G

HSC পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর pdf download অধ্যায়-০৭

এইচএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্র
৭ম অধ্যায়
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

HSC Physics 1st Paper pdf download
Chapter-07
Srijonshil
Question and Answer

ক নং প্রশ্ন (জ্ঞানমূলক)
প্রশ্ন-১. আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল কী?
উত্তর: পদার্থের অণুগুলো পরস্পর যে বল দ্বারা যুক্ত হয়ে বিভিন্ন ভৌত কাঠামো গঠন করে তাকে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বল বলে।

প্রশ্ন-২. আয়নিক যৌগ কাকে বলে?
উত্তর: আয়নিক বন্ধন দ্বারা সৃষ্ট যৌগকে আয়নিক যৌগ বলে।

প্রশ্ন-৩. সমযোজী বন্ধন কাকে বলে?
উত্তর: অনুষ্ঠানের সময় যদি পরমাণু নিজ নিজ বহিঃস্তরে নিসিক্রয় গ্যাসের স্থিতিশীল ইলেকট্রন কাঠামো অর্জনের উদ্দেশ্য সমান সংখ্যক অণুযুগল ইলেকট্রন সরবরাহ করে এক বা একাধিক ইলেকট্রন জোড় সৃষ্টি করে এবং উভয় পরমাণু তা সমানভাবে শেয়ার করে তবে পরমাণুদ্বয়ের মধ্যে যে বন্ধন গঠিত হয় তাকে সমযোজী বন্ধন বলে।

প্রশ্ন-৪. ভ্যানডার ওয়ালস পারস্পরিক ক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তর: যে পারস্পরিক ক্রিয়ার ফলে এ ভ্যানডার ওয়ালস বল সৃষ্টি হয় তাকে ভ্যানডার ওয়ালস পারস্পরিক ক্রিয়া বলে।

প্রশ্ন-৫. ভ্যানডার ওয়ালস বল কাকে বলে?
উত্তর: কাছাকাছি অবস্থিত পরমাণু সমূহের মধ্যে একটি সর্বজনীন দুর্বল আকর্ষণ বল ক্রিয়া করে। যে পারস্পরিক ক্রিয়ার ফলে এ বল সৃষ্টি হয় তাকে ভ্যানডার ওয়ালস বল বলে।

প্রশ্ন-৬. প্লাজমা অবস্থা কী?
উত্তর: অত্যধিক তাপমাত্রার বায়বীয় পদার্থের আয়নিক অবস্থাকে প্লাজমা অবস্থা বলে।

প্রশ্ন-৭. নমনীয় বস্তু কী?
উত্তর: বিকৃতিকারী বল অপসারণের পর যদি বস্তুর অবস্থার পুনঃপ্রাপ্তি না ঘটে তবে তাকে নমনীয় বল বলে।

প্রশ্ন-৮. নমনীয়তা কাকে বলে?
উত্তর: বিকৃতকারী বল অপসারণের পর যদি বস্তুর অবস্থান পুনঃপ্রাপ্তি না ঘটানোর ধর্মকে নমনীয়তা বলে।

প্রশ্ন-৯. সমপ্রবাহ কী?
উত্তর: প্রবাহীর বেগ সর্বদা ধ্রুব থাকলে তাকে সমপ্রবাহ বলে।

প্রশ্ন-১০. অসমপ্রবাহ কী?
উত্তর: যদি সর্বক্ষণ প্রবাহীর বেগ একই না থাকে তবে তাকে স্থির প্রবাহ বলে।

প্রশ্ন-১১. সমরেখ প্রবাহ কী?
উত্তর: যদি প্রবাহীর বিভিন্ন স্তর পরস্পরের সমান্তরালে চলে তবে তাকে সমরেখ প্রবাহ বলে।

প্রশ্ন-১২. বিক্ষিপ্ত প্রবাহ কী?
উত্তর: যদি প্রবাহীর স্তর পরস্পরের সমান্তরালে না চলে তবে তাকে বিক্ষিপ্ত প্রবাহ বলে।

