G

ধ্বনি ও বর্ণ প্রকরণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা

বাংলা ব্যাকরণ
আলোচ্য বিষয়ঃ
ব্যাকরণ, ধ্বনি ও বর্ণ প্রকরণ

ব্যাকরণঃ ব্যাকরণ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ বিশেষভাবে বিশ্নেষণ (বি + আ + কৃ/কর + অন)

সর্বপ্রথম ব্যাকরণ রচনা করেন পাণিণী। তাঁর ব্যাকরণের নাম অষ্ট্যাধ্যায়ী। এটি আনুমানিক খ্রি. পূ. সপ্তম শতকে রচনা করা হয়। এই ব্যাকরণের ভাষ্যকার হচ্ছেন পতঞ্জলি।

সর্বপ্রথম ১৭৩৪ সালে বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেন ম্যানুয়াল দ্যা আস্সুম্পসাঁও। ১৭৩৪ সালে রোমান হরফে এটি মুদ্রিত হয়। এরপর ব্যাকরণ রচনা করেন ন্যাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড। ১৭৭৮ সালে এটি প্রকাশিত হয়। এরপর ব্যাকরণ রচনা করেন উইলিয়াম কেরি, ১৮০১ সালে এটি প্রকাশিত হয়।

বাঙালিদের মধ্যে সর্ব প্রথম ব্যাকরণ রচনা করেন রাজা রামমোহন রায় ১৮২৬ সালে। কলকাতার স্কুল বুক অব সোসাইটি কর্তৃক এটি প্রকাশিত হয়। তাঁর এ ব্যাকরণের নাম গৌড়ীয় ব্যাকরণ।

বাংলা ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয়ঃ ৪টি
ক) ধ্বনিতত্ত্ব
খ) শব্দতত্ত্ব বা পদক্রম
গ) বাক্যতত্ত্ব বা পদক্রম
ঘ) অর্থতত্ত্ব

ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়সমূহঃ
ধ্বনিতত্ত্বঃ ধ্বনি, ধ্বনি প্রকরণ, ধ্বনির উচ্চারণ, ধ্বনির বিন্যাস, ধ্বনির পরিবর্তন, বর্ণ, সন্ধি, ষ-ত্ব বিধান, ণ-ত্ব বিধান প্রভৃতি ধ্বনি সম্বন্ধীয় ব্যাকরণের বিষয়গুলি ধ্বনিতত্ত্বে আলোচিত হয়।

শব্দ বা রূপতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়সমূহঃ
শব্দ বা রূপতত্ত্ব শব্দ, শব্দের প্রকার, পদ প্রকরণ, শব্দ গঠন, উপসর্গ, প্রত্যয়, বিভক্তি, লিঙ্গ, বচন, ধাতু, শব্দরূপ, কারক, সমাস, ক্রিয়া-প্রকরণ, ক্রিয়ার কাল, ক্রিয়ার ভাব, শব্দের ব্যুৎপত্তি ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা শব্দ বা রূপতত্ত্বে থাকে।

বাক্যতত্ত্ব বা পদক্রমের আলোচ্য বিষয়সমূহঃ
বাক্যতত্ত্ব বা পদক্রমঃ বাক্য, বাক্যের অংশ, বাক্যের প্রকার, বাক্য বিশ্লেষণ, বাক্য পরিবর্তন, পদক্রম, বাগ্ধারা, বাক্য সংকোচন, বাক্য সংযোজন, বাক্য বিয়োজন, যতিচ্ছেদ বা বিরামচিহ্ন প্রভৃতি বিষয় বাক্যতত্ত্বে আলোচিত হয়।

অর্থতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়সমূহঃ
অর্থতত্ত্বঃ শব্দের অর্থবিচার, বাক্যের অর্থ বিচার, অর্থের বিভিন্ন প্রকারভেদ। যেমন-মুখ্যার্থ, গৌণার্থ, বিপরীতার্থক শব্দ ইত্যাদি অর্থতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।
ক. ছন্দপ্রকরণ খ. অলংকার।

ধ্বনি ও বর্ণ প্রকরণ | বাংলা ব্যাকরণ লেকচার শীট

ধ্বনি ও বর্ণ প্রকরণ
ধ্বনিঃ কোন ভাষার উচ্চারিত শব্দকে বিশ্লেষণ করলে তার যে পরমাণু বা অবিভাজ্য ক্ষুদ্রতম অংশ পাওয়া যায় তাই ধ্বনি। যেমন- অ, আ, ক, খ।

