G

বাগধারা (পর্ব-৫) বাংলা ব্যাকরণ লেকচার শীট

বাংলা ব্যাকরণ
আলোচ্য বিষয়ঃ
বাগধারা
(পর্ব-৫)
  • রাবণের চিতা (চির অশান্তি) পুত্রশােকে বিধবার মনে রাবণের চিতা জ্বলে; সে আর নেভে না।
  • রাশভারি (গম্ভীর প্রকৃতির)→ রহমান সাহেব বড় রাশভারি লােক।
  • রগচটা (একটুকুতেই রাগে যে) তার মত রগচটা মেয়ে আর দেখিনি।
  • রক্তের টান (স্বজনপ্রীতি) ভাইয়ের ভাইয়ে বিভেদ থাকে না; শত হলেও রক্তের টান।
  • রাজ যােটক (চমৎকার মিল) যেমন বর তেমন কনে; রাজ যােটক পেয়েছে ভাই।
  • লেফাফা দুরস্ত (বাইরের ফিটফাট)⇒ লােকটার বাইরের লেফাফা দুরস্ত, ভেতরে দুরবস্থার শেষ নেই।
  • লক্ষ্মীর বরযাত্রী (সুসময়ের বন্ধু) পয়সা থাকলে লক্ষ্মীর বরযাত্রীরা এসে ভিড় করে।
  • লালবাতি জ্বালান (ধ্বংস হওয়া) সে অল্প দিনেই ব্যবসায়ে সে লালবাতি জ্বালিয়েছে।
  • শাঁখের করাত (উভয় সঙ্কট) হ্যাঁ বললেও সন্তুষ্ট নয়, ‘না’ বললেও বিপদ; এ যেন শাঁখের করাত।
  • শকুনি মামা (কুচক্রী লােক) ওই শকুনি মামার সঙ্গ ছাড়; নতুবা গােলয় যাবে।
  • শিরে সংক্রান্তি (আসন্ন বিপদ) আমার এখন শিরে সংক্রান্তি, ভাই অত সব চিন্তার সময় নেই।
  • শত্রুর মুখে ছাই দেওয়া (লােকের কুদৃষ্টি এড়ানাে) শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে তার তিন ছেলে ও এক মেয়ে বিলাত ফেরত।
  • শাপে বর (অকল্যাণ থেকে কল্যাণ) কলেজে চাকরি না হয়ে আমার শাপে বর হয়েছে; কলেজটি নাকি উঠে যাবে।
  • শরতের শিশির (সুসময়ের বন্ধু) টাকা পয়সা ফুরিয়ে গেলে সব শরতের শিশির উবে যায়।
  • শাক দিয়ে মাছ ঢাকা (গুরুতর কলঙ্ক সহজে ঢাকা) যা করেছে সবাই জানে; সে এখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে।
  • শিবরাত্রির সলতে (একমাত্র সন্তান) অন্ধের যষ্টি, শিবরাত্রির সলতেটির মৃত্যুতে বিধবা চোখে সর্ষের ফুল দেখছে।
  • ষাঁড়ের গােবর (অপদার্থ)→ করিমের মত ষাঁড়ের গােবরের জীবনে উন্নতি অসম্ভব।
  • ষােল কলা (সম্পূর্ণ) পুত্র পিতার সমস্ত গুণ ষােল কলায় পেয়েছে।
  • ষােল কড়াই কানা (সব নষ্ট)” তার সংসারে এখন ষােল কড়াই কানা।
  • সােনায় সােহাগা (সুন্দর মিল) ব্যারিস্টার স্বামী,প্রফেসর স্ত্রী; এ যেন সােনায় সােহাগা।
  • সুখের পায়রা (সুসময়ের বন্ধু) আমার বিপদের সময় সুখের পায়রাদের দেখতে পাই নি।
বাগধারা (পর্ব-৫) বাংলা ব্যাকরণ লেকচার শীট
