সাধারণ জ্ঞান "বাংলা সাহিত্য" বিসিএস এবং সরকারী চাকুরীর পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি - ১৪

সাধারণ জ্ঞান "বাংলা সাহিত্য" বিসিএস এবং সরকারী চাকুরীর পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি - ১৪
১. ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ গ্রন্থের সম্পাদক কে ছিলেন?
✅ হাসান হাফিজুর রহমান
[খ] বেগম সুফিয়া কামাল
[গ] মুনীর চৌধুরী
[ঘ] আবুল বরকত

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ গ্রন্থের সম্পাদক ছিলেন- হাসান হাফিজুর রহমান।
🔶 ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ সাহিত্য সংকলনটি প্রকাশিত হয়- ’৫২ ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ১৯৫৩ সালে।
🔶 এছাড়াও লেখকের সম্পাদনায় ১৬ খন্ডে প্রকাশিত হয়- ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ : দলিলপত্র’ ১৯৮২-৮৩)।

২. ‘রোহিণী’ চরিত্রটি কোন উপন্যাসে পাওয়া যায়?
[ক] চরিত্রহীন
[খ] গৃহদাহ
✅ কৃষ্ণকান্তের উইল
[ঘ] সংশপ্তক

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
কৃষ্ণকান্তের উইল
🔶 বঙ্কিমচন্দ্রের ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ উপন্যাসের চরিত্র- রোহিনী, গোবিন্দলাল, ভ্রমর।
চরিত্রহীন
🔶 শরৎচন্দ্রের ‘চরিত্রহীন’ উপন্যাসের চরিত্র- সতীশ, কিরণময়ী।
গৃহদাহ
🔶 ‘গৃহদাহ’ উপন্যাসের চরিত্র- সুরেশ, অচলা।
সংশপ্তক
🔶 শহীদুল্লাহ কায়সারের ‘সংশপ্তক’ উপন্যাসের চরিত্র- রমজান, হুরমতি, লেকু।

৩. জীবনানন্দ দাশের জন্মস্থান কোন জেলায়?
✅ বরিশাল জেলা
[খ] ফরিদপুর জেলা
[গ] ঢাকা জেলা
[ঘ] রাজশাহী জেলা

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 জীবনানন্দ দাশের জন্মস্থান- বরিশাল জেলায়।
🔶 রবীন্দ্র-উত্তর আধুনিক বাংলা কবিতায় পঞ্চপান্ডবের একজন ছিলেন- জীবনানন্দ দাশ।
🔶 তার জন্ম- ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশাল জেলার ধানসিঁড়ি নদীর তীরে এক ব্রাহ্ম পরিবারে।
🔶 প্রতিভাবান এই কবি কলকাতায় ট্রামের নিচে পড়ে আহত হন এবং মারা যান- ২২ অক্টোবর ১৯৫৪ সালে।

8. ‘মানুষেরই মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতে সুরাসুর’-এই পংক্তিটি কার রচনা?
[ক] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
[খ] কাজী নজরুল ইসলাম
✅ শেখ ফজলল করিম
[ঘ] শামসুর রাহমান

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘মানুষেরই মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতে সুরাসুর’-এই পংক্তিটির রচয়িতা- শেখ ফজলল করিম (১৮৮২- ১৯৩৬)।
🔶 চরণটি- হিন্দু-মুসলমানের সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী লেখক হিসেবে পরিচিত শেখ ফজলল করিমের ‘স্বর্গ-নরক’ কবিতার।
🔶 কবির সাহিত্যিক উপাধি- ‘সাহিত্যবিশারদ’, ‘নীতিভূষণ’ ‘কাব্যরত্নাকর’ প্রভৃতি।

৫. বাংলা একাডেমী কোন বছর প্রতিষ্ঠিত হয়?
✅ ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে
[খ] ১৩৫৫ বঙ্গাব্দে
[গ] ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে
[ঘ] ১৩৫২ বঙ্গাব্দে

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা ভাষা সংক্রান্ত সর্ববৃহৎ গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর (১৩৬২ বঙ্গাব্দের ১৭ অগ্রহায়ণ) ঢাকার বর্ধমান হাউসে।

৬. সাধু ভাষা ও চলিত ভাষার পার্থক্য-
[ক] বাক্যের সরল ও জটিল রূপে
[খ] শব্দের রূপগত ভিন্নতায়
[গ] তৎসম ও অতৎসম শব্দের ব্যবহারে
✅ ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদের রূপগত ভিন্নতায়

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 সাধুরীতিতে ব্যবহৃত সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ চলিত রীতিতে পরিবর্তিত ও সহজতর রূপ লাভ করে। যেমন-
সর্বনাম বিশেষ্য ক্রিয়া

সাধু: তাহারা ভাত খাইতেছিল
চলিত: তারা ভাত খাচ্ছিল
🔶 সাধুরীতি- তৎসম শব্দবহুল এবং চলিতরীতি- তদ্ভব শব্দবহুল।

