G

বাংলাদেশের কৃষিজ সম্পদ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী

বাংলাদেশের উন্নত জাতের কৃষিপণ্যঃ

১. উত্তরা উন্নত জাতের বেগুন।

২. অমৃতসাগর, কাঁনাইবাশী, মেহেরসাগর, মোহনবাঁশি, বীটজবা, উন্নত জাতের কলা।

৩. পদ্মা উন্নত জাতের তরমুজ।

৪. হীরা, সিন্দুরী, ডায়মন্ড, কুফরী উন্নত জাতের আলু।

৫. কমলা, সুন্দরী উন্নত জাতের মিষ্টি আলু।

৬. রাক্ষুসী উন্নত জাতের ফুলকপি।

৭. প্রভাতী উন্নত জাতের বাধাকপি।

৮. মানিক, রতন, রুমা, বাহার, উন্নত জাতের টমেটো।

৯. জৈন্তা উন্নত জাতের গোলমরিচ।

১০. উত্তরা উন্নত জাতের বেগুন।

১১. ইশ্বরদী-২৪৫ হলো উন্নত জাতের ইক্ষু।

১২. রূপালী ও ডেলফোজ দুটি উন্নত জাতের তুলা।

১৩. সফল ও অগ্রণী হলো উন্নত জাতের সরিষা।

১৪. সুমাত্রা, ম্যানিলা উন্নত জাতের তামাক।

১৫. উন্নত জাতের কয়েকটি গম-আকবর, বরকত, আনন্দ, কাঞ্চন, দোয়েল, শতাব্দী ইত্যাদি।

১৬. কয়েকটি উন্নত জাতের ধান-চান্দিনা, মালা, বিপ্লব, আশা, প্রগতি, মুক্তা, ব্রিশাইল, আই.আর-৮, আলোক-৬২০১, ইরিটম-২৪, ইত্যাদি।

১৭. বর্ণালী, শুভ্র, মোহর উন্নত জাতের ভুট্টা
বাংলাদেশের কৃষিজ সম্পদ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী

বাংলাদেশের কৃষিজ সম্পদ (ধান, পাট, গম, তামাক, আখ, চা ও অন্যান্য):

১. দেশের মোট কৃষি জমি____হেক্টর।

২. চাষযোগ্য জমি____একর।

৩. মাথাপিছু আবাদী জমি:____একর।

৪. জিপি.পিতে কৃষির অবদান____।

৫. চরীত বাজেটে কৃষিতে ভর্তুকি____।

৬. বাংলাদেশের মোট শ্রমশক্তির বেশীরভাগ (___) কৃষিতে নিয়োজিত।

৭. কৃষির অন্তর্ভূক্ত বিষয় হলো শস্য, প্রাণীজ, মৎস ও বনজ সংশ্লিষ্ট কার‌্যাবলী।

৮. পাট উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়। প্রথম-ভারত। জুটন হলো- পাট ও সুতার মিশ্রনে তৈরি কাপড়। যার উদ্ভাবক ড. মোহাম্মদ সিদ্দিকুল্লাহ (১৯৮৯)। সবচেয়ে বেশি পাট হয় রংপুরে।

৯. দেশের দ্বিতীয় অর্থকরী ফসল- চা। (    ) টি চা বাগান রয়েছে। সিলেটের মালনীছড়ায় প্রথম ১৮৫৪ সালে চা চাষ শুরু হয়। চা রপ্তানীতে বিশ্বে বাংলাদেশ অষ্টম। চা গবেষণা কেন্দ্র শ্রীমঙ্গলে। দেশের সবচেয়ে বেশি চা বাগান মৌলভীবাজারে (৯২টি)। (BT-1, BT-2, BT-12) ইত্যাদি সব উন্নত জাতের চা। 

১০. ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে ৪র্থ। সবচেয়ে বেশি ধান উৎপন্ন হয় ময়মনসিংহ জেলায়। BRRI গাজীপুরে অবস্থিত। সবচেয়ে বেশি গম হয়- রংপুরে। গম গবেষণা কেন্দ্র-দিনাজপুরে। সবচেয়ে বেশি তামাক উৎপন্ন হয় রংপুরে। সবচেয়ে বেশি রেশম চাষ হয় চাঁপাই নবাবগঞ্জ। বরিশালকে শস্য খাণ্ডার বলে। তুলাকে সূর্যের কন্যা বলা হয়। সবচেয়ে বেশি তুলা উৎপন্ন হয় যশোরে। সবচেয়ে বেশি গোলআলু হয় মুন্সীগঞ্জে।