বর্ণঃ ধ্বনির চক্ষু গ্রাহ্য লিখিত রূপ বা ধ্বনি নির্দেশক প্রতীক বা চিহ্নকেই বর্ণ বলে। যেমন- অ, আ, ক, খ।

অক্ষরঃ নিঃশ্বাসের স্বল্পতম প্রয়াসে একই বক্ষ স্পন্দনের ফলে যে ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ একবার একত্রে উচ্চরিত হয় তাকে অক্ষর বলে। যেমন- ‘আমরা’ শব্দটিতে ‘আম’ “রা” এই দুইটি অক্ষর।

ক) বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত বর্ণগুলির সমষ্টিকে বর্ণমালা বলে। 
খ) বর্ণ দু’প্রকার । যথা-স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জন বর্ণ।
গ) স্বরবর্ণঃ যে সকল বর্ণ অন্য ধ্বনির সাহায্য ছাড়া উচ্চরিত হয় তাকে স্বরবর্ণ বলে। স্বরবর্ণ ১১টি।
ঘ) ব্যঞ্জন বর্ণঃ যে সকল বর্ণ স্বরের সাহায্যে ব্যক্ত বা উচ্চারিত হয় তাকে ব্যঞ্জন বর্ণ বলে। ব্যঞ্জন বর্ণ ৩৯ টি।
ঙ) মাত্রাঃ বাংলা বর্ণমালার কোন কোন বর্ণের উপরে ‘রেখা’ বা ‘কষি’ দেওয়া হয়। একে বলা হয় মাত্রা।
চ) পূর্ণ মাত্রার বর্ণ-অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ক, ঘ, চ, ছ, জ, ঝ, ট, ঠ, ড, ঢ, ত, দ, ন, ফ, ব, ভ, ম, য, র, ল, ষ, স, হ, ড়, ঢ়, য়। মোট ৩২ টি।
ছ) অর্ধ মাত্রাযুক্ত  বর্ণ-ঋ, খ, গ, ণ, থ, ধ, প, শ। মোট ০৮ টি।
জ) মাত্রাহীন বর্ণ- এ,  ঐ, ও, ঔ, ঙ, ঞ, ৎ, ং, ঃ। ১০ টি।
ঝ) পূর্ণ মাত্রার স্বর বর্ণ- অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, । মোট ০৬ টি।
ঞ) অধমাত্রাযুক্ত স্বরবর্ণ- ঋ। ১ টি।
ট) মাত্রাহীন স্বরবর্ণ- এ, ঐ, ও, ঔ। মোট ০৪ টি।
ঠ) হসন্ত চিহ্নঃ স্বরবর্ণ যুক্ত না হলে ব্যঞ্জন বর্ণের নিম্নে একটি বিশেষ চিহ্ন দেওয়া হয়। ঐ চিহ্নের নাম হসন্ত চিহ্ন। যথাঃ- ক্, দ্, বাক্য।
ড) বর্ণ সংযোগঃ বর্ণে বর্ণে যোগ করাকে বর্ণ সংযোগ বলে। বিভিন্ন বর্ণ সংযোগে শব্দ সৃষ্টি হয়। যেমন- ক্ + অ + ব্ + ই = কবি।
ঢ) বর্ণ বিশ্লেষণঃ শব্দস্থিত বর্ণগুলি পৃথক করে দেখানো নাম বর্ণ বিশ্লেষণ। যথা- বিষ্ণু = ব্ + ই + ষ্ + ণ্ + উ

উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী স্বরধ্বনির ৭টি অবস্থান।

উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী ব্যঞ্জনধ্বনিগুলোকে পাঁচভাগে ভাগ করা যায়। সেগুলো নিম্নরূপঃ
নাম-> বর্ণ-> উচ্চারণ স্থান
কণ্ঠ্য ক, খ, গ, ঘ, ঙ জিহবামূল
তালব্য চ, ছ, জ, ঝ, ঞ, শ, য়, য অগ্রতালু
মুর্ধন্য ট, ঠ, ড, ঢ, ণ, র, ড়, ঢ়, ষ পশ্চাৎ দন্তমূল
দন্ত্য ত, থ, দ, ধ, ন, ল, স অগ্র দন্তমূল
ওষ্ঠ্য প, ফ, ব, ভ, ম ওষ্ঠ্য

