ২য় খন্ড ১৯৪২, ৩য় খন্ড ১৯৪৭, ৪র্থ খন্ড ১৯৫৮, ৫ম খন্ড ১৯৬১, ৬ষ্ঠ খন্ড ১৯৬২, ৭ম খন্ড ১৯৬৫, ৮ম খন্ড ১৯৭৬, ৯ম খন্ড ১৯৮৮, ১০ম খন্ড ১৯৮৯)।
মুহম্মদ আবদুল হাই (১৯১৯-১৯৬৯ খ্রি)
🔶 বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, ধ্বনিতাত্তিবক ও সাহিত্যিক মুহাম্মদ আব্দুল হাই প্রণীত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ- সাহিত্য ও সংস্কৃতি (১৯৫৪), বিলাতে সাড়ে সাতশ দিন (১৯৫৮), ভাষা ও সাহিত্য (১৯৬০), ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্তব (১৯৬৪), বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত (সৈয়দ আলী আহসান সহযোগে, ১৯৬৮) ইত্যাদি।

৯. সনেটের ক’টি অংশ?
[ক] একটি
✅ দুটি
[গ] তিনটি
[ঘ] চারটি

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ইংরেজি ‘সনেট’ শব্দটি এসেছে- ইতালীয় শব্দ ‘সনেট’ (অর্থ- মৃদুধ্বনি) থেকে।
🔶 সাধারণভাবে কবিতার চৌদ্দটি লাইন দুটি ভাগে বিভক্ত থাকে- প্রথম ভাগে আট লাইনে এবং দ্বিতীয় ভাগে ছয় লাইনে থাকে, প্রথম ভাগকে অভিহিত করা হয়- ‘অষ্টক’ এবং দ্বিতীয় ভাগকে- ‘ষট্ক’ বা ‘ষষ্টক’ নামে।
🔶 পরবর্তীতে এ ভাগ অন্যরকম হতেও দেখা যায়। তিনটি চার লাইনের ভাগ; প্রতিটি পরিচিত- ‘চতুষ্ক’ নামে এবং শেষ দুটি অন্ত্যমিলবিশিষ্ট চরণ।

Bangla General Knowledge (GK) question answer pdf download.

১০. ‘কাঁচি’ কোন ধরনের শব্দ?
[ক] আরবি
[খ] ফারসি
[গ] হিন্দি
✅ তুর্কি

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
তুর্কি
🔶 তুর্কি ভাষার শব্দ- ‘কাঁচি’।
🔶 তুর্কি ভাষার আরো কিছু শব্দ- চাকর, দারোগা, উর্দি, উর্দু, কুলি, খান, খোকা, চকমক, ঠাকুর, তালাশ, দাদা, নানা, নানী, বাবা, বাবুর্চি, মোগল, সওগাত ইত্যাদি।
আরবি
🔶 আরবি ভাষার কিছু শব্দ- আল্লাহ, ইসলাম, ঈমান, ওযু, কুরবানি, গোসল, হালাল, হারাম, হজ, যাকাত, আদালত, উকিল, এজলাস, কলম, কানুন, খারিজ, দোয়াত, নগদ, বাকি, মুনসেফ, তারিখ, খবর, খয়রাত, আজব, আতর, আমানত, আসল, নফল, এলাকা, কায়দা, খাজনা, খেতাব, ছবি, জনাব, জরিমানা, নবাব, বই ইত্যাদি।
ফারসি
🔶 ফারসি ভাষার কিছু শব্দ- ফরিয়াদ, নালিশ, সালিশ, আইন, দরবার, বাদশাহ, জমিদার, বেহেশত, আফসোস, আমদানি, রপ্তানি, নমুনা, জানোয়ার, গ্রেপ্তার, চাঁদা, মজুরি ইত্যাদি।
হিন্দি
🔶 হিন্দি ভাষা থেকে আগত এরূপ কিছু শব্দ- ঘর, পেট, নাক, চাকু, জঙ্গল, চাউল ইত্যাদি।

১১. ‘কাটাকুঞ্জে বসি তুই গাঁথবি মালিকা
দিয়া গেনু ভালে তোর বেদনার টীকা’
-এই উদ্ধৃতাংশটি কোন কবির রচনা?
✅ কাজী নজরুল ইসলাম
[খ] মাইকেল মধুসূদন দত্ত
[গ] সুকান্ত ভট্টাচার্য
[ঘ] বেনজীর আহমেদ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘কাটাকুঞ্জে বসি তুই গাঁথবি মালিকা
দিয়া গেনু ভালে তোর বেদনার টীকা’-এই উদ্ধৃতাংশটির রচয়িতা- কাজী নজরুল ইসলাম।

১২. অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তির উদাহরণ আছে কোন বাক্যটিতে?
[ক] ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল
[খ] কাজের পরিচয় ফলে বোঝা যায়
[গ] ফুলের গন্ধে ঘুম আসেনা একলা জেগে রই
✅ আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 উপরিউক্ত বাক্যগুলোর মধ্যে (ঘ)-ই যথার্থ উত্তর।
🔶 যে স্থানে বা যে সময়ে ক্রিয়া সম্পাদিত হয় তাকে বলে- অধিকরণ কারক।
🔶 ক্রিয়াপদ ধরে কোথায়, কোন স্থানে, কখন, কোন সময়ে, কবে, কোন বিষয়ে বা ব্যাপারে-এসব প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়- তা-ই অধিকরণ কারক। যেমন- তারেক মাঠে খেলে। এখানে ‘কোথায় খেলে?’ প্রশ্নের উত্তর হবে- মাঠে। সুতরাং ‘মাঠে’ অধিকরণ কারক।

১৩. কোন সাহিত্যাদর্শের মর্মে নৈরাশ্যবাদ আছে?
[ক] রোমান্টিসিজম
[খ] আধুনিকতাবাদ
✅ উত্তরাধুনিকতাবাদ
[ঘ] বাস্তববাদ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
উত্তরাধুনিকতাবাদ
🔶 সাহিত্যের অধুনা ধারা উত্তরাধুনিকতাবাদ, এ সাহিত্যাদর্শের মর্মে আছে- নৈরাশ্যবাদ।
রোমান্টিসিজম
🔶 রোমান্টিসিজম বা রোমান্টিকতা হলো- জীবনের বাস্তব রূপের ওপর কল্পনার আরোপ চিত্রিতকর রহস্যময় কোনো চেতনার অনুসন্ধানের মাধ্যমে কল্পনার আলোয় জীবনকে বাস্তবাতীত করে দেখা।
আধুনিকতাবাদ
🔶 আধুনিকতাবাদ হলো- দেবমহিমা ছেড়ে মানব জীবনের গুণগান প্রধান বাস্তুতান্ত্রিক সাহিত্য।
বাস্তববাদ
🔶 বাস্তববাদ হলো- জগৎ, জীবন ও প্রকৃতিকে বস্তুনিষ্ঠ ও যথাযথভাবে বর্ণনা করার সাহিত্য।

১৪. ‘কাশবনের কন্যা’ গ্রন্থটির লেখক কে?
[ক] আবুল কালাম শামসুদ্দিন
✅ শামসুদ্দিন আবুল কালাম
[গ] আবুল ফজল
[ঘ] জসীম উদ্দীন

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
শামসুদ্দিন আবুল কালাম
🔶 বিশিষ্ট সাহিত্যিক শামসুদ্দীন আবুল কালামের উপন্যাস- ‘কাশবনের কন্যা’।

আবুল কালাম শামসুদ্দিন (১৮৯৭-১৯৭৮ খ্রি)
🔶 আবুল কালাম শামসুদ্দীন-এর অন্যতম পরিচয়- বাঙালি মুসলমানদের সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃৎ।
🔶 সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদ আবুল কালাম শামসুদ্দীনের উলে­খযোগ্য গ্রন্থ- ‘কচিপাতা’ (শিশু সাহিত্য, ১৯৩২), ‘অনাবাদী জমি’ (অনুবাদ, ১৯৩৮), ‘ত্রিস্রোতা’ (অনুবাদ, ১৯৩৯), ‘খরতরঙ্গ’ (১৯৫৩) ইত্যাদি।
🔶 আবুল কালাম শামসুদ্দীন-এর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ- অতীত দিনের স্মৃতি (১৯৬৮)।
আবুল ফজল (১৯০৩-১৯৮৩ খ্রি)
🔶 আবুল ফজল ছিলেন- সাহিত্যিক এবং মুসলিম সাহিত্য সমাজ-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক।
🔶 আবুল ফজল সম্পৃক্ত ছিলেন- শিখা পত্রিকার সঙ্গে।
🔶 আবুল ফজল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত হন- ১৯ এপ্রিল, ১৯৭৩।
🔶 বিশিষ্ট সাহিত্যিক আবুল ফজলের উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- ‘চৌচির’ (১৯৩৪), ‘প্রদীপ ও পতঙ্গ’ (১৯৪৭), ‘রাঙ্গা প্রভাত’ (১৯৬৪) ইত্যাদি।
জসীম উদ্দীন (১৯০৩-১৯৭৬ খ্রি)
🔶 পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের উপন্যাস- ‘বোবা কাহিনী’ (১৯৬৪)।

১৫. ‘শাশ্বত বঙ্গ’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
[ক] কাজী মোতাহের হোসেন
[খ] আবুল হুসেন
✅ কাজী আবদুল ওদুদ
[ঘ] কাজী আনোয়ারুল কাদির

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
কাজী আবদুল ওদুদ (১৮৯৪-১৯৭০ খ্রি)
🔶 বিশিষ্ট লেখক ও চিন্তাবিদ কাজী আব্দুল ওদুদ -এর একটি প্রবন্ধ গ্রন্থ- ‘শাশ্বত বঙ্গ’ (১৯৫১)।
🔶 তার অন্যান্য উলে­খযোগ্য প্রবন্ধ গ্রন্থ- ‘রবীন্দ্রকাব্য পাঠ’ (১৩৩৪ বাং), ‘কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ’ (১ম খন্ড- ১৩৬৯, ২য় খন্ড, ১৩৭৬ বাং) ইত্যাদি।
আবুল হুসেন (১৮৯৬-১৯৩৬ খ্রি)
🔶 চিন্তাবিদ ও প্রাবন্ধিক আবুল হুসেন -এর উলে­খযোগ্য গ্রন্থ- ‘বাংলার বনশী’ (১৯২৫), ‘বাঙালী মুসলমানদের শিক্ষা সমস্যা’ (১৯২৮) ইত্যাদি।
কাজী মোতাহের হোসেন (১৮৯৭-১৯৮১ খ্রি)
🔶 কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন- শিখা পত্রিকার ২য় ও ৩য় বর্ষের সম্পাদক।
🔶 তিনি যুক্ত ছিলেন- ‘বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন’ নামক সাহিত্যিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলনের সাথে।
🔶 ‘শিখা’ গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠিত সংগঠন- মুসলিম সাহিত্য সমাজ।
🔶 সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানী কাজী মোতাহার হোসেন -এর উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ গ্রন্থ- ‘নজরুল কাব্য পরিচিতি’ (১৯৫৫), ‘সেই পথ লক্ষ্য করে’ (১৯৫৮), ‘গণিত শাস্ত্রের ইতিহাস’ (১৯৭০) ইত্যাদি।

১৬. ‘বেটাইম’ শব্দটি গঠিত হয়েছে-
✅ ফারসি ও ইংরেজি শব্দে
[খ] ফরাসি ও ইংরেজি শব্দে
[গ] ফারসি ও ফরাসি শব্দে
[ঘ] ফারসি ও হিন্দি শব্দে

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘বেটাইম’ শব্দটি গঠিত হয়েছে- ফারসি ও ইংরেজি শব্দযোগে।
🔶 ‘বেটাইম’ শব্দটি একটি বিশেষ্য, যার অর্থ- অসময়।
🔶 ‘বে’ ও ‘টাইম’ একত্রে যুক্ত হয়ে গঠিত হয়েছে বেটাইম। এখানে ‘বে’ উপসর্গটি- একটি ফারসি উপসর্গ এবং ‘টাইম’ শব্দটি একটি ইংরেজি শব্দ, যার অর্থ সময়।
১৭. ‘হাত-ভারি’ বাগধারার অর্থ-
[ক] দাতা
[খ] কম খরচে
[গ] দরিদ্র
✅ কৃপণ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘হাতভারি’ একটি বিশেষণ, যার অর্থ- কৃপণ, কিছু দিতে বা খরচ করতে চায় না এমন। যেমন-ও যেমন হাতভারী লোক, ওর বউ তেমনি দরাজ।

১৮. ‘লাজ’ কোন ধরনের শব্দ?
✅ বিশেষ্য
[খ] বিশেষণ
[গ] ক্রিয়া-বিশেষণ
[ঘ] বিশেষ্যের-বিশেষণ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘লাজ’ একটি বিশেষ্য পদ, যার দুটি অর্থ রয়েছে- লজ্জা বা শরম এবং খই।
🔶 লাজ-এর বিশেষণ লাজুক, যার অর্থ- লজ্জাশীল বা বলতে ও মিশতে লজ্জাবোধ করে এমন।

১৯. ঢাকার ‘মুসলিম সাহিত্য সমাজ’-এর প্রতিষ্ঠা কোন খ্রিস্টাব্দে?
✅ ১৯২৬
[খ] ১৯১১
[গ] ১৮৬৪
[ঘ] ১৯০৫

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 মুক্তবুদ্ধি চর্চার উদ্দেশ্যে কাজী আবদুল ওদুদ, আবুল হুসেন, আব্দুল কাদির, আবুল ফজল, কাজী মোতাহের হোসেন প্রমুখ ঢাকায় ১৯২৬ সালে গড়ে তোলেন- ‘মুসলিম সাহিত্য সমাজ’ নামে এ সংগঠনটি।
🔶 এ সংগঠনের কাজ শুরু হয়- নব্য শিক্ষিত প্রগতিশীল তরুণদের নিয়ে নিয়মিত সাহিত্য সমাবেশ অনুষ্ঠান করা ও পত্রিকা প্রকাশের মধ্য দিয়ে।
🔶 এর কর্মকান্ড অচিরেই সুধীমহলে পরিচিতি লাভ করে- বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনরূপে।
🔶 এ সংগঠনটির কার্যক্রম এক সময় বন্ধ হয়ে যায়- ‘মুসলিম সাহিত্য-সমাজ’-এর মুখপত্র ‘শিখা’য় মুক্ত চিন্তা ও যুক্তিনির্ভর নানা রচনা প্রকাশ হলে ঢাকার প্রতিক্রিয়াশীল মহলের রোষানলে পড়ে।

২০. ‘সঞ্চিতা’ কোন কবির কাব্য সংকলন?
[ক] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
[খ] সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
✅ কাজী নজরুল ইসলাম
[ঘ] জীবনানন্দ দাশ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬ খ্রি.)
🔶 কবি কাজী নজরুল ইসলাম-এর একটি কাব্য সংকলন- ‘সঞ্চিতা’।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১ খ্রি)
🔶 কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উলে­খযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- ‘বলাকা’ (১৯১৫), ‘সন্ধ্যা সঙ্গীত (১৮৮২), ‘প্রভাত সঙ্গীত’ (১৮৮৩), ‘কড়ি ও কোমল’ (১৮৮৬), ‘মানসী’ (১৮৯০), ‘সোনারতরী’ (১৮৯৪), ‘ক্ষণিকা’ (১৯০০), ‘গীতাঞ্জলি’ (১৯১০), ‘পুনশ্চ’ (১৯৩২), ‘শেষ লেখা’ (১৯৪১) ইত্যাদি।
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত (১৮৮২-১৯২২ খ্রি.)
🔶 কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- ‘সবিতা’ (১৯০০), ‘সন্ধিক্ষণে’ (১৯০৫), ‘বেণু ও বীণা’ (১৯০৬), ‘কুহু ও কেকা’ (১৯১২) ‘কাব্য সঞ্চয়ন’ (১৯৩০) ইত্যাদি।
জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪ খ্রি.)
🔶 কবি জীবনানন্দ দাশের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- ‘ঝরা পালক’ (১৯২৮), ‘ধূসর পান্ডুলিপি’ (১৯৩৬) ‘বনলতা সেন’ (১৯৪২), ‘সাতটি তারার তিমির’ (১৯৪৮), ‘রূপসী বাংলা’ (১৯৫৭), ‘বেলা অবেলা কালবেলা’ (১৯৬১) ইত্যাদি।

 GK - সাধারণ জ্ঞান 
 বাংলা - Bangla Literature 
 ২৮তম পর্ব 

১. চাঁদ সওদাগর বাংলা কোন কাব্যধারার চরিত্র?
[ক] চন্ডীমঙ্গল
✅ মনসামঙ্গল
[গ] ধর্মমঙ্গল
[ঘ] অন্নদামঙ্গল

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মনসামঙ্গল
🔶 মঙ্গলকাব্যগুলোর মধ্যে প্রাচীনতম- মনসামঙ্গল।
🔶 এর প্রধান চরিত্র- চাঁদ সওদাগর, বেহুলা, দেবী মনসা ও লখিন্দর।
🔶 মনসামঙ্গলের আদিকবি- কানাহরি দত্ত।
🔶 মনসামঙ্গল রচনাকারী অন্যান্য কবি- বিজয়গুপ্ত, পুরুষোত্তম, নারায়ণদেব এবং বিপ্রদাস পিপিলাই।
চন্ডীমঙ্গল
🔶 মঙ্গলকাব্যের প্রধান দেবতারা হচ্ছেন- মনসা, চন্ডী ও ধর্মঠাকুর।
🔶 এদের মধ্যে মনসা ও চন্ডী- স্ত্রীদেবতা।
🔶 এদেরকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে- মনসামঙ্গল, চন্ডীমঙ্গল ও ধর্মমঙ্গল।
🔶 কালক্রমে এদের সাথে যুক্ত হয়- শিবায়ন বা শিবমঙ্গলও।
🔶 চন্ডীমঙ্গলের প্রধান চরিত্র- সত্য, পার্বতী, কালকেতু, ফুল­রা, ভাড়ূদত্ত।
🔶 চন্ডীমঙ্গলের আদিকবি- মানিক দত্ত।
🔶 চন্ডীমঙ্গলের দুজন শ্রেষ্ঠকবি- দ্বিজ মাধব ও মুকুন্দরাম।
🔶 সমগ্র মঙ্গলকাব্যধারার শ্রেষ্ঠ কবি হিসেবে বিবেচিত- মুকুন্দরাম।
ধর্মমঙ্গল
🔶 ধর্মমঙ্গলের প্রধান চরিত্র- লাউসেন, কর্ণসেন, মহামদ, গৌড়েশ্বর প্রমুখ।
🔶 ধর্মমঙ্গলের আদিকবি- ময়ূর ভট্ট।
🔶 ধর্মমঙ্গলের শ্রেষ্ঠ কবি- ঘনরাম চক্রবর্তী।
🔶 ধর্মমঙ্গল রচনাকারী আরও কবি- সীতারাম দাস, সহদেব, নরসিংহ, হৃদয়রাম, গোবিন্দরাম প্রমুখ।
অন্নদামঙ্গল
🔶 চন্ডীর বহু নামের মধ্যে একটি হলো- ‘অন্নদা’।
🔶 মধ্যযুগের শেষ বড় কবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর রচিত বিখ্যাত কাব্য অন্নদামঙ্গল রচিত- অন্নদার নামে। এই কাব্য মঙ্গলকাব্য নয়।
🔶 অন্নদামঙ্গলের প্রধান চরিত্র- দেবী, ঈশ্বরী পাটনী, হরিহোর, ভবানন্দ, মানসিংহ প্রমুখ।

২. ‘ইউসুফ জোলেখা’ প্রণয়কাব্য অনুবাদ করেছেন-
[ক] দৌলত উজির বাহরাম খান
[খ] মাগন ঠাকুর
[গ] আলাওল
✅ শাহ মুহম্মদ সগীর

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
শাহ মুহম্মদ সগীর
🔶 ফারসি ‘ইউসুফ-জুলেখা’ প্রণয়কাব্যের অনুবাদক- শাহ মুহম্মদ সগীর।
🔶 কাব্যটি রচিত- পয়ার ও ত্রিপদী ছন্দে এবং ছোট ছোট ঘটনায় বিভক্ত।
🔶 তিনি ছাড়াও মধ্যযুগে ‘ইউসুফ-জুলেখা’ কাব্য রচনা করেন- আব্দুল হাকিম, শাহ গরীবুল্লাহ, গোলাম সফাতুল্লাহ, সাদেক আলী ও ফকির মোহাম্মদ।

দৌলত উজির বাহরাম খান
🔶 মধ্যযুগীয় বাংলা ভাষার কবি- দৌলত উজির বাহরাম খান।
🔶 তাঁর প্রকৃত নাম- আসাউদ্দীন।
🔶 তাঁর দুটি আখ্যানকাব্য- ‘লায়লী-মজনু’ ও ‘ইমাম বিজয়’।
🔶 উভয় কাব্যের উৎস্য- আরবি সাহিত্য।
🔶 প্রথম লায়লী-মজনুর মতো বিশ্বখ্যাত বিরহমূলক প্রেমকাহিনী নিয়ে বাংলা ভাষায় কাব্য রচনা করেন- বাহরাম খান।
মাগন ঠাকুর
🔶 মধ্যযুগের ‘চন্দ্রাবতী’ কাব্যের রচয়িতা- মাগন ঠাকুর।
🔶 তিনি ছিলেন- আরাকান রাজসভার কবি।
🔶 তাঁরই পৃষ্ঠপোষকতায় মহাকবি আলাওল রচনা করেন- ‘পদ্মাবতী’ ও ‘সয়ফুলমুলুক বদিউজ্জামাল’ কাব্য।
আলাওল
🔶 মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের সর্বাধিক গ্রন্থ রচয়িতা- আলাওল।
🔶 আলাওল আরাকান রাজসভায় স্থান পান- কোরেশি মাগন ঠাকুরের আনুকূল্যে।
🔶 তাঁর প্রধান রচনাগুলোর মধ্যে আখ্যানকাব্য- পদ্মাবতী, সতীময়না লোরচন্দ্রানী, সপ্তপয়কর, সয়ফুলমুলুক বদিউজ্জামাল, সিকান্দরনামা, গীতিকাব্য তোহফা, সঙ্গীতবিষয়ক কাব্য রাগতালনামা প্রভৃতি।

৩. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ‘ভ্রান্তিবিলাস’ কোন নাটকের গদ্য অনুবাদ?
[ক] মার্চেন্ট অব ভেনিস
✅ কমেডি অব এররস
[গ] অ্যা মিডসামার নাইটস ড্রিম
[ঘ] টেমিং অব দ্য শ্রু

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮২০-১৮৯১ খ্রি) ‘ভ্রান্তিবিলাস’ রচনা করেন- ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপিয়ার (১৫৬৪-১৬১৬ খ্রি) রচিত প্রথম নাটক ‘দ্য কমেডি অব এররস’ (১৫১২-৯৩) অবলম্বনে।
🔶 তিনি শেক্সপিয়রের এ নাটকটির বঙ্গানুবাদ করেন- ১৮৬৯ সালে।
🔶 তার অন্যান্য অনুবাদ গ্রন্থ- বেতালপঞ্চবিংশতি (হিন্দি বৈতালপচ্চীসীর বঙ্গানুবাদ (১৮৪৭), ‘শকুন্তলা’ (কালিদাসের ‘অভিজ্ঞানশকুন্তলম’ নাটকের উপাখ্যান ভাগের বঙ্গানুবাদ, ১৮৫৪) এবং ‘সীতার বনবাস’ (ভবভূতির উত্তরকান্ডের বঙ্গানুবাদ, ১৮৬০)।

৪. কখনো উপন্যাস লেখেননি-
[ক] কাজী নজরুল ইসলাম
[খ] জীবনানন্দ দাশ
✅ সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
[ঘ] বুদ্ধদেব বসু

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
🔶 আধুনিক বাংলা সাহিত্যের একজন বিখ্যাত কবি- সুধীন্দ্রনাথ দত্ত (১৯০১-১৯৬০ খ্রি)।
🔶 তিনি অনেক কবিতা ও গদ্য রচনা করলেও রচনা করেননি- কোনো উপন্যাস।
কাজী নজরুল ইসলাম
🔶 কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬ খ্রি) রচিত উপন্যাস- ‘বাঁধনহারা’ (১৯২৭), ‘মৃত্যুক্ষুধা’ (১৯৩০) ও ‘কুহেলিকা’ (১৯৩১)।
জীবনানন্দ দাশ
🔶 জীবনানন্দ দাশ রচিত উপন্যাস- মাল্যবান, সুতীর্থ, জলপাইহাটি, জীবন প্রণালী, বাসমতীর উপাখ্যান ইত্যাদি।
বুদ্ধদেব বসু
🔶 কবি ও কথাসাহিত্যিক বুদ্ধদেব বসু (১৯০৮-১৯৭৪ খ্রি) রচিত উপন্যাস- সাড়া (১৯৩০), ‘সানন্দা’ (১৯৩৩), ‘লাল মেঘ’ (১৯৩৪), ‘পরিক্রমা’ (১৯৩৮), ‘কালো হাওয়া’ (১৯৪২), ‘নির্জন স্বাক্ষর’ (১৯৫১), ‘তিথিডোর’ (১৯৫২), ‘নীলাঞ্জনের খাতা’ (১৯৬০), ‘বিপন্ন বিস্ময়’ (১৯৬৯), ‘রাতভর বৃষ্টি’ (১৯৬৭) ইত্যাদি।

৫. ‘দুধেভাতে উৎপাত’ গল্পগ্রন্থের রচয়িতা-
[ক] শওকত ওসমান
[খ] জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত
ড় আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
[ঘ] হাসান আজিজুল হক

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (১৯৪৩-১৯৯৭ খ্রি)
🔶 ‘দুধেভাতে উৎপাত’ গল্পগ্রন্থটি (১৯৮৫) রচিত- বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কর্তৃক।
🔶 তার অন্যান্য উলে­খযোগ্য রচনা- চিলেকোঠার সেপাই (১৯৮৭), ‘খোয়াবনামা (১৯৯৬) ইত্যাদি।
শওকত ওসমান (১৯১৭-১৯৯৮ খ্রি)
🔶 বিশিষ্ট সাহিত্যিক শওকত ওসমানের উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ- ‘প্রস্তর ফলক’ (১৯৬৪), ‘উপলক্ষ’ (১৯৬৫), ‘জন্ম যদি তব বঙ্গে’ (১৯৭৫) ইত্যাদি।
জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত (১৯৩৯-)
🔶 খ্যাতিমান গল্পকার জ্যোতিপ্রকাশ দত্তের উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ-‘দুর্বিনীতি কাল’, ‘বহে না সুবাতাস’, ‘পুনরুদ্ধার’ ইত্যাদি।
হাসান আজিজুল হক (১৯৩৬-)
🔶 হাসান আজিজুল হকের উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ- ‘সমুদ্রের স্বপ্ন শীতের অরণ্য’, ‘অন্তজ ও একটি করবী গাছ’ ‘জীবন ঘষে আগুন’ ইত্যাদি।