৭. সমগ্র পবিত্র কুরআনের প্রথম বাংলা অনুবাদ কে করেন?
[ক] গোলাম মোস্তফা
[খ] ফররুখ আহমদ
✅ ভাই গিরিশচন্দ্র সেন
[ঘ] সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ভাই গিরিশচন্দ্র সেন ১৮৮১-৮৬ পর্যন্ত ছয় বছরের সাধনা ও পরিশ্রমে করেন- টীকাসহ সমগ্র কুরআন শরীফের প্রথম বঙ্গানুবাদ।
🔶 ১৯৩৫ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলার পাঁচদোনা গ্রামে জন্মগ্রহণকারী গিরিশচন্দ্র সেন ব্রাহ্ম ধর্মে দীক্ষা লাভ করেন- ১৮৭১ সালে।

৮. ‘সমকাল’ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
[ক] মোহাম্মদ আকরাম খাঁ
[খ] তফাজ্জল হোসেন
[গ] মোহাম্মদ নাসিরুদ্দীন
✅ সিকান্দার আবু জাফর

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
সিকান্দার আবু জাফর
🔶 সিকান্দার আবু জাফর সম্পাদিত পত্রিকা- সমকাল।
মোহাম্মদ আকরাম খাঁ
🔶 মোহাম্মদ আকরাম খাঁ সম্পাদিত পত্রিকা- দৈনিক খাদেম, দৈনিক/সাপ্তাহিক/মাসিক মোহাম্মদী।
তফাজ্জল হোসেন
🔶 তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া সম্পাদিত পত্রিকা- দৈনিক ইত্তেফাক।
মোহাম্মদ নাসিরুদ্দীন
🔶 মোহাম্মদ নাসিরুদ্দীন সম্পাদিত পত্রিকা- সওগাত।

৯. ‘সওগাত’ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
[ক] কাজী নজরুল ইসলাম
[খ] আবুল কালাম শামসুদ্দীন
[খ] খান মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন
✅ মোহাম্মদ নাসিরুদ্দীন

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মোহাম্মদ নাসিরুদ্দীন
🔶 মোহাম্মদ নাসিরুদ্দীন সম্পাদিত পত্রিকা- সওগাত।
কাজী নজরুল ইসলাম
🔶 কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত পত্রিকা- নবযুগ, ধূমকেতু, লাঙ্গল।
আবুল কালাম শামসুদ্দীন
🔶 আবুল কালাম শামসুদ্দীন সম্পাদিত পত্রিকা- সাপ্তাহিক খাদেম, মুসলিম জগৎ।
খান মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন
🔶 খান মোহাম্মদ মইনুদ্দিন সম্পাদিত পত্রিকা- সাম্যবাদী।

GK - সাধারণ জ্ঞান বাংলা - Bangla Literature

১০. ‘সুন্দর হে, দাও দাও সুন্দর জীবন।
হউক দূর অকল্যাণ সকল অশোভন।।’
-চরণ দুটি কার লেখা?
[ক] কাজী নজরুল ইসলাম
[খ] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
[গ] গোলাম মোস্তফা
✅ শেখ ফজলল করিম

১১. Wisdom শব্দের বাংলা অর্থ-
[ক] জ্ঞান
[খ] বুদ্ধি
[গ] মেধা
✅ প্রজ্ঞা

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রজ্ঞা
🔶 ‘প্রজ্ঞা’-এর ইংরেজি- wisdom।
জ্ঞান
🔶 ‘জ্ঞান’-এর ইংরেজি- knowledge।
বুদ্ধি
🔶 ‘বুদ্ধি’ শব্দের ইংরেজি- intellegence, intellect, reason।
মেধা
🔶 ‘মেধা’-এর ইংরেজি- vigour, mental power।

১২. যে ভূমিতে ফসল জন্মায় না-
[ক] পতিত
[খ] অনুর্বর
✅ উষর
[ঘ] বন্ধ্যা

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
উষর
🔶 ঊষর- যে জমিতে ফসল হয় না।
পতিত
🔶 পতিত- যা ফেলে রাখা হয়েছে।
অনুর্বর
🔶 অনুর্বর- যে জমির উর্বরতা শক্তি নেই।
বন্ধ্যা
🔶 বন্ধ্যা- যে নারীর সন্তান হয় না।

১৩. ‘অপমান’ শব্দের ‘অপ’ উপসর্গটি কোন অর্থে ব্যবহৃত?
✅ বিপরীত
[খ] নিকৃষ্ট
[গ] বিকৃত
[ঘ] অভাব

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
বিপরীত
🔶 বিপরীত অর্থে- অপমান, অপচয়, অপকার।
🔶 একটি উপসর্গ ব্যবহৃত হতে পারে- বিভিন্ন অর্থে। যেমন : অপ উপসর্গ।
🔶 স্থানান্তর অর্থে- অপহরণ, অপসারণ।
নিকৃষ্ট
🔶 নিকৃষ্ট অর্থে- অপসংস্কৃতি, অপকর্ম।
বিকৃত
🔶 বিকৃত অর্থে- অপমৃত্যু।