প্রশ্ন-১৩. সংকট বেগ কাকে বলে?
উত্তর: সর্বাধিক যে বেগ পর্যন্ত কোনো তরলের প্রবাহ ধারে রেখে প্রবাহ বজায় রাখে সে বেগকে সংকট বেগ বলে।

প্রশ্ন-১৪. স্পর্শ কোণ কী?
উত্তর: কঠিন ও তরলের স্পর্শ বিন্দু হতে তরল তলে অঙ্কিত স্পর্শক কঠিন বস্তুর সাথে তরলের মধ্যে যে কোণ উৎপন্ন করে তাকে ঐ কঠিন ও তরলের মধ্যকার স্পর্শ কোণ বলে।
HSC পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর অধ্যায়-০৭
খ নং প্রশ্ন (অনুধাবনমূলক)
প্রশ্ন-১: কোনো তারের দৈর্ঘ্য অর্ধেক করলে তারের অসহ বলের কী পরিবর্তন ঘটে?
উত্তর: তারের দৈর্ঘ্য অর্ধেক করলে তারের অসহ বলের কোনো পরিবর্তন ঘটে না।
কারণ, অসহ বল = অসহ পীড়ন × তারের প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল।
যেহেতু দৈর্ঘ্যের উপর অসহ বল নির্ভর করে না সেহেতু দৈর্ঘ্য পরিবর্তনে অসহ বল পরিবর্তন হয় না।

প্রশ্ন-২: স্প্রিং সাধারণত ইস্পাতের তৈরি হয় তামার তৈরি হয় না কেন?
উত্তর: স্প্রিং সাধারণত ইস্পাতের তৈরি হয়, তামার হয় না।
কারণ: ইস্পাতের স্থিতিস্থাপকতা তামার তুলনায় বেশি। অর্থাৎ তামার তুলনায় ইস্পাতের স্থিতিস্থাপক সীমার মান বেশি। মনে করি, একই আকারের একটি ইস্পাতের তৈরি ও অপরটি তামার তৈরি দুটি স্প্রিং-এর উপর সমান বল প্রয়োগ করা হল। আস্তে আস্তে প্রযুক্ত বলের মান বাড়ানো হলে দেখা যাবে, যে বলের ক্রিয়ায় ইস্পাতের তৈরি স্প্রিংয়ে স্থিতিস্থাপকতা ধর্ম বজায় থাকছে সেই বলের ক্রিয়ায় তামার তৈরি স্প্রিংয়ে স্থায়ী বিকৃতি ঘটছে। তাই স্প্রিং সাধারণত তামার পরিবর্তে ইস্পাত দিয়ে তৈরি হয়।

প্রশ্ন-৩. স্থিতিস্থাপক বস্তুর ক্ষেত্রে পীড়ন ও বিকৃতির মধ্যে কোনটি মৌলিক ও কেন?
উত্তর: স্থিতিস্থাপক বস্তুর ক্ষেত্রে পীড়ন ও বিকৃতির মধ্যে বিকৃতি মৌলিক।
কারণ: বাহ্যিক বলের প্রভাবে কোনো স্থিতিস্থাপক বস্তুর মধ্যে বিকৃতির সৃষ্টি হলে বস্তুর মধ্যে যে প্রতিক্রিয়া বলের উদ্ভব হয় তাকে পীড়ন বলে। এই পীড়ন বস্তুকে পূর্বের অবস্থায় নিয়ে যেতে সাহায্য করে। অর্থাৎ বিকৃতির সৃষ্টি হলে তবেই পীড়নের উদ্ভব হয়। সুতরাং বিকৃতি হলো মৌলিক।