৬. রোহিণী-বিনোদিনী-কিরণময়ী কোন গ্রন্থগুচ্ছের চরিত্র?
[ক] বিষবৃক্ষ-চতুরঙ্গ-চরিত্রহীন
[খ] কৃষ্ণকান্তের উইল-যোগাযোগ-পথের দাবি
[গ] দুর্গেশনন্দিনী-চোখের বালি-গৃহদাহ
✅ কৃষ্ণকান্তের উইল-চোখের বালি-চরিত্রহীন

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’-এর চরিত্র- রোহিণী, ভ্রমর, হরলাল ও গোবিন্দলাল।
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘চোখের বালি’-এর প্রধান চরিত্র- বিনোদিনী ও মহেন্দ্র।
🔶 শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘চরিত্রহীন’-এর প্রধান চরিত্র- কিরণময়ী ,সতীশ, সাবেত্রী ও দিবাকর।
🔶 বঙ্কিমচন্দ্র রচিত ‘বিষবৃক্ষ’-এর প্রধান চরিত্র- কুন্দননন্দিনী, নগেন্দ্রনাথ, হীরা ও সূর্যমুখী।
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘চতুরঙ্গ’-এর প্রধান চরিত্র- দামিনী, শচীশ ও শ্রী বিলাস।
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘যোগাযোগ’-এর প্রধান চরিত্র- মহিম, সুরেশ, অচলা ও মৃণাল।
🔶 বঙ্কিমচন্দ্র রচিত ‘দুর্গেশনন্দিনী’-এর প্রধান চরিত্র- আয়েশা ও তিলোত্তমা।

৭. ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে’ এ প্রার্থনাটি করেছে-
[ক] ভাঁড়ূদত্ত
[খ] চাঁদ সওদাগর
✅ ঈশ্বরী পাটনী
[ঘ] নলকুবের

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে’ এ প্রার্থনাটি করেছে- মধ্যযুগের সর্বশেষ বড় কবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর রচিত ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যের অমর চরিত্র ঈশ্বরী পাটনী অন্নদা দেবীর কাছে।
🔶 চন্ডীমঙ্গলের উল্লেখযোগ্য চরিত্র- ভাঁড়ূদত্ত।
🔶 মনসামঙ্গলের উল্লেখযোগ্য চরিত্র- চাঁদ সওদাগর।

৮. ‘হ্ম’-এর বিশ্লিষ্ট রূপ-
[ক] ক + ষ
[খ] ক + ষ + ণ
[গ] ক + ষ + ম
✅ হ + ম

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 দুই বা তার চেয়ে বেশি ব্যঞ্জনধ্বনির মধ্যে কোনো স্বরধ্বনি না থাকলে- সে ব্যঞ্জনধ্বনি দুটি বা ধ্বনি কয়টি একত্রে উচ্চারিত হয়।
🔶 এরূপ যুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির দ্যোতনার জন্য দুটি বা অধিক ব্যঞ্জনবর্ণ একত্রিত হয়ে গঠিত হয়- সংযুক্ত বর্ণ (Ligature)।
🔶 এখানে এরূপ একটি সংযুক্ত বর্ণ- ‘হ্ম’।
কারণ, হ + ম = হ্ম।
ক + ষ = ক্ষ।
ক + ষ + ণ = ক্ষ্ম।
ক + ষ + ম = ক্ষম।

৯. নারীকে সম্বোধনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে-
✅ কল্যাণীয়েষু
[খ] সুচরিতেষু
[গ] শ্রদ্ধাস্পদাসু
[ঘ] প্রীতিভাজনেষু

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 নারীকে সম্বোধনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে- কল্যাণীয়েষু।
🔶 নারীদের ক্ষেত্রে অন্যান্য সম্ভাষণ- কল্যাণবরাষু, পরম কল্যাণীয়াষু।
🔶 পত্রের উপরাংশে বাম পাশে যাকে পত্র লেখা হয় তাকে যে সম্বোধন করে পত্রের মূল বক্তব্য আরম্ভ করা হয় তাকে বলে- সম্ভাষণ।
🔶 সম্ভাষণ বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে- পত্র প্রাপকের শ্রেণীভেদে।
🔶 সাধারণত সম্বোধনে পুরুষের ক্ষেত্রে সম্ভাষণ- দোয়াবরেষু, দোয়াবর, কল্যাণবরেষু, কল্যাণীয়বরেষু ইত্যাদি।
🔶 বন্ধু-বান্ধবদের ক্ষেত্রে সম্ভাষণ- সুহৃদবরেষু, প্রিয়, প্রিয়বরেষু, প্রিয়বন্ধুবরেষু, প্রীতিভাজনেষু, সুচরিতেষু, সুচরিতাষু ইত্যাদি।
🔶 গুরুজনদের ক্ষেত্রে সম্ভাষণ- শ্রদ্ধাভাজনেষু, শ্রদ্ধাস্পদেষু (পুং), শ্রদ্ধাস্পদাষু (স্ত্রী) ইত্যাদি।

১০. ‘পেয়ারা’ কোন ভাষা থেকে আগত শব্দ?
[ক] হিন্দি
[খ] উর্দু
✅ পর্তুগীজ
[ঘ] গ্রিক

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
পর্তুগীজ
🔶 বাংলা ভাষা গোড়াপত্তনের যুগে সামান্য সংখ্যক শব্দ দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও এ ভাষার শব্দের সম্ভার বহুল পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে- নানা ভাষার সংস্পর্শে এসে।
🔶 প্রশ্নে উল্লেখিত ‘পেয়ারা’ শব্দটি এভাবেই এসেছে- পর্তুগীজ ভাষা থেকে।
🔶 পর্তুগীজ ভাষা থেকে আগত এরূপ আরো কিছু শব্দ- আনারস, আলপিন, আলমারি, গির্জা, গুদাম, চাবি, পাউরুটি, বালতি।
হিন্দি
🔶 হিন্দি ভাষা থেকে আগত এরূপ কিছু শব্দ- ঘর, পেট, নাক, চাকু, জঙ্গল, চাউল ইত্যাদি।
উর্দু
🔶 উর্দু ভাষা থেকে আগত এরূপ কিছু শব্দ- হাওয়া, আম, গরম মসলা, তেল ইত্যাদি।
গ্রিক
🔶 গ্রিক ভাষা থেকে আগত এরূপ কিছু শব্দ- দাম, সুরঙ্গ ইত্যাদি।

১১. সমার্থক শব্দগুচ্ছ সনাক্ত করুন-
[ক] দীর্ঘিকা, নদী, প্রণালী
✅ শৈবলিনী, তরঙ্গিনী, সরিৎ
[গ] গাঙ, তটিনী, অর্ণব
[ঘ] স্রোতস্বিনী, নির্ঝরিণী, সিন্ধু

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘নদী’র সমার্থক শব্দ- শৈবলিনী, তরঙ্গিনী, সরিৎ, স্রোতস্বিনী, তটিনী, প্রবাহিনী, কল্লোলিনী, গাঙ।
🔶 কোনো শব্দের সম অর্থপূর্ণ অন্য শব্দই হলো- প্রতিশব্দ বা সমার্থক শব্দ।
🔶 দীর্ঘিকা’র সমার্থক শব্দ- দিঘি, বড়পুকুর।
🔶 প্রণালী’র সমার্থক শব্দ- নর্দমা, জলনালী, পদ্ধতি, রীতি, কার্যক্রম।
🔶 অর্ণব-এর সমার্থক শব্দ- সমুদ্র, সাগর, সিন্ধু, বারিধি, জলধি, পারাপার, রত্নাকর, জলনিধি, নীলাম্বু, অম্বুধি, সরোধি, পাথার, বারীশ, উদধি, পয়োনিধি, অম্বুনিধি, তোয়াধি, বারিনিধি, বারীন্দ্র।

১২. শুদ্ধ বানানের শব্দগুচ্ছ সনাক্ত করুন-
[ক] ভবিষ্যত, ভৌগলিক, যক্ষমা
✅ যশলাভ, সদ্যোজাত, সম্বর্ধনা
[গ] স্বায়ত্তশাসন, আভ্যন্তর, জন্মবার্ষিক
[ঘ] ঐক্যতান, কেবলমাত্র, উপরোক্ত

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 উপরিল্লিখিত অশুদ্ধ শব্দগুলোর শুদ্ধ বানান হলো- ভবিষ্যত → ভবিষ্যৎ, ভৌগলিক → ভৌগোলিক, যক্ষমা → যক্ষা, আভ্যন্তর → অভ্যন্তর, ঐক্যতান → ঐকতান, কেবলমাত্র → কেবল, উপরোক্ত → উপর্যুক্ত।
🔶 অন্য শব্দগুলো শুদ্ধ এবং ‘জন্মবার্ষিক’ শব্দের শব্দরূপ নেই।

১৩. ‘প্রাতরাশ’-এর সন্ধি-
[ক] প্রাত + রাশ
[খ] প্রাতঃ + রাশ
✅ প্রাতঃ + আশ
[ঘ] প্রাত + আশ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 প্রাতরাশ শব্দটি গঠিত- সংস্কৃত ‘প্রাতঃ (=র)’-এর সাথে ‘আশ’ যুক্ত হয়ে।
🔶 ‘প্রাতরাশ’ শব্দটির অর্থ- প্রাতভোজন বা সকালের নাশতা।

১৪. যে পদে বাক্যের ক্রিয়াপদটির গুণ, প্রকৃতি, তীব্রতা ইত্যাদি প্রকৃতিগত অবস্থা বোঝায়, তাকে বলা হয়-
[ক] ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য
✅ ক্রিয়াবিশেষণ
[গ] ক্রিয়াবিশেষ্যজাত বিশেষণ
[ঘ] ক্রিয়াবিভক্তি

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ক্রিয়াবিশেষণ
🔶 ক্রিয়ার স্থান, কাল ও কারণাদির বৈশিষ্ট্য বা প্রকৃতিগত অবস্থা যেসব শব্দ দ্বারা প্রকাশিত হয় তাদের বলে- ক্রিয়া-বিশেষণ।
যেমন- ধীরে যাও, সুন্দর গায় ইত্যাদি।
ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য
🔶 যে বিশেষ্য ক্রিয়ার কোনো নাম বোঝায় তাকে বলে- ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য। যেমন- খাওয়া, যাওয়া, গমন ইত্যাদি।
ক্রিয়াবিভক্তি
🔶 ক্রিয়া বা ধাতুর সঙ্গে যে বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি যুক্ত হয়ে বিবিধ ক্রিয়াপদ গঠন করে তাকে বলে- ক্রিয়াবিভক্তি। যেমন- খা + ইব = খাইব।

১৫. ‘রামগরুড়ের ছানা’ কথাটির অর্থ-
[ক] কাল্পনিক জন্তু
✅ গোমড়ামুখো লোক
[গ] মুরগি
[ঘ] পুরাণোক্ত পাখি

১৬. নিচের কোনটিতে বিরামচিহ্ন যথাযথভাবে ব্যবহৃত হয়নি?
[ক] ডিসেম্বর ১৬, ১৯৭১
[খ] ২৬ মার্চ, ১৯৭১
✅ ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২
[ঘ] পয়লা বৈশাখ, চৌদ্দশো সাত

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাক্যে ‘কমা’ বসানোর বিভিন্ন নিয়মের মধ্যে একটি নিয়ম হলো- মাসের তারিখ লিখতে বার ও মাসের পর ‘কমা’ বসাতে হয়।
🔶 সুতরাং (গ) উত্তরটিতেই যথাযথ বিরাম চিহ্ন ব্যবহৃত হয়নি।
🔶 বাক্যের অর্থ সুস্পষ্টভাবে বোঝানোর জন্য বাক্যের মধ্যে বা শেষে ব্যবহৃত হয়- বিভিন্ন বিরাম বা যতিচিহ্ন।
🔶 এরকম একটি গুরুতবপূর্ণ চিহ্ন- ‘কমা’ বা ‘পাদচ্ছেদ’ (,)।

১৭. ‘বামেতর’ শব্দটির অর্থ-
[ক] বামচোখ
✅ ডান
[গ] ইতর
[ঘ] বাম দিক

১৮. প্রথম বাংলা ‘থিসরাস’ বা সমার্থক শব্দের অভিধান সংকলন করেছেন-
✅ অশোক মুখোপাধ্যায়
[খ] জগন্নাথ চক্রবর্তী
[গ] মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
[ঘ] মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:

🔶 ড.  মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১৮৮৫-১৯৬৯ খ্রি) সম্পাদনা করেন- ‘বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ (দুই খন্ড), যা তার জীবনের প্রথম একটি কাজ।

১৯. ‘নিরানববইয়ের ধাক্কা’ বাগধারাটির অর্থ-
[ক] তীরে পৌঁছার ঝক্কি
✅ সঞ্চয়ের প্রবৃত্তি
[গ] মুমূর্ষু অবস্থা
[ঘ] আসন্ন বিপদ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘নিরানববইয়ের ধাক্কা’ বাগধারাটির অর্থ- টাকা জমানোর লোভ, অর্থাৎ সঞ্চয়ের প্রবৃত্তি।
২০. যে সমাসের ব্যাসবাক্য হয় না, কিংবা তা করতে গেলে অন্য পদের সাহায্য নিতে হয়, তাকে বলা হয়-
[ক] দ্বন্দ্ব সমাস
[খ] অব্যয়ীভাব সমাস
[গ] কর্মধারয় সমাস
✅ নিত্য সমাস
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
নিত্য সমাস
🔶 যে সমাসের ব্যাসবাক্য হয় না, কিংবা তা করতে গেলে অন্য পদের সাহায্য নিতে হয়, তাকে বলা হয়- নিত্য সমাস।
দ্বন্দ্ব সমাস
🔶 যে সমাসে সমস্যমান পদগুলো সংযোজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত থাকে এবং পূর্বপদ ও পরপদ উভয়ের অর্থই প্রাধান্য পায়, তাকে বলে- দ্বন্দ্ব সমাস। যেমন- দোয়াত ও কলম = দোয়াত-কলম, কাঁচা ও পাকা = কাঁচা-পাকা ইত্যাদি।
অব্যয়ীভাব সমাস
🔶 অব্যয় পদ পূর্বে বসে যে সমাস পূর্বপদের অর্থ প্রাধান্য পায়, তাকে বলে- অব্যয়ীভাব সমাস। যেমন- কূলের সমীপে = উপকূল, আমিষের অভাব = নিরামিষ ইত্যাদি।
কর্মধারয় সমাস
🔶 যে সমাসে প্রথম পদটি দ্বিতীয় পদের বিশেষণরূপে অবস্থান করে এবং সমস্তপদে পরপদ তথা দ্বিতীয় পদের অর্থ প্রাধান্য থাকে, তাকে বলে- কর্মধারয় সমাস। যেমন- নীল যে আকাশ = নীলাকাশ।

 GK - সাধারণ জ্ঞান 
 বাংলা - Bangla Literature 
 ২৭তম পর্ব 

১. বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বিষয়ক প্রথম উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ কার রচনা?
✅ দীনেশচন্দ্র সেনগুপ্ত
[খ] সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
[গ] মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
[গ] সুকুমার সেন

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
দীনেশচন্দ্র সেনগুপ্ত (১৮৬৬-১৯৩৯ খ্রি)
🔶 বাংলা সাহিত্যের প্রথম যথার্থ ইতিহাস গ্রন্থ- বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক দীনেশচন্দ্র সেন কর্তৃক রচিত ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ গ্রন্থটি ।
🔶 তাঁর বঙ্গ-সংস্কৃতি সেবার আর এক শ্রেষ্ঠ নিদর্শন- ‘পূর্ববঙ্গ গীতিকা’ ও ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ সম্পাদনা।

সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (১৮৯০-১৯৭৭ খ্রি)
🔶 ভাষাতাত্তিবক পন্ডিত সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় রচিত বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ- 'The Origin and Development of the Bengali Language'।
🔶 রবীন্দ্রনাথ তাঁকে প্রদান করেন- ‘ভাষাচার্য’ উপাধি।
🔶 তাঁর প্রাপ্ত অন্যান্য উপাধি হলো- ‘সাহিত্য বাচসঙতি’ ও ‘পদ্মবিভূষণ’।
🔶 তিনি মৃত্যুবরণ করেন- ১৯-এ মে ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে।
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
🔶 ভাষাবিদ, ভাষাবিজ্ঞানী, গবেষক ও শিক্ষাবিদ ড.  মুহম্মদ শহীদুল্লাহ রচিত বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ- ‘বাংলা সাহিত্যের কথা’ (১ম ও ২য় খন্ড) এবং ‘ভাষা ও সাহিত্য’।
সুকুমার সেন (১৯০১-১৯৯২ খ্রি)
🔶 পন্ডিত ও শিক্ষাবিদ সুকুমার সেন রচিত বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ- ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের কথা’, ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস’ (১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ খন্ড) ও ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের গদ্য’।
🔶 সুকুমার সেন ছিলেন- সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের সুযোগ্য ছাত্র।
🔶 বিশ্বভারতী তাকে উপাধি প্রদান করে- ‘দেশিকোত্তম’।

২. ‘ভাষা প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ’ কে রচনা করেন?
[ক] ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
✅ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
[গ] মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
[ঘ] মুহম্মদ এনামুল হক

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (১৮৯০-১৯৭৭ খ্রি)
🔶 সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ছিলেন- শিক্ষাবিদ, ভাষাবিজ্ঞানী ও সাহিত্যিক।
🔶 ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃত বিষয়ে বাংলা ও ইংরেজিতে তিনি রচনা করেন- ৩৮০টিরও বেশি গ্রন্থ।
🔶 তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা- সরল ভাষা প্রকাশ বাঙালা ব্যাকরণ, Bengali Phonetic Reader, পশ্চিমের যাত্রী, রবীন্দ্র সঙ্গমে প্রভৃতি।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮২০-১৮৯১ খ্রি)
🔶 বিশিষ্ট লেখক, সমাজ সংস্কারক ও চিন্তাবিদ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত বাংলা ব্যাকরণ গ্রন্থ- ‘সংস্কৃত ব্যাকরণের উপক্রমণিকা’ ও ‘ব্যাকরণ কৌমুদী’ (১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ ভাগ)।
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১৮৮৫-১৯৬৯ খ্রি)
🔶 ভাষাবিদ, ভাষাবিজ্ঞানী, গবেষক ও শিক্ষাবিদ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ রচিত বাংলা ব্যাকরণ গ্রন্থ- ‘বাংলা ব্যাকরণ’।
মুহম্মদ এনামুল হক (১৯০৬-১৯৮২ খ্রি)
🔶 শিক্ষাবিদ ও গবেষক মুহম্মদ এনামুল হক রচিত বাংলা ব্যাকরণ গ্রন্থ- ‘ব্যাকরণ মঞ্জুরী’।

৩. ‘পদাবলী’র প্রথম কবি কে?
[ক] শ্রীচৈতন্য
[খ] বিদ্যাপতি
✅ চন্ডীদাস
[ঘ] জ্ঞানদাস

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
চন্ডীদাস (আনুমানিক ১৩৭০-১৪৩৩)
🔶 বাংলা ভাষায় বৈষ্ণব পদাবলীর আদি রচয়িতা- চন্ডীদাস।
🔶 এ নামে চারজন কবি হলেন- বড়ূ চন্ডীদাস, দ্বিজ চন্ডীদাস, দীন চন্ডীদাস ও চন্ডীদাস। এই চারজন পরস্পর পৃথক না একই ব্যক্তি এ নিয়ে বাংলা সাহিত্যে সমস্যা রয়েছে যা পরিচিত- ‘চন্ডীদাস সমস্যা’ নামে।
🔶 ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের রচয়িতা- বড়ূ চন্ডীদাস।
🔶 চন্ডীদাসের বিখ্যাত উক্তি- ‘সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই’।
শ্রীচৈতন্য
🔶 প্রকৃত নাম- বিশ্বম্ভর মিশ্র।
🔶 তিনি নদীয়া জেলার নবদ্বীপ শহরে জন্মগ্রহণ করেন- ১৪৮৬ খ্রিস্টাব্দে।
🔶 তাঁর পিতা জগন্নাথ মিশ্র ও মা শচীর আদিভূমি ছিল- সিলেট।
🔶 তাঁর ডাক নাম- নিমাই।
🔶 তাঁর গুরু ছিলেন- বিষ্ণুপন্ডিত।
বিদ্যাপতি
🔶 বিদ্যাপতি জন্মগ্রহণ করেন- আনুমানিক ১৩৭৪ খ্রিস্টাব্দে মিথিলার সীতামারী মহকুমার বিসফি গ্রামে।
🔶 তাঁদের পারিবারিক উপাধি ছিল- ঠক্কর বা ঠাকুর।
🔶 তিনি বহু গ্রন্থ ও পদ রচনা করেন- মৈথিলি, অবহট্ঠ ও সংস্কৃত ভাষায়।
🔶 তাঁর শ্রেষ্ঠ কীর্তি- ব্রজবুলি ভাষায় রচিত রাধাকৃষ্ণের লীলাবিষয়ক পদগুলি।
🔶 তিনি উদ্ভাবন করেন- ব্রজবুলি ভাষা।
🔶 নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত সর্বপ্রথম প্রকাশ করেন- বিদ্যাপতির পদাবলির প্রামাণ্য সংকলন।
🔶 বিদ্যাপতির উপাধি- কবি কণ্ঠহার, অভিনব জয়দেব, মিথিলার কোকিল, কবি শেখর, কবিরঞ্জন, পন্ডিতঠাকুর, রাজপন্ডিত, সদুপাধ্যায় প্রভৃতি।
জ্ঞানদাস
🔶 চৈতন্যোত্তর বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি- জ্ঞানদাস।
🔶 তিনিই প্রথম পদ রচনা করেন- ‘ষোড়শ-গোপাল’-এর রূপ বর্ণনা করে।
🔶 তাঁর রচিত বৈষ্ণবগীতিকাব্যের দুটি মূল্যবান গ্রন্থ- ‘মাথুর’ ও ‘মুরলীশিক্ষ’।

৪. দোভাষী পুঁথি বলতে কি বোঝায়?
কদুই ভাষায় রচিত পুঁথি
ড়কয়েকটি ভাষার শব্দ ব্যবহার করে মিশ্রিত ভাষায় রচিত পুঁথি
গতৈরি করা কৃত্রিম ভাষায় রচিত পুঁথি
ঘআঞ্চলিক ভাষায় রচিত পুঁথি

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা, হিন্দি, ফারসি, আরবি, তুর্কি ইত্যাদি ভাষার শব্দ ব্যবহার করে মিশ্রিত ভাষায় রচিত পুঁথিই- দোভাষী পুঁথি।

৫. ‘সঞ্চয়িতা’ কোন কবির কাব্য সংকলন?
✅ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
[খ] সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
[গ] কাজী নজরুল ইসলাম
[ঘ] জসীমউদ্দীন

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
🔶 কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (১৮৬১-১৯৪১ খ্রি) অন্যতম কাব্য সংকলন- ‘সঞ্চয়িতা’।
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
🔶 কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের (১৮৮২-১৯২২ খ্রি) উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- ‘বেনু ও বীনা’ ‘কুহু ও কেকা’, ‘সন্ধিক্ষণ’ ইত্যাদি।
কাজী নজরুল ইসলাম
🔶 বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের (১৮৯৯-১৯৭৬ খ্রি) কাব্য সংকলন- ‘সঞ্চিতা’।
জসীমউদ্দীন
🔶 পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের (১৯০৩-১৯৭৬ খ্রি) কাব্য সংকলন- ‘রাখালী’, ‘বালূচর’, ‘ধানক্ষেত’ ‘মাটির কান্না’, ‘সুচয়নী’ ও ‘রূপবতী’।

৬. রবীন্দ্রনাথের কোন গ্রন্থটি নাটক?
[ক] চোখের বালি
[খ] বলাকা
[গ] ঘরে-বাইরে
✅ রক্তকরবী

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
রক্তকরবী
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত উল্লেখযোগ্য নাটক- ‘রক্তকরবী’ (১৯২৪)।
🔶 তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য নাটক- ‘চিত্রাঙ্গদা’ (১২৯৯), ‘প্রায়শ্চিত্ত’ (১৯০৯), ‘রাজা’ (১৯১০), ‘অচলায়তন’ (১৯১১), ‘ডাকঘর’ (১৯১২), ‘তাসের দেশ’ (১৯৩৩), ‘চন্ডালিকা’ (১৯৩৩) ইত্যাদি।
চোখের বালি, ঘরে-বাইরে
🔶 প্রশ্নে উল্লেখিত ‘চোখের বালি’ (১৯০৩) এবং ‘ঘরে বাইরে’ (১৯১৬)- রবীন্দ্রনাথ রচিত উপন্যাস।
বলাকা
🔶 প্রশ্নে উল্লেখিত ‘বলাকা’ (১৯১৫) তার রচিত- কাব্যগ্রন্থ।

৭. কোন কবিতা রচনার কারণে নজরুল ইসলামের কারাদন্ড হয়েছিল?
[ক] বিদ্রোহী
✅ আনন্দময়ীর আগমনে
[গ] কান্ডারী হুশিয়ার
[ঘ] অগ্রপথিক

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এক বছরের জন্য কারারুদ্ধ হন- ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ এবং ‘বিদ্রোহীর কৈফিয়ৎ’ রচনার জন্য।
🔶 তিনি উল্লেখিত কবিতাগুলো রচনা করেন- পৌরুষ ও শক্তির চিত্ত চাঞ্চল্যে, গণচেতনা ও নির্যাতিত মানুষের মুক্তির আকাংক্ষায় উদ্ভাসিত হয়ে।

৮. কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত লেখা কোনটি?
✅ বাউন্ডেলের আত্মকাহিনী
[খ] মুক্তি
[গ] হেবা
[ঘ] বিদ্রোহী

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
বাউন্ডেলের আত্মকাহিনী
🔶 কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত লেখা (গল্প) ‘বাউন্ডেলের আত্মকাহিনী’ প্রথম প্রকাশিত হয়- মাসিক ‘সওগাত’ পত্রিকায় ১৩২৬ বঙ্গাব্দের (১৯১৯ খ্রি.) জ্যৈষ্ঠ সংখ্যায়।
মুক্তি
🔶 তার রচিত প্রথম কবিতা ‘মুক্তি’ প্রথম প্রকাশিত হয়- ‘বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা’র শ্রাবণ সংখ্যায় ১৩২৬ বঙ্গাব্দে।
বিদ্রোহী
🔶 তার শ্রেষ্ঠ বিদ্রোহাত্মক কবিতা ‘বিদ্রোহী’ প্রথম প্রকাশিত হয়- ‘বিজলী’ সাপ্তাহিক পত্রিকার ২২ পৌষ সংখ্যায় ১৩২৮ বঙ্গাব্দে।