১৪. ‘সোনালী কাবিন’ এর রচয়িতা কে?
[ক] হাসান হাফিজুর রহমান
✅ আল-মাহমুদ
[গ] হুমায়ুন আজাদ
[ঘ] শক্তি চট্টোপাধ্যায়

১৫. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার রচিত কোন নাটকটি কাজী নজরুল ইসলামকে উৎসর্গ করেছিলেন?
[ক] বিসর্জন
[খ] ডাকঘর
✅ বসন্ত
[ঘ] অচলায়তন

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাজী নজরল ইসলামকে উৎসর্গ করেন- তার ‘বসন্ত’ নাটকটি।
🔶 কাজী নজরুল ইসলামও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উৎসর্গ করেন- তার ‘সঞ্চিতা’ কাব্যগ্রন্থটি।

১৬. বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত ত্রৈমাসিক সাহিত্যপত্রিকার নাম-
[ক] সুন্দরম
[খ] লোকায়ত
✅ উত্তরাধিকার
[ঘ] কিছুধ্বনি

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা- ‘উত্তরাধিকার’।

১৭. ‘ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ’ এর প্রধান লেখক ছিলেন-
✅ কাজী আবদুল ওদুদ, আবুল হুসেন প্রমুখ
[খ] মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ, আবুল কালাম শামসুদ্দীন প্রমুখ
[গ] মোহাম্মদ আকরাম খাঁ, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্রমুখ
[ঘ] কাজী ইমদাদুল হক, মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী প্রমুখ

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 মুসলিম সাহিত্য সাহিত্য সমাজের প্রধান লেখক ছিলেন- ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজের শিক্ষক কাজী আবদুল ওদুদ ও কর্মযোগী আবুল হুসেন।
🔶 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক একটি সাহিত্য-সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান- ‘মুসলিম সাহিত্য সমাজ’।
🔶 বাঙালি মুসলমান সমাজের আড়ষ্ট বুদ্ধিকে মুক্ত করে জ্ঞানপিপাসা জাগিয়ে তোলার অভিপ্রায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও প্রবীণ ছাত্র এটি প্রতিষ্ঠা করেন- ১৯২৬ সালের ১৭ জানুয়ারি।
🔶 এর ছত্রছায়ায় সংগঠিত হয়- বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন।
🔶 ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজের বার্ষিক মুখপত্র ‘শিখা’র আপ্তবাক্য ছিল- ‘জ্ঞান যখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।

১৮. ‘ঠক চাচা’ চরিত্রটি কোন উপন্যাসে পাওয়া যায়?
✅ আলালের ঘরের দুলাল
[খ] জোহরা
[গ] মৃত্যুক্ষুধা
[ঘ] হাজার বছর ধরে

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
আলালের ঘরের দুলাল
🔶 প্যারীচাঁদ মিত্রের উপন্যাস ‘আলালের ঘরের দুলাল’-এর উল্লেখযোগ্য চরিত্র- ঠকচাচা, মতিলাল।
জোহরা
🔶 মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক রচিত ‘জোহরা’ উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্র- জোহরা, কাশেম।
মৃত্যুক্ষুধা
🔶 কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাস ‘মৃত্যুক্ষুধা’ উপন্যাসের চরিত্র- রুবি, আনসার, মোয়াজ্জেম।
হাজার বছর ধরে
🔶 জহির রায়হান রচিত ‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসের চরিত্র- টুনি, মন্তু।

১৯. ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকা কোন সালে প্রথম প্রকাশিত হয়?
[ক] ১৮৬৫
✅ ১৮৭২
[গ] ১৮৭৫
[ঘ] ১৮৮১

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বিখ্যাত সাহিত্য পত্রিকা- ‘বঙ্গদর্শন’ প্রকাশিত হয়- ১৮৭২ সালে।

২০. ট্রাজেডি, কমেডি ও ফার্সের মূল পার্থক্য-
✅ জীবনানুভূতির গভীরতায়
[খ] দৃষ্টিভঙ্গির সূক্ষমতায়
[গ] কাহিনীর সরলতা ও জটিলতায়
[ঘ] ভাষার প্রকারভেদে

২০. সাধু ভাষা ও চলিত ভাষার পার্থক্য-
[ক] তৎসম ও অতৎসম শব্দের ব্যবহারে
✅ ক্রিয়াপদ ও সর্বনাম পদের রূপে
[গ] শব্দের কথ্য ও লেখ্য রূপে
[ঘ] বাক্যের সরলতা ও জটিলতায়

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 সাধুরীতিতে ব্যবহৃত সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ চলিত রীতিতে পরিবর্তিত ও সহজতর রূপ লাভ করে। যেমন-
সর্বনাম বিশেষ্য ক্রিয়া
সাধু : তাহারা ভাত খাইতেছিল
চলিত : তারা ভাত খাচ্ছিল

২২. ‘সমকাল’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন-
[ক] বিনয় ঘোষ
✅ সিকান্দার আবু জাফর
[গ] মোহাম্মদ আকরাম খাঁ
[ঘ] তফাজ্জল হোসেন