প্রশ্ন-৪. সমান ব্যাস ও দৈর্ঘ্যের ফাঁপা ও নিরেট দন্ডের মধ্যে কোনটির দৃঢ়তা বেশি - ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: আমরা জানি, ব্যবর্ত দৃঢ়তা, C =  eq \f(npr⁴,2l) = একক কৃন্তন বিকৃতির জন্য উৎপন্ন প্রতিক্রিয়া বলের ভ্রামক।
∴ নিরেট দন্ডটির ব্যবর্ত দৃঢ়তা, C1 =  eq \f(npr⁴,2l)
এখানে, r = দন্ডের উপাদানের দৃঢ়তা গুণাঙ্ক, r = দন্ডের ব্যাসার্ধ এবং l = দন্ডের দৈর্ঘ্য
∴ ফাঁপা দন্ডটির ব্যবর্তন দৃঢ়তা, C2 =  eq \f(np(r⁴ - x⁴),2l)
এখানে, r = ফাঁপা দন্ডের বাইরে ব্যাসার্ধ এবং x = ফাঁপা দন্ডের ভিতরের ব্যাসার্ধ
∴  eq \f(C1,C2) =  eq \f(r⁴,r⁴ - x⁴) > 1
∴ C1 > C2
সুতরাং নিরেট দন্ডটির দৃঢ়তা ফাঁপা দন্ডটি অপেক্ষা বেশি হবে।

প্রশ্ন-৫. টান করা তার হঠাৎ ছিঁড়ে গেলে তারের উষ্ণতার পরিবর্তন হয় কেন?
উত্তর: টান টান করা তার হঠাৎ ছিঁড়ে গেলে তারের উষ্ণতা পরিবর্তিত হয়।
কারণ: কোনো তারের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি ঘটাতে তারের অণুগুলোর আন্তঃআণবিক বলের বিপরীতে কিছু কাজ সম্পাদন করতে হয়। এ কাজ তারের মধ্যে স্থিতিশক্তি হিসেবে সঞ্চিত থাকে। তারটি যখন হঠাৎ ছিড়ে যায়, তখন ঐ স্থিতিশক্তি তাপশক্তিতে রূপান্তরিত হয়। ফলে তারের উষ্ণতা বাড়ে।

প্রশ্ন-৬. বায়ুতে পানির ক্ষুদ্র ফোঁটা গোলাকার হয় কেন?
উত্তর: বায়ুতে পানির ক্ষুদ্র ফোঁটা গোলাকার হয়।
কারণ: পৃষ্ঠটানের জন্য পানির পৃষ্ঠ সংকুচিত হয়ে ন্যূনতম ক্ষেত্রফল ধারণ করতে চায়। বায়ুতে অল্প আয়তনের পানি বিন্দু গোলক আকার ধারণ করে। কারণ সমান আয়তনের বিভিন্ন আকৃতির বস্তুর মধ্যে গোলকের পৃষ্ঠতলের ক্ষেত্রফল ন্যূনতম হয়।

প্রশ্ন-৭. দুইটি অণুর মধ্যকার সংসক্তি বলের আণবিক পাল্লা 10⁻⁹m বলতে কী বোঝ?
উত্তর : একই পদার্থের দুইটি অণুর সংসক্তি বল সর্বাপেক্ষা যতদূর পর্যন্ত অনুভূত হয় তাকে সংসক্তি বলের আণবিক পাল্লা বলে।
সংসক্তি বলের আণবিক পাল্লা 10⁻⁹m এর অর্থ : সংসক্তি বলের আণবিক পাল্লা 10⁻⁹m বলতে বোঝায়, সংশ্লিষ্ট পদার্থের দুইটি অণু সর্বাপেক্ষা 10⁻⁹ দূরত্বে অবস্থান করলে সংসক্তি বল ক্রিয়া করবে। এর ক্ষেত্রে বেশি দূরত্বে সংসক্তি বল ক্রিয়াশীল হবে না।

Sure Success
HSC Physics 1st Paper Lecture Guide
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির
পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্র

No comments:

Post a Comment