৯. সওগাত পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
✅ মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন
[খ] আবুল কালাম শামসুদ্দীন
[গ] কাজী আবদুল ওদুদ
[ঘ] সিকান্দার আবু জাফর

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন (১৮৮৮-১৯৯৪ খ্রি)
🔶 সওগাত পত্রিকার সম্পাদক- মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন।
🔶 কোলকাতা থেকে সচিত্র মাসিক সাহিত্যপত্র ‘সওগাত’ প্রকাশিত হয়- ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ খ্রি) অগ্রহায়ন থেকে।
🔶 মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন পশ্চাৎপদ মুসলমান সমাজকে প্রগতির পথে নিয়ে যান-পত্রিকাটিতে নবীন-প্রবীণ মুসলমান সাহিত্যিকমন্ডলীর মুক্তবুদ্ধি ও স্বাধীন চিন্তা-সমৃদ্ধ রচনা প্রকাশ করে।
আবুল কালাম শামসুদ্দীন (১৮৯৭-১৯৭৮ খ্রি)
🔶 সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদ আবুল কালাম শামসুদ্দীন সম্পাদনা করেন- সাপ্তাহিক ‘মুসলিম জগৎ’ (১৯২৪ খ্রি), ‘দৈনিক জেহাদ’ (নভেম্বর, ১৯৬২) ইত্যাদি পত্রিকা।
🔶 তাছাড়া তিনি কাজ করেছেন- ‘সওগাত’ পত্রিকার সম্পাদনা বিভাগেও।
কাজী আবদুল ওদুদ (১৮৯৪-১৯৭০ খ্রি)
🔶 লেখক ও চিন্তাবিদ কাজী আব্দুল ওদুদ সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি নিযুক্ত হন- ১৯৬৫ সালে নব পর্যায়ে প্রকাশিত ‘তরুণপত্র’ পত্রিকার।
সিকান্দার আবু জাফর (১৯১৯-১৯৭৫ খ্রি)
🔶 কবি, নাট্যকার ও সাংবাদিক সিকানদার আবু জাফর মাসিক ‘সমকাল’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন- ১৯৫৭-১৯৭০ পর্যন্ত।

১০. ‘সাত সাগরের মাঝি’ কাব্যগ্রন্থটির কবি কে?
✅ ফররুখ আহমদ
[খ] আহসান হাবীব
[গ] শামসুর রাহমান
[ঘ] হাসান হাফিজুর রহমান

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ফররুখ আহমদ (১৯১৮-১৯৭৪ খ্রি)
🔶 চলি­শের দশকে আবির্ভূত শক্তিমান কবিদের অন্যতম ফররুখ আহমদের প্রথম কাব্যগ্রন্থ- ‘সাত সাগরের মাঝি’ (১৯৪৪)।

আহসান হাবীব (১৯১৭-১৯৮৫ খ্রি)
🔶 কবি ও সাংবাদিক ‘আহসান হাবীব’ -এর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- ‘রাত্রিশেষ’ (১৯৪৭), ‘ছায়াহরিণ’ (১৯৬২), ‘মেঘ বলে চৈত্রে যাবো’ (১৯৭৬) ইত্যাদি।
শামসুর রাহমান (১৯২৯-২০০৬)
🔶 কবি শামসুর রাহমান-এর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে (১৯৬০), ‘রৌদ্র করোটিতে’ (১৯৬৩), ‘বিধ্বস্ত নীলিমা’ (১৯৬৭) ইত্যাদি।
হাসান হাফিজুর রহমান (১৯৩২-১৯৮৩ খ্রি)
🔶 কবি ও সাংবাদিক হাসান হাফিজুর রহমান-এর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- ‘বিমুখ প্রান্তর’ (১৯৬৩), ‘আর্তশব্দাবলী’ (১৯৬৮) ইত্যাদি।

১১. ‘পথের দাবি’ উপন্যাসের রচয়িতা কে?
✅ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
[খ] মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
[গ] সত্যেন সেন
[ঘ] সুকান্ত ভট্টাচার্য

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
🔶 খ্যাতনামা কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক পটভূমিতে লিখিত উপন্যাস, যা তৎকালীন সময়ে রাজরোষে বাজেয়াপ্ত হয়েছিল- ‘পথের দাবি’ (১৯২৬)।
🔶 তার অন্যান্য উলে­খযোগ্য উপন্যাস- ‘পরিনীতা’ (১৯১৪), ‘বিরাজ বৌ’ (১৯১৪), ‘বৈকুণ্ঠের উইল’ (১৯১৬), ‘দেবদাস’ (১৯১৭), ‘চরিত্রহীন’ (১৯১৭), ‘শ্রীকান্ত’ (১ম পর্ব- ১৯১৭, ২য় পর্ব ১৯১৮, ৩য় পর্ব ১৯২৭, ৪র্থ পর্ব ১৯৩৩), ‘শেষ প্রশ্ন’ (১৯৩১), ‘বিপ্রদাস’ (১৯৩৫) ইত্যাদি।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯০৮-১৯৫৬ খ্রি)
🔶 কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- ‘জননী’ (১৯৩৫), ‘দিবারাত্রির কাব্য’ (১৯৩৫), ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ (১৯৩৬), ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ (১৯৩৬), ‘ইতিকথার পরের কথা’ (১৯৫২) ইত্যাদি।
সত্যেন সেন (১৯০৭-১৯৮১ খ্রি)
🔶 সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদ সত্যেন সেনের উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- ‘ভোরের বিহঙ্গী’ (১৯৫৯), ‘অভিশপ্ত নগরী’ (১৯৬৭) ইত্যাদি।

১২. অপলাপ শব্দের অর্থ কি?
✅ অস্বীকার
[খ] মিথ্যা
[গ] প্রলাপ
[ঘ] অসদালাপ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘অপলাপ’ শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে আগত, যার শাব্দিক অর্থ- সত্য অস্বীকার, গোপন বা মিথ্যা উক্তি।

১৩. পদ বা পদাবলী বলতে কী বুঝায়?
[ক] লাচাড়ী ছন্দে রচিত পদ্য বা কবিতাবলি
✅ পদ্যাকারে রচিত দেবস্ত্ততিমূলক রচনা
[গ] বাউল বা মরমী গীতি
[ঘ] বৌদ্ধ বা বৈষ্ণবীয় ধর্মের গূঢ় বিষয়ের বিশেষ সৃষ্টি

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 পদ বা পদাবলী বলতে সাধারণত বুঝায়- শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীচৈতন্যের লীলাকথা নিয়ে গান করার জন্য রচিত স্তুতিমূলক কবিতাকে।
🔶 অন্যভাষায় পদ্যাকারে রচিত দেবস্তুতিমূলক রচনাই- পদ বা পদাবলী।
🔶 দ্বাদশ শতকে জয়দেব ‘গীতগোবিন্দ’ কাব্যে ব্যবহার করেন- ‘পদাবলী’ শব্দটি।
🔶 পদাবলী রচিত হয়েছে- উপনিষদে যে ব্রাহ্মকে রসস্বরূপ বলা হয়েছে এবং প্রিয়রূপে উপাসনা করতে উপদেশ দেয়া হয়েছে, সেই অনন্তরসের আধার শ্রীকৃষ্ণকে আস্বাদন করার ও করানোর জন্য।
🔶 পদাবলী সংকলনের মধ্যে প্রাচীনতম বলে মনে করা হয়- সপ্তদশ শতকের শেষভাগে বিশ্বনাথ চক্রবর্তী সংকলিত ‘ক্ষণদাগীতচিন্তামনি’-কে।
🔶 পদাবলীর বৃহত্তম ও অধিক প্রচারিত সংকলন- বৈষ্ণবদাস ওরফে গোকুলানন্দ সেনের ‘পদকল্পগুরু’ (৩১০১টি পদ)।
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’, বিদ্যাপতি, চন্ডীদাস প্রমুখের ‘বৈষ্ণব পদাবলী’- অন্যতম পদাবলী।

১৪. বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত (আধুনিক) কারা রচনা করেন?
[ক] ড.  মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও সৈয়দ আলী আহসান
[খ] ড.  মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও মুহম্মদ আব্দুল হাই
[গ] মুহম্মদ আব্দুল হাই, আনিসুজ্জামান ও আনোয়ার পাশা
✅ মুহম্মদ আব্দুল হাই ও সৈয়দ আলী আহসান

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:

🔶 বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, ধ্বনিতাত্তিবক ও সাহিত্যিক মুহম্মদ আব্দুল হাই ও শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক সৈয়দ আলী আহসান যুগ্মভাবে রচনা করেন- বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত (আধুনিক) গবেষণাগ্রন্থটি।

১৫. কোনটি ঠিক?
[ক] গোরা (নাট্যগ্রন্থ)
[খ] বিদ্রোহী (কাব্য গ্রন্থ)
✅ পথের দাবী (উপন্যাস)
[ঘ] একাত্তরের দিনগুলো (উপন্যাস)

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
পথের দাবী (উপন্যাস)
🔶 কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক পটভূমিতে রচিত উপন্যাস- ‘পথের দাবী’ (১৯২৬)।
গোরা (নাট্যগ্রন্থ)
🔶 কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের প্রেক্ষাপটে রচিত উপন্যাস- ‘গোরা’ (১৯১০)।
বিদ্রোহী (কাব্য গ্রন্থ)
🔶 ১৯২১ সালে সাপ্তাহিক ‘বিজলী’র ২২ পৌষ (১৩২৮) সংখ্যায় প্রকাশিত কাজী নজরুল ইসলামের একটি কবিতা- ‘বিদ্রোহী’, যা তাকে ‘বিদ্রোহী’ খ্যাতি এনে দেয়।
একাত্তরের দিনগুলো (উপন্যাস)
🔶 শহীদ জননী জাহানারা ইমামের (১৯২৯-১৯৯৪ খ্রি) মুক্তিযুদ্ধের ওপর স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ- ‘একাত্তরের দিনগুলো’ (১৯৮৬)।

১৬. কোনটি হযরত মুহম্মদ (স)-এর জীবনী গ্রন্থ?
[ক] মরুমায়া
✅ মরুভাস্কর
[গ] মরুতীর্থ
[ঘ] মরুকুসুম

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মরুভাস্কর
🔶 হযরত মুহাম্মদ (স)-এর জীবন নিয়ে লিখিত ‘মরু ভাস্কর’ (১৯৪১) গ্রন্থটি রচনা করেন- সাহিত্যিক ও সাংবাদিক মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী (১৮৯৬-১৯৫৪ খ্রি)।
মরুমায়া
🔶 ‘মরুমায়া’ (১৯৩০) কাব্যগ্রন্থটি রচনা করেন- কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত (১৮৮৭-১৯৫৪ খ্রি)।
মরুকুসুম
🔶 ‘মরু কুসুম’ (১৯১৯) উপন্যাসটি রচনা করেন- সাহিত্যিক শাহাদাত হোসেন (১৮৯৩-১৯৫৩ খ্রি)।

১৭.  পদাবলী লিখেছেন-
✅ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
[খ] মাইকেল মধুসূদন দত্ত
[গ] ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
[ঘ] কায়কোবাদ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 পদ বা পদাবলী বলতে সাধারণত বুঝায়- শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীচৈতন্যের লীলাকথা নিয়ে গান করার জন্য রচিত স্তুতিমূলক কবিতাকে।
🔶 বৈষ্ণব পদাবলীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পদাবলী রচনা করেন- ব্রজবুলি ভাষায়।
🔶 ‘ভানুসিংহ ঠাকুর’ ছদ্মনাম ব্যবহার করে তিনি রচনা করেন- গীতিকাব্য সংকলন ‘পদাবলী’।

১৮. ‘বাংলা একাডেমী সংক্ষিপ্ত বাংলা অভিধান’-এর সম্পাদক কে?
[ক] মুহম্মদ আব্দুল হাই
[খ] মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
[গ] মুহম্মদ এনামুল হক
✅ আহমদ শরীফ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
আহমদ শরীফ (১৯২১-১৯৯৯)
🔶 ‘বাংলা একাডেমী সংক্ষিপ্ত বাংলা অভিধান’ (১৯৯২) সম্পাদনা করেন- বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আহমদ শরীফ।
মুহম্মদ আব্দুল হাই (১৯১৯-১৯৬৯ খ্রি)
🔶 শিক্ষাবিদ, ধ্বনিতাত্তিবক ও সাহিত্যিক মুহম্মদ আবদুল হাই রচনা করেন- ভাষা ও ধ্বনি বিষয়ক গ্রন্থ ‘ভাষা ও সাহিত্য’ (১৯৬০)।
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১৮৮৫-১৯৬৯ খ্রি)
🔶 ভাষাবিদ, ভাষাবিজ্ঞানী, গবেষক ও শিক্ষাবিদ ড.  মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদনা করেন- ‘আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ (দুই খন্ড)।
মুহম্মদ এনামুল হক (১৯০৬-১৯৮২ খ্রি)
🔶 শিক্ষাবিদ ও গবেষক মুহম্মদ এনামুল হক সম্পাদনা করেন- ‘বাংলাদেশের ব্যবহারিক অভিধান’ (স্বরবর্ণাংশ সম্পাদনা, ১৯৭৪)।

১৯. ‘ভিক্ষুকটা যে পিছনে লেগেই রয়েছে, কী বিপদ!’ -এই বাক্যের ‘কী’-এর অর্থ-
[ক] ভয়
[খ] রাগ
✅ বিরক্তি
[ঘ] বিপদ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 এরূপ ক্ষেত্রে বাক্যের ভাব বুঝেই ‘কী’ এর অর্থ নিরূপণ করতে হবে। সে হিসেবে এর অর্থ- ‘ভয়’ ‘রাগ’ বা ‘বিপদ’ নয়, অবশ্যই ‘বিরক্ত’।

২০. ‘ঢাকের কাঠি’ বাগধারার অর্থ-
[ক] সাহায্যকারী
✅ তোষামুদে
[গ] বাদক
[ঘ] স্বাস্থ্যহীন লোক

 GK - সাধারণ জ্ঞান 
 বাংলা - Bangla Literature 
 ২৪তম পর্ব 

১. ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি কবি নজরুল ইসলামের কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
✅ অগ্নিবীণা
[খ] বিষের বাঁশী
[গ] দোলনচাঁপা
[ঘ] বাঁধনহারা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত ‘অগ্নিবীণা’ (১৯২২ সালের অক্টোবর মাসে) কাব্যের দ্বিতীয় কবিতা- ‘বিদ্রোহী’।

২. ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারি’ গানের রচয়িতা কে?
✅ আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
[খ] আলতাফ মাহমুদ
[গ] আব্দুল লতিফ
[ঘ] আব্দুল আলীম

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 সাংবাদিক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী রচিত একটি কবিতা- ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারি’ বিখ্যাত এ গানটি।
🔶 কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয়- হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ (১৯৫৩) গ্রন্থে। পরে এটি গানের রূপ নেয়।
🔶 গানটির প্রথম সুরকার ছিলেন- আব্দুল লতিফ।
🔶 বর্তমান সুরকার- আলতাফ মাহমুদ।
🔶 প্রথম পর্যায়ে গানটির শিল্পী ছিলেন- আব্দুল লতিফ, বর্তমানে সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হয়।

৩. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছদ্মনাম হলো-
[ক] পরশুরাম
[খ] নীললোহিত
✅ ভানুসিংহ ঠাকুর
[ঘ] গাজী মিয়া

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ভানুসিংহ ঠাকুর
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছদ্মনাম- ‘ভানুসিংহ ঠাকুর’।

পরশুরাম
🔶 রাজশেখর বসুর ছদ্মনাম- ‘পরশুরাম’।
নীললোহিত
🔶 সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম- ‘নীললোহিত’।
গাজী মিয়া
🔶 মীর মশাররফ হোসেনের ছদ্মনাম- ‘গাজী মিয়া’।
🔶 তিনি এ ছদ্মনাম ব্যবহার করে রচনা করেন- রসরচনা ‘গাজী মিয়ার বস্তানী’ (১৮৯৯)।

৪. ‘দ্য লিবারেশন অব বাংলাদেশ’ গ্রন্থের রচয়িতা-
[ক] রফিকুল ইসলাম
[খ] রশীদ করিম
✅ মেজর জেনারেল সুখওয়ান্ত সিং
[ঘ] কর্নেল সিদ্দিক মালিক

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মেজর জেনারেল সুখওয়ান্ত সিং
🔶 ‘দ্য লিবারেশন অব বাংলাদেশ’ গ্রন্থের রচয়িতা- ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল সুখওয়ান্ত সিং ('The Liberation of Bangladesh' -১৯৭৮)।
🔶 গ্রন্থটি রচিত হয়- মুক্তিযুদ্ধে তিনি যেসব ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন তার ওপর ভিত্তি করে।
রফিকুল ইসলাম
🔶 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গ্রন্থ- ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম’।
রশীদ করিম
🔶 সাহিত্যিক রশীদ করিমের বিখ্যাত উপন্যাস- ‘উত্তর পুরুষ’ (১৯৬১), ‘প্রসন্ন পাষাণ’ (১৯৬৩)।

 GK - সাধারণ জ্ঞান 
 বাংলা - Bangla Literature 
 ২৩তম পর্ব 

১. বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাবিহীন বর্ণের সংখ্যা কয়টি?
[ক] এগারটি
[খ] নয়টি
✅ দশটি
[ঘ] আটটি

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাবিহীন বর্ণের সংখ্যা- ১০টি।
🔶 এর মধ্যে- স্বরবর্ণ ১১টি, ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯টি।
🔶 ৫০টি বর্ণের মধ্যে- মাত্রাহীন বর্ণ ১০টি, অর্ধমাত্রার বর্ণ ৮টি, পূর্ণমাত্রার বর্ণ ৩২টি।
🔶 মাত্রাবিহীন ১০টি বর্ণের মধ্যে- ৪টি স্বরবর্ণ এবং ৬টি ব্যঞ্জনবর্ণ।

২. ‘তার বয়স বেড়েছে কিন্তু বুদ্ধি বাড়েনি’ -এটা কোন ধরনের বাক্য?
✅ যৌগিক বাক্য
[খ] সাধারণ বাক্য
[গ] মিশ্র বাক্য
[ঘ] সরল বাক্য

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাক্যটি যৌগিক- কারণ, এখানে দুটি নিরপেক্ষ বাক্য রয়েছে।
🔶 বাক্যটি দুটি অব্যয় দ্বারা যুক্ত- ১.  তার বয়স বেড়েছে, ২.  তার বুদ্ধি বাড়েনি।

৩. ‘একাদশে বৃহসঙতি’ এর অর্থ কি?
[ক] আশার কথা
✅ সৌভাগ্যের বিষয়
[গ] মজা পাওয়া
[ঘ] আনন্দের বিষয়

৪. লিঙ্গান্তর হয় না এমন শব্দ কোনটি?
[ক] সাহেব
[খ] বেয়াই
[গ] সঙ্গী
✅ কবিরাজ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 লিঙ্গান্তর হয় না এমন পুরুষবাচক শব্দ- কবিরাজ, ঢাকী, কৃতদার।
🔶 অন্য শব্দগুলোর লিঙ্গান্তর- সাহেব - বিবি, বেয়াই-বেয়াইন, সঙ্গী - সঙ্গিনী।

৫. সাধু ভাষা সাধারণত কোথায় অনুপযোগী?
[ক] কবিতার পংক্তিতে
[খ] গানের কলিতে
[গ] গল্পের কলিতে
✅ নাটকের সংলাপে

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 সাধুরীতির বৈশিষ্ট্য- ১.  এ রীতি নাটক, সংলাপ ও বক্তৃতায় অনুপযোগী। ২.  এ ভাষারীতি গুরুগম্ভীর ও তৎসম শব্দবহুল। ৩.  এ ভাষারীতি সুনির্ধারিত ব্যাকরণ নিয়ম অনুসারে চলে এবং এর পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট। ৪.  এ রীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ বিশেষ গঠন পদ্ধতি মেনে চলে।

৬. দুটি পুরুষবাচক শব্দ রয়েছে কোনটির?
✅ ননদ
[খ] প্রিয়া
[গ] শিষ্যা
[ঘ] আয়া

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ননদের দুটি পুরুষবাচক শব্দ- ননদ-দেবর/ননদাই।
🔶 অন্য শব্দগুলোর একটি করে পুরুষবাচক শব্দ- প্রিয়-প্রিয়া, শিষ্য-শিষ্যা, খানসামা-আয়া।

৭. বিভক্তিহীন নাম শব্দকে কি বলে?
[ক] নামপদ
[খ] উপপদ
✅ প্রতিপাদিক
[ঘ] উপমিত

৮. কোন বাক্যটি দ্বারা অনুরোধ বুঝায়?
[ক] তুই বাড়ি যা
[খ] ক্ষমা করা ঘোর অপরাধ
✅ কাল একবার এসো
[ঘ] দূর হও

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 অনুরোধ অর্থে- কাল একবার এসো।
🔶 আদেশ অর্থে- তুই বাড়ি যা।
🔶 প্রার্থনা অর্থে- ক্ষমা করো মোর অপরাধ।
🔶 ভৎর্সনা অর্থে- দূর হও।

৯. ধাতুর পর কোন প্রত্যয় যুক্ত করে ভাববাচক বিশেষ্য বুঝায়?
[ক] আন
✅ আই
[গ] আল
✅ আও

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 যে বিশেষ্য পদে কোনো ক্রিয়ার ভাব বা কাজের ভাব প্রকাশিত হয়, তাকে বলে- ভাববাচক বিশেষ্য।
🔶 সাধারণত ভাববাচক বিশেষ্য গঠিত হয়- ধাতু বা প্রতিপাদিকের পর আই ও আও প্রত্যয় যুক্ত হয়ে। যেমন : চড় + আই = চড়াই; পাকড় + আও = পাকড়াও।

১০. বচন অর্থ কি?
✅ সংখ্যার ধারণা
[খ] গণনার ধারণা
[গ] ক্রমের ধারণা
[ঘ] পরিমাপের ধারণা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বচন অর্থ- সংখ্যার ধারণা।
🔶 ব্যাকরণের একটি পারিভাষিক শব্দ- ‘বচন’।
🔶 ব্যাকরণে বিশেষ্য বা সর্বনামের সংখ্যাগত ধারণা প্রকাশের উপায়কে বলে- বচন।

১১. ‘মরি মরি! কি সুন্দর প্রভাতের রূপ’-বাক্যে ‘মরি মরি’ কোন শ্রেণীর অব্যয়?
[ক] সমন্বয়ী
✅ অনন্বয়ী
[গ] পদান্বয়ী
[ঘ] অনুকার

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 যেসব বাক্য অন্য পদের সাথে কোনো সম্বন্ধ না রেখে স্বাধীনভাবে নানাবিধ ভাব প্রকাশে ব্যবহৃত হয় তাকে বলে- অন্বন্বয়ী অব্যয়।
🔶 উচ্ছ্বাস প্রকাশে- মরি মরি! কী সুন্দর প্রভাতের রূপ।

১২. ‘দোলনা’ শব্দের সঠিক প্রকৃতি-প্রত্যয় কোনটি?
✅ দুল্ + না
[খ] দোল্ + না
[গ] দোল্ + অনা
[ঘ] দোলনা + আ

১৩. ‘কৌশলে কার্যোদ্ধার’ - কোনটির অর্থ?
[ক] গাছে তুলে মই কাড়া
[খ] এক ক্ষুরে মাথা মোড়ানো
✅ ধরি মাছ না ছুঁই পানি
[ঘ] আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ধরি মাছ না ছুঁই পানি
🔶 ধরি মাছ না ছুঁই পানি- কৌশলে কার্যোদ্ধার।
গাছে তুলে মই কাড়া
🔶 গাছে তুলে মই কাড়া- সাহায্যের আশা দিয়ে সাহায্য না করা।
এক ক্ষুরে মাথা মোড়ানো
🔶 এক ক্ষুরে মাথা কামানো- একই স্বভাবের।
আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া
🔶 আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া- দুর্লভ বস্তু হাতে পাওয়া।

১৪. ‘সন্ধি’ ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচ্য বিষয়?
[ক] রূপতত্তব
✅ ধ্বনিতত্তব
[গ] পদক্রম
[ঘ] বাক্য প্রকারণ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ধ্বনিতত্তেবর আলোচ্য বিষয়- সন্ধি, ণ-তব বিধান, ষ-তব বিধান, ধ্বনির উচ্চারণস্থান, উচ্চারণপ্রণালী ইত্যাদি।
🔶 শব্দতত্তব/রূপতত্তেবর আলোচ্য বিষয়- শব্দ, প্রত্যয়, পুরুষ, উপসর্গ, কারক ও বিভক্তি, বচন, সমাস, লিঙ্গ ইত্যাদি।
🔶 বাক্যতত্তেবর আলোচ্য বিষয়- পদবিন্যাস, বাক্যরীতি, বাক্য বিন্যাস, বাচ্য পরিবর্তন, বাগধারা, বাক্য সংকোচন, বিরাম চিহ্ন ইত্যাদি।

১৫. কোনটি অপ্রাণীবাচক শব্দের বহুবচনে ব্যবহৃত হয়?
[ক] বৃন্দ
[খ] কুল
[গ] বর্গ
✅ গ্রাম

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
গ্রাম
🔶 অপ্রাণিবাচক শব্দের বহুবচনে ব্যবহৃত হয়- গ্রাম। যেমন- গুণগ্রাম (গুণাবলী)।
বৃন্দ, বর্গ
🔶 উন্নত প্রাণিবাচক (মনুষ্য) শব্দের বহুবচনে ব্যবহৃত হয়- বৃন্দ, বর্গ, গণ, মন্ডলী। যেমন : সুধীবৃন্দ, মন্ত্রিবর্গ।
কুল
🔶 প্রাণিবাচক ও অপ্রাণিবাচক শব্দের বহুবচনে ব্যবহৃত হয়- কুল, সকল, সব, সমূহ। যেমন : কবিকুল, পক্ষীকুল।

১৬. বাক্যের ক্ষুদ্রতম একক কোনটি?
✅ শব্দ
[খ] বর্ণ
[গ] ধ্বনি
[ঘ] চিহ্ন

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
শব্দ
🔶 বাক্যের ক্ষুদ্রতম একক- শব্দ।
🔶 একাধিক ধ্বনির অর্থবোধক মিলনকে বলে- শব্দ।
বর্ণ
🔶 ধ্বনি নির্দেশক চিহ্নকে বলা হয়- বর্ণ।
ধ্বনি
🔶 মানুষের বাকপ্রত্যঙ্গ দ্বারা উচ্চারিত আওয়াজকে বলে- ধ্বনি।
১৭. সন্ধির প্রধান সুবিধা কি?
[ক] পড়ার সুবিধা
[খ] লেখার সুবিধা
✅ উচ্চারণের সুবিধা
[ঘ] শোনার সুবিধা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 সন্ধির সুবিধা দুটি- ক.  স্বাভাবিক উচ্চারণে সহজপ্রবণতা, খ.  ধ্বনিগত মাধুর্য সম্পাদন।