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
সিকান্দার আবু জাফর
🔶 সিকান্দার আবু জাফর সম্পাদিত পত্রিকা- সমকাল।
মোহাম্মদ আকরাম খাঁ
🔶 মোহাম্মদ আকরাম খাঁ সম্পাদিত পত্রিকা- দৈনিক খাদেম, দৈনিক/সাপ্তাহিক/মাসিক মোহাম্মদী।
তফাজ্জল হোসেন
🔶 তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া সম্পাদিত পত্রিকা- দৈনিক ইত্তেফাক।

২৩. ‘প্রভাত চিন্তা’, ‘নিভৃত চিন্তা’, ‘নিশীথ চিন্তা’ প্রভৃতি গ্রন্থের রচয়িতা-
[ক] কালীপ্রসন্ন সিংহ
✅ কালীপ্রসন্ন ঘোষ
[গ] কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
[ঘ] এস ওয়াজেদ আলী

২৪. ‘সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত’ এই উক্তিটি কার?
[ক] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
[খ] কাজী আবদুল ওদুদ
[গ] মোহাম্মদ লুৎফর রহমান
✅ প্রমথ চৌধুরী

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত’ এই উক্তিটি- বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও বাংলা সাহিত্যে চলিত রীতির প্রবর্তক প্রমথ চৌধুরীর (১৮৬৮-১৯৪৬)।
🔶 তার আরেকটি গুরুতবপূর্ণ পঙ্ক্তি- ‘ভাষা মানুষের মুখ থেকে কলমের মুখে আসে, উল্টোটা করতে গেলে মুখে শুধু কালি পড়ে’।

২৫. ‘ইচ্ছা’ বিশেষ্যের বিশেষণ নির্দেশ করুন।
[ক] ইচ্ছাময়
✅ ঐচ্ছিক
[গ] ইচ্ছুক
[ঘ] অনিচ্ছা

২৬. কোন বাক্যটিতে সমধাতুজ কর্ম আছে?
[ক] সে বই পড়ছে
[খ] সে গভীর চিন্তায় মগ্ন
[গ] সে ঘুমিয়ে আছে
✅ সে যে চাল চেলেছে তাতে তাকে ষড়যন্ত্রকারী ছাড়া আর কিছু বলা যায় না

GK - সাধারণ জ্ঞান বাংলা - Bangla Literature

২৭. ‘বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত’ কার রচনা?
✅ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
[খ] মুহম্মদ আবদুল হাই
[গ] মুনীর চৌধুরী
[ঘ] মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১৮৮৫-১৯৬৯ খ্রি)
🔶 বিশিষ্ট ভাষাবিদ, গবেষক ও শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ রচনা করেন- ভাষাতত্তব বিষয়ক গ্রন্থ ‘বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত’ (১৯৬৫), ‘ভাষা ও সাহিত্য’ (১৯৩১) এবং ‘বাংলা ব্যাকরণ’ (১৯৬৫)।
মুহম্মদ আবদুল হাই (১৯১৯-১৯৬৯ খ্রি)
🔶 শিক্ষাবিদ, ধ্বনিতাত্তিবক ও সাহিত্যিক মুহম্মদ আবদুল হাই রচনা করেন- 'A Phonetic and Phonological Study of Nasals and Nasalization in Bengali' (১৯৬০), ‘ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্তব’ (১৯৬৪) ইত্যাদি।
মুনীর চৌধুরী (১৯২৫-১৯৭১ খ্রি)
🔶 শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সমালোচক ও বাগ্মী মুনীর চৌধুরী রচনা করেন- ‘বাংলা গদ্যরীতি’ (১৯৭০) নামক বাংলা সাহিত্য বিষয়ক গ্রন্থ।
মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী (১৯২৬-১৯৭১ খ্রি)
🔶 বিশিষ্ট লেখক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী রচনা করেন- বাংলা সাহিত্য বিষয়ক গ্রন্থ ‘সাহিত্যের নবরূপায়ন’ (১৯৭৬), ‘বাঙলা বানান ও লিপি সংস্কার’ (১৯৬২) ইত্যাদি।

২৮. ‘প্রভাবতী সম্ভাষণ’ কার রচনা?
[ক] দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
✅ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
[গ] রামমোহন রায়
[ঘ] কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 লেখক, সমাজ সংস্কারক ও শিক্ষাবিদ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের (১৮২০-১৮৯১ খ্রি) একটি মৌলিক গ্রন্থ- ‘প্রভাবতী সম্ভাষণ’।