  • সাক্ষী গােপাল (ব্যক্তিত্বহীন লােক) বেণি বাবু সাক্ষী গােপাল মাত্র, সাংসারিক বিষয়ে তাঁর ছেলেরাই এখন সর্বেসর্বা।
  • সাত খুন মাপ (গুরুতর অপরাধেও অব্যাহতি) মন্ত্রীর ছেলে বলেই তােমার সাত খুন মাপ হবে, সে যুগ চলে গেছে।
  • সাপের পাঁচ পা দেখা (অহঙ্কারে অন্ধ হওয়া) আজকাল যে তােমার নজরেই পড়ে না; বড় চাকরি পেয়ে কি সাপের পাঁচ পা দেখছ।
  • সাপে-নেউলে (অহি নকুল বা দা-কুমড়া বা শত্রুভাব) বাবার মৃত্যুর পর বিষয়-সম্পত্তি নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে এখন সাপে-নেউলে সম্পর্ক।
  • স্বখাত সলিল (নিজে বিপদ ডেকে আনা) রাতারাতি বড় লােক হওয়ার লােভে চোরাকারবার শুরু করেছিলাে; ধরা পড়ে হাতে-পায়ে পুলিশের বেড়ি পড়েছে। সেতাে স্বখাত সলিলেই ডুবে মরলাে।
  • সাত সতেরাে (নানাবিধ) হাতে এক পয়সাও নেই; বসে সাত সতেরাে ভাবছি; বাজার হবে কি দিয়ে।
  • সরফরাজি চাল (বাইরে মিত্র ভাব) হামিদ মিয়ার মত কপট লােকের সরফরাজি চালে আমি বিশ্বাস করি না।
  • সােনার পাথর বাটি (অসম্ভব বস্তু) তােমার প্রস্তাবটি সােনার পাথর বাটির মত মনে হয়।
  • সরিষার ফুল দেখা (অন্ধকার দেখা) বিপদে পড়ে লােকটা চোখে সরিষার ফুল দেখতে লাগল।
  • হ-য-ব-র-ল (বিশৃংখলা)→ টেবিলের কাগজপত্রগুলাে গুছিয়ে রাখতে পারাে নি; সব যে হ-য-ব-র-ল করে রেখেছ।
  • হালে পানি পাওয়া (আশার আলাে দেখা) দুঃখ দারিদ্র্যের সঙ্গে সংগ্রাম করে সে হালে পানি পেয়েছে।
  • হাতটান (চুরির অভ্যাস) হাতটান আছে বলে চাকরটাকে বিদায় করে দিয়েছি।
  • হাড়-হাভাতে (হাড়-জ্বালানাে) অমন হাড়-হাভাতে ছেলে যার, তার কপালে কি আর সুখ আছে ?
  • হাতির খােরাক (অধিক আহার) এমরানের আহারের পরিমাণ দেখে মতিন বললাে, “এ হাতির খােরাক যােগাতে গেলে আমাদের আড়ত খালি হয়ে যাবে।”
  • হাতের পাঁচ (শেষ সম্বল) এ টাকাটিই আমার হাতের পাঁচ।
  • হাড়ে বাতাস লাগা (হাড় জুড়ানাে, শান্তি পাওয়া) রমেশের মৃত্যুতে গ্রামশুদ্ধ লােকের হাড়ে বাতাস লেগেছে।
  • হালে পানি পাওয়া (সক্ষম হওয়া) বিয়ের খরচ, বুঝলে ? লাখ টাকায় হালে পানি পাবে না।
  • হাতে জল না গলা (অতি কৃপণ)— করিম শেখের হাতে জল গলে না; তার কাছে সাহায্য চাওয়া বৃথা।
  • হাতের লক্ষ্মী পায়ে ঠেলা (সুযােগ হেলায় হারান) হাতের লক্ষ্মী পায়ে ঠেলে সে এখন কপালে হাত দিয়েছে।
  • হাত ঝাড়া দিলে পর্