১৮. কোন বানানটি শুদ্ধ?
✅ সমীচীন
[খ] সমিচীন
[গ] সমীচিন
[ঘ] সমিচিন

১৯. কোন বইটি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত নয়?
[ক] শেষের কবিতা
✅ দোলন-চাঁপা
[খ] সোনার তরী
[ঘ] মানসী

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
দোলন-চাঁপা
🔶 কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ- ‘দোলন চাঁপা’।
শেষের কবিতা, সোনার তরী, মানসী
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত গ্রন্থ- ‘শেষের কবিতা’ (উপন্যাস), ‘সোনার তরী’ (কাব্যগ্রন্থ), ‘মানসী’ (কাব্যগ্রন্থ)।

২০. কাজী ইমদাদুল হক-এর ‘আবদুল্লাহ’ উপন্যাসের উপজীব্য কি?
[ক] চাষী জীবনের করুণ চিত্র
[খ] কৃষক সমাজের সংগ্রামশীল জীবন
✅ তৎকালীন মুসলিম মধ্যবিত্ত সমাজের চিত্র
[ঘ] মুসলিম জমিদার শ্রেণীর জীবন কাহিনী

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 কাজী ইমদাদুল হক তার ‘আবদুল্লাহ’ উপন্যাসে অত্যন্ত দক্ষতার সথে তুলে ধরেছেন- তৎকালীন মুসলিম মধ্যবিত্ত সমাজের চিত্র তথা নানা দোষ-ত্রুটি।
🔶 এ উপন্যাসে দেখানো হয়েছে- ধর্মীয় গোঁড়ামি আর সামাজিক কুসংস্কার যে মুসলিম সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছিল এবং ইংরেজি শিক্ষায় সংস্কারমুক্ত মন নিয়ে যে ধ্বংসকে প্রতিরোধ করা যায় তা।
🔶 এ উপন্যাসে তার নিজের রচনা- ত্রিশটি পরিচ্ছেদ।
🔶 লেখকের মৃত্যুর পর শিক্ষাবিদ আনোয়ারুল কাদির কর্তৃক কাজী ইমদাদুল হকের খসড়া অনুসরণ করে রচিত- বাকি এগারোটি পরিচ্ছেদ।

২১. ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির পটভূমিতে রচিত ‘কবর’ নাটকের রচয়িতা কে?
[ক] কবির চৌধুরী
✅ মুনীর চৌধুরী
[গ] সৈয়দ শামসুল হক
[ঘ] মুনতাসীর মামুন

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মুনীর চৌধুরী
🔶 বিখ্যাত নাট্যকার মুনীর চৌধুরী রচিত নাটক- ‘কবর’।
🔶 নাটকটি রচিত- ’৫২-এর ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে।
🔶 তিনি নাটকটি রচনা করেন- ১৯৫৩ সালের ১৭ জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বসে।
🔶 নাটকটি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অভিনীত হয়- ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাজবন্দীদের দ্বারা।
কবির চৌধুরী
🔶 জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী অনূদিত উল্লেখযোগ্য নাটক- ‘শহীদের প্রতীক্ষায়’ (১৯৬৯), ‘জননী সাহসিকা’ (১৯৮৪), ‘অমা রজনীর পক্ষে’ (১৯৬৬)।
সৈয়দ শামসুল হক
🔶 সৈয়দ শামসুল হকের কাব্যনাট্য- ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ (১৯৭৬), ‘নুরুলদীনের সারা জীবন’ (১৯৮২)।

 GK - সাধারণ জ্ঞান 
 বাংলা - Bangla Literature 
 ২২তম পর্ব 

১. বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য সংকলন ‘চর্যাপদ’-এর আবিষ্কারক-
[ক] ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
[খ] ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
✅ হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
[ঘ] ডক্টর সুকুমার সেন

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
🔶 বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য সংকলন চর্যাপদের আবিষ্কারক- হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।
🔶 হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর প্রকৃত নাম- হরপ্রসাদ ভট্টাচার্য।
🔶 তিনি জন্মগ্রহণ করেন- ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দের (১২৬০ বঙ্গাব্দ) ৬ই ডিসেম্বর খুলনা জেলার কুমিরা গ্রামে।
🔶 হরপ্রসাদের শিক্ষাজীবনে অর্জিত উপাধি হলো- ‘শাস্ত্রী’।
🔶 তিনি ‘মহামহোপাধ্যায়’ উপাধি পান-১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে।
🔶 সরকার তাঁকে ‘মহামহোপাধ্যায়’ উপাধি প্রদান করে- মহারানী ভিক্টোরিয়ার ৬০তম রাজ্যাঙ্কে।
🔶 তিনি মৃত্যুবরণ করেন- ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দের ১৭ই নভেম্বর।
ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
🔶 সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ছিলেন- শিক্ষাবিদ, ভাষাবিজ্ঞানী ও সাহিত্যিক।

সুকুমার সেন
🔶 প্রখ্যাত ভাষাতত্তববিদ ও বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকার- সুকুমার সেন।

২. হিন্দি ‘পদু-মাবৎ’-এর অবলম্বনে ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের রচয়িতা-
[ক] দৌলত উজির বাহরাম খান
[খ] সৈয়দ সুলতান
[গ] আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ
✅ আলাওল

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 হিন্দি ‘পদু-মাবৎ’-এর অবলম্বনে ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের রচয়িতা- আলাওল।
🔶 মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের একটি জনপ্রিয় প্রণয়কাব্য- আলাওলের শ্রেষ্ঠ রচনা ‘পদ্মাবতী’।
🔶 আরাকান রাজসভার কবি আলাওল প্রধানমন্ত্রী মাগন ঠাকুরের অনুরোধে হিন্দি ‘পদুমাবৎ’ কাব্য অবলম্বনে এটি রচনা করেন- ১৬৫২ খ্রিস্টাব্দে।
🔶 হিন্দি কাব্যে সুফিবাদের প্রতিফলন আছে, কিন্তু বাংলায় তা পরিণত হয়েছে- লৌকিক প্রেমকাব্যে।

৩. ‘তত্তববোধিনী পত্রিকা’ প্রথম প্রকাশিত হয়-
[ক] ১৮৪১ সালে
[খ] ১৮৪২ সালে
[গ] ১৮৫০ সালে
✅ ১৮৪৩ সালে

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘তত্তববোধিনী পত্রিকা’ প্রথম প্রকাশিত হয়- ১৮৪৩ সালে।
🔶 ১৮৩৯ সালে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত হয়- তত্তববোধিনী সভা।
🔶 এই সভার মুখপত্র হিসেবে ১৮৪৩ সালে প্রকাশিত হয়- ‘তত্তববোধিনী’ পত্রিকাটি।
🔶 সংবাদ প্রচারের চেয়ে এ পত্রিকার লক্ষ্য ছিল- ব্রাহ্ম সমাজের মাহাত্ম্য প্রচার।
🔶 পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন- অক্ষয় কুমার বড়াল।

৪. উপসর্গের সঙ্গে প্রত্যয়ের পার্থক্য-
[ক] অব্যয় ও শব্দাংশে
[খ] নতুন শব্দ গঠনে
✅ উপসর্গ থাকে সামনে, প্রত্যয় থাকে পেছনে
[ঘ] ভিন্ন অর্থ প্রকাশে

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 কতগুলো বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি ধাতু বা শব্দের পূর্বে বসে নতুন শব্দ গঠন করে ও অর্থের পরিবর্তন সাধন করে, এই রূপ বর্ণ বা বর্ণসমষ্টিকে বলে- উপসর্গ।
🔶 ক্রিয়া ও নাম প্রকৃতির সঙ্গে যে ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি যুক্ত হয় তাকে বলে- প্রত্যয়।
🔶 প্রত্যয় শব্দ বা ধাতুর পরে বসে গঠন করে- নতুন অর্থবোধক শব্দ।

৫. যে ছন্দের মূল পর্বের মাত্রা সংখ্যা চার, তাকে বলা হয়-
✅ স্বরবৃত্ত
[খ] পয়ার
[গ] মাত্রাবৃত্ত
[ঘ] অক্ষরবৃত্ত

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
স্বরবৃত্ত
🔶 স্বরবৃত্ত- মূল পর্বের মাত্রা সংখ্যা ৪।
🔶 বাংলা ছন্দ তিন প্রকার- ক.  অক্ষরবৃত্ত খ.  মাত্রাবৃত্ত বা বর্ণবৃত্ত গ.  স্বরবৃত্ত।
মাত্রাবৃত্ত
🔶 মাত্রাবৃত্ত বা বর্ণবৃত্ত- মূল পর্ব সাধারণত ৬ মাত্রার হয়।
অক্ষরবৃত্ত
🔶 অক্ষরবৃত্ত- মূল পর্ব ৮ বা ১০ মাত্রার হয়।

৬. ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে’ লাইনটি নিম্নোক্ত একজনের কাব্যে পাওয়া যায়-
[ক] মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
✅ ভারতচন্দ্র রায়
[গ] মদনমোহন তর্কালংকার
[ঘ] কামিনী রায়

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ভারতচন্দ্র রায়
🔶 অমর চরিত্র ঈশ্বরী পাটনী এ প্রার্থনাটি করেছেন- অন্নদা দেবীর কাছে।
🔶 ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে’ লাইনটি- ভারতচন্দ্র রায়ের ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যের অমর চরিত্র ঈশ্বরী পাটনীর উক্তি।
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
🔶 ‘কবিকঙ্কণ’ মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর শ্রেষ্ঠ রচনা- ‘চন্ডীমন্ডল’।
মদনমোহন তর্কালংকার
🔶 ‘কাব্যরত্নাকর’ মদনমোহনের মৌলিক কাব্যগ্রন্থ- ‘রসতরঙ্গিনী’ ও ‘বাসবদত্তা’।
কামিনী রায়
🔶 কবির প্রধান কাব্যগ্রন্থ- ‘আলো ও ছায়া’ (১৮৮৯) নির্মাল্য (১৮৯১), গুঞ্জন (১৯০৫), ধর্ম্মপুত্র, পৌরাণিকী (১৮৯৭), বালিকা শিক্ষার আদর্শ ইত্যাদি।

৭. পর্তুগীজ ভাষা থেকে নিম্নোক্ত একটি শব্দ বাংলা ভাষায় আত্তীকরণ করা হয়েছে-
[ক] টেবিল
[খ] চেয়ার
✅ বালতি
[ঘ] শরবত

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
বালতি
🔶 বালতি- পর্তুগিজ শব্দ।
🔶 আরো কিছু পর্তুগিজ শব্দ- আনারস, আলপিন, আলমারি, গুদাম, চাবি, পাউরুটি ইত্যাদি।
টেবিল
🔶 টেবিল- ইংরেজি শব্দ।
চেয়ার
🔶 চেয়ার- ইংরেজি শব্দ।
শরবত
🔶 শরবত- আরবি শব্দ।

৮. ‘লাঠালাঠি’ শব্দটির সমাস-
[ক] দ্বন্দ্ব
✅ বহুব্রীহি
[গ] কর্মধারয়
[ঘ] তৎপুরুষ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 লাঠালাঠি সমস্তপদটি অন্তর্গত- ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাসের।
🔶 ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস হয়- ক্রিয়ার পারসঙরিক অর্থে।
🔶 এ সমাসে যুক্ত হয়- পূর্বপদে ‘আ’ এবং উত্তরপদে ‘ই’। যেমন : হাতে হাতে যে যুদ্ধ- হাতাহাতি।

৯. বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছে নিম্নোক্ত একটি ভাষা থেকে-
[ক] সংস্কৃত
[খ] পালি
✅ প্রাকৃত
[ঘ] অপ্রভ্রংশ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ড.  মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, বাংলা ভাষার উদ্ভব- খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকে গোড়ীয় প্রাকৃত ভাষা থেকে।
🔶 অন্যদিকে ড.  সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, বাংলা ভাষার জন্ম হয়েছে- মাগধী প্রাকৃত থেকে।
🔶 আয়ারল্যান্ডের খ্যাতিমান ভাষাতত্তববিদ জর্জ আব্রাহাম গ্রিয়ারসন মনে করেন, বাংলা ভাষা জন্ম নিয়েছে- মাগধী প্রাকৃতের কোনো পুর্বাঞ্চলীয় রূপ থেকে।
🔶 প্রাকৃত শব্দের শাব্দিক অর্থ- সাধারণ।
🔶 প্রাকৃত বলতে বোঝায়- সাধারণ জনগণের মুখের ভাষা।
🔶 বাংলা ভাষা অন্তর্ভুক্ত- ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর।
🔶 বাংলা ভাষার আগমন শৃংখল- ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠী> শতম > আর্য> ভারতিক> প্রাচীন ভারতীয় আর্য> প্রাচীন ভারতীয় কথ্য আর্য> আদিম প্রাকৃত> প্রাচীন প্রাচ্য> মাগধী প্রাকৃত/গৌড়ী প্রাকৃত/মাগধী অপভ্রংশ/গৌড় অপভ্রংশ> বাংলা।

১০. শব্দার্থ অনুসারে বাংলা ভাষার শব্দ সমষ্টিকে ভাগ করা যায়-
[ক] দুই ভাগে
✅ তিন ভাগে
[গ] চার ভাগে
[ঘ] পাঁচ ভাগে

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 অর্থগতভাবে বাংলা শব্দ ৩ প্রকার- যৌগিক, রূঢ় বা রূঢ়ি, যোগরূঢ়।
🔶 উৎপত্তি অনুসারে শব্দ ৫ প্রকার- তৎসম, অর্ধ-তৎসম, তদ্ভব, দেশি, বিদেশি।
🔶 গঠনগত দিকে শব্দ ২ ভাগে বিভক্ত- মৌলিক ও সাধিত।

১১. ‘মানবজীবন’, ‘মহৎজীবন’, ‘উন্নতজীবন’ প্রভৃতি গ্রন্থের রচয়িতা-
[ক] এস ওয়াজেদ আলী
[খ] এয়াকুব আলী চৌধুরী
✅ মোঃ লুৎফর রহমান
[ঘ] মোঃ ওয়াজেদ আলী

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মোঃ লুৎফর রহমান
🔶 চিন্তাশীল ও যুক্তিবাদী প্রাবন্ধিক ডা.  লুৎফর রহমান রচিত বিখ্যাত প্রবন্ধগ্রন্থ- ‘মানবজীবন’, ‘মহৎজীবন’ ও ‘উন্নতজীবন’।
এস ওয়াজেদ আলী
🔶 এস ওয়াজেদ আলী রচিত গ্রন্থ- ‘মুসলিম সংস্কৃতির আদর্শ’, ‘ভবিষ্যতের বাঙালি’।
এয়াকুব আলী চৌধুরী
🔶 এয়াকুব আলী চৌধুরী রচিত গ্রন্থ- ‘ধর্মের কাহিনী’, ‘শান্তিধারা’, ‘মানব মুকুট’।
মোঃ ওয়াজেদ আলী
🔶 মোঃ ওয়াজেদ আলী রচিত গ্রন্থ- ‘মরুভাস্কর’, ‘মহামানুষ মুহসীন’, ‘মণিচয়নিকা’।

১২. ‘সিরাজাম মুনীরা’ কাব্যের রচয়িতার নাম-
[ক] তালিম হোসেন
✅ ফররুখ আহমদ
[গ] গোলাম মোস্তফা
[ঘ] আবুল হোসেন

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ফররুখ আহমদ
🔶 ‘সিরাজাম মুনীরা’ কাব্যের রচয়িতার নাম- ফররুখ আহমেদ।
তালিম হোসেন
🔶 তালিম হোসেন রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- ‘দিশারী’, ‘শাহীন’।
গোলাম মোস্তফা
🔶 গোলাম মোস্তফা রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- ‘রক্তরাগ’, ‘বুলবুলিস্তান’, ‘হাসনাহেনা’।
আবুল হোসেন
🔶 আবুল হোসেন রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- ‘নববসন্ত’, ‘স্বাগত সংলাপ’।

১৩. ‘ষড়ঋতু’ শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ-
[ক] ষড় + ঋতু
[খ] ষড়ূ + ঋতু
[গ] ষট + ঋতু
✅ ষট্ + ঋতু

১৪. ‘বীরবল’ নিম্নোক্ত একজন লেখকের ছদ্মনাম-
✅ প্রমথ চৌধুরী
[খ] ধূর্জটি প্রসাদ মুখোপাধ্যায়
[গ] সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
[ঘ] নবীনচন্দ্র সেন

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রমথ চৌধুরী
🔶 বাংলা সাহিত্যে চলিত ভাষার প্রবর্তক প্রমথ চৌধুরীর ছদ্মনাম- বীরবল।
🔶 এ ছদ্মনামে তিনি লিখেছেন- ‘বীরবলের হালখাতা’।
ধূর্জটি প্রসাদ মুখোপাধ্যায়
🔶 বাংলা সমালোচনা সাহিত্যে মার্কসীয় নন্দনতত্তব প্রয়োগের পুরোধা- ধূর্জটি প্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
🔶 তিনি ছিলেন- বাংলা উপন্যাসে চেতনা প্রবাহ রীতির অন্যতম প্রবক্তা ও ভারতীয় ক্লাসিক সঙ্গীতের একজন বিশিষ্ট সমালোচক।
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
🔶 সুধীন্দ্রনাথ দত্তের উপাধি- ‘ক্লাসিক কবি’।
🔶 তার প্রধান পরিচয়- বঙ্গদেশে আধুনিক কবিতার প্রধান প্রবক্তা হিসেবে।

১৫. ‘লাপাত্তা’ শব্দের ‘লা’ উপসর্গটি বাংলা ভাষায় এসেছে-
✅ আরবি ভাষা থেকে
[খ] ফরাসি ভাষা থেকে
[গ] হিন্দি ভাষা থেকে
[ঘ] উর্দু ভাষা থেকে

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 আরবি ভাষা থেকে যে উপসর্গগুলো বাংলায় এসেছে- আম, খাস, লা, গর ইত্যাদি।
🔶 ফারসি থেকে আগত উপসর্গ- কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, কম।
🔶 উর্দু ও হিন্দি থেকে আগত উপসর্গ- হর।

১৬. ১৯৯৪ সালে যে প্রবন্ধকার বাংলা একাডেমী পুরস্কার পেয়েছেন-
[ক] হুমায়ুন আজাদ
[খ] আহমদ রফিক
✅ ওয়াকিল আহমদ
[ঘ] আবদুল মতিন খান

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ওয়াকিল আহমদ
🔶 ১৯৯৪ সালে বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড.  ওয়াকিল আহমদ।
হুমায়ুন আজাদ
🔶 নারীবাদী লেখক হুমায়ুন আজাদ বাংলা একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন- ১৯৮৬ সালে।
আহমদ রফিক
🔶 আহমদ রফিক বাংলা একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন- ১৯৭৯ সালে।

১৭. ‘কেউ মালা, কেউ তসবি গলায়, তাইতো জাত ভিন্ন বলায়’ এই পংক্তিটি নিচের একজনের লেখা-
✅ লালন শাহ
[খ] সিরাজ সাঁই
[গ] মদন বাউল
[ঘ] পাগলা কানাই

১৮. ‘অক্ষির সমীপে’র সংক্ষেপ হলো-
✅ সমক্ষ
[খ] পরোক্ষ
[গ] প্রত্যক্ষ
[ঘ] নিরপেক্ষ

১৯. ‘হযরত মুহম্মদ ছিলেন একজন আদর্শ মানব’ বাক্যটি নিম্নোক্ত একটি শ্রেণীর-
[ক] মিশ্র
[খ] জটিল
[গ] যৌগিক
✅ সরল

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 এটি সরলবাক্য কারণ- বাক্যটিতে একটি কর্তা ও একটি সমাপিকা ক্রিয়া রয়েছে।
🔶 জটিল বা মিশ্র বাক্যে থাকে- একটি প্রধান ও এক বা একাধিক অপ্রধান বাক্য।
🔶 যৌগিক বাক্যে সংযুক্ত থাকে- দুটি বাক্য অব্যয় দ্বারা।

২০. ‘মধুর চেয়েও আছে মধুর
সে আমার এই দেশের মাটি
আমার দেশের পথের ধুলা
খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি।’

কবিতার এই অংশ বিশেষের রচয়িতা-
[ক] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
[খ] মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান
✅ সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
[ঘ] নির্মলেন্দু গুণ

 GK - সাধারণ জ্ঞান 
 বাংলা - Bangla Literature 
 ২১তম পর্ব 

১. কোন গ্রন্থটি ঢাকা হতে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল?
[ক] মেঘনাদবধ কাব্য
[খ] দুর্গেশনন্দিনী
✅ নীলদর্পণ
[ঘ] অগ্নিবীণা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থ- ‘নীলদর্পণ’।
🔶 প্রচলিত তথ্য মতে ঢাকায় সর্বপ্রথম ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৮৬০ সালে।
🔶 এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন- সুন্দর মিত্র।
🔶 ছাপাখানার নাম ছিল- ‘বাংলা প্রেস’।
🔶 ১৮৬০ সালে ঐ ছাপাখানা থেকে মুদ্রিত হয়- দীনবন্ধু মিত্রের নাটক ‘নীলদর্পণ’।
🔶 বাংলাদেশে প্রথম ছাপাখানা স্থাপিত হয়- রংপুরে, ১৮৪৭ সালে।
🔶 মুনতাসীর মামুন রচিত ‘ঢাকার প্রথম’ গ্রন্থের তথ্য মতে, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থ- ১৮৪৯ সালে কাটারা প্রেস থেকে ইংরেজি ভাষায় মুদ্রিত ব্যাপ্টিস্ট মিশনারিদের একটি রিপোর্ট। এর নাম 'The First Report of the East Bengal Missionary Society MDCCC XL VIII with an Appendix etc. '
🔶 ১৮৪৯ সালে ঢাকার কাটারা প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়েছিল একটি ইংরেজি-বাংলা পুস্তিকা- 'Scriptural Reddles in Bengali Rendered into English Verse, with English Notes & c' যার অর্থ ধর্ম পুস্তক সম্বন্ধীয় প্রহেলিকা ও ইংরেজি কবিতা ছন্দে অর্থযুক্ত তর্জমা। পূর্ব বাংলায় এর আগে কোনো মুদ্রিত বইয়ে বাংলা অক্ষর ব্যবহৃত হয়নি। সে হিসেবে বইটিকে ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম বাংলা বই হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি শুধু ঢাকার নয়, পূর্ববঙ্গে বা বাংলাদেশে মুদ্রিত প্রথম বাংলা বই।

২. ‘পথিক তুমি কি পথ হারাইয়াছ?’ কথাটি কার?
[ক] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
✅ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
[গ] মীর মশাররফ হোসেন
[ঘ] শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 চরণটি সংগৃহীত- বঙ্কিমচন্দ্রের দ্বিতীয় উপন্যাস ‘কপালকুন্ডলা’ থেকে।
🔶 উপন্যাসের নায়িকা কপালকুন্ডলা কথাটি বলেছিল- নায়ক নবকুমারকে উদ্দেশ্য করে।
🔶 বাংলা সাহিত্যের রোমান্টিক উপন্যাস হিসেবে- ‘কপালকুন্ডলা’র স্থান অতি উচ্চে।

৩. প্রত্যয়গতভাবে শুদ্ধ কোনটি?
[ক] উৎকর্ষতা
[খ] উৎকর্ষ
✅ উৎকৃষ্ট
[ঘ] উৎকৃষ্টতা

৪. ‘অচিন’ শব্দের ‘অ’ উপসর্গটি কোন অর্থে ব্যবহৃত?
[ক] নেতিবাচক
[খ] বিয়োগান্ত
✅ নঞর্থক
[ঘ] অজানা

৫. Intellectual শব্দের বাংলা অর্থ-
[ক] বুদ্ধিমান
[খ] মননশীল
✅ বুদ্ধিজীবী
[ঘ] মেধাবী

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
বুদ্ধিজীবী
🔶 Intellectual শব্দের অর্থ- বুদ্ধিজীবী, মনীষী।
বুদ্ধিমান, মেধাবী
🔶 ‘বুদ্ধিমান’ ও ‘মেধাবী’-এর ইংরেজি- Intelligent, learned, wise।
মননশীল
🔶 ‘মননশীল’-এর ইংরেজি- Thoughtful, reflective।

৬. কবি কাজী নজরুল ইসলাম ‘সঞ্চিতা’ কাব্যটি কাকে উৎসর্গ করেছিলেন?
[ক] বারীন্দ্রকুমার ঘোষ
✅ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
[গ] বীরজাসুন্দরী দেবী
[ঘ] মুজাফফর আহমদ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 কাজী নজরুল ইসলাম তার ‘সঞ্চিতা’ কাব্যগ্রন্থটি উৎসর্গ করেন- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে।
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নজরুলকে উৎসর্গ করেন- তার ‘বসন্ত’ নাটকটি।
🔶 কাজী নজরুল তার ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যটি উৎসর্গ করেন- বারীন্দ্রকুমার ঘোষকে।

৭. কোন উপন্যাসটির রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ?
[ক] বিষবৃক্ষ
[খ] গণদেবতা
[গ] আরণ্যক
✅ ঘরে-বাইরে

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ঘরে-বাইরে
🔶 ঘরে-বাইরে উপন্যাসটির রচয়িতা- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
বিষবৃক্ষ
🔶 বিষবৃক্ষ উপন্যাসটির রচয়িতা- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
গণদেবতা
🔶 গণদেবতা উপন্যাসটির রচয়িতা- তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
আরণ্যক
🔶 আরণ্যক উপন্যাসটির রচয়িতা- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

৮. ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ গ্রন্থের সম্পাদক কে ছিলেন?
✅ হাসান হাফিজুর রহমান
[খ] বেগম সুফিয়া কামাল
[গ] মুনীর চৌধুরী
[ঘ] আবুল বরকত

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ গ্রন্থের সম্পাদক ছিলেন- হাসান হাফিজুর রহমান।
🔶 ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ সাহিত্য সংকলনটি প্রকাশিত হয়- ’৫২ ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ১৯৫৩ সালে।
🔶 এছাড়াও লেখকের সম্পাদনায় ১৬ খন্ডে প্রকাশিত হয়- ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ : দলিলপত্র’ ১৯৮২-৮৩)।

৯. ‘রোহিণী’ চরিত্রটি কোন উপন্যাসে পাওয়া যায়?
[ক] চরিত্রহীন
[খ] গৃহদাহ
✅ কৃষ্ণকান্তের উইল
[ঘ] সংশপ্তক