২৯. ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’ কার রচনা?
[ক] হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
[খ] নবীনচন্দ্র সেন
✅ মাইকেল মধুসূদন দত্ত
[ঘ] রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৮২৪-১৮৭৩ খ্রি)
🔶 বাংলা সাহিত্যে প্রথম সনেট বা চতুর্দশপদী কবিতা লেখেন- কবি ও নাট্যকার মধুসূদন দত্ত।
🔶 তার রচিত সনেটসমূহ সংকলিত- ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’ (১৯৬৬) তে।
🔶 তিনি এগুলো রচনা করেন- ফ্রান্সের ভার্সাই নগরে বসে।
🔶 ‘কালিদাস’, ‘মেঘদূত’, ‘বিজয়া দশমী’, ‘স্বরস্বতী’, ‘মহাভারত’, ‘কপোতাক্ষ নদ’, ‘বঙ্গভাষা’, ‘শ্মশান’, ‘তাঁরা’, ‘সাগরে তরি’, ‘কবিগুরু দান্তে’, ‘টেনিসন’ ইত্যাদি- তার সনেটের বিষয়বস্তু।
🔶 সনেটের প্রথম কবিতা ‘উপক্রম’ এবং শেষ কবিতা ‘সমাপ্ত’ থেকে বোঝা যায় যে- মাইকেল পরিকল্পনা অনুযায়ী সচেতনভাবে এই গ্রন্থ রচনা করেছেন।
🔶 প্রশ্নে উল্লেখিত অন্য কবি-সাহিত্যিকগণ সনেট রচনা করেননি।

৩০. কোনটি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত গ্রন্থ?
✅ বিষের বাঁশী
[খ] বন্দীর বন্দনা
[গ] সন্দীপের চর
[ঘ] রূপসী বাংলা

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
বিষের বাঁশী
🔶 বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের (১৮৯৯-১৯৭৬ খ্রি) একটি বিদ্রোহাত্মক কাব্যগ্রন্থ- ‘বিষের বাঁশী’ (১৯২৪)।

বন্দীর বন্দনা
🔶 ‘বন্দীর বন্দনা’ (১৯৩০) কাব্যগ্রন্থটি রচনা করেন- কবি, কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, অনুবাদক ও সম্পাদক বুদ্ধদেব বসু (১৯০৮-১৯৭৪ খ্রি)।
রূপসী বাংলা
🔶 ‘রূপসী বাংলা’ (১৯৫৭) কাব্যগ্রন্থটি রচনা করেন- কবি জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪ খ্রি)।

৩১. ‘কবর’ নাটক কার রচনা?
[ক] শহীদুল্লাহ কায়সার
[খ] জহির রায়হান
✅ মুনীর চৌধুরী
[ঘ] সত্যেন সেন

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মুনীর চৌধুরী (১৯২৫-১৯৭১ খ্রি)
🔶 শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সমালোচক ও বাগ্মী মুনীর চৌধুরী ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে রচনা করেন- ‘কবর’ (১৯৬৬) নাটকটি।
🔶 তার অন্যান্য উলে­খযোগ্য নাটক- ‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ (১৯৬২), ‘চিঠি’ (১৯৬৬), ‘দন্ডকারণ্য’ (১৯৬৬) ইত্যাদি।
শহীদুল্লাহ কায়সার (১৯২৭-১৯৭১ খ্রি)
🔶 সাহিত্যিক ও সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সারের উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম- ‘সারেং বউ’ (উপন্যাস ১৯৬২), ‘সংশপ্তক’ (উপন্যাস ১৯৬৫), ‘রাজবন্দীর রোজনামচা’ (স্মৃতিকথা, ১৯৬২) ইত্যাদি।
জহির রায়হান (১৯৩৫-১৯৭১ খ্রি)
🔶 কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্র পরিচালক জহির রায়হানের উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম- ‘হাজার বছর ধরে’ (১৯৬৪), ‘আরেক ফাল্গুন’ (১৯৬৮), ‘শেষ বিকেলের মেয়ে’ (১৯৬০), ‘বরফ গলা নদী’ (১৯৬৯) ইত্যাদি।
সত্যেন সেন (১৯০৭-১৯৮১ খ্রি)
🔶 সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদ সত্যেন সেনের উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম- ‘ভোরের বিহঙ্গী’ (১৯৫৯), ‘অভিশপ্ত নগরী’ (১৯৬৭) ইত্যাদি।

৩২. ‘চাঁদের হাট’-অর্থ কি?
[ক] বন্ধুদের সমাগম
✅ আত্মীয় সমাগম
[গ] প্রিয়জন সমাগম
[ঘ] গণ্যমান্যদের সমাগম

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘চাঁদের হাট’ একটি বাগধারা, যার অর্থ- ‘ধনে জনে পরিপূর্ণ সুখের সংসার’ বা ‘সুন্দর ও সুরেশ মানুষজনের সমাবেশ’।

৩৩. কোন বানানটি শুদ্ধ?
[ক] সূচিষ্মিতা
[খ] সূচিস্মিতা
[গ] সুচীস্মিতা
✅ সুচিস্মিতা

৩৪. ‘কর্মে যাহার ক্লান্তি নাই’ এই বাক্যাংশের সংক্ষিপ্ত রূপ কি?
[ক] ক্লান্তিহীন
[খ] অক্লান্ত
✅ অক্লান্ত কর্মী
[ঘ] অবিশ্রাম