১১. সবচেয়ে বেশি রাবার হয় কক্সবাজারের রামুতে।

১২. স্বর্ণা সারের উদ্ভাবক ড. আব্দুল খালেক (১৯৮৭)।

১৩. সবচেয়ে বড় সেচ প্রকল্প, তিস্তা সেচ প্রকল্প।

১৪. বৃষি যাদুঘর, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহে।

১৫. একটি কাচা পাটের গাইটের ওজন ৪১/২ মণ।

১৬. জাতীয় কৃষিনীতি প্রণীত হয় ১৯৯৯ সালে।

১৭. বাংলাদেশে ফসল তোলা ঋতু ৩টি। যথা ভাদোই, হৈমন্তিক ও রবি।

১৮. বাংলাদেশে এই পর্যন্ত ৪টি (প্রথমটি-১৯৭৭ (ফল প্রকাশিত হয় ১৯৮০ সালে), দ্বিতীয়টি ১৯৮৬ সালে, তৃতীয়টি ১৯৯৭ সালে, চতুর্থটি ২০০২ সালে} কৃষি শুমারী হয়।

১৯. রবি শস্য বলতে শীতকালীন শস্যকে বুঝায়।

২০. খরিপ শস্য বলতে গ্রীস্মকালীন শস্যকে বুঝায়।

২১. বাংলাদেশে রাসায়নিক সারের ব্যবহার শুরু হয় ১৯৫০ সালে।

২২. দেশের বৃহত্তম কৃষি খামার হলো ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানার দত্তনগর কৃষি খামার। এটি ১৯৬২ সালে কার্যক্রম চালু করে। ১৩৩৭ একর জমি নিয়ে এই খামার গঠিত হয়।

২৩. বাংলাদেশের রাবার চাষ শুরু হয় ১৯৬১ সালে।

২৪. বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সেচ প্রকল্প তিস্তা সেচ প্রকল্প (রংপুর)

২৫. বাংলাদেশ ডাল গবেষণা কেন্দ্র ঈশ্বরদীতে অবস্থিত।

২৬. মশলা গবেষনা কেন্দ্র বগুড়াতে অবস্থিত।

২৭. আম গবেষণা কেন্দ্র চাপাইনবাবগঞ্জে অবস্থিত।

২৮. সবচেয়ে বেশী আনারস উৎপাদন হয় টাঙ্গাইলে।

২৯. সর্বাধিক কলা উৎপাদন হয় নরসিংদীতে।

৩০. দেশের বৃহত্তম কৃষিখামার হলো দত্তনগর কৃষি খামার (ঝিনাইদহ)।

৩১. বাংলাদেশে কৃষি ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭২ সালে।

৩২. নেপিয়ার হলো এক জাতীয় ঘাস।

৩৩. কৃষির উন্নয়নে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রদান শুরু হয় ১৯৭৩ সালে।

৩৪. ‘রাষ্ট্রপতি পুরস্কারকে বঙ্গবন্ধু পুরস্কারে রূপান্তর করা হয় ১৯৯৭ সালে।

৩৫. বঙ্গবন্ধু পুরস্কারকে জাতীয় কৃষি পুরস্কারে রূপান্তর করা হয় ২০০২ সালে। 

৩৬. পাটের জিন নকশা উদ্ভাবন করেন বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলম।

বাংলাদেশের কৃষি সংশ্লিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানঃ

BARI: ১৯৭৬ সালে জয়দেবপুরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বায়ত্তশাসিত এ প্রতিষ্ঠানটিতে সহস্রাধিক কৃষিবিদ নিরলস পরিশ্রম এবং যুগোপযোগী গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন জাতের ফসল উদ্ভাবন করে দেশে এবং বিদেশে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছেন।

BRRI: ১৯৭০ সালের ১ অক্টোবর গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বা Bangladesh Rice Research Institute (BRRI) প্রতিষ্ঠিত হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের আতওতাধীন এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান লক্ষ্য ধান গবেসণার সঙ্গে যোগাযোগ ও তথ্যের আদান-প্রদান।

BADC: BADC-এর পূর্ণরূপ Bangladesh Agricultural Development Corporation বা বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন সংস্থা। কৃষিপ্রধান দেশ হিসেবে দেশের কৃষি কার্যক্রমের সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে ১৯৬১ সালে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।

BINA: Bangladesh Institute of Nuclear Agriculture বা বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭২ সালে। এটি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহে অবস্থিত। প্রধান কাজ উন্নততর ও নতুন প্রজাতি আবিস্কারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় গবেষণা করা।

No comments:

Post a Comment