G

বিভিন্ন সন-শতাব্দী এবং প্রাচীন স্থাপনা ও নির্মাতা

বিভিন্ন স্থাপনা ও নির্মাতাঃ

স্থাপনা > নির্মাতা
গ্রান্ড ট্রাংক রোড: শেরশাহ
সোমপুর বিহার: ধর্মপাল
উদন্তপুর বিহার: গোপাল
বিক্রমশীলা বিহার: ধর্মপাল
নালন্দার ধর্মমন্দির: মহীপাল
ষাট গম্বুজ সমজিদ: খানজাহান আলী
কোতয়ালী দরজা: নাসিরুদ্দীন মাহমুদ শাহ্
ছোট-সোনা মসজিদ: আলাউদ্দিন হুসেন শাহ্
বড় সোনা মসজিদ: নুসরত শাহ্
কদম রসুল মসজিদ: নুসরত শাহ্
আদিনা মসজিদ: সিকান্দার শাহ্

বিভিন্ন সন-শতাব্দীঃ

গুপ্তাব্দঃ ৩২০ সালে চন্দ্রগুপ্ত এই সাল গণনা প্রচলন করেন। এর অপর নাম ‘সংবৎ’।

বিক্রমাব্দঃ খ্রীঃ পুঃ ৫৭ অব্দে রাজা বিক্রমাদিত্যের আমলে এই সন গণনা শুরু হয়।

হিজরিঃ ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হযরত মুহম্মদ (সা)- এর মদীনায় গমন বা হিজরত হতে হিজরি সাল গণনা করা হয়। ইংরেজী ৬২২ সালে মহানবী হযরত (সা) মদীনায় হিজরত করেন। পরবর্তীকালে ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রাঃ) ৬২২ সালকে শুরু ধরে হিজরি সাল গণনা চালু করেন।

খ্রিস্টাব্দঃ খ্রিস্টাব্দ চালু করেন স্কাইথিয়ান সন্ন্যাসী। এটি রোমের প্রতিষ্ঠা থেকে ১ জানুয়ারি চালু করা হয়। এটা মূলত তৎকালীন রোমানদের গণনার একটা পর্যায়। ভ্রিস্টের জন্মের ৪ বছর পূর্ব হতে খ্রিস্টাব্দ চালু হয়।
বিভিন্ন সন-শতাব্দী এবং প্রাচীন স্থাপনা ও নির্মাতা

বাংলাসনঃ সম্রাট আকবরের রাজস্বমন্ত্রী টোডরমলের নেতৃত্বে গঠিত সংস্কার কমিটির সদস্য আমীর ফতেহউল্লাহ সিরাজী বাংলা সাল প্রতিষ্ঠা করেন। বাংলা সালের প্রবর্তক হিসেবে আকবর, টোডরমল বা ফতেহউল্লাহ সিরাজীর নাম উল্লেখ করা হয়। এ সন প্রবর্তনের সময় হিজরী সনকে এর উৎস সন হিসেবে গণনা করা হয়। সম্রাটের হিংহাসন আরোহনের (১৫৫৬ সালের ১১ এপ্রিল) সময়কাল ৯৬৩ হিজরি হতে এ সাল গণনা করা হয়। বাংলা সালের সাথে ৫৯৩ বছর ৩ মাস ১৩ দিন যোগে ইংরেজী সাল পাওয়া যায়।

বাংলা বর্ষপঞ্জিকা সংস্কারঃ ইংরেজী সনে যেভাবে অধিবর্ষ বা লিপ ইয়ার গণনা করা হয়, বাংলা সন গননায় তা ছিল না। এই সমস্যা দূর করার জন্য ১৯৬৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বাংলা কোডেমীর তত্ত্বাবধানে ড. মুহম্মদ মহীদুল্লাহর নেতৃত্বে একটি ‘বঙ্গাব্দ সংস্কার কমিটি’ গঠন করা হয়। উক্ত কমিটি চার বছর পর পর চৈত্র মাস ৩০ দিনের পরিবর্তে ৩১ দিন গণনা করার পরামর্শ দেয়। এভাবে বঙ্গাব্দ বিশ্বের আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত সনগুলোর সমমর্যাদা লাভ করে।