৩৫. ণতব বিধি সাধারণত কোন শব্দে প্রযোজ্য?
[ক] দেশী
[খ] বিদেশী
✅ তৎসম
[ঘ] তদ্ভব

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 যে বিধান বা নিয়ম অনুসরণে তৎসম বা সংস্কৃত শব্দে ‘ণ’ (মূর্ধন্য-ণ) ও ‘ন’ (দন্ত্য-ন) -এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা যায় তাকে বলে- ণতব বিধান।
🔶 তৎসম বা সংস্কৃতে ‘ণ’ এর উচ্চারণ- অনেকটা ‘ড়’-এর মতো। তাই এখানে ‘ণ’ ও ‘ন’ এর উচ্চারণ এক নয়।
🔶 বাংলাভাষার অন্য শব্দ, যেমন- তদ্ভব, অর্ধতৎসম, দেশী, বিদেশী শব্দের বানানে- দন্ত্য-ন ব্যবহার করাই রীতি।
🔶 উল্লেখ্য, খাঁটি বাংলা ও বিদেশী শব্দে মূর্ধণ্য-ণ হয় না- যেমন- কান, সোনা, কুরআন, গভর্নর, ইরান ইত্যাদি।

৩৬. ক্রিয়াপদ-
[ক] সবসময়ে বাক্যে থাকবে
✅ কখনো কখনো বাক্যে উহ্য থাকতে পারে
[গ] শুধু অতীতকাল বোঝাতে বাক্যে ব্যবহৃত হয়
[ঘ] আসলে বিশেষণ থেকে অভিন্ন

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 যে পদ দ্বারা কোনো কার্য সম্পাদন বোঝায় তাকে বলে- ক্রিয়াপদ।
🔶 বাক্যের দুটি অংশের (উদ্দেশ্য ও বিধেয়) উদ্দেশ্য অংশে থাকে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের প্রাধান্য এবং বিধেয় অংশে থাকে- ক্রিয়াপদের প্রাধান্য।
🔶 প্রকৃতপক্ষে, বিধেয় ছাড়া যথার্থ বাক্য হয় না এবং সেই সূত্রে ক্রিয়াপদ ছাড়া- বাক্য হয় না।
🔶 অনেক সময় অন্যান্য পদ উহ্য রেখে শুধু ক্রিয়াপদ দিয়েই- মনের ভাব প্রকাশ করা যায়।

৩৭. কোনটি অনুজ্ঞা?
[ক] তুমি গিয়েছিলে
✅ তুমি যাও
[গ] তুমি যাচ্ছিলে
[ঘ] তুমি যাচ্ছ

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 কিছু করার আদেশ, উপদেশ, নিষেধ, অনুরোধ, আশীর্বাদ, প্রার্থনা-কামনা, অনুমতি ইত্যাদি বোঝাতে ক্রিয়ার যে বিশেষ রীতি ব্যবহৃত হয় তাকে বলা হয়- অনুজ্ঞা (ভাব)। যেমন- বর্তমান কালে : কলমটি দাও। ভবিষ্যৎ কালে : কাল দেখা হবে ইত্যাদি।
সুতরাং ‘তুমি যাও’ একটি অনুজ্ঞা।
🔶 উল্লেখ্য, ‘তুমি গিয়েছিলে’-এটি অতীত; ‘তুমি যাচ্ছিলে’ -এটি ঘটমান অতীত এবং ‘তুমি যাচ্ছ’- এটি ঘটমান বর্তমান।

৩৮. ‘যত বড় মুখ নয় তত বড় কথা’-এখানে ‘মুখ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
[ক] অনুভূতি
[খ] গালি
[গ] প্রত্যঙ্গ
✅ শক্তি

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 যে ভাষার শব্দভান্ডার যত সমৃদ্ধ এবং যত বেশি অর্থবৈচিত্র্যে ঋদ্ধ সেই ভাষা-তত উন্নত বলে স্বীকৃত।
🔶 বাংলা একটি সমৃদ্ধ ভাষা হওয়ায় এ ভাষায় বানান ও উচ্চারণগত অভিন্নতা সত্তেবও একই শব্দ বাক্যের মধ্যে- বিভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে থাকে।
🔶 উপরিউক্ত প্রশ্নে ‘মুখ’ দ্বারা স্পষ্টতই বুঝানো হয়েছে- শক্তি।

৩৯. কোন বানানটি শুদ্ধ?
[ক] মুমুর্ষু
✅ মুমূর্ষু
[গ] মূমুর্ষু
[ঘ] মূমূষূর্

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 শুদ্ধ বানান ‘মুমূর্ষু’ শব্দটির অর্থ- মরণাপন্ন বা মরণোম্মুখ (মুমূর্ষু অবস্থা)।

8০. ‘বিরাগী’ শব্দের অর্থ কী?
✅ উদাসীন
[খ] প্রতিকূল
[গ] রাগহীন
[ঘ] বিশেষভাবে রুষ্ট

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘বিরাগী’ একটি পুরুষবাচক শব্দ, যার অর্থ- বিরাগযুক্ত, উদাসীন, নিসঙৃহ বা বিরক্ত।
🔶 ‘বিরাগী’ শব্দটির স্ত্রীবাচক রূপ- ‘বিরাগিনী’।