উচ্চারণরীতি অনুযায়ী ব্যঞ্জনধ্বনির শ্রেণিবিভাগঃ
স্পর্শধ্বনি বা বর্গীয় ধ্বনিগুলো উচ্চারণ স্থানের দিক থেকে পাঁচটি বর্গ বা গুচ্ছে মহাপ্রাণ। অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ ধ্বনি আবার দুভাগে বিভক্ত; যথা- অঘোষ ও ঘোষ। উচ্চারণ রীতি অনুযায়ী স্পর্শ ব্যঞ্জনধ্বনিগুলোর ধ্বনিতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ।

ব্যঞ্জন ধ্বনির উচ্চারণঃ
অঘোষ ঘোষ
অল্পপ্রাণ মহাপ্রাণ অল্পপ্রাণ মহাপ্রাণ নাসিক্য তাড়ন জাত পার্শ্বিক উস্ম অন্তস্থ ধ্বনি পরাশ্রয়ী
ড় ঢ়
কণ্ঠ্য স ষ শ ব ল য ং ঃ ঁ
তালব্য কম্পন জাত ধ্বনি
মূর্ধা
দন্ত্য
ওষ্ঠ্য

ক) ক-ম পর্যন্ত ২৫টি ধ্বনিকে স্পৃষ্ট/স্পর্শ/বর্গীয় ধ্বনি বলে।
খ) য, র, ল, ব অন্তঃস্থ ধ্বনি।
গ) হ-ঘোষ মহাপ্রাণ ধ্বনি।
ঘ) শ, ষ, উষ্ম ধ্বনি।
ঙ) ং, ঃ, ঁ, পরাশ্রয়ী বর্ণ।
চ) বাংলা ভাষার যৌগিক স্বরধ্বনির সংখ্যা পঁচিশ। বাংলা বর্ণমালায় যৌগিক স্বরজ্ঞাপক দুটো বর্ণ রয়েছে। ঐ এবং ঔ। 

উচ্চারণ স্থান (ব্যঞ্জন ধ্বনি):
ব্যাঞ্জনবর্ণ প্রধানত তিন ভাগে বিভক্ত। যথা- 
ক) স্পর্শ বর্ণঃ উচ্চারণ স্থানে অর্থাৎ কণ্ঠ, তালু প্রভৃতির সাথে জিহবার কোনো না কোনো অংশের সম্পূর্ণ স্পর্শ বা যোগ হয় বলে এগুলো স্পর্শ বর্ণ। যথা-ক থেকে ম পর্যন্ত।

খ) অন্তঃস্থ বর্ণঃ স্পর্শ বর্ণ ও উষ্ম বর্ণের মধ্যে অবস্থিত বলে এদেরকে অন্তঃস্থ বর্ণ বলা হয়। যথাঃ য, র, ল, ব।

গ) উষ্মবর্ণঃ উচ্চারণ উষ্মা অর্থাৎ বায়ু প্রধানভাবে থাকে বলে এগুলোকে উষ্মবর্ণ বলে। যেমন-শ, ষ, স, হ।

ঘ) উচ্চারণ স্থান অনুসারে স্পর্শ পাঁচটি বর্ণের বিভাগ আছে। সেগুলোকে বর্গ বলে। যেমন- ক-বর্গ, চ-বর্গ, ট-বর্গ, ত-বর্গ ও প-বর্গ।

ঙ) অঘোষ ধ্বনিঃ কোন কোন ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরিত হয় না। তখন ধ্বনিটির উচ্চারণ গাম্ভীর্যহীন মৃদু হয়। এ রূপ ধ্বনিকে বলা হয় অঘোষ ধ্বনি। যথা- ক খ চ ছ ট ঠ ত থ প ফ শ ষ স ।

চ) ঘোষ ধ্বনিঃ ধ্বনির উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুপ্রাণিত হলে ঘোষ ধ্বনি হয়। যথাঃ প্রতি বর্গের শেষ তিনটি বর্ণ এবং হ।

ছ) প্রতি বর্গের প্রথম, তৃতীয় ও পঞ্চম ধ্বনির উচ্চারণকালে শ্বাস বায়ূ অল্প নির্গত হয় বলে এগুলোকে অল্পপ্রাণ ধ্বনি বলে।

জ) বর্গের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ণ এবং উষ্ম বর্ণে উচ্চারণকালে শ্বাস বায়ু অধিক নির্গত হয় বলে এগুলোকে মহাপ্রাণ ধ্বনি বলে।

