গ্রামকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করার বর্ণনা দিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র

তোমার গ্রামকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে তুমি যেমন ভূমিকা পালন করবে তার বর্ণনা দিয়ে বন্ধুকে একটি পত্র লেখো।
[সি. বো. ১৫]

গ্রামকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করার বর্ণনা দিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র

রামপুরা, ঢাকা-১২১৯
৪ঠা জানুয়ারি, ২০২২

প্রিয় কমল,
শুভেচ্ছা নিয়ো। আশা করি ভালোই আছ। পথশিশুদের লেখাপড়া নিয়ে কাজ করছো শুনে খুব ভালো লাগল। তোমার মতোই আমিও মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। সে সম্পর্কে জানাব বলেই আজ লিখছি।
নিরক্ষরতার কুফল সম্পর্কে তোমার নিশ্চয়ই ভালো ধারণা আছে। এই অভিশাপ থেকে আমার প্রিয় গ্রামকে মুক্ত করার জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি। আশা করি আমার কাজটি সম্পর্কে জানলে তুমি খুশি হবে এবং নিজেও অনুপ্রাণিত হবে।

আমার প্রিয় গ্রামটি নিরক্ষরতার অভিশাপে অন্ধকারাচ্ছন্ন- এ বিষয়টি সত্যিই খুব হতাশাজনক। তাই আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি যেভাবেই হোক গ্রামকে নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করব। এজন্য গ্রামের শিক্ষিত ও সমাজসেবী মানুষদের সাথে কথা বলি। তাঁরা আমাদের উদ্দেশ্যের কথা শুনে খুব খুশি হলেন এবং নানা রকম পরামর্শ দিলেন। আমরা আমাদের গ্রামের স্কুল মাঠের একটি পাশে নৈশ বিদ্যালয় স্থাপন করেছি। গ্রামের নিরক্ষর পুরুষ, ছেলে, বউ-ঝিরা পড়ালেখা করতে অত্যন্ত আগ্রহের সাথে নৈশ বিদ্যালয়ে আসতে শুরু করেন। আমরা বন্ধুরা প্রত্যেকেই নিজেদের অবস্থান থেকে নিরক্ষরতামুক্ত আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছি। লেখাপড়ার প্রতি মানুষের এমন ইচ্ছাশক্তির উদাহরণ আমাদের দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করছে। আমাদের এখানে এসে বেড়িয়ে যাও। কোনো পরামর্শ থাকলে জানিয়ো। আজ আর নয়। উত্তর দিয়ো।

ইতি
তোমার বন্ধু
ইউসুফ

[নাম ঠিকানাসহ নমুনা খাম]

 

প্রেরক,

নাম: তারিকুল ইসলাম

ঠিকানা: তাজমহল রোড, চট্টগ্রাম।

ডাকটিকিট

প্রাপক,

নাম: সানজিদা আক্তার

ঠিকানা: সাউথ সেন্ট্রাল রোড, খুলনা।

 

 


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post