8১. ‘ব্রজবুলি’ বলতে কী বোঝায়?
[ক] ব্রজধামে কথিত ভাষা
✅ একরকম কৃত্রিম কবিভাষা
[গ] বাংলা ও হিন্দির যোগফল
[ঘ] মৈথিলি ভাষার একটি উপভাষা

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ব্রজবুলি হলো- মিথিলার কবি বিদ্যাপতি উদ্ভাবিত মৈথিলি ও বাংলা ভাষার সংমিশ্রণে তৈরি এক কৃত্রিম কবিভাষা।
🔶 রাধাকৃষ্ণের লীলাবিষয়ক তাঁর রচিত পদগুলিতে রাধাকৃষ্ণের ব্রজলীলা বর্ণিত হওয়ায় এর নাম হয়েছে- ব্রজবুলি।
🔶 এই পদগুলি ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল- ব্রজধামে কিন্তু কখনও মুখের ভাষা ছিল না, সাহিত্যকর্ম ব্যতীত এর অন্যত্র ব্যবহার নেই।
🔶 ব্রজবুলি ভাষাতেই রচিত হয়েছে- ‘বৈষ্ণব পদাবলী’ ও ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’।
🔶 বাংলাদেশে প্রথম ব্রজবুলি পদ রচনা করেন- যশোরাজ খান।
🔶 ব্রজবুলির শ্রেষ্ঠ বাঙালি কবি ছিলেন- গোবিন্দদাস কবিরাজ।

8২. ‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই’- কে বলেছেন?
✅ চন্ডীদাস
[খ] বিদ্যাপতি
[গ] রামকৃষ্ণ পরমহংস
[ঘ] বিবেকানন্দ

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই’- উক্তিটি চন্ডীদাসের।

8৩. কোনটি রবীন্দ্রনাথের রচনা?
✅ চতুরঙ্গ
[খ] চতুষ্কোণ
[গ] চতুর্দশী
[ঘ] চতুষঙাঠী

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি উপন্যাস- ‘চতুরঙ্গ’ (১৯১৬)।
🔶 তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- ‘গোরা’ (১৯১০), ‘ঘরে-বাইরে’ (১৯১৬), ‘শেষের কবিতা’ (১৯২৯) ইত্যাদি।

8৪. কোনটি কাব্যগ্রন্থ?
[ক] কবিতা
[খ] কাব্য পরিক্রমা
✅ কয়েকটি কবিতা
[ঘ] বাঙলার কাব্য

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
কয়েকটি কবিতা
🔶 নাগরিক কবি সমর সেন (১৯১৬-১৯৮৭ খ্রি) রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ- ‘কয়েকটি কবিতা’ (১৯৩৭)।
কবিতা
🔶 কবি, কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, নাট্যকার, অনুবাদক ও সম্পাদক বুদ্ধদেব বসু (১৯০৮-১৯৭৪ খ্রি) কর্তৃক (প্রেমেন্দ্র মিত্রের সাথে যৌথভাবে) সম্পাদিত ত্রৈমাসিক পত্রিকা- ‘কবিতা’।
🔶 তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’ (১৯৫৩)।
কাব্য পরিক্রমা
🔶 একটি সমালোচনামূলক প্রবন্ধ গ্রন্থ- ‘কাব্য পরিক্রমা’।
বাঙলার কাব্য
🔶 একটি প্রবন্ধ গ্রন্থ- ‘বাঙলার কাব্য’।

8৫. কোনটি নাটক?
[ক] কর্তার ইচ্ছায় কর্ম
[খ] গড্ডলিকা
[গ] পল্লীসমাজ
✅ সাজাহান

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
সাজাহান
🔶 কবি ও নাট্যকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায় (১৯৬০-১৯১৩ খ্রি) রচিত একটি ঐতিহাসিক নাটক- ‘সাজাহান’ (১৯০৯)।
গড্ডলিকা
🔶 বিশিষ্ট লেখক রাজশেখর বসু (১৮৮০-১৯৬০ খ্রি) রচিত একটি ছোটগল্প- ‘গড্ডলিকা’ (১৯২৪)।
পল্লীসমাজ
🔶 খ্যাতনামা কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৬-১৯৩৮ খ্রি) রচিত একটি উপন্যাস- ‘পল্লী সমাজ’ (১৯১৬)।

8৬. ‘আবোল-তাবোল’ কার লেখা?
[ক] উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী
[খ] দক্ষিণারঞ্জম মিত্র মজুমদার
✅ সুকুমার রায়
[ঘ] সত্যজিৎ রায়