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
কৃষ্ণকান্তের উইল
🔶 বঙ্কিমচন্দ্রের ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ উপন্যাসের চরিত্র- রোহিনী, গোবিন্দলাল, ভ্রমর।
চরিত্রহীন
🔶 শরৎচন্দ্রের ‘চরিত্রহীন’ উপন্যাসের চরিত্র- সতীশ, কিরণময়ী।
গৃহদাহ
🔶 ‘গৃহদাহ’ উপন্যাসের চরিত্র- সুরেশ, অচলা।
সংশপ্তক
🔶 শহীদুল্লাহ কায়সারের ‘সংশপ্তক’ উপন্যাসের চরিত্র- রমজান, হুরমতি, লেকু।

১০. জীবনানন্দ দাশের জন্মস্থান কোন জেলায়?
✅ বরিশাল জেলা
[খ] ফরিদপুর জেলা
[গ] ঢাকা জেলা
[ঘ] রাজশাহী জেলা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 জীবনানন্দ দাশের জন্মস্থান- বরিশাল জেলায়।
🔶 রবীন্দ্র-উত্তর আধুনিক বাংলা কবিতায় পঞ্চপান্ডবের একজন ছিলেন- জীবনানন্দ দাশ।
🔶 তার জন্ম- ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশাল জেলার ধানসিঁড়ি নদীর তীরে এক ব্রাহ্ম পরিবারে।
🔶 প্রতিভাবান এই কবি কলকাতায় ট্রামের নিচে পড়ে আহত হন এবং মারা যান- ২২ অক্টোবর ১৯৫৪ সালে।

১১. ‘মানুষেরই মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতে সুরাসুর’-এই পংক্তিটি কার রচনা?
[ক] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
[খ] কাজী নজরুল ইসলাম
✅ শেখ ফজলল করিম
[ঘ] শামসুর রাহমান

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘মানুষেরই মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতে সুরাসুর’-এই পংক্তিটির রচয়িতা- শেখ ফজলল করিম (১৮৮২- ১৯৩৬)।
🔶 চরণটি- হিন্দু-মুসলমানের সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী লেখক হিসেবে পরিচিত শেখ ফজলল করিমের ‘স্বর্গ-নরক’ কবিতার।
🔶 কবির সাহিত্যিক উপাধি- ‘সাহিত্যবিশারদ’, ‘নীতিভূষণ’ ‘কাব্যরত্নাকর’ প্রভৃতি।

১২. বাংলা একাডেমী কোন বছর প্রতিষ্ঠিত হয়?
✅ ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে
[খ] ১৩৫৫ বঙ্গাব্দে
[গ] ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে
[ঘ] ১৩৫২ বঙ্গাব্দে

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা ভাষা সংক্রান্ত সর্ববৃহৎ গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর (১৩৬২ বঙ্গাব্দের ১৭ অগ্রহায়ণ) ঢাকার বর্ধমান হাউসে।

১৩. সাধু ভাষা ও চলিত ভাষার পার্থক্য-
[ক] বাক্যের সরল ও জটিল রূপে
[খ] শব্দের রূপগত ভিন্নতায়
[গ] তৎসম ও অতৎসম শব্দের ব্যবহারে
✅ ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদের রূপগত ভিন্নতায়

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 সাধুরীতিতে ব্যবহৃত সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ চলিত রীতিতে পরিবর্তিত ও সহজতর রূপ লাভ করে। যেমন-
সর্বনামবিশেষ্যক্রিয়া

সাধু:তাহারাভাতখাইতেছিল
চলিত: তারাভাত খাচ্ছিল
🔶 সাধুরীতি- তৎসম শব্দবহুল এবং চলিতরীতি- তদ্ভব শব্দবহুল।

১৪. সমগ্র পবিত্র কুরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদ কে করেন?
[ক] গোলাম মোস্তফা
[খ] ফররুখ আহমদ
✅ ভাই গিরিশচন্দ্র সেন
[ঘ] সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ভাই গিরিশচন্দ্র সেন ১৮৮১-৮৬ পর্যন্ত ছয় বছরের সাধনা ও পরিশ্রমে করেন- টীকাসহ সমগ্র কুরআন শরীফের প্রথম বঙ্গানুবাদ।
🔶 ১৯৩৫ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলার পাঁচদোনা গ্রামে জন্মগ্রহণকারী গিরিশচন্দ্র সেন ব্রাহ্ম ধর্মে দীক্ষা লাভ করেন- ১৮৭১ সালে।

১৫. ‘সমকাল’ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
[ক] মোহাম্মদ আকরাম খাঁ
[খ] তফাজ্জল হোসেন
[গ] মোহাম্মদ নাসিরুদ্দীন
✅ সিকান্দার আবু জাফর

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
সিকান্দার আবু জাফর
🔶 সিকান্দার আবু জাফর সম্পাদিত পত্রিকা- সমকাল।
মোহাম্মদ আকরাম খাঁ
🔶 মোহাম্মদ আকরাম খাঁ সম্পাদিত পত্রিকা- দৈনিক খাদেম, দৈনিক/সাপ্তাহিক/মাসিক মোহাম্মদী।
তফাজ্জল হোসেন
🔶 তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া সম্পাদিত পত্রিকা- দৈনিক ইত্তেফাক।
মোহাম্মদ নাসিরুদ্দীন
🔶 মোহাম্মদ নাসিরুদ্দীন সম্পাদিত পত্রিকা- সওগাত।

১৬. ‘সওগাত’ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
[ক] কাজী নজরুল ইসলাম
[খ] আবুল কালাম শামসুদ্দীন
[খ] খান মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন
✅ মোহাম্মদ নাসিরুদ্দীন

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মোহাম্মদ নাসিরুদ্দীন
🔶 মোহাম্মদ নাসিরুদ্দীন সম্পাদিত পত্রিকা- সওগাত।
কাজী নজরুল ইসলাম
🔶 কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত পত্রিকা- নবযুগ, ধূমকেতু, লাঙ্গল।
আবুল কালাম শামসুদ্দীন
🔶 আবুল কালাম শামসুদ্দীন সম্পাদিত পত্রিকা- সাপ্তাহিক খাদেম, মুসলিম জগৎ।
খান মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন
🔶 খান মোহাম্মদ মইনুদ্দিন সম্পাদিত পত্রিকা- সাম্যবাদী।

 GK - সাধারণ জ্ঞান 
 বাংলা - Bangla Literature 
 ২০তম পর্ব 

১. ‘সুন্দর হে, দাও দাও সুন্দর জীবন।
হউক দূর অকল্যাণ সকল অশোভন।।’
-চরণ দুটি কার লেখা?
[ক] কাজী নজরুল ইসলাম
[খ] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
[গ] গোলাম মোস্তফা
✅ শেখ ফজলল করিম

২. Wisdom শব্দের বাংলা অর্থ-
[ক] জ্ঞান
[খ] বুদ্ধি
[গ] মেধা
✅ প্রজ্ঞা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রজ্ঞা
🔶 ‘প্রজ্ঞা’-এর ইংরেজি- wisdom।
জ্ঞান
🔶 ‘জ্ঞান’-এর ইংরেজি- knowledge।
বুদ্ধি
🔶 ‘বুদ্ধি’ শব্দের ইংরেজি- intellegence, intellect, reason।
মেধা
🔶 ‘মেধা’-এর ইংরেজি- vigour, mental power।

৩. যে ভূমিতে ফসল জন্মায় না-
[ক] পতিত
[খ] অনুর্বর
✅ উষর
[ঘ] বন্ধ্যা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
উষর
🔶 ঊষর- যে জমিতে ফসল হয় না।
পতিত
🔶 পতিত- যা ফেলে রাখা হয়েছে।
অনুর্বর
🔶 অনুর্বর- যে জমির উর্বরতা শক্তি নেই।
বন্ধ্যা
🔶 বন্ধ্যা- যে নারীর সন্তান হয় না।

৪. ‘অপমান’ শব্দের ‘অপ’ উপসর্গটি কোন অর্থে ব্যবহৃত?
✅ বিপরীত
[খ] নিকৃষ্ট
[গ] বিকৃত
[ঘ] অভাব

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
বিপরীত
🔶 বিপরীত অর্থে- অপমান, অপচয়, অপকার।
🔶 একটি উপসর্গ ব্যবহৃত হতে পারে- বিভিন্ন অর্থে। যেমন : অপ উপসর্গ।
🔶 স্থানান্তর অর্থে- অপহরণ, অপসারণ।
নিকৃষ্ট
🔶 নিকৃষ্ট অর্থে- অপসংস্কৃতি, অপকর্ম।
বিকৃত
🔶 বিকৃত অর্থে- অপমৃত্যু।

৫. ‘সোনালী কাবিন’ এর রচয়িতা কে?
[ক] হাসান হাফিজুর রহমান
✅ আল-মাহমুদ
[গ] হুমায়ুন আজাদ
[ঘ] শক্তি চট্টোপাধ্যায়

৬. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার রচিত কোন নাটকটি কাজী নজরুল ইসলামকে উৎসর্গ করেছিলেন?
[ক] বিসর্জন
[খ] ডাকঘর
✅ বসন্ত
[ঘ] অচলায়তন

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাজী নজরল ইসলামকে উৎসর্গ করেন- তার ‘বসন্ত’ নাটকটি।
🔶 কাজী নজরুল ইসলামও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উৎসর্গ করেন- তার ‘সঞ্চিতা’ কাব্যগ্রন্থটি।

৭. বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত ত্রৈমাসিক সাহিত্যপত্রিকার নাম-
[ক] সুন্দরম
[খ] লোকায়ত
✅ উত্তরাধিকার
[ঘ] কিছুধ্বনি

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা- ‘উত্তরাধিকার’।

৮. ‘ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ’ এর প্রধান লেখক ছিলেন-
✅ কাজী আবদুল ওদুদ, আবুল হুসেন প্রমুখ
[খ] মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ, আবুল কালাম শামসুদ্দীন প্রমুখ
[গ] মোহাম্মদ আকরাম খাঁ, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্রমুখ
[ঘ] কাজী ইমদাদুল হক, মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী প্রমুখ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 মুসলিম সাহিত্য সাহিত্য সমাজের প্রধান লেখক ছিলেন- ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজের শিক্ষক কাজী আবদুল ওদুদ ও কর্মযোগী আবুল হুসেন।
🔶 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক একটি সাহিত্য-সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান- ‘মুসলিম সাহিত্য সমাজ’।
🔶 বাঙালি মুসলমান সমাজের আড়ষ্ট বুদ্ধিকে মুক্ত করে জ্ঞানপিপাসা জাগিয়ে তোলার অভিপ্রায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও প্রবীণ ছাত্র এটি প্রতিষ্ঠা করেন- ১৯২৬ সালের ১৭ জানুয়ারি।
🔶 এর ছত্রছায়ায় সংগঠিত হয়- বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন।
🔶 ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজের বার্ষিক মুখপত্র ‘শিখা’র আপ্তবাক্য ছিল- ‘জ্ঞান যখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

৯. ‘ঠক চাচা’ চরিত্রটি কোন উপন্যাসে পাওয়া যায়?
✅ আলালের ঘরের দুলাল
[খ] জোহরা
[গ] মৃত্যুক্ষুধা
[ঘ] হাজার বছর ধরে

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
আলালের ঘরের দুলাল
🔶 প্যারীচাঁদ মিত্রের উপন্যাস ‘আলালের ঘরের দুলাল’-এর উল্লেখযোগ্য চরিত্র- ঠকচাচা, মতিলাল।
জোহরা
🔶 মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক রচিত ‘জোহরা’ উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র- জোহরা, কাশেম।
মৃত্যুক্ষুধা
🔶 কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাস ‘মৃত্যুক্ষুধা’ উপন্যাসের চরিত্র- রুবি, আনসার, মোয়াজ্জেম।
হাজার বছর ধরে
🔶 জহির রায়হান রচিত ‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসের চরিত্র- টুনি, মন্তু।

১০. ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকা কোন সালে প্রথম প্রকাশিত হয়?
[ক] ১৮৬৫
✅ ১৮৭২
[গ] ১৮৭৫
[ঘ] ১৮৮১

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বিখ্যাত সাহিত্য পত্রিকা- ‘বঙ্গদর্শন’ প্রকাশিত হয়- ১৮৭২ সালে।

১১. ট্রাজেডি, কমেডি ও ফার্সের মূল পার্থক্য-
✅ জীবনানুভূতির গভীরতায়
[খ] দৃষ্টিভঙ্গির সূক্ষমতায়
[গ] কাহিনীর সরলতা ও জটিলতায়
[ঘ] ভাষার প্রকারভেদে

১২. সাধু ভাষা ও চলিত ভাষার পার্থক্য-
[ক] তৎসম ও অতৎসম শব্দের ব্যবহারে
✅ ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদের রূপে
[গ] শব্দের কথ্য ও লেখ্য রূপে
[ঘ] বাক্যের সরলতা ও জটিলতায়

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 সাধুরীতিতে ব্যবহৃত সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ চলিত রীতিতে পরিবর্তিত ও সহজতর রূপ লাভ করে। যেমন-
সর্বনাম বিশেষ্য ক্রিয়া
সাধু : তাহারা ভাত খাইতেছিল
চলিত : তারা ভাত খাচ্ছিল

১৩. ‘সমকাল’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন-
[ক] বিনয় ঘোষ
✅ সিকান্দার আবু জাফর
[গ] মোহাম্মদ আকরাম খাঁ
[ঘ] তফাজ্জল হোসেন

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
সিকান্দার আবু জাফর
🔶 সিকান্দার আবু জাফর সম্পাদিত পত্রিকা- সমকাল।
মোহাম্মদ আকরাম খাঁ
🔶 মোহাম্মদ আকরাম খাঁ সম্পাদিত পত্রিকা- দৈনিক খাদেম, দৈনিক/সাপ্তাহিক/মাসিক মোহাম্মদী।
তফাজ্জল হোসেন
🔶 তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া সম্পাদিত পত্রিকা- দৈনিক ইত্তেফাক।

১৪. ‘প্রভাত চিন্তা’, ‘নিভৃত চিন্তা’, ‘নিশীথ চিন্তা’ প্রভৃতি গ্রন্থের রচয়িতা-
[ক] কালীপ্রসন্ন সিংহ
✅ কালীপ্রসন্ন ঘোষ
[গ] কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
[ঘ] এস ওয়াজেদ আলী

১৫. ‘সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত’ এই উক্তিটি কার?
[ক] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
[খ] কাজী আবদুল ওদুদ
[গ] মোহাম্মদ লুৎফর রহমান
✅ প্রমথ চৌধুরী

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত’ এই উক্তিটি- বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও বাংলা সাহিত্যে চলিত রীতির প্রবর্তক প্রমথ চৌধুরীর (১৮৬৮-১৯৪৬)।
🔶 তার আরেকটি গুরুতবপূর্ণ পঙ্ক্তি- ‘ভাষা মানুষের মুখ থেকে কলমের মুখে আসে, উল্টোটা করতে গেলে মুখে শুধু কালি পড়ে’।

১৬. ‘ইচ্ছা’ বিশেষ্যের বিশেষণ নির্দেশ করুন।
[ক] ইচ্ছাময়
✅ ঐচ্ছিক
[গ] ইচ্ছুক
[ঘ] অনিচ্ছা

১৭. কোন বাক্যটিতে সমধাতুজ কর্ম আছে?
[ক] সে বই পড়ছে
[খ] সে গভীর চিন্তায় মগ্ন
[গ] সে ঘুমিয়ে আছে
✅ সে যে চাল চেলেছে তাতে তাকে ষড়যন্ত্রকারী ছাড়া আর কিছু বলা যায় না

 GK - সাধারণ জ্ঞান 
 বাংলা - Bangla Literature 
 ২৬তম পর্ব 

১. ‘বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত’ কার রচনা?
✅ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
[খ] মুহম্মদ আবদুল হাই
[গ] মুনীর চৌধুরী
[ঘ] মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১৮৮৫-১৯৬৯ খ্রি)
🔶 বিশিষ্ট ভাষাবিদ, গবেষক ও শিক্ষাবিদ ড.  মুহম্মদ শহীদুল্লাহ রচনা করেন- ভাষাতত্তব বিষয়ক গ্রন্থ ‘বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত’ (১৯৬৫), ‘ভাষা ও সাহিত্য’ (১৯৩১) এবং ‘বাংলা ব্যাকরণ’ (১৯৬৫)।
মুহম্মদ আবদুল হাই (১৯১৯-১৯৬৯ খ্রি)
🔶 শিক্ষাবিদ, ধ্বনিতাত্তিবক ও সাহিত্যিক মুহম্মদ আবদুল হাই রচনা করেন- 'A Phonetic and Phonological Study of Nasals and Nasalization in Bengali' (১৯৬০), ‘ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্তব’ (১৯৬৪) ইত্যাদি।
মুনীর চৌধুরী (১৯২৫-১৯৭১ খ্রি)
🔶 শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সমালোচক ও বাগ্মী মুনীর চৌধুরী রচনা করেন- ‘বাংলা গদ্যরীতি’ (১৯৭০) নামক বাংলা সাহিত্য বিষয়ক গ্রন্থ।
মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী (১৯২৬-১৯৭১ খ্রি)
🔶 বিশিষ্ট লেখক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী রচনা করেন- বাংলা সাহিত্য বিষয়ক গ্রন্থ ‘সাহিত্যের নবরূপায়ন’ (১৯৭৬), ‘বাঙলা বানান ও লিপি সংস্কার’ (১৯৬২) ইত্যাদি।

২. ‘প্রভাবতী সম্ভাষণ’ কার রচনা?
[ক] দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
✅ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
[গ] রামমোহন রায়
[ঘ] কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 লেখক, সমাজ সংস্কারক ও শিক্ষাবিদ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের (১৮২০-১৮৯১ খ্রি) একটি মৌলিক গ্রন্থ- ‘প্রভাবতী সম্ভাষণ’।

৩. ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’ কার রচনা?
[ক] হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
[খ] নবীনচন্দ্র সেন
✅ মাইকেল মধুসূদন দত্ত
[ঘ] রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৮২৪-১৮৭৩ খ্রি)
🔶 বাংলা সাহিত্যে প্রথম সনেট বা চতুর্দশপদী কবিতা লেখেন- কবি ও নাট্যকার মধুসূদন দত্ত।
🔶 তার রচিত সনেটসমূহ সংকলিত- ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’ (১৯৬৬) তে।
🔶 তিনি এগুলো রচনা করেন- ফ্রান্সের ভার্সাই নগরে বসে।
🔶 ‘কালিদাস’, ‘মেঘদূত’, ‘বিজয়া দশমী’, ‘স্বরস্বতী’, ‘মহাভারত’, ‘কপোতাক্ষ নদ’, ‘বঙ্গভাষা’, ‘শ্মশান’, ‘তাঁরা’, ‘সাগরে তরি’, ‘কবিগুরু দান্তে’, ‘টেনিসন’ ইত্যাদি- তার সনেটের বিষয়বস্তু।
🔶 সনেটের প্রথম কবিতা ‘উপক্রম’ এবং শেষ কবিতা ‘সমাপ্ত’ থেকে বোঝা যায় যে- মাইকেল পরিকল্পনা অনুযায়ী সচেতনভাবে এই গ্রন্থ রচনা করেছেন।
🔶 প্রশ্নে উল্লেখিত অন্য কবি-সাহিত্যিকগণ সনেট রচনা করেননি।

৪. কোনটি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত গ্রন্থ?
✅ বিষের বাঁশী
[খ] বন্দীর বন্দনা
[গ] সন্দীপের চর
[ঘ] রূপসী বাংলা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
বিষের বাঁশী
🔶 বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের (১৮৯৯-১৯৭৬ খ্রি) একটি বিদ্রোহাত্মক কাব্যগ্রন্থ- ‘বিষের বাঁশী’ (১৯২৪)।

বন্দীর বন্দনা
🔶 ‘বন্দীর বন্দনা’ (১৯৩০) কাব্যগ্রন্থটি রচনা করেন- কবি, কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, অনুবাদক ও সম্পাদক বুদ্ধদেব বসু (১৯০৮-১৯৭৪ খ্রি)।
রূপসী বাংলা
🔶 ‘রূপসী বাংলা’ (১৯৫৭) কাব্যগ্রন্থটি রচনা করেন- কবি জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪ খ্রি)।

৫. ‘কবর’ নাটক কার রচনা?
[ক] শহীদুল্লাহ কায়সার
[খ] জহির রায়হান
✅ মুনীর চৌধুরী
[ঘ] সত্যেন সেন

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মুনীর চৌধুরী (১৯২৫-১৯৭১ খ্রি)
🔶 শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সমালোচক ও বাগ্মী মুনীর চৌধুরী ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে রচনা করেন- ‘কবর’ (১৯৬৬) নাটকটি।
🔶 তার অন্যান্য উলে­খযোগ্য নাটক- ‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ (১৯৬২), ‘চিঠি’ (১৯৬৬), ‘দন্ডকারণ্য’ (১৯৬৬) ইত্যাদি।
শহীদুল্লাহ কায়সার (১৯২৭-১৯৭১ খ্রি)
🔶 সাহিত্যিক ও সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সারের উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম- ‘সারেং বউ’ (উপন্যাস ১৯৬২), ‘সংশপ্তক’ (উপন্যাস ১৯৬৫), ‘রাজবন্দীর রোজনামচা’ (স্মৃতিকথা, ১৯৬২) ইত্যাদি।
জহির রায়হান (১৯৩৫-১৯৭১ খ্রি)
🔶 কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্র পরিচালক জহির রায়হানের উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম- ‘হাজার বছর ধরে’ (১৯৬৪), ‘আরেক ফাল্গুন’ (১৯৬৮), ‘শেষ বিকেলের মেয়ে’ (১৯৬০), ‘বরফ গলা নদী’ (১৯৬৯) ইত্যাদি।
সত্যেন সেন (১৯০৭-১৯৮১ খ্রি)
🔶 সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদ সত্যেন সেনের উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম- ‘ভোরের বিহঙ্গী’ (১৯৫৯), ‘অভিশপ্ত নগরী’ (১৯৬৭) ইত্যাদি।

৬. ‘চাঁদের হাট’-অর্থ কি?
[ক] বন্ধুদের সমাগম
✅ আত্মীয় সমাগম
[গ] প্রিয়জন সমাগম
[ঘ] গণ্যমান্যদের সমাগম

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘চাঁদের হাট’ একটি বাগধারা, যার অর্থ- ‘ধনে জনে পরিপূর্ণ সুখের সংসার’ বা ‘সুন্দর ও সুরেশ মানুষজনের সমাবেশ’।

৭. কোন বানানটি শুদ্ধ?
[ক] সূচিষ্মিতা
[খ] সূচিস্মিতা
[গ] সুচীস্মিতা
✅ সুচিস্মিতা

৮. ‘কর্মে যাহার ক্লান্তি নাই’ এই বাক্যাংশের সংক্ষিপ্ত রূপ কি?
[ক] ক্লান্তিহীন
[খ] অক্লান্ত
✅ অক্লান্ত কর্মী
[ঘ] অবিশ্রাম

৯. ণতব বিধি সাধারণত কোন শব্দে প্রযোজ্য?
[ক] দেশী
[খ] বিদেশী
✅ তৎসম
[ঘ] তদ্ভব

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 যে বিধান বা নিয়ম অনুসরণে তৎসম বা সংস্কৃত শব্দে ‘ণ’ (মূর্ধন্য-ণ) ও ‘ন’ (দন্ত্য-ন) -এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা যায় তাকে বলে- ণতব বিধান।
🔶 তৎসম বা সংস্কৃতে ‘ণ’ এর উচ্চারণ- অনেকটা ‘ড়’-এর মতো। তাই এখানে ‘ণ’ ও ‘ন’ এর উচ্চারণ এক নয়।
🔶 বাংলাভাষার অন্য শব্দ, যেমন- তদ্ভব, অর্ধতৎসম, দেশী, বিদেশী শব্দের বানানে- দন্ত্য-ন ব্যবহার করাই রীতি।
🔶 উল্লেখ্য, খাঁটি বাংলা ও বিদেশী শব্দে মূর্ধণ্য-ণ হয় না- যেমন- কান, সোনা, কুরআন, গভর্নর, ইরান ইত্যাদি।

১০. ক্রিয়াপদ-
[ক] সবসময়ে বাক্যে থাকবে
✅ কখনো কখনো বাক্যে উহ্য থাকতে পারে
[গ] শুধু অতীতকাল বোঝাতে বাক্যে ব্যবহৃত হয়
[ঘ] আসলে বিশেষণ থেকে অভিন্ন

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 যে পদ দ্বারা কোনো কার্য সম্পাদন বোঝায় তাকে বলে- ক্রিয়াপদ।
🔶 বাক্যের দুটি অংশের (উদ্দেশ্য ও বিধেয়) উদ্দেশ্য অংশে থাকে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের প্রাধান্য এবং বিধেয় অংশে থাকে- ক্রিয়াপদের প্রাধান্য।
🔶 প্রকৃতপক্ষে, বিধেয় ছাড়া যথার্থ বাক্য হয় না এবং সেই সূত্রে ক্রিয়াপদ ছাড়া- বাক্য হয় না।
🔶 অনেক সময় অন্যান্য পদ উহ্য রেখে শুধু ক্রিয়াপদ দিয়েই- মনের ভাব প্রকাশ করা যায়।

১১. কোনটি অনুজ্ঞা?
[ক] তুমি গিয়েছিলে
✅ তুমি যাও
[গ] তুমি যাচ্ছিলে
[ঘ] তুমি যাচ্ছ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 কিছু করার আদেশ, উপদেশ, নিষেধ, অনুরোধ, আশীর্বাদ, প্রার্থনা-কামনা, অনুমতি ইত্যাদি বোঝাতে ক্রিয়ার যে বিশেষ রীতি ব্যবহৃত হয় তাকে বলা হয়- অনুজ্ঞা (ভাব)। যেমন- বর্তমান কালে : কলমটি দাও। ভবিষ্যৎ কালে : কাল দেখা হবে ইত্যাদি।
সুতরাং ‘তুমি যাও’ একটি অনুজ্ঞা।
🔶 উল্লেখ্য, ‘তুমি গিয়েছিলে’-এটি অতীত; ‘তুমি যাচ্ছিলে’ -এটি ঘটমান অতীত এবং ‘তুমি যাচ্ছ’- এটি ঘটমান বর্তমান।

১২. ‘যত বড় মুখ নয় তত বড় কথা’-এখানে ‘মুখ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
[ক] অনুভূতি
[খ] গালি
[গ] প্রত্যঙ্গ
✅ শক্তি

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 যে ভাষার শব্দভান্ডার যত সমৃদ্ধ এবং যত বেশি অর্থবৈচিত্র্যে ঋদ্ধ সেই ভাষা-তত উন্নত বলে স্বীকৃত।
🔶 বাংলা একটি সমৃদ্ধ ভাষা হওয়ায় এ ভাষায় বানান ও উচ্চারণগত অভিন্নতা সত্তেবও একই শব্দ বাক্যের মধ্যে- বিভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে থাকে।
🔶 উপরিউক্ত প্রশ্নে ‘মুখ’ দ্বারা স্পষ্টতই বুঝানো হয়েছে- শক্তি।