বিভিন্ন সালে আগত প্রশ্ন সংশ্লিষ্ট তথ্যাবলীঃ

১. সংস্কৃত বং ধাতু থেকে বঙ্গ শব্দের উৎপত্তি। ভাগীরথী নদীর পূর্বতীর থেকে আসামের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বঙ্গ গোষ্ঠীভুক্ত মানুষের বাস ছিল।

২. ঐতরেয় অরণ্যক গ্রন্থে প্রথম বঙ্গ নামের উল্লেখ পাওয়া যায় (৩০০০ B.C তে)

৩. প্রাচীন কর্ণসুবর্ণ বলতে মুর্শিদাবাদ জেলার রাঙামাটি গ্রামকে বোঝায়।

৪. আর্যদের ধর্ম গ্রন্থের নাম বেদ।

৫. ড. নীহার রঞ্জন রায়ের ‘বাঙ্গালীর ইতিহাস’ গ্রন্থে গ্রাচীন বাংলার সীমার উল্লেখ আছে।

৬. সপ্তম শতাব্দীতে রাজা শশাংক বাংলার জনপদকে গৌড় নামে একত্রিত করেন।

৭. সম্রাট অশোক কলিঙ্গের যুদ্ধের ভয়াবহতা দেশে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেন।

৮. সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী রাজবংশ পাল বংশ প্রায় চারশ বছর রাজত্ব করে।

৯. বঙ্গ নামে দেমের উল্লেখ পাওয়া যায় খ্রিষ্টপূর্ব তিন হাজার বছর পূর্বে।

১০. অনার্যরা হলো-নেগ্রিটো, অষ্ট্রিক, দ্রাবিড়, ভোটদীনীয়।

১১. সর্বশেষ মৌর্য সম্রাট বৃহদ্রথ।

১২. বিন্দুসারের পুত্র ছিলেন অশোক। বিন্দুসার সিরিয়ায় রাজার সঙ্গে চিঠিপত্র আদান-প্রদান করেন।

১৩. হযরত শাহাজালাল ইসলাম প্রচারে সিলেট আসেন সুলতান শামসুদ্দিন ফিরোজ শাহের আমলে

১৪. দিল্লীর সিংহাসনে আরোহনকারী প্রথম ও শেষ মুসলমান নারী সুলতানা রাজিয়া।

১৫. মরক্কোর পরিব্রাজক ইবনে বতুতা মোহাম্মদ বিন তুঘলকের আমলে দিল্লী আসেন।

১৬. বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতানী যুগের সূচনা করেন ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ্ ।

১৭. সুলতানা রাজিয়া বাহরাম শাহের তাতে পরাজিত ও নিহত হন।

১৮. সুলতান নাসিরুদ্দিন টুপি সেলাই ও কোরান নকল করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

১৯. কুরানের বিধান অনুযায়ী রাজ্য শাসন করতেন ফিরোজ শাহ্ তুঘলক।

২০. জালাল উদ্দিন মোহাম্মদ নাম ধারণ করে বাংলার সিংহাসনে আরোহণ করেন যদু সেন।

২১. দিল্লীর সুলতানগণ বাংলাকে বুলঘকপুর বলতেন কারণ বাঙ্গালীরা সুযোগ পেলে বিদ্রোহ করতো।

২২. বঙ্গ নামে দেশের উল্লেখ পাওয়া যায় খ্রিষ্টপূর্ব তিন হাজার বছর পূর্বে।

২৩. চট্টগ্রাম থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ করেন ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ্ ।

২৪. এয়োদশ শতকে বাংলাতে মুসলিম আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।

২৫. হাজ্জাজ-বিন ইউসুফ ছিলেন- আরবের (ইরাক) শাসন কর্তা।

২৬. আরবরা সিন্ধু আক্রমন করে- ৭১২ খ্রিস্টাব্দে।

২৭. আরবদের সিন্ধু অভিযানের নেতৃত্ব দেন মুহম্মদ বিন কাসিম।

২৮. বাংলার আকবর বলা হত- আলাউদ্দিন হুসেন শাহকে।

২৯. সর্বপ্রথম সমগ্র বাংলার অধিপতি হন- সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ।

No comments:

Post a Comment