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
সুকুমার রায় (১৮৮৭-১৯২৩ খ্রি)
🔶 বাংলা শিশুতোষ সাহিত্যের অমর সৃষ্টি- প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক ও শিশুতোষ পত্রিকা ‘সন্দেশ’ (১৯১৩) প্রতিষ্ঠাতা সুকুমার রায় -এর মৃত্যুর পরে প্রকাশিত ‘আবোল-তাবোল’ (১৯২৩), ‘হ-য-ব-র-ল’ (১৯২৪) ইত্যাদি বই।
উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী (১৮৬৩-১৯১৫ খ্রি)
🔶 শিশুসাহিত্যিক ও চিত্রশিল্পী উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী রচিত গ্রন্থ- ‘ছোটদের রামায়ণ’ (১৮৯৪-৯৫), সেকালের কথা (১৯০৩), ‘ছোটদের মহাভারত’ (১৯০৯)।
🔶 তিনি ছিলেন- শিশুতোষ পত্রিকা ‘সন্দেশ’-এর সম্পাদক।
দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার (১৮৮৭-১৯৫৭ খ্রি)
🔶 শিশুসাহিত্যিক দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার রচিত গ্রন্থ- ‘ঠাকুরমার ঝুলি’, ‘ঠাকুর দাদার ঝুলি’, ‘দাদা মশায়ের থলে’ ইত্যাদি।
সত্যজিৎ রায় (১৯২১-১৯৯২ খ্রি)
🔶 চলচ্চিত্রকার, লেখক ও চিত্রশিল্পী সত্যজিৎ রায় রচিত গ্রন্থ- ‘কৈলাস কেলেঙ্কারি’ (১৯৭৪), ‘সাবাস প্রোফেসর শঙ্কু’ (১৯৭৪), ‘জয়বাবা ফেলুনাথ’ (১৯৭৬), ‘ফটিক চাঁদ’ (১৯৭৬), ‘ফেলুদা ওয়ান ফেলুদা টু’ (১৯৮৫) ইত্যাদি।
🔶 তার পিতা- সুকুমার রায় এবং পিতামহ উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী।

GK - সাধারণ জ্ঞান বাংলা - Bangla Literature

8৭. ‘পদ’ বলতে কি বোঝায়?
[ক] কবিতার চরণ
[খ] যে কোনো শব্দ
[গ] প্রত্যয়ান্ত শব্দ বা ধাতু
✅ বিভক্তিযুক্ত শব্দ ও ধাতু

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ব্যাকরণের দৃষ্টিকোণ থেকে ‘পদ’ বলতে বোঝায়- বিভক্তিযুক্ত শব্দ ও ধাতুকে।
🔶 যদি ‘পদ’ শব্দটির অর্থ কি জানতে চাওয়া হতো; তবে বলা যেত পদ শব্দের অর্থ- চরণ, কবিতার পঙ্ক্তি কিংবা মধ্যযুগের সাহিত্যের বৈষ্ণব কবিদের রচিত গীতিকবিতা।
🔶 এছাড়া বাক্যে ব্যবহৃত প্রত্যেকটি শব্দই- এক একটি পদ।

8৮. কোন বানানটি শুদ্ধ?
[ক] শুশ্রুষা
[খ] সুশ্রুষা
✅ শুশ্রূষা
[ঘ] সুশ্রুসা

8৯. ঠোঁট-কাটা বলতে কি বুঝায়?
[ক] অহংকারী
✅ স্পষ্টভাষী
[গ] মিথ্যাবাদী
[ঘ] পক্ষপাতদুষ্ট

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
স্পষ্টভাষী
🔶 ‘ঠোঁট-কাটা’ শব্দের অর্থ- কাউকে কোনো কিছু বলতে দ্বিধাবোধ করে না এমন, স্পষ্টবক্তা বা স্পষ্টবাদী।
অহংকারী
🔶 ‘অহংকারী’ অর্থ- অহংকার করে এমন, অভিমানী।
মিথ্যাবাদী
🔶 ‘মিথ্যাবাদী’ অর্থ- মিথ্যা কথা বলে এমন, অসত্যভাষী।
পক্ষপাতদুষ্ট
🔶 ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলতে বোঝায়- একচোখা বা এক পক্ষের প্রতি অনুরক্ত।

৫০. ‘বিষাদ-সিন্ধু’ কার রচনা?
[ক] কায়কোবাদ
✅ মীর মশাররফ হোসেন
[গ] মোজাম্মেল হক
[ঘ] ইসমাইল হোসেন সিরাজী

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 মীর মশাররফ হোসেনের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস- ‘বিষাদ-সিন্ধু’।
🔶 উপন্যাসটিতে ৩টি পর্ব- ‘মহরম পর্ব (১৮৯৫), ‘উদ্ধার পর্ব’ (১৮৮৭), ‘এজিদবধ পর্ব’ (১৮৯১)।
🔶 উপন্যাসটি রচিত- কারবালার বিষাদময় কাহিনী অবলম্বনে।
🔶 এই উপন্যাসের মূল কাহিনী- মহানবী হযরত মুহম্মদ (স)-এর দৌহিত্র ইমাম হাসান ও ইমাম হোসেনের সঙ্গে দামেস্ক অধিপতি মুয়াবিয়ার একমাত্র পুত্র এজিদের বিরোধ ও যুদ্ধ।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post