১৩. কোন বানানটি শুদ্ধ?
[ক] মুমুর্ষু
✅ মুমূর্ষু
[গ] মূমুর্ষু
[ঘ] মূমূষূর্

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 শুদ্ধ বানান ‘মুমূর্ষু’ শব্দটির অর্থ- মরণাপন্ন বা মরণোম্মুখ (মুমূর্ষু অবস্থা)।
১৪. ‘বিরাগী’ শব্দের অর্থ কী?
✅ উদাসীন
[খ] প্রতিকূল
[গ] রাগহীন
[ঘ] বিশেষভাবে রুষ্ট

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘বিরাগী’ একটি পুরুষবাচক শব্দ, যার অর্থ- বিরাগযুক্ত, উদাসীন, নিসঙৃহ বা বিরক্ত।
🔶 ‘বিরাগী’ শব্দটির স্ত্রীবাচক রূপ- ‘বিরাগিনী’।

১৫. ‘ব্রজবুলি’ বলতে কী বোঝায়?
[ক] ব্রজধামে কথিত ভাষা
✅ একরকম কৃত্রিম কবিভাষা
[গ] বাংলা ও হিন্দির যোগফল
[ঘ] মৈথিলি ভাষার একটি উপভাষা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ব্রজবুলি হলো- মিথিলার কবি বিদ্যাপতি উদ্ভাবিত মৈথিলি ও বাংলা ভাষার সংমিশ্রণে তৈরি এক কৃত্রিম কবিভাষা।
🔶 রাধাকৃষ্ণের লীলাবিষয়ক তাঁর রচিত পদগুলিতে রাধাকৃষ্ণের ব্রজলীলা বর্ণিত হওয়ায় এর নাম হয়েছে- ব্রজবুলি।
🔶 এই পদগুলি ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল- ব্রজধামে কিন্তু কখনও মুখের ভাষা ছিল না, সাহিত্যকর্ম ব্যতীত এর অন্যত্র ব্যবহার নেই।
🔶 ব্রজবুলি ভাষাতেই রচিত হয়েছে- ‘বৈষ্ণব পদাবলী’ ও ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’।
🔶 বাংলাদেশে প্রথম ব্রজবুলি পদ রচনা করেন- যশোরাজ খান।
🔶 ব্রজবুলির শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি ছিলেন- গোবিন্দদাস কবিরাজ।

১৬. ‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই’- কে বলেছেন?
✅ চন্ডীদাস
[খ] বিদ্যাপতি
[গ] রামকৃষ্ণ পরমহংস
[ঘ] বিবেকানন্দ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই’- উক্তিটি চন্ডীদাসের।

১৭. কোনটি রবীন্দ্রনাথের রচনা?
✅ চতুরঙ্গ
[খ] চতুষ্কোণ
[গ] চতুর্দশী
[ঘ] চতুষঙাঠী

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি উপন্যাস- ‘চতুরঙ্গ’ (১৯১৬)।
🔶 তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- ‘গোরা’ (১৯১০), ‘ঘরে-বাইরে’ (১৯১৬), ‘শেষের কবিতা’ (১৯২৯) ইত্যাদি।

১৮. কোনটি কাব্যগ্রন্থ?
[ক] কবিতা
[খ] কাব্য পরিক্রমা
✅ কয়েকটি কবিতা
[ঘ] বাঙলার কাব্য

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
কয়েকটি কবিতা
🔶 নাগরিক কবি সমর সেন (১৯১৬-১৯৮৭ খ্রি) রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ- ‘কয়েকটি কবিতা’ (১৯৩৭)।
কবিতা
🔶 কবি, কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, অনুবাদক ও সম্পাদক বুদ্ধদেব বসু (১৯০৮-১৯৭৪ খ্রি) কর্তৃক (প্রেমেন্দ্র মিত্রের সাথে যৌথভাবে) সম্পাদিত ত্রৈমাসিক পত্রিকা- ‘কবিতা’।
🔶 তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’ (১৯৫৩)।
কাব্য পরিক্রমা
🔶 একটি সমালোচনামূলক প্রবন্ধ গ্রন্থ- ‘কাব্য পরিক্রমা’।
বাঙলার কাব্য
🔶 একটি প্রবন্ধ গ্রন্থ- ‘বাঙলার কাব্য’।

১৯. কোনটি নাটক?
[ক] কর্তার ইচ্ছায় কর্ম
[খ] গড্ডলিকা
[গ] পল্লীসমাজ
✅ সাজাহান

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
সাজাহান
🔶 কবি ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায় (১৯৬০-১৯১৩ খ্রি) রচিত একটি ঐতিহাসিক নাটক- ‘সাজাহান’ (১৯০৯)।
গড্ডলিকা
🔶 বিশিষ্ট লেখক রাজশেখর বসু (১৮৮০-১৯৬০ খ্রি) রচিত একটি ছোটগল্প- ‘গড্ডলিকা’ (১৯২৪)।
পল্লীসমাজ
🔶 খ্যাতনামা কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৬-১৯৩৮ খ্রি) রচিত একটি উপন্যাস- ‘পল্লী সমাজ’ (১৯১৬)।

২০. ‘আবোল-তাবোল’ কার লেখা?
[ক] উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী
[খ] দক্ষিণারঞ্জম মিত্র মজুমদার
✅ সুকুমার রায়
[ঘ] সত্যজিৎ রায়

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
সুকুমার রায় (১৮৮৭-১৯২৩ খ্রি)
🔶 বাংলা শিশুতোষ সাহিত্যের অমর সৃষ্টি- প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক ও শিশুতোষ পত্রিকা ‘সন্দেশ’ (১৯১৩) প্রতিষ্ঠাতা সুকুমার রায় -এর মৃত্যুর পরে প্রকাশিত ‘আবোল-তাবোল’ (১৯২৩), ‘হ-য-ব-র-ল’ (১৯২৪) ইত্যাদি বই।
উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী (১৮৬৩-১৯১৫ খ্রি)
🔶 শিশুসাহিত্যিক ও চিত্রশিল্পী উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী রচিত গ্রন্থ- ‘ছোটদের রামায়ণ’ (১৮৯৪-৯৫), সেকালের কথা (১৯০৩), ‘ছোটদের মহাভারত’ (১৯০৯)।
🔶 তিনি ছিলেন- শিশুতোষ পত্রিকা ‘সন্দেশ’-এর সম্পাদক।
দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার (১৮৮৭-১৯৫৭ খ্রি)
🔶 শিশুসাহিত্যিক দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার রচিত গ্রন্থ- ‘ঠাকুরমার ঝুলি’, ‘ঠাকুর দাদার ঝুলি’, ‘দাদা মশায়ের থলে’ ইত্যাদি।
সত্যজিৎ রায় (১৯২১-১৯৯২ খ্রি)
🔶 চলচ্চিত্রকার, লেখক ও চিত্রশিল্পী সত্যজিৎ রায় রচিত গ্রন্থ- ‘কৈলাস কেলেঙ্কারি’ (১৯৭৪), ‘সাবাস প্রোফেসর শঙ্কু’ (১৯৭৪), ‘জয়বাবা ফেলুনাথ’ (১৯৭৬), ‘ফটিক চাঁদ’ (১৯৭৬), ‘ফেলুদা ওয়ান ফেলুদা টু’ (১৯৮৫) ইত্যাদি।
🔶 তার পিতা- সুকুমার রায় এবং পিতামহ উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী।

 GK - সাধারণ জ্ঞান 
 বাংলা - Bangla Literature 
 ২৫তম পর্ব 

১. ‘পদ’ বলতে কি বোঝায়?
[ক] কবিতার চরণ
[খ] যে কোনো শব্দ
[গ] প্রত্যয়ান্ত শব্দ বা ধাতু
✅ বিভক্তিযুক্ত শব্দ ও ধাতু

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ব্যাকরণের দৃষ্টিকোণ থেকে ‘পদ’ বলতে বোঝায়- বিভক্তিযুক্ত শব্দ ও ধাতুকে।
🔶 যদি ‘পদ’ শব্দটির অর্থ কি জানতে চাওয়া হতো; তবে বলা যেত পদ শব্দের অর্থ- চরণ, কবিতার পঙ্ক্তি কিংবা মধ্যযুগের সাহিত্যের বৈষ্ণব কবিদের রচিত গীতিকবিতা।
🔶 এছাড়া বাক্যে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি শব্দই- এক একটি পদ।

২. কোন বানানটি শুদ্ধ?
[ক] শুশ্রুষা
[খ] সুশ্রুষা
✅ শুশ্রূষা
[ঘ] সুশ্রুসা

৩. ঠোঁট-কাটা বলতে কি বুঝায়?
[ক] অহংকারী
✅ স্পষ্টভাষী
[গ] মিথ্যাবাদী
[ঘ] পক্ষপাতদুষ্ট

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
স্পষ্টভাষী
🔶 ‘ঠোঁট-কাটা’ শব্দের অর্থ- কাউকে কোনো কিছু বলতে দ্বিধাবোধ করে না এমন, স্পষ্টবক্তা বা স্পষ্টবাদী।
অহংকারী
🔶 ‘অহংকারী’ অর্থ- অহংকার করে এমন, অভিমানী।
মিথ্যাবাদী
🔶 ‘মিথ্যাবাদী’ অর্থ- মিথ্যা কথা বলে এমন, অসত্যভাষী।
পক্ষপাতদুষ্ট
🔶 ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলতে বোঝায়- একচোখা বা এক পক্ষের প্রতি অনুরক্ত।

৪. ‘বিষাদ-সিন্ধু’ কার রচনা?
[ক] কায়কোবাদ
✅ মীর মশাররফ হোসেন
[গ] মোজাম্মেল হক
[ঘ] ইসমাইল হোসেন সিরাজী

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 মীর মশাররফ হোসেনের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস- ‘বিষাদ-সিন্ধু’।
🔶 উপন্যাসটিতে ৩টি পর্ব- ‘মহরম পর্ব (১৮৯৫), ‘উদ্ধার পর্ব’ (১৮৮৭), ‘এজিদবধ পর্ব’ (১৮৯১)।
🔶 উপন্যাসটি রচিত- কারবালার বিষাদময় কাহিনী অবলম্বনে।
🔶 এই উপন্যাসের মূল কাহিনী- মহানবী হযরত মুহম্মদ (স)-এর দৌহিত্র ইমাম হাসান ও ইমাম হোসেনের সঙ্গে দামেস্ক অধিপতি মুয়াবিয়ার একমাত্র পুত্র এজিদের বিরোধ ও যুদ্ধ।

৫. কোনটি কাব্যগ্রন্থ?
[ক] শেষ প্রশ্ন
✅ শেষ লেখা
[গ] শেষের কবিতা
[ঘ] শেষের পরিচয়

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
শেষ লেখা
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত কাব্যগ্রন্থ- শেষ লেখা।
শেষ প্রশ্ন
🔶 শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস- শেষ প্রশ্ন।
শেষের কবিতা
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত উপন্যাস- শেষের কবিতা।

৬. নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ কোনটি?
[ক] রাজবন্দীর জবানবন্দী
✅ ব্যথার দান
[গ] অগ্নিবীণা
[ঘ] নবযুগ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ব্যথার দান
🔶 নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ- ‘ব্যথার দান’ (ফেব্রুয়ারি, ১৯২২)।
অগ্নিবীণা
🔶 তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ- ‘অগ্নিবীণা’ (সেপ্টেম্বর, ১৯২২)।
রাজবন্দীর জবানবন্দী
🔶 তার প্রবন্ধগ্রন্থ- ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ (১৯২৩)।
নবযুগ
🔶 কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত পত্রিকা- নবযুগ (১৯২০)।

৭. কোনটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস?
[ক] চিলেকোঠার সেপাই
✅ আগুনের পরশমণি
[গ] একাত্তরের দিনগুলি
[ঘ] পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
আগুনের পরশমণি
🔶 হুমায়ূন আহমেদের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস- ‘আগুনের পরশমণি’।
চিলেকোঠার সেপাই
🔶 আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত একটি সামজিক উপন্যাস- ‘চিলেকোঠার সিপাই’।
🔶 উপন্যাসটির উপজীব্য- ’৬৯-এর গণআন্দোলন।
একাত্তরের দিনগুলি
🔶 জাহানারা ইমামের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা (প্রবন্ধ)- ‘একাত্তরের দিনগুলি’।
পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়
🔶 সৈয়দ শামসুল হকের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক- ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’।

৮. কোনটি শামসুর রাহমানের রচনা?
[ক] নিরন্তর ঘণ্টাধবনি
[খ] নির্জন স্বাক্ষর
✅ নিরালোকে দিব্যরথ
[ঘ] নির্বাণ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
নিরালোকে দিব্যরথ
🔶 শামসুর রাহমান রচিত কাব্যগ্রন্থ- নিরালোকে দিব্যরথ।
নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি
🔶 সেলিনা হোসেন রচিত উপন্যাস- নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি।
নির্জন স্বাক্ষর
🔶 বুদ্ধদেব বসু রচিত উপন্যাস- নির্জন স্বাক্ষর।

৯. ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এল বান’
-এখানে ‘টাপুর টুপুর’ কোন ধরনের শব্দ?
[ক] অবস্থাবাচক শব্দ
[খ] বাক্যালঙ্কার শব্দ
✅ ধ্বন্যাত্মক শব্দ
[ঘ] দ্বিরুক্ত শব্দ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 যেসব শব্দ অব্যক্ত রব, শব্দ বা ধ্বনির অনুকরণে গঠিত হয় তাকে বলে- অনুকার বা ধ্বন্যাত্মক শব্দ। যেমন : কুহু কুহু (কোকিলের রব), টাপুর টুপুর (বৃষ্টির পতনের শব্দ), হু হু (বাতাস প্রবাহের শব্দ)।

১০. কোনটি দ্বন্দ্ব সমাসের উদাহরণ?
[ক] সিংহাসন
✅ ভাই-বোন
[গ] কানাকানি
[ঘ] গাছপাকা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ভাই-বোন
🔶 ভাইবোন- ভাই ও বোন (দ্বন্দ্ব সমাস)।
সিংহাসন
🔶 সিংহাসন-সিংহ চিহ্নিত আসন (মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস)।
কানাকানি
🔶 কানাকানি- কানে কানে যে কথা (ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস)।
গাছপাকা
🔶 গাছপাকা- গাছে পাকা (সপ্তমী তৎপুরুষ সমস)।

Bangla General Knowledge (GK) question answer pdf download.

১১. ‘যা সহজে অতিক্রম করা যায় না’-এ বাক্যাংশের সংক্ষিপ্ত রূপ কি?
[ক] অনতিক্রম্য
[খ] অলংঘ্য
✅ দূরতিক্রম্য
[ঘ] দুর্গম

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
দূরতিক্রম্য
🔶 যা সহজে অতিক্রম করা যায় না- দূরতিক্রম্য।
অনতিক্রম্য
🔶 যা অতিক্রম করা যায় না- অনতিক্রম্য।
অলংঘ্য
🔶 যা লংঘন করা যায় না- অলংঘ্য।
দুর্গম
🔶 যেখানে সহজে গমন করা যায় না- দুর্গম।

১২. ‘ব্যাঙের সর্দি’ অর্থ কি?
[ক] রোগ বিশেষ
[খ] সম্ভাব্য ঘটনা
✅ অসম্ভব ঘটনা
[ঘ] প্রতারণা

১৩. ‘সংশপ্তক’ কার রচনা?
[ক] মুনীর চৌধুরী
✅ শহীদুল্লাহ কায়সার
[গ] জহির রায়হান
[ঘ] শওকত ওসমান

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
শহীদুল্লাহ কায়সার
🔶 শহীদুল্লাহ কায়সার রচিত একটি উপন্যাস- ‘সংশপ্তক’ (১৯৬৫)।
🔶 তার অন্য একটি বিখ্যাত উপন্যাস- ‘সারেং বৌ’।
🔶 শহীদুল্লাহ কায়সার ছিলেন- শহীদ বুদ্ধিজীবী।
🔶 তাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়- ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর। এরপর তার আর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
🔶 তার সহোদর- জহির রায়হান।
মুনীর চৌধুরী
🔶 নাট্যকার, গল্প লেখক ও শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর বিখ্যাত নাটক- ‘কবর’ (১৯৬৬), ‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ (১৯৬২), মুখরা রমণী বশীকরণ’ (১৯৭০)।
🔶 তিনি রচনা করেননি- কোনো উপন্যাস।
জহির রায়হান
🔶 জহির রায়হান রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- ‘আরেক ফাল্গুন’, ‘হাজার বছর ধরে’, ‘বরফ গলা নদী’।
শওকত ওসমান
🔶 শওকত ওসমানের উপন্যাস- ‘ক্রীতদাসের হাসি’ (১৯৬২) ‘জননী’ (১৯৬১), ‘জাহান্নাম হইতে বিদায়’ (১৯৭১), ‘দুই সৈনিক’ (১৯৭৩) প্রভৃতি।

১৪. ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ প্রথম সংকলনের সম্পাদক কে?
[ক] শওকত ওসমান
[খ] জহির রায়হান
[গ] আব্দুল গণি হাজারী
✅ হাসান হাফিজুর রহমান

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ প্রথম সংকলনের সম্পাদক ছিলেন- হাসান হাফিজুর রহমান।
🔶 ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ সাহিত্য সংকলনটি প্রকাশিত হয়- ’৫২ ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে, ১৯৫৩ সালে।
🔶 লেখকের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়- ১৬ খন্ডে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ : দলিলপত্র’ (১৯৮২-৮৩)।

১৫. ‘নদী ও নারী’ কার রচনা?
[ক] কাজী আব্দুল ওদুদ
[খ] আবুল ফজল
[গ] শামসুদ্দিন আবুল কালাম
✅ হুমায়ুন কবির

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
হুমায়ুন কবির
🔶 হুমায়ুন কবির রচিত একটি উপন্যাস- ‘নদী ও নারী’ (১৯৪৫)।
কাজী আব্দুল ওদুদ
🔶 কাজী আবদুল ওদুদ রচিত উপন্যাস- ‘নদীবক্ষে’ (১৯১৮)।
আবুল ফজল
🔶 আবুল ফজল রচিত উপন্যাস- ‘রাঙা প্রভাত’ (১৩৬৪ বং), ‘প্রদীপ ও পতঙ্গ’ (১৩৪৭ বং), ‘চৌচির’ (১৯৩৪)।
শামসুদ্দিন আবুল কালাম
🔶 শামসুদ্দীন আবুল কালাম রচিত বিখ্যাত উপন্যাস- ‘কাশবনের কন্যা’।

১৬. কাজী নজরুল ইসলাম রচিত গ্রন্থ কোনটি?
[ক] অগ্নিকোণ
[খ] মরুশিখা
[গ] মরুসূর্য
✅ রাঙাজবা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
রাঙাজবা
🔶 কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গীতবিষয়ক গ্রন্থ- রাঙাজবা।
মরুশিখা
🔶 যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের কাব্যগ্রন্থ- মরুশিখা।
মরুসূর্য
🔶 আ.  ন.  ম. বজলুর রশীদ রচিত কাব্যগ্রন্থ- মরুসূর্য।

১৭. ‘আত্মঘাতী বাঙালি’ কার রচিত গ্রন্থ?
[ক] অশোক মিত্র
[খ] দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়
✅ নীরদচন্দ্র চৌধুরী
[ঘ] অতুল সুর

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
নীরদচন্দ্র চৌধুরী
🔶 ‘আত্মঘাতী বাঙালি’ রচনা করেন- নীরোদ চন্দ্র চৌধুরী।
অশোক মিত্র
🔶 অশোক মিত্র রচিত গ্রন্থ- ‘কবিতা থেকে মিছিল’।
দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়
🔶 দেবপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায় রচিত গ্রন্থ- ‘যে গল্পের শেষ নেই’, ‘লোকায়ত দর্শন’।

১৮. ‘সংস্কৃতির ভাঙা সেতু’ গ্রন্থ কে রচনা করেছেন?
[ক] মোতাহের হোসেন চৌধুরী
[খ] বিনয় ঘোষ
✅ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
[ঘ] রাধারমণ মিত্র

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ- ‘সংস্কৃতির ভাঙ্গা সেতু’।

১৯. কাক ভূষন্ডির অর্থ কি?
[ক] ষড়যন্ত্রকারী
[খ] বাকসর্বস্ব
[গ] দীর্ঘ প্রতীক্ষমান
✅ দীর্ঘায়ু ব্যক্তি

২০. নিত্য মূর্ধন্য-ষ কোন শব্দে বর্তমান?
[ক] কষ্ট
[খ] উপনিষৎ
[গ] কল্যাণীয়েষু
✅ আষাঢ়

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 কতগুলো শব্দে স্বভাবতই মূর্ধন্য-ষ বসে। যেমন- আষাঢ়, ঊষা, ঈষৎ, পাষন্ড, পাষাণ, ভাষা, শোষণ ইত্যাদি।

 GK - সাধারণ জ্ঞান 
 বাংলা - Bangla Literature 
 ১৯তম পর্ব 

১. ‘‘বউ কথা কও, বউ কথা কও
কও কথা অভিমানিনী
সেধে সেধে কেঁদে কেঁদে
যাবে কত যামিনী’’-এই কবিতাংশটুকুর কবি কে?
[ক] বেনজীর আহমেদ
✅ কাজী নজরুল ইসলাম
[গ] জীবনানন্দ দাশ
[ঘ] শামসুর রাহমান

২. বাংলা সাহিত্যে ‘ভোরের পাখি’ বলা হয় কাকে?
[ক] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
[খ] রাজশেখর বসু
[গ] ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
✅ বিহারীলাল চক্রবর্তী

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
বিহারীলাল চক্রবর্তী
🔶 আধুনিক গীতিকবিতার স্রষ্টা বিহারীলালের উপাধি- ভোরের পাখি।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপাধি- বিশ্বকবি, কবিগুরু।
রাজশেখর বসু
🔶 রাজশেখর বসুর ছদ্মনাম- পরশুরাম।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
🔶 ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের উপাধি- বাংলা গদ্যের জনক।

৩. বাংলা সাহিত্যে প্রথম মুসলিম নাট্যকার রচিত নাট্যগ্রন্থ কোনটি?
[ক] জগৎ মোহিনী
✅ বসন্ত কুমারী
[গ] আয়না
[ঘ] মোহিনী প্রেমপাস

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা সাহিত্যের প্রথম উল্লেখযোগ্য মুসলমান সাহিত্যিক রচিত নাট্যগ্রন্থ- মীর মশাররফ হোসেন রচিত ‘বসন্ত কুমারী’।

৪. কোন বানানটি শুদ্ধ?
[ক] বিভিসীকা
✅ বিভীষিকা
[গ] বীভিষিকা
[ঘ] বীভিষীকা

৫. কোন খ্যাতিমান লেখক ‘বীরবল’ ছদ্মনামে লিখতেন?
[ক] প্রমথনাথ বিশী
✅ প্রমথ চৌধুরী
[গ] প্রেমেন্দ্র মিত্র
[ঘ] প্রমথ নাথ বসু

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রমথ চৌধুরী
🔶 বাংলা সাহিত্যে চলিত ভাষার প্রবর্তক প্রমথ চৌধুরীর ছদ্মনাম- বীরবল।
🔶 এ ছদ্মনামে তিনি লিখেছেন- ‘বীরবলের হালখাতা’।

প্রমথনাথ বিশী
🔶 বিশিষ্ট রবীন্দ্র অধ্যাপক প্রমথনাথ বিশী (১৯০১-১৯৮৫) ছিলেন- রবীন্দ্র সাহিত্যের একজন নিপুণ বিশ্লেষক।
প্রেমেন্দ্র মিত্র
🔶 কল্লোল গোষ্ঠীর বিশিষ্ট লেখক প্রেমেন্দ্র মিত্রের (১৯০৪-১৯৮৮) সাহিত্যকর্মের মূল প্রতিপাদ- সাধারণ মানুষের প্রতি অনুরাগ।

৬. বাংলা ভাষার আদি স্তরের স্থিতিকাল কোনটি?
✅ দশম থেকে চতুর্দশ শতাব্দী
[খ] একাদশ থেকে পঞ্চদশ শতাব্দী
[গ] দ্বাদশ থেকে ষোড়শ শতাব্দী
[ঘ] ত্রয়োদশ থেকে সপ্তদশ শতাব্দী

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ড.  সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ও অধিকাংশের মতে- বাংলা ভাষার আদিস্তরের স্থিতিকাল দশম থেকে চতুর্দশ শতাব্দী।
🔶 ড.  মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে- আদিস্তরের স্থিতিকাল সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতাব্দী।

৭. যৌগিক বাক্যের অন্যতম গুণ কি?
[ক] একটি জটিল ও একটি সরল বাক্যের সাহায্যে বাক্য গঠন
[খ] একটি সংযুক্ত ও একটি বিযুক্ত বাক্যের সাহায্যে বাক্য গঠন
✅ দুটি সরল বাক্যের সাহায্যে বাক্য গঠন
[ঘ] দুটি মিশ্র বাক্যের সাহায্যে বাক্য গঠন

৮. ‘রাবণের চিতা’ বাগধারাটির অর্থ কি?
[ক] অনিষ্টে ইষ্ট লাভ
✅ চির অশান্তি
[গ] অরাজক দেশ
[ঘ] সামান্য কিছু নিয়ে ঝগড়া বাধানো

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
চির অশান্তি
🔶 ‘রাবণের চিতা’ বাগধারাটির অর্থ- চির অশান্তি।
অনিষ্টে ইষ্ট লাভ
🔶 ‘অনিষ্টে ইষ্ট লাভ’-এর বাগধারা- শাপে বর।
অরাজক দেশ
🔶 ‘অরাজক দেশ’-এর বাগধারা- মগের মুল্লুক।
সামান্য কিছু নিয়ে ঝগড়া বাধানো
🔶 ‘সামান্য কিছু নিয়ে ঝগড়া লাগানো’-এর বাগধারা- ফুটো পয়সার লড়াই।

৯. কোনটি ইব্রাহিম খাঁর গ্রন্থ নয়?
[ক] আনোয়ার পাশা
[খ] ইস্তাম্বুল যাত্রীর পত্র
✅ কুচবরণের কণ্যে
[ঘ] সোনার শিকল

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বন্দে আলী মিয়া রচিত কাব্যগ্রন্থ- ‘কুচবরণ কন্যে’।
🔶 ইব্রাহিম খাঁ রচিত গ্রন্থ- আনোয়ার পাশা (নাটক); ইস্তাম্বুল যাত্রীর পত্র (ভ্রমণকাহিনী) এবং সোনার শিকল (গল্পগ্রন্থ)।

১০. কোন প্রবচনটি ‘হতভাগ্য’ অর্থে ব্যবহৃত?
✅ আট কপালে
[খ] উড়নচন্ডী
[গ] ছা-পোষা
[ঘ] ভুষন্ডির কাক

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
আট কপালে
🔶 হতভাগ্য অর্থে ব্যবহৃত প্রবচন- আট কপালে।
উড়নচন্ডী
🔶 অমিতব্যয়ী অর্থে ব্যবহৃত প্রবচন- উড়নচন্ডী।
ছা-পোষা
🔶 পোষ্য ভারাক্রান্ত অর্থে ব্যবহৃত প্রবচন- ছা-পোষা।
ভুষন্ডির কাক
🔶 দীর্ঘায়ু ব্যক্তি অর্থে ব্যবহৃত প্রবচন- ভূষন্ডির কাক।

১১. কার সম্পাদনায় ‘সংবাদ প্রভাকর’ প্রথম প্রকাশিত হয়?
[ক] প্রমথনাথ চৌধুরী
✅ ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
[গ] প্যারীচাঁদ মিত্র
[ঘ] দীনবন্ধু মিত্র

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
🔶 ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের সম্পাদিত পত্রিকা- ‘সংবাদ প্রভাকর’ (১৮৩১), এটি প্রথম বাংলা সংবাদপত্র।
প্রমথনাথ চৌধুরী
🔶 প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত সাহিত্য পত্রিকা- ‘সবুজপত্র’।
🔶 প্যারীচাঁদ মিত্রের সম্পাদিত পত্রিকা- ‘মাসিক পত্রিকা’ (১৮৫৪)।

১২. মৌলিক শব্দ কোনটি?
✅ গোলাপ
[খ] শীতল
[গ] নেয়ে
[ঘ] গৌরব

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 যে শব্দকে আর বিশ্লেষণ করা যায় না, তাকে বলে- মৌলিক শব্দ। যেমন- গোলাপ, নাক, লাল।
🔶 শীতল, নেয়ে, গৌরব- সাধিত শব্দ।
🔶 যে শব্দকে বিশ্লেষণ করলে আলাদা অর্থবোধক শব্দ পাওয়া যায়, তাকে বলে- সাধিত শব্দ।

১৩. যার কোনো মূল্য নেই, তাকে বাগধারা দিয়ে প্রকাশ করলে কোনটি হয়?
[ক] ডাকাবুকা
[খ] তুলশী বনের বাঘ
[গ] তামার বিষ
✅ ঢাকের বাঁয়া

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ঢাকের বাঁয়া
🔶 যার কোনো মূল্য নেই- ঢাকের বাঁয়া।
ডাকাবুকা
🔶 নির্ভীক- ডাকাবুকা।
তুলশী বনের বাঘ
🔶 ভন্ড- তুলসী বনের বাঘ।
তামার বিষ
🔶 অর্থের কুপ্রভাব- তামার বিষ।

১৪. ‘আমীর হামজা’ কাব্য রচনা করেন কে?
[ক] আলাওল
✅ ফকীর গরীবুল্লাহ
[গ] সৈয়দ হামজা
[ঘ] রেজাউদ্দৌলা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘আমীর হামজা’ কাব্য রচনা করেন- ফকির গরীবুল্লাহ।
🔶 তিনি কাব্যটি অসমাপ্ত রেখে মারা গেলে তা সম্পন্ন করেন- সৈয়দ হামজা।
🔶 দোভাষী পুঁথি রচয়িতা হিসেবে প্রথম প্রধান ও জনপ্রিয় কবি- ফকির গরীবুল্লাহ ও সৈয়দ হামজা দ্বিতীয়।
🔶 সৈয়দ হামজার শ্রেষ্ঠ রচনা- মধুমালতী, জৈগুনের পুথি ও হাতেম তাই।

১৫. বাংলা লিপির উৎস কী?
[ক] সংস্কৃতি লিপি
[খ] চীনা লিপি
[গ] আরবি লিপি
✅ ব্রাহ্মী লিপি

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা লিপির উৎস- ব্রাহ্মী লিপি।
🔶 প্রাচীন ভারতীয় লিপির ২টি রূপ- ব্রাহ্মী ও খরোষ্ঠী।
🔶 ব্রাহ্মী লিপি ৩টি লিপিতে বিভক্ত- পূর্বী লিপি, মধ্যভারতীয় লিপি ও পশ্চিমা লিপি।
🔶 বাংলা লিপি উদ্ভুত- পূর্বী লিপির কুটিল রূপ হতে।

১৬. কোনটি বিশেষণ বাচক শব্দ?
[ক] জীবন
✅ জীবনী
[গ] জীবিকা
[ঘ] জীবাণু

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
জীবনী
🔶 জীবনী- বিশেষণ।
জীবন
🔶 জীবন- বিশেষ্য।
জীবিকা
🔶 জীবিকা- বিশেষ্য।
জীবাণু
🔶 জীবাণু- বিশেষ্য।

১৭. বর্ণ হচ্ছে-
[ক] শব্দের ক্ষুদ্রতম অংশ
[খ] একসঙ্গে উচ্চারিত ধ্বনিগুচ্ছ
✅ ধ্বনি নির্দেশক প্রতীক
[ঘ] ধ্বনির শ্রুতিগ্রাহ্য রূপ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ধ্বনি নির্দেশক প্রতীক- বর্ণ।
🔶 শব্দের ক্ষুদ্রতম অংশকে বলে- রূপ।
🔶 একসঙ্গে উচ্চারিত ধ্বনিগুচেছর অর্থবোধক মিলনে তৈরি হয়- শব্দ।

১৮. কবি জসীমউদ্দীনের জীবনকাল কোনটি?
✅ ১৯০৩-১৯৭৬
[খ] ১৮৮৯-১৯৬৬
[গ] ১৮৯৯-১৯৭৯
[ঘ] ১৯১০-১৯৮৭

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 কবি জসীমউদ্দীনের জীবনকাল- ১৯০৩-১৯৭৬।
🔶 পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের জন্ম- ১৯০৩ সালে, ফরিদপুরের তাম্বুলখানা গ্রামে।
🔶 কবির মৃত্যু- ১৯৭৬ সালের ১৪ মার্চ, ঢাকায়।

১৯. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’ কবিতায় কবির উপলব্ধি হচ্ছে-
✅ ভবিষ্যৎ বিচিত্র ও বিপুল সম্ভাবনাময়
[খ] বাধা-বিপত্তি প্রতিভাকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে
[গ] প্রকৃতি বিপুল ঐশ্বর্য্যের অধিকারী
[ঘ] ভাঙ্গার পরেই গড়ার কাজ শুরু

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’ কবিতায় কবির উপলব্ধি হচ্ছে- ভবিষ্যৎ বিচিত্র ও বিপুল সম্ভাবনাময়।
🔶 রবীন্দ্রনাথের প্রথম জীবনে সর্বাপেক্ষা উজ্জবল কবিতা- নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ।
🔶 কবিতার প্রথম লাইন- আজি এ প্রভাতে রবির কর/কেমনে পশিল প্রাণের পর।

২০. জাতিবাচক বিশেষ্যের দৃষ্টান্ত-
[ক] সমাজ
[খ] পানি
[গ] মিছিল
✅ নদী

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
নদী
🔶 জাতিবাচক বিশেষ্য- নদী।
সমাজ, মিছিল
🔶 সমষ্টিবাচক বিশেষ্য- সমাজ, মিছিল।
পানি
🔶 বস্তুবাচক বিশেষ্য- পানি।

 GK - সাধারণ জ্ঞান 
 বাংলা - Bangla Literature 
 ১৮তম পর্ব 

১. ‘গোঁফ-খেজুরে’-এই বাগ্বিধির অর্থ কি?
[ক] আরামপ্রিয়
[খ] উদাসীন
✅ নিতান্ত অলস
[ঘ] পরমুখাপেক্ষী

২. কোন দুটি অঘোষ ধ্বনি?
✅ চ ছ
[খ] ড ঢ
[গ] ব ভ
[ঘ] দ ধ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয় না, তাকে বলা হয়- অঘোষ ধ্বনি।
🔶 বর্গের প্রথম ও দ্বিতীয় ধ্বনি- অঘোষ ধ্বনি। যেমন- ক খ, চ ছ, ট ঠ, প ফ।
🔶 যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয়, তাকে বলে- ঘোষ ধ্বনি। বর্গের তৃতীয় ও চতুর্থ ধ্বনি ঘোষ ধ্বনি। যেমন : গ ঘ, জ ঝ, ড ঢ, ব ভ।

৩. কোন বাক্যে ‘ঢাক্ ঢাক্ গুড় গুড়’ প্রবাদটির বিশেষ অর্থ প্রকাশ পেয়েছে?
[ক] ঢাক্ ঢাক্ গুড় গুড় করে কি লাভ, কাজে লেগে যাও
✅ ঢাক্ ঢাক্ গুড় গুড় করে কি লাভ, আসল কথাটি বল
[গ] ঢাক্ ঢাক্ গুড় গুড় করে কি লাভ, কি খাবে বল
[ঘ] ঢাক্ ঢাক্ গুড় গুড় করে কি লাভ, নিজের পায়ে দাঁড়াও

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ঢাক ঢাক গুড় গুড় বাগধারাটির অর্থ- লুকোচুরি।
🔶 এই অর্থ প্রকাশ পেয়েছে- ঢাক ঢাক গুড় গুড় করে কি লাভ, আসল কথাটি বল- শুধু এ বাক্যটিতেই।

৪. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ উপন্যাসের প্রধান দুটি চরিত্রের নাম-
[ক] নগেন্দ্রনাথ ও কুন্দনন্দিনী
[খ] মধুসূদন ও কুমুদিনী
✅ গোবিন্দলাল ও রোহিনী
[ঘ] সুরেশ ও অচেলা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
গোবিন্দলাল ও রোহিনী
🔶 ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ উপন্যাসের চরিত্র- গোবিন্দলাল ও রোহিনী।
নগেন্দ্রনাথ ও কুন্দনন্দিনী
🔶 ‘বিষবৃক্ষ’ উপন্যাসের চরিত্র- নগেন্দ্রনাথ ও কুন্দনন্দিনী।
মধুসূদন ও কুমুদিনী
🔶 ‘যোগাযোগ’ উপন্যাসের চরিত্র- মধুসুদন ও কুমুদিনী।
সুরেশ ও অচেলা
🔶 ‘গৃহদাহ’ উপন্যাসের চরিত্র- সুরেশ ও অচলা।

৫. ‘যা পূর্বে ছিল এখন নেই’-এক কথায় কি হবে?
[ক] অপূর্ব
[খ] অদৃষ্টপূর্ব
[গ] অভূতপূর্ব
✅ ভূতপূর্ব

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ভূতপূর্ব
🔶 যা পূর্বে ছিল এখন নেই- ভূতপূর্ব।
অদৃষ্টপূর্ব
🔶 যা পূর্বে দেখা যায়নি- অদৃষ্টপূর্ব।
অভূতপূর্ব
🔶 যা পূর্বে কখনো ঘটেনি- অভূতপূর্ব।

৬. কোন বাক্যে সমুচ্চয়ী অব্যয় ব্যবহৃত হয়েছে?
[ক] ধন অপেক্ষা মান বড়
[খ] তোমাকে দিয়ে কিছু হবে না
[গ] ঢং ঢং ঘণ্টা বাজে
✅ লেখাপড়া কর, নতুবা ফেল করবে

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
লেখাপড়া কর, নতুবা ফেল করবে
🔶 লেখাপড়া কর, নতুবা ফেল করবে- সমুচ্চয়ী অব্যয়।
🔶 যে অব্যয় পদ একটি বাক্যের অথবা বাক্যস্থিত একটি পদের সাথে অন্য একটি পদের সংযোজন, বিয়োজন বা সংকোচন ঘটায়, তাকে বলে- সমুচ্চয়ী অব্যয়। যেমন : লেখাপড়া কর, নতুবা ফেল করবে।
ধন অপেক্ষা মান বড়
🔶 ধন অপেক্ষা মান বড়- অনুসর্গ অব্যয়।
তোমাকে দিয়ে কিছু হবে না
🔶 তোমাকে দিয়ে কিছু হবে না- অনুসর্গ অব্যয়।
ঢং ঢং ঘণ্টা বাজে
🔶 ঢং ঢং ঘণ্টা বাজে- অনুকার অব্যয়।

৭. কোন সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম-শতবার্ষিকী পালিত হয়?
[ক] ১৯৫১
✅ ১৯৬১
[গ] ১৯৭১
[ঘ] ১৯৮১

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 রবীন্দ্রনাথের জন্ম- ১৮৬১ সালে। অতএব, জন্মশতবার্ষিকী পালিত হয় ১৯৬১ সালে।

৮. ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য কোন কাব্যের উপজীব্য?
[ক] জিঞ্জির- কাজী নজরুল ইসলাম
✅ সাত সাগরের মাঝি-ফররুখ আহমদ
[গ] দিলরুবা- আবদুল কাদির
[ঘ] নূরনামা-আবদুল হাকিম

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
সাত সাগরের মাঝি-ফররুখ আহমদ
🔶 ‘সাত সাগরের মাঝি’ কাব্যের উপজীব্য- ইসলামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য।
জিঞ্জির- কাজী নজরুল ইসলাম
🔶 ‘জিঞ্জির’ কাব্যের উপজীব্য- বিদ্রোহের সুর।
দিলরুবা- আবদুল কাদির
🔶 ‘দিলরুবা’ কাব্যের উপজীব্য- প্রেমপ্রধান।
নূরনামা-আবদুল হাকিম
🔶 ‘নূরনামা’ কাব্যের উপজীব্য- বাংলা ভাষার গূণকীর্তন।

৯. ‘অনল প্রবাহ’ রচনা করেন-
✅ সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী
[খ] মোজাম্মেল হক
[গ] এয়াকুব আলী চৌধুরী
[ঘ] মুনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ইসমাইল হোসেন সিরাজী রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ- ‘অনল প্রবাহ’ (১৮৯৯)।
🔶 ‘অনল প্রবাহ’ ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয় কারণ কাব্যগ্রন্থটি- রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রচিত।

১০. কোন বাক্যে সমাপিকা ক্রিয়া ব্যবহৃত হয়েছে?
[ক] আমি ভাত খাচ্ছি
[খ] আমি ভাত খেয়ে স্কুলে যাব
✅ আমি দুপুরে ভাত খাই
[ঘ] তাড়াতাড়ি ভাত খেয়ে ওঠ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 আমি ভাত খেয়ে (অসমাপিকা ক্রিয়া) স্কুলে যাব (সমাপিকা ক্রিয়া) এখানে খেয়ে ক্রিয়াপদটি দিয়ে বাক্যের অর্থের পরিসমাপ্তি ঘটেনি। তাই এটি- অসমাপিকা ক্রিয়া।

১১. জীবনানন্দ দাশের রচিত কাব্যগ্রন্থ-
✅ ধূসর পান্ডুলিপি
[খ] নাম রেখেছি কোমল গান্ধার
[গ] একক সন্ধ্যায় বসন্ত
[ঘ] অন্ধকারে একা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ধূসর পান্ডুলিপি
🔶 জীবনানন্দ দাশ রচিত কাব্যগ্রন্থ- ধূসর পান্ডুলিপি।
একক সন্ধ্যায় বসন্ত
🔶 সৈয়দ আলী আহসান রচিত কাব্যগ্রন্থ- একক সন্ধ্যায় বসন্ত।
নাম রেখেছি কোমল গান্ধার
🔶 বিষ্ণু দে রচিত কাব্যগ্রন্থ- নাম রেখেছি কোমল গান্ধার।
অন্ধকারে একা
🔶 মোহাম্মদ উল্লাহ রচিত কাব্যগ্রন্থ- অন্ধকারে একা।

১২. ‘বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে’ এ উক্তিটির প্রকৃত তাৎপর্য হচ্ছে-
[ক] আদিবাসী মানুষ অরণ্য জন পদে বাস করে
[খ] বনের পশু বনে থাকতেই ভালোবাসে
✅ জীবমাত্রই স্বাভাবিক অবস্থানে সুন্দর
[ঘ] প্রকৃতির রূপ-সৌন্দর্য আদি ও অকৃত্রিম

১৩. কোন বাক্যে নাম পুরুষের ব্যবহার করা হয়েছে?
✅ ওরা কি করে?
[খ] আপনি আসবেন
[গ] আমরা খাচ্ছি
[ঘ] তোরা খাসনে

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ওরা কি করে
🔶 ওরা কি করে- নাম পুরুষ (তুচ্ছার্থে)।
আপনি আসবেন
🔶 আপনি আসবেন?- মধ্যম পুরুষ (সম্মানার্থে)।
আমরা খাচ্ছি
🔶 আমরা খাচ্ছি- উত্তম পুরুষ।
তোরা খাসনে
🔶 তোরা খাসনে- মধ্যম পুরুষ (তুচ্ছার্থে)।

১৪. মধ্যপদলোপী কর্মধারয়-এর দৃষ্টান্ত-
[ক] ঘর থেকে ছাড়া-ঘরছাড়া
[খ] অরুণের মতো রাঙা-অরুণরাঙা
✅ হাসিমাখা মুখ-হাসিমুখ
[ঘ] ক্ষণ ব্যাপিয়া স্থায়ী-ক্ষণস্থায়ী

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
হাসিমাখা মুখ
🔶 হাসিমাখা মুখ-হাসিমুখ (মধ্যপদলোপী কর্মধারয়)
ঘর থেকে ছাড়া
🔶 ঘর থেকে ছাড়া- ঘরছাড়া (পঞ্চমী তৎপুরুষ)।
অরুণের মতো রাঙা
🔶 অরুণের মতো রাঙা- অরুণরাঙা (উপমান কর্মধারয়)।
ক্ষণ ব্যাপিয়া স্থায়ী
🔶 ক্ষণকাল ব্যাপিয়া স্থায়ী- ক্ষণস্থায়ী (২য়া তৎপুরুষ)।

১৫. কোনটি ঐতিহাসিক নাটক?
[ক] শর্মিষ্ঠা
[খ] রাজসিংহ
[গ] পলাশীর যুদ্ধ
✅ রক্তাক্ত প্রান্তর

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
রক্তাক্ত প্রান্তর
🔶 পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ নিয়ে মুনীর চৌধুরী রচিত ঐতিহাসিক নাটক- ‘রক্তাক্ত প্রান্তর’।
শর্মিষ্ঠা
🔶 মধুসূদন দত্ত রচিত পৌরাণিক নাটক- ‘শর্মিষ্ঠা’।
রাজসিংহ
🔶 বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত উপন্যাস- ‘রাজসিংহ’।
পলাশীর যুদ্ধ
🔶 নবীনচন্দ্র সেন রচিত ঐতিহাসিক কাব্যগ্রন্থ- ‘পলাশীর যুদ্ধ’।

১৬. মাইকেল মধুসূদন দত্তের দেশপ্রেম প্রবল প্রকাশ ঘটেছে-
[ক] মহাকাব্যে
[খ] নাটকে
[গ] পত্রকাব্যে
✅ সনেটে

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রবল দেশপ্রেমের প্রকাশ ঘটেছে- সনেটে।
🔶 সনেট- ইতালিয়ান শব্দ।
🔶 এর বাংলা অর্থ- ‘চতুর্দশপদী কবিতা’।
🔶 প্রতি পঙ্ক্তিতে ১৪ বা ১৮ অক্ষরযুক্ত ১৪ পংক্তির নির্দিষ্ট কলেবরে কবি হৃদয়ের একটি অনুভূতি এক বিশিষ্ট ছন্দরীতিতে রূপায়িত হয়ে উঠলে তাকে বলা হয়- সনেট।
🔶 বাংলা সাহিত্যে সনেটের প্রর্বতক- মাইকেল মধুসূদন দত্ত।

১৭. ‘মোসলেম ভারত’ নামক সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন-
[ক] মীর মশাররফ হোসেন
[খ] মুন্সী মোহাম্মদ রেয়াজুদ্দীন আহমদ
✅ মোজাম্মেল হক
[ঘ] রেয়াজুদ্দীন আহমদ মাশহাদী

১৮. বাংলা বানান রীতি অনুযায়ী একই শব্দের কোন দুটি বানানই শুদ্ধ?
✅ হাতি/হাতী
[খ] নারি/নারী
[গ] জাতি/জাতী
[ঘ] দাদি/দাদী

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা বানান রীতি অনুযায়ী একই শব্দের দুটি বানানই শুদ্ধ। এমন শব্দ- হাতি/হাতী।
🔶 এমন আরও কিছু শব্দ- অন্তঃস্থ/অন্তস্থ; পাখি/পাখী; বাড়ি/বাড়ী; বাঁশি/বাঁশী; রজনি/রজনী; শ্রেণি/শ্রেণী; সূচী/সূচি; স্বামি/স্বামী; কলস/কলশ; কুটি/কুটীর; কুমির/কুমীর; গাড়ি/গাড়ী; তরণি/তরণী; দীঘি/দিঘী।

১৯. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মানদীর মাঝি’ নামক উপন্যাসের উপজীব্য-
[ক] মাঝি-মাল্লার সংগ্রামশীল জীবন
✅ জেলে-জীবনের বিচিত্র সুখ-দুঃখ
[গ] চাষী-জীবনের করুণ চিত্র
[ঘ] চরবাসীদের দুঃখী-জীবন

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি বিখ্যাত উপন্যাস- ‘পদ্মানদীর মাঝি’ (১৯৩৬)।
🔶 উপন্যাসটিতে অঙ্কিত হয়েছে- জেলে জীবনের বিচিত্র সুখ-দুঃখের বাস্তব চিত্র।
🔶 উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র- কুবের, মালা, কপিলা, হোসেন মিয়া।
🔶 মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন- বিহারের সাঁওতাল পরগনার দুমকা শহরে।
🔶 মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত বিখ্যাত উপন্যাস- জননী (১৯৩৫), দিবারাত্রির কাব্য(১৯৩৫), পুতুল নাচের ইতিকথা (১৯৩৬)।

২০. ‘শৈবাল দীঘিরে কহে উচ্চ করি শির; লিখে রেখ, একবিন্দু দিলেম শিশির।’ এ অংশটুকুর মূল প্রতিপাদ্য-
[ক] প্রতিদান
[খ] প্রত্যুপকার
✅ অকৃতজ্ঞতা
[ঘ] অসহিষ্ণুতা

 GK - সাধারণ জ্ঞান 
 বাংলা - Bangla Literature 
 ১৭তম পর্ব 

১. ক্রিয়া পদের মূল অংশকে বলা হয়-
[ক] বিভক্তি
✅ ধাতু
[গ] প্রত্যয়
[ঘ] কৃৎ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
বিভক্তি
🔶 বাক্যস্থিত একটি শব্দের সাথে অন্য শব্দের অন্বয় সাধনের জন্য শব্দের সাথে যে সকল বর্ণ যুক্ত হয় তাকে বলে- বিভক্তি।
ধাতু
🔶 ক্রিয়াপদের মূল অংশকে বলে- ধাতু।
প্রত্যয়
🔶 ক্রিয়াপ্রকৃতি ও নামপ্রকৃতির সাথে যে সকল বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি যুক্ত হয় তাকে বলে- প্রত্যয়।
কৃৎ
🔶 ক্রিয়া প্রকৃতির সাথে যে প্রত্যয় যুক্ত হয় তাকে বলে- কৃৎ প্রত্যয়।

২. ‘স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায়’ চরণটি কার রচনা?
[ক] ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
[খ] মধুসূদন দত্ত
[গ] হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
✅ রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘পদ্মিনী উপাখ্যান’ কাব্যগ্রন্থের একটি চরণ- ‘স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায়’।

৩. শুদ্ধ বাক্যটি চিহ্নিত করুন-
[ক] বিদ্যান ব্যক্তিগণ দরিদ্রের শিকার হন
[খ] বিদ্যান ব্যক্তিগণ দারিদ্রতার শিকার হন
✅ বিদ্বান ব্যক্তিগণ দারিদ্রে্যর শিকার হন
[ঘ] বিদ্যান ব্যক্তিগণ দরিদ্রতার স্বীকার হন

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বিদ্যান, দারিদ্র, দারিদ্রতা শব্দগুলোর শুদ্ধরূপ- বিদ্বান, দারিদ্র্য, দরিদ্রতা।

৪. কোন শব্দে বিদেশী উপসর্গ ব্যবহৃত হয়েছে?
[ক] নিখুঁত
[খ] আনমনা
[গ] অবহেলা
✅ নিমরাজী

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
নিমরাজী
🔶 নিমরাজী- নিম (ফারসি উপসর্গ) + রাজী।
নিখুঁত
🔶 নিখুঁত- নি (বাংলা উপসর্গ) + খুঁত।
আনমনা
🔶 আনমনা- আন (বাংলা উপসর্গ) + মনা।
অবহেলা
🔶 অবহেলা- অব (তৎসম উপসর্গ) + হেলা।

৫. কোন বানানটি শুদ্ধ?
✅ পাষাণ
[খ] পাষান
[গ] পাসান
[ঘ] পাশান

৬. বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রাচীনতম মুসলমান কবি-
✅ শাহ মুহম্মদ সগীর
[খ] সারিবিদ খান
[গ] শেখ ফয়জুল্লাহ
[ঘ] মুহম্মদ কবীর

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 মধ্যযুগের প্রাচীনতম বাঙালি মুসলমান কবি- শাহ্ মুহম্মদ সগীর।

৭. ‘মোদের গরব, মোদের আশা/ আ-মরি বাংলা ভাষা’ রচয়িতা-
[ক] রামনিধি গুপ্ত
[খ] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
✅ অতুল প্রসাদ সেন
[ঘ] সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত

৮. মধুসূদন দত্ত রচিত ‘বীরাঙ্গনা’-
[ক] মহাকাব্য
✅ পত্রকাব্য
[গ] গীতিকাব্য
[ঘ] আখ্যানকাব্য

৯. রোহিনী কোন উপন্যাসের নায়িকা?
✅ কৃষ্ণকান্তের উইল
[খ] চোখের বালি
[গ] গৃহদাহ
[ঘ] পথের পাঁচালী

১০. নিম্নরেখ কোন শব্দে করণ কারকে শূন্য বিভক্তি ব্যবহৃত হয়েছে?
✅ ঘোড়াকে চাবুক মার
[খ] ডাক্তার ডাক
[গ] গাড়ি স্টেশন ছেড়েছে
[ঘ] মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ঘোড়াকে চাবুক মার
🔶 ঘোড়াকে চাবুক মার- (করণে শূন্য)।
ডাক্তার ডাক
🔶 ডাক্তার ডাক- (কর্মে শূন্য)।
গাড়ি স্টেশন ছেড়েছে
🔶 গাড়ি স্টেশন ছেড়েছে- (অপাদানে শূন্য)।

১১. রূপসী বাংলার কবি-
[ক] জসীমউদ্দীন
✅ জীবনানন্দ দাশ
[গ] কালিদাস রায়
[ঘ] সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
জীবনানন্দ দাশ
🔶 জীবনানন্দ দাশ- রূপসী বাংলার কবি।
জসীমউদ্দীন
🔶 জসীমউদ্দীন- পললীকবি।
কালিদাস রায়
🔶 কালিদাস রায়- সংস্কৃত ভাষার কবি।
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
🔶 সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত- ছন্দের যাদুকর।

১২. বটতলার পুঁথি বলতে বুঝায়-
[ক] মধ্যযুগীয় কাব্যের হস্তলিখিত পান্ডুলিপি
[খ] বটতলা নামক স্থানে রচিত কাব্য
[গ] দোভাষী বাংলায় রচিত পুঁথি সাহিত্য
✅ অবিমিশ্র দেশজ বাংলায় রচিত লোকসাহিত্য

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 মধ্যযুগে সাহিত্যিকরা আরবি, ফারসি, হিন্দি, বাংলা ও ইংরেজি শব্দের মিশ্রণে দোভাষী পুঁথি সাহিত্য রচনা করতো। এই পুঁথি সাহিত্যগুলি কলকাতার বটতলা নামক স্থানের সস্তা প্রেস থেকে মুদ্রিত হতো বলে হীনার্থে ওগুলোকে বলা হতো- ‘বটতলার পুঁথি’।
🔶 এখান থেকে পুস্তক প্রকাশিত হতো- ঊনিশ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত।

১৩. এক কথায় প্রকাশ করুন- ‘যা বলা হয়নি’
[ক] অউক্ত
[খ] অব্যক্ত
✅ অনুক্ত
[ঘ] অব্যাক্ত

১৪. কবি গান রচয়িতা এবং গায়ক হিসেবে এরা উভয়েই পরিচিত-
[ক] রাম বসু এবং ভোলা ময়রা
✅ এন্টনি ফিরিঙ্গি এবং রামপ্রসাদ রায়
[গ] সাবিরিদ খান এবং দাশরথী রায়
[ঘ] আলাওল ও ভারতচন্দ্র

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 রাম বসু, ভোলা ময়রা, এন্টনি ফিরিঙ্গি, হরুঠাকুর, নিতাই বৈরাগী, তারকচন্দ্র সরকার প্রমুখ- বিখ্যাত কবিওয়ালা।
🔶 এক ধরনের প্রতিযোগিতামূলক গান- কবিগান।
🔶 দুটি দলে এ প্রতিযোগিতা হয়- প্রত্যেক দলের দলপতিকে বলে কবিয়াল বা সরকার, সঙ্গীদের বলে দোহার।
🔶 গোজলা গুঁইকে বলা হয়- কবিগানের আদি কবিয়াল।

১৫. কোন শব্দে ধাতুর সঙ্গে প্রত্যয় যুক্ত হয়েছে?
[ক] ঠগী
[খ] পানাস
✅ পাঠক
[ঘ] সেলামী

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 পাঠক = পঠ্ + অক, ঠগী = ঠগ + ঈ, সেলামী = সেলাম + ঈ।

১৬. বাগধারা যুগলদের মধ্যে কোন জোড়া সর্বাধিক সমার্থবাচক?
[ক] অমাবস্যার চাঁদ; আকাশ কুসুম
✅ বক ধার্মিক; বিড়াল তপস্বী
[গ] রুই-কাতলা; কেউ কেটা
[ঘ] বক ধার্মিক; ভিজে বেড়াল

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
বক ধার্মিক; বিড়াল তপস্বী
🔶 বক ধার্মিক- (ভন্ড), বিড়াল তপস্বী- (ভন্ড)।
অমাবস্যার চাঁদ; আকাশ কুসুম
🔶 অমাবস্যার চাঁদ- (অদৃশ্য বস্তু), আকাশ কুসুম- (অসম্ভব কল্পনা)।
রুই-কাতলা; কেউ কেটা
🔶 রুই-কাতলা- (নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ), কেউ কেটা- (সামান্য)।
বক ধার্মিক; ভিজে বেড়াল
🔶 বক ধার্মিক- (ভন্ড), ভিজে বেড়াল- (কপটচারী)।

১৭. বাংলা সাহিত্যের সর্বাধিক সমৃদ্ধ ধারা-
[ক] নাটক
[খ] ছোট গল্প
[গ] প্রবন্ধ
✅ গীতি কবিতা

১৮. মুসলমান কবি রচিত প্রাচীনতম বাংলা কাব্য-
✅ ইউসুফ জুলেখা
[খ] রসুল বিজয়
[গ] নূরনামা
[ঘ] শবে মেরাজ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ইউসুফ জুলেখা
🔶 বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম মুসলমান কবি শাহ মুহম্মদ সগীর রচিত প্রাচীনতম বাংলা কাব্য- রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ‘ইউসুফ জুলেখা’।
🔶 তিনি আনুমানিক- চতুর্দশ শতাব্দীর কবি।

রসুল বিজয়
🔶 ‘রসুল বিজয়’ গ্রন্থের রচয়িতা- জৈনুদ্দিন ও সাবিরিদ খান।
নূরনামা
🔶 ‘নূরনামা’ গ্রন্থের রচয়িতা- আব্দুল হাকিম।
শবে মেরাজ
🔶 ‘শবে মেরাজ’ গ্রন্থের রচয়িতা- সৈয়দ সুলতান।

১৯. বাংলাভাষা এই শব্দ দুটি গ্রহণ করেছে চীনা ভাষা হতে-
[ক] চাকু, চাকর
[খ] খদ্দর, হরতাল
✅ চা, চিনি
[ঘ] রিকশা, রেস্তোঁরা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
চা, চিনি
🔶 চীনা ভাষা হতে বাংলাভাষা গ্রহণ করেছে- চা, চিনি।
চাকু, চাকর
🔶 চাকু, চাকর- তুর্কি শব্দ।
খদ্দর, হরতাল
🔶 খদ্দর, হরতাল- গুজরাটি শব্দ।
রিকশা, রেস্তোঁরা
🔶 রিকশা- জাপানি শব্দ; রেস্তোঁরা- ফরাসি শব্দ।

২০. ড.  মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন প্রধানত-
✅ ভাষাতত্তববিদ
[খ] সাহিত্যের ইতিহাস রচয়িতা
[গ] ইসলাম প্রচারক
[ঘ] সমাজ সংস্কারক

 GK - সাধারণ জ্ঞান 
 বাংলা - Bangla Literature 
 ১৬তম পর্ব 

১. ‘বৈরাগ্য সাধনে- সে আমার নয়।’ শূন্যস্থান পূরণ করুন।
[ক] আনন্দ
✅ মুক্তি
[গ] বিশ্বাস
[ঘ] আশ্বাস

২. সমাস ভাষাকে-
✅ সংক্ষেপ করে
[খ] বিস্তৃত করে
[গ] ভাষারূপ ক্ষুণ্ণ করে
[ঘ] অর্থবোধক করে

৩. ‘সূর্য’-এর প্রতিশব্দ-
[ক] সুধাংশু
[খ] শশাঙ্ক
[গ] বিধু
✅ আদিত্য

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 সূর্য-এর প্রতিশব্দ- আদিত্য, তপন, দিবাকর, ভাস্কর, ভানু, মার্তন্ড, রবি, সবিতা।
🔶 চাঁদের প্রতিশব্দ- সুধাংশ, শশাঙ্ক, বিধু।

৪. ‘অর্ধচন্দ্র’-এর অর্থ-
✅ গলা ধাক্কা দেয়া
[খ] অমাবস্যা
[গ] দ্বিতীয়ত
[ঘ] কাস্তে

৫. কোনটি শুদ্ধ?
[ক] সৌজন্নতা
[খ] সৌজন্যতা
[গ] সৌজনতা
✅ সৌজন্য

৬. বেগম রোকেয়ার রচনা কোনটি?
[ক] ভাষা ও সাহিত্য
[খ] আয়না
[গ] লালসালু
✅ অবরোধবাসিনী

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
অবরোধবাসিনী
🔶 ‘অবরোধবাসিনী’ প্রবন্ধ গ্রন্থের রচয়িতা- বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন।

ভাষা ও সাহিত্য
🔶 ‘ভাষা ও সাহিত্য’ প্রবন্ধ গ্রন্থের রচয়িতা- মুহাম্মদ আবদুল হাই।
আয়না
🔶 ‘আয়না’ গল্পগ্রন্থের রচয়িতা- আবুল মনসুর আহমেদ।
লালসালু
🔶 ‘লালসালু’ উপন্যাসের রচয়িতা- সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ।
🔶 সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য- পাশ্চাত্য অস্তিত্ববাদী দর্শন ও চেতনাপ্রবাহ রীতি।
🔶 সৈয়দ ওয়ালীউললাহ মৃত্যুবরণ করেন- ফ্রান্সের প্যারিসে।
🔶 ‘লালসালু’ উপন্যাসের ইংরেজি ও ফরাসি ভাষায় অনূদিত গ্রন্থ- ফরাসি: L Arbre Sams Maeme (১৯৬১), ইংরেজি : Tree Without Roots (১৯৬৭)।

৭. বাংলা গীতি কবিতায় ভোরের পাখি কে?
✅ বিহারীলাল চক্রবর্তী
[খ] প্যারীচাঁদ মিত্র
[গ] ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
[ঘ] শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বিহারীলাল চক্রবর্তীর উপাধি- ‘ভোরের পাখি’।
🔶 বাংলা গীতিকবিতার জনক- বিহারীলাল চক্রবর্তী।
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাকে এই উপাধি দেন- আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম যুগে সফল গীতিকবিতা রচনার জন্য।

৮. কোনটি শুদ্ধ বাক্য?
✅ একটা গোপনীয় কথা বলি
[খ] একটি গোপন কথা বলি
[গ] একটি গোপণ কথা বলি
[ঘ] একটি গুপ্ত কথা বলি

৯. ‘শিষ্টাচার’-এর সমার্থক শব্দ কোনটি?
[ক] নিষ্ঠা
✅ সদাচার
[গ] সততা
[ঘ] সংযম

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
সদাচার
🔶 ‘শিষ্টাচার’-এর সমার্থক শব্দ- ভদ্রতা, সৌজন্য, সদাচার।
নিষ্ঠা
🔶 ‘নিষ্ঠা’-এর সমার্থক শব্দ- একাগ্রতা, অনন্যচিত্ততা।
সততা
🔶 ‘সততা’-এর সমার্থক শব্দ- সত্যপরায়ণতা, সত্যনিষ্ঠা।
সংযম
🔶 ‘সংযম’-এর সমার্থক শব্দ- নিয়ন্ত্রণ, দমন।

১০. ‘সংশয়’-এর বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি?
[ক] নির্ভয়
[খ] বিস্ময়
✅ প্রত্যয়
[ঘ] দ্বিধা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রত্যয়
🔶 সংশয়-এর বিপরীতার্থক শব্দ- প্রত্যয়।
নির্ভয়
🔶 নির্ভয়-এর বিপরীতার্থক শব্দ- ভয়।
বিস্ময়
🔶 বিস্ময়-এর বিপরীতার্থক শব্দ- প্রত্যয়।
দ্বিধা
🔶 দ্বিধা-এর বিপরীতার্থক শব্দ- নির্দ্বিধা।

১১. ‘ক্ষমার যোগ্য’-এর বাক্য সংকোচন-
✅ ক্ষমার্হ
[খ] ক্ষমাপ্রার্থী
[গ] ক্ষমা
[ঘ] ক্ষমাপ্রদ

১২. ‘মোস্তফা চরিত’ গ্রন্থের রচয়িতা-
[ক] মুহম্মদ আব্দুল হাই
[খ] মোঃ বরকতুল্লাহ
[গ] ড.  মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
✅ মওলানা আকরম খাঁ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 মওলানা আকরম খাঁর (১৮৬৮-১৯৬৮) শ্রেষ্ঠ রচনা- ‘মোস্তফা চরিত’ (১৯২৩)।
🔶 এটি- হযরত মুহম্মদ (স)-এর জীবনীমূলক রচনা।
🔶 তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ- ‘তফসিরুল কুরআন’ (পবিত্র কুরআনের বঙ্গানুবাদ), ‘সমাজ ও সমাধান’,‘ মোসলেম বাংলার সামাজিক ইতিহাস’, ‘মুক্তি ও ইসলাম’।

১৩. ‘আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর’ গ্রন্থটির রচয়িতা-
[ক] মুহম্মদ আব্দুল হাই
[খ] ড.  মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
✅ আবুল মনসুর আহমদ
[ঘ] আতাউর রহমান

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 আবুল মনসুর আহমেদ রচিত একটি প্রবন্ধ- ‘আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর’।

১৪. পুঁথি সাহিত্যের প্রাচীনতম লেখক-
[ক] ভারত চন্দ্র রায়
[খ] দৌলত কাজী
✅ সৈয়দ হামজা
[ঘ] আব্দুল হাকিম

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 উত্তরটি সর্বাংশে সঠিক নয়। একমাত্র পুঁথি সাহিত্য রচনা করেন- সৈয়দ হামজা। তবে তিনি প্রথম আদি রচয়িতা নন।
🔶 পুঁথি সাহিত্য রচনা করেননি- ভারতচন্দ্র, দেŠলত কাজী, আবদুল হাকিম।
🔶 পুঁথি সাহিত্যের প্রথম সার্থক ও জনপ্রিয় লেখক- ফকির গরীবুল্লাহ।

১৫. ‘চাচা কাহিনীর’ লেখক-
[ক] সৈয়দ শামসুল হক
✅ সৈয়দ মুজতবা আলী
[গ] শওকত ওসমান
[ঘ] ফররুখ আহমেদ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 সৈয়দ মুজতবা আলীর একটি বিখ্যাত রম্যরচনা (গল্পগ্রন্থ)- ‘চাচা কাহিনী’।

১৬. বিভক্তিযুক্ত শব্দ ও ধাতুকে বলে-
[ক] শব্দ
[খ] কারক
✅ পদ
[ঘ] ক্রিয়াপদ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
পদ
🔶 বিভক্তিযুক্ত শব্দ ও ধাতুকে বলে- পদ।
🔶 বাক্যের অন্তর্গত প্রত্যেকটি শব্দকেও বলে- পদ।
শব্দ
🔶 কিছু ধ্বনি উচ্চারিত হয়ে বা বর্ণ একত্র হয়ে যদি নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ করে, তবে তাকে বলে- শব্দ।
কারক
🔶 বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সাথে নাম পদের যে সম্পর্ক তাকে বলে- কারক।
ক্রিয়াপদ
🔶 ধাতুর সঙ্গে পুরুষ অনুযায়ী কালবাচক বিভক্তিযুক্ত হয়ে গঠিত হয়- ক্রিয়াপদ।

১৭. ‘রাজলক্ষ্মী’ চরিত্রের স্রষ্টা ঔপন্যাসিক-
[ক] বঙ্কিমচন্দ্র
✅ শরৎচন্দ্র
[গ] তারাশংকর
[ঘ] নজরুল ইসলাম

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘রাজলক্ষ্মী’ চরিত্রের স্রষ্টা ঔপন্যাসিক- শরৎচন্দ্র।
🔶 শরৎচন্দ্রের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস- ‘শ্রীকান্ত’ (আত্মচরিতমূলক)।
🔶 উপন্যাসটির নায়ক- শ্রীকান্ত, নায়িকা রাজলক্ষ্মী।

 GK - সাধারণ জ্ঞান 
 বাংলা - Bangla Literature 
 ১৫তম পর্ব 

১. ‘আনারস’ এবং ‘চাবি’ শব্দ দুটি বাংলা ভাষা গ্রহণ করেছে-
✅ পর্তুগীজ ভাষা হতে
[খ] আরবি ভাষা হতে
[গ] দেশী ভাষা হতে
[ঘ] ওলন্দাজ ভাষা হতে

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘আনারস’ এবং ‘চাবি’ শব্দ দুটি বাংলা ভাষা গ্রহণ করেছে- পর্তুগীজ ভাষা হতে।
🔶 আরো কিছু পর্তুগিজ শব্দ- আলপিন, আলমারি, গুদাম, পাউরুটি, বালতি ইত্যাদি।

২. শুদ্ধ বানান কোনটি?
[ক] মূমুর্ষু
✅ মুমূর্ষু
[গ] মূমূর্ষ
[ঘ] মুমূর্ষ

৩. গুরুচন্ডালী দোষমুক্ত কোনটি?
[ক] শব পোড়া
[খ] মড়া দাহ
✅ শবদাহ
[ঘ] শবমড়া

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
শবদাহ
🔶 তৎসম শব্দের সাথে দেশীয় শব্দের প্রয়োগে কখনো কখনো সৃষ্টি হয়- গুরুচন্ডালী দোষ।
🔶 এ দোষে দুষ্ট শব্দ- তার যোগ্যতা হারায়।
🔶 শবদাহ- শব (তৎসম শব্দ) + দাহ (তৎসম শব্দ)। অতএব, খুবই সহজেই বুঝা যাচ্ছে শবদাহ গুরচন্ডালী দোষমুক্ত।
শব পোড়া
🔶 শব পোড়া- শব (তৎসম শব্দ) + পোড়া (দেশী শব্দ)।
মড়া দাহ
🔶 মড়া দাহ- মড়া (দেশী শব্দ) + দাহ (তৎসম শব্দ)।
শবমড়া
🔶 শব মড়া- শব (তৎসম শব্দ) + মড়া (দেশী শব্দ)।

৪. ‘কবর’নাটকটির লেখক-
[ক] জসীমউদ্দীন
[খ] নজরুল ইসলাম
✅ মুনীর চৌধুরী
[ঘ] দ্বিজেন্দ্রলাল রায়

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘কবর’ নাটকের রচয়িতা- নাট্যকার মুনীর চৌধুরী।
🔶 নাটকটি রচিত- ’৫২ এর ভাষা আন্দোলনের উপর ভিত্তি করে।
🔶 তিনি নাটকটি রচনা করেন- জেলে বসে, ১৯৫৩ সালে।

৫. ‘উভয়কূল রক্ষা’ অর্থে ব্যবহৃত প্রবচন কোনটি?
[ক] কারো পোষ মাস, কারো সর্বনাশ
[খ] চাল না চুলো, ঢেঁকী না কুলো
✅ সাপও মরে, লাঠিও না ভাঙে
[ঘ] বোঝার উপর শাকের আঁটি

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘সাপও মরে লাঠিও না ভাঙ্গে’ অর্থ- উভয়কূল রক্ষা করা।
🔶 ‘কারো পোষ মাস কারও সর্বনাশ’ অর্থ- কারও সুদিন কারও দুর্দিন।
🔶 ‘চাল না চুলো, ঢেকী না কুলো’ অর্থ- নিতান্ত গরিব।
🔶 ‘বোঝার উপর শাকের আটি’ অর্থ- অতিরিক্তের অতিরিক্ত।

৬. শুদ্ধ বাক্য কোনটি?
[ক] দুর্বলবশত অনাথিনী বসে পড়ল
[খ] দুর্বলতাবশতঃ অনাথিনী বসে পড়ল
✅ দুর্বলতাবশত অনাথা বসে পড়ল
[ঘ] দুর্বলবশত অনাথা বসে পড়ল

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 অনাথ শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ- অনাথা।
🔶 বর্তমানে বানান রীতি অনুসারে শব্দের শেষে ‘ঃ’ বসে না। তাই ‘দুর্বলতাবশতঃ’ এর শুদ্ধরূপ- ‘দুর্বলতাবশত’।

৭. ক্রিয়া পদের মূল অংশকে বলা হয়-
[ক] বিভক্তি
✅ ধাতু
[গ] প্রত্যয়
[ঘ] কৃৎ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ধাতু
🔶 ক্রিয়াপদের মূল অংশকে বলা হয়- ধাতু। যেমন- করা এর ধাতু কর; পড়া এর ধাতু পড়।
বিভক্তি
🔶 বাক্যস্থিত একটি শব্দের সঙ্গে অন্য শব্দের অন্বয় সাধনের জন্য শব্দের সঙ্গে যে সকল বর্ণ যুক্ত হয়, তাদের বলে- বিভক্তি।
প্রত্যয়
🔶 যে বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি ধাতু বা প্রাতিপাদিকের পর যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে, তাকে বলে- প্রত্যয়।
🔶 প্রত্যয় ২ প্রকার- কৃৎ প্রত্যয় ও তদ্ধিত প্রত্যয়।
কৃৎ
🔶 ক্রিয়াবাচক শব্দের সাথে যুক্ত হয়- কৃৎ প্রত্যয়।

৮. ‘রত্নাকর’ শব্দটির সন্ধি বিচ্ছেদ-
[ক] রত্না + কর
[খ] রত্ন + কর
[গ] রত্না + আকর
✅ রত্ন + আকর

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 অ-কার কিংবা আ-কারের পর অ-কার থাকলে উভয়ে মিলে হয়- আ-কার।
🔶 আ-কার যুক্ত হয়- পূর্ববর্তী ব্যঞ্জনের সাথে। অ + আ = আ।

৯. কোন দ্বিরুক্ত শব্দ জুটি বহুবচন সংকেত করে?
✅ পাকা পাকা আম
[খ] ছি ছি কি করছ
[গ] নরম নরম হাত
[ঘ] উড়ূ উড়ূ মন

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
পাকা পাকা আম
🔶 বহুবচন নির্দেশক- পাকা পাকা আম।
ছি ছি কি করছ
🔶 ভাবের গভীরতা বোঝাতে- ছি ছি, কি করছ?
নরম নরম হাত
🔶 তীব্রতা বা সঠিকতা বোঝাতে- গরম গরম জিলাপী। নরম নরম হাত।
উড়ূ উড়ূ মন
🔶 সামান্যতা বোঝাতে- উড়ু উড়ু মন।

১০. কোন প্রবচন বাক্য ব্যবহারিক দিক হতে সঠিক?
[ক] যত গর্জে তত বৃষ্টি হয় না
✅ অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট
[গ] নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা
[ঘ] যেখানে বাঘের ভয় সেখানে বিপদ হয়

১১. বাংলায় টিএস এলিয়টের কবিতার প্রথম অনুবাদক-
✅ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
[খ] বিষ্ণু দে
[গ] সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
[ঘ] বুদ্ধদেব বসু

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 সর্বপ্রথম টিএস এলিয়টের কবিতা বাংলায় অনুবাদ করেন- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
🔶 তিনি এ অনুবাদ করেছিলেন- এ দেশের কবিদের আধুনিক কবিতার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য।
🔶 বুদ্ধদেব বসুও টিএস এলিয়টের কবিতার অনুবাদ প্রকাশ করেন- ‘এলিয়টের কবিতা’ নামে।

১২. ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থে সংকলিত প্রথম কবিতা-
[ক] অগ্রপথিক
[খ] বিদ্রোহী
✅ প্রলয়োল্লাস
[ঘ] ধূমকেতু

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থে সংকলিত প্রথম কবিতা- ‘প্রলয়োল্লাস’।

১৩. ‘শেষের কবিতা’ রবীন্দ্রনাথ রচিত-
[ক] কবিতার নাম
[খ] গল্প সংকলনের নাম
✅ উপন্যাসের নাম
[ঘ] কাব্য সংকলনের নাম

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘শেষের কবিতা’ রবীন্দ্রনাথ রচিত- উপন্যাসের নাম।

১৪. কোন বাক্যে ‘মাথা’ শব্দটি বুদ্ধি অর্থে ব্যবহৃত?
[ক] তিনিই সমাজের মাথা
✅ মাথা খাটিয়ে কাজ করবে
[গ] লজ্জায় আমার মাথা কাটা গেল
[ঘ] মাথা নেই তার মাথা ব্যথা

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মাথা খাটিয়ে কাজ করবে
🔶 বুদ্ধি অর্থে- মাথা খাটিয়ে কাজ করবে।
তিনিই সমাজের মাথা
🔶 মোড়ল/প্রধান অর্থে- তিনিই সমাজের মাথা।
লজ্জায় আমার মাথা কাটা গেল
🔶 সম্মানহানি অর্থে- লজ্জায় মাথা কাটা গেল।
মাথা নেই তার মাথা ব্যথা
🔶 অবহেলা অর্থে- মাথা নেই তার মাথা ব্যাথা।

১৫. কোন শব্দে বিদেশী উপসর্গ ব্যবহৃত হয়েছে?
[ক] নিখুঁত
[খ] আনমনা
[গ] অবহেলা
✅ নিমরাজী

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
নিমরাজী
🔶 বিদেশী উপসর্গ ব্যবহৃত হয়েছে- নিমরাজী শব্দে।
🔶 নিমরাজী- এখানে নিম ফারসি উপসর্গ।
নিখুঁত
🔶 নিখুঁত- এখানে নি বাংলা উপসর্গ।
আনমনা
🔶 আনমনা- এখানে আন বাংলা উপসর্গ।
অবহেলা
🔶 অবহেলা- এখানে অব তৎসম উপসর্গ।

১৬. ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারি’র রচয়িতা কে?
[ক] শামসুর রাহমান
[খ] আলতাফ মাহমুদ
[গ] হাসান হাফিজুর রহমান
✅ আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারি’ বিখ্যাত গানটি মূলত- সাংবাদিক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী রচিত একটি কবিতা।

১৭. কোনটি তদ্ভব শব্দ?
✅ চাঁদ
[খ] সূর্য
[গ] নক্ষত্র
[ঘ] গগন

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 তদ্ভব শব্দ- চাঁদ।
🔶 সূর্য, গগন, নক্ষত্র- তৎসম শব্দ।
🔶 যেসব শব্দের মূল সংস্কৃত শব্দে পাওয়া যায়, কিন্তু ভাষার স্বাভাবিক বিবর্তন ধারায় প্রকৃতের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষায় স্থান করে নিয়েছে, সেসব শব্দকে বলে- তদ্ভব শব্দ। যেমন- সংস্কৃত-হস্ত > প্রাকৃত - হুত্থ > তদ্ভব-হাত।

১৮. বাংলায় কুরআন শরীফের প্রথম অনুবাদক কে?
[ক] কেশব চন্দ্র সেন
✅ গিরিশচন্দ্র সেন
[গ] মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী
[ঘ] মাওলানা আকরাম খাঁ

প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলায় কুরআন শরীফের প্রথম অনুবাদক- গিরিশচন্দ্র সেন।

গুরুত্বপূর্ণ GK - সাধারণ জ্ঞান বাংলা বিষয়াবলী প্রশ্ন ও উত্তর। GK - সাধারণ জ্ঞান বাংলা বিষয়াবলি। GK - সাধারণ জ্ঞান বাংলা বিষয়াবলী প্রশ্ন উত্তর। সাম্প্রতিক বাংলা GK - সাধারণ জ্ঞান আপডেট। বিসিএস বাংলা বিষয়াবলী প্রশ্ন ও উত্তর। GK - সাধারণ জ্ঞান সাম্প্রতিক বাংলা বিষয়াবলি। General knowledge in Bangla current affairs question and answer. Bangla Affairs General Knowledge MCQ. General Knowledge Bangla affairs for BCS Preparation. General Knowledge in Bangla affairs for Govt Job Preparation. General Knowledge Bangla affairs for all Jobs Preparation. GK in Bangla.

 গুরুত্বপূর্ণ GK - সাধারণ জ্ঞানের লিংকসমূহঃ