ঝ) ‘য,’ ‘র’, ‘ল’, ‘ব’ এদের বিশুদ্ধ উচ্চারণ স্বর ও ব্যঞ্জন ধ্বনির মধ্যবর্তী। এরা খাঁটি ব্যঞ্জন বর্ণ নয় এবং খাঁটি স্বরবর্ণও নয়। এজন্য য ও ব কে অর্ধ স্বর এবং র ও ল-কে তরলস্বর বা অর্ধব্যঞ্জন  বলে।

ঞ) ‘র’ জিহবারঅগ্রভাগ কম্পিত করে এ ধ্বনি উচ্চারণ হয় বলে এক কম্পনজাত ধ্বনি বলে। 

ট) ‘ল’ এর উচ্চারণকালে জিহবার দু’পাশ দিয়ে বায়ু বের হয় বলে একে পার্শ্বিক ধ্বনি বলে। 

ঠ) শ, ষ, স-তিনটি শুদ্ধ উষ্ম বর্ণ উচ্চারণকালে শিশ দেওয়ার মত শব্দ হয় বলে এগুলোকে শিশধ্বনি বলা হয়।

ড) ‘ড়’ ‘ঢ়’- জিহবার নিম্নভাগ দিয়ে দন্তমূলে তাড়ান করে এদের উচ্চারণ করতে হয় বলে এদেরকে তাড়নজাত ধ্বনি বলে।

ঢ) অনুস্বার ও বিসর্গকে অযোগবাহ বর্ণ বলে। 

ণ) চন্দ্রবিন্দু (ঁ) চিহ্ন বা প্রতীকটি পরবর্তী স্বরবর্ণের অনুনাসিকতার দ্যোতনা করে। এজন্য এটিকে অনুনাসিক বর্ণ বলে।

বাংলা ভাষা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
ভাষার মূল উপাদান কী?
✓ উত্তরঃ ধ্বনি

শব্দের মূল উপাদান কী?
✓ উত্তরঃ বর্ণ

বাক্যের মূল উপাদান কী?
✓ উত্তরঃ শব্দ

বর্তমান পৃথিবীতে কতটি ভাষা প্রচলিত আছে?
✓ উত্তরঃ প্রায় সাড়ে তিন হাজারের উপরে

ভাষাভাষী জনসংখ্যার দিক দিয়ে বাংলার স্থান কত?
✓ উত্তরঃ পৃথিবীর চতুর্থ বৃহৎ মাতৃভাষা

পৃথিবীর আদি ভাষার নাম কি?
✓ উত্তরঃ ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা

ভাষার পার্থক্য ও পরিবর্তন ঘটে কিসে?
✓ উত্তরঃ দেশ, কাল ও পরিবেশভেদে 

ভাবের উৎস কি?
✓ উত্তরঃ ভাষা

বর্তমানে প্রায় কত লোক বাংলা ভাষায় কথা বলে?
✓ উত্তরঃ প্রায় চব্বিশ কোটি লোক বাংলা ভাষায় কথা বলে। বাংলাদেশ ছাড়াও পশ্চিম বঙ্গ, ত্রিপুরা, বিহার, উড়িষ্যা ও আসাম প্রদেশের মানুষ বাংলায় কথা বলে।

বাংলা ভাষায় মোট শব্দ সংখ্যা কত?
✓ উত্তরঃ প্রায় এক লক্ষ পঁচিশ হাজার।

বাংলা বর্ণ কখন স্থায়ী রূপ লাভ করে?
✓ উত্তরঃ ঊনিশ শতকে মুদ্রণ যন্ত্র আবিষ্কার পর।

বাংলা বর্ণমালা উদ্ভব  ঘটে কোন লিপি থেকে?
✓ উত্তরঃ ব্রাহ্মীলিপি থেকে।

বাংলা ভাষার জন্ম কখন?
✓ উত্তরঃ খ্রিস্টিয় সপ্তম শতকে।

মুহাম্মদ শহীদুল্লার মতে বাংলা ভাষার জন্ম কোন ভাষা থেকে?
✓ উত্তরঃ গৌড়ীয় প্রাকৃত হতে।

ভাষার মৌলিক রূপ কয়টি?   
✓ উত্তরঃ দুটি   ক) লৈখিক        খ) মৌখিক

পৃথিবীর কত কোটি লোকের মুখের ভাষা বাংলা?
✓ উত্তরঃ চব্বিশ কোটি

মৈথিলি ও বাংলা ভাষার মিশ্রণে কোন ভাষার সৃষ্টি হয়?
✓ উত্তরঃ ব্রজবুলি ভাষা।

ব্রজবুলি কী ধরনের ভাষা?
✓ উত্তরঃ ব্রজবুলি ভাষাটি কবিদের সৃষ্টি কৃত্রিম।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’ কাব্যটি রচনা করেন-
✓ উত্তরঃ ব্রজবুলি ভাষায়।

বাঙালি না হয়েও বাংলা সাহিত্যে স্বতন্ত্র স্থান দখল করে আছে কে?
✓ উত্তরঃ বিদ্যাপতি।

বাংলা সনের প্রবর্তক কে?
✓ উত্তরঃ সম্রাট আকবর।

ভাষার দিক দিয়ে বাংলা ভাষার দ্বিতীয় গ্রন্থ কোনটি?
✓ উত্তরঃ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন।


বিগত সালের প্রশ্নাবলি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

১. বাংলা বর্নমালাভুক্ত ঐ এবং ঔ হচ্ছে
[ খ ইউনিট-২০১৮-১৯]
ক) মৌলিক ধ্বনি
খ) যৌগিক ধ্বনি
গ) যৌগিক বর্ণ✓
ঘ) দ্বিলেখ
২. বাংলা ভাষায় মৌলিক স্বরধ্বনি কয়টি?
[ ঘ ইউনিট-২০১৮-১৯]
ক) ৫টি
খ) ৭টি✓
গ. ৯টি
ঘ. ১১টি
৩. বাংলা ভাষায় স্বরবর্ণ ও স্বরধ্বনির অনুপাত কত?
[ ঘ ইউনিট-২০১৮-১৯]
ক. ১১:৯✓
খ. ১১:৭
গ. ১১:১০
ঘ. ১১:৬
৪. সুন্দর শব্দের প্রমিত উচ্চারণ কোনটি?
[ ঘ ইউনিট-২০১৮-১৯]
ক. শুনদোর
খ. শুনদর✓
গ. সুনদর
ঘ. শোনদোর
৫. কোন ধ্বনির উপর চন্দ্রবিন্দু বসলে উচ্চারণ সানুনাসিক হয়?
[ ঘ ইউনিট ২০১৮-১৯]
ক. স্বরধ্বনি
খ. ব্যঞ্জনধ্বনি✓
গ. বিসর্গধ্বনি অ ধ্বনি
ঘ. দন্ত্য ন
৬. এ ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণ পাওয়া যায় কোন শব্দ?
[ ঘ ইউনিট-২০১৮-১৯]
ক. হেথা
খ. হেন✓
গ. শেষ
ঘ. বেলুন
৭. সুদৃষ্টি শব্দের প্রমিত উচ্চারণ কোনটি?
[ ঘ ইউনিট ২০১৮-১৯]
ক. সুদৃশটি
খ. শুদৃসৃটি
গ. শোদৃশইট
ঘ. শুদৃশটি✓
৮. সাধু ও চলিত ভাষার প্রার্থক্য কোন পদে বেশি পরিলক্ষিত হয়?
[ গ ইউনিট -২০১৭-১৮]
ক. বিশেষণ ও ক্রিয়া
খ. বিশেষ্য ও বিশেষণ
গ. বিশেষ্য ও সর্বনাম
ঘ. ক্রিয়া ও সর্বনাম✓
৯. অভিধানে ক্ষ বর্ণ কোথায় থাকে?
[ ঘ ইউনিট-২০১৭-১৮]
ক. খ বর্ণের পরে
খ. হ বর্ণের পরে
গ. ষ  বর্ণের অন্তর্গত ভুক্তি হিসাবে
ঘ. ক বর্ণের অন্তর্গত ভুক্তি হিসাবে✓
১০. বাহ্য শব্দের উচ্চারণ কোনটি?
[ ক ইউনিট-২০১৭-১৮]
ক. বাজ্ জো
খ বাজ্ ঝো✓
গ. বাজ্ ঝ
ঘ. বাইঝ্ ঝো
১১. অধ্যাপক শব্দের প্রমিত উচ্চারণ
[ খ ইউনিট-২০১৭-১৮]
ক. অদ্ ধাপক
খ অদৃধাপোক
গ. ওদ্ ধোপোক✓
ঘ. ওধ্ধাপোক
১২. কোনটি সঠিক উচ্চারণ নয়?
[ ঘ ইউনিট- ২০১৭-১৮]
ক. তীব্র তিব্ ব্রো
খ. শূন্য শুন্ ন✓
গ. দুঃসাহস দুশ্শাহোশ
ঘ. লক্ষ্য লোকখো
১৩. যে অক্ষরের শেষে স্বরধ্বনি উচ্চাতি হয় তাকে কী বলে?
[ গ ইউনিট-২০১৭-১৮]
ক. মুক্তাক্ষর✓
খ. বদ্ধাক্ষর
গ. স্বরতন্ত্রী
ঘ. দীর্ঘস্বর
১৪. বাংলা ভাষায় মৌলিক স্বরধ্বনি সংখ্যা কত?
[ গ ইউনিট-২০১৬-১৭]
ক.   ৭টি✓
খ. ৯টি
গ. ১১টি
ঘ. ১৩টি
১৫. অভিধানে ক্ষ বর্ণ কোথায় থাকে?
[ ক ইউনিট-২০১৬-১৭]
ক. খ বর্ণের সঙ্গে
  খ. হ  বর্ণের সঙ্গে
গ. ষবর্ণের সঙ্গে
ঘ. ক বর্ণের সঙ্গে✓

অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়

১.ভাষার কোন রুপ ব্যাকরণ অনুসরণ করে চলে?
[ রা বি ইউনিট-ক -২০১৮-১৯]
ক. সাধু✓
খ. আঞ্চলিক
গ. চলিত
ঘ. প্রাকৃত
২. তত্ত্ববোবিধনী পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
[ রা বি ইউনিট ক-২০১৮-১৯]
ক. ঈশ্বচন্দ্র বিদ্যাসাগর
খ. ঈশ্বচন্দ্র গুপ্ত
গ. অক্ষয় কুমার দত্ত✓
ঘ. রাজা রামমোহন রায়
৩. সাহিত্য পাঠ বইয়ের কবিতা অংশে প্রথম কবিতাটি কার?
[ চ, বি, ঘ ইউনিট-২০১৮-১৯]
ক. ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের
খ. আলাওলের
গ. কায়কোবাদের
ঘ. মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর✓
৪. কোন সর্ম্পকটি সঠিক?
ক. বক্সিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় : সীতার বনবাস
খ. হাসান আজিজুল হকঃ আগুনপাখি✓
গ. আল মাহমুদ : পরাণের গহীন ভিতর
ঘ. ঈশ্বচন্দ্র বিদ্যাসাগর : সীতারাম
৫. হায়রে ভজনালয়
তোমার মিনারে চড়িয়া ভন্ড গাহে স্বার্থের জয়।
এখানে ব্যক্তির কোন মনোভাব প্রকাশ পায়?
[ খু.বি খ ইউনিট-২০১৮-১৯]
ক. বিদ্রোহ
খ. ফরিয়াদ
গ. কাতর
ঘ. অবজ্ঞা✓
৬. মৈমনসিংহ গীতকার মহুয়া পালার রচয়িতা কে?
[ খু, বি খ ইউনিট-২০১৮-১৯]
ক. দ্বিজ মাধব
খ. দ্বিজ কানাই✓
গ. চন্দ্রাবর্তী
ঘ. মনসুর বয়াতি
৭. শূন্যপুরাণ কাব্য কার রচনা?
[ খু, বি. খ ইউনিট-২০১৮-১৯]
ক. লুইপা
খ. কাহপা
গ. রামাইপন্ডিত✓
ঘ. দৌলত উজির বাহরাম খান
৮. শতাব্দীলাঞ্চিত আর্তের কান্না ছত্রটিতে আর্ত শব্দের অর্থ কী?
[ খু. বি খ ইউনিট-২০১৮-১৯]
ক. অত্যাচারিত
খ. লাঞ্চিত
গ. রামাইগন্ডিত
ঘ. দৌলত উজির বাহরাম খান✓
৯. চুনিয়া আমার আর্কেডিয়া কবিতায় চুনিয়া কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
[ খু.বি খ ইউনিট-২০১৮-১৯]
ক. সুবজ ও শান্তি✓
খ. হিংস্র
গ. চিৎকার
ঘ. কুরক্ষেত্র
১০. মানস সংস্কৃতির সঙ্গে কোনটি সম্পর্কযুক্ত নয়?
ক. সাহিত্য
খ. সঙ্গীত
গ. শিল্প
ঘ. নিন্দ্রা✓

আরো পড়ুনঃ ধ্বনি পরিবর্তন

No comments:

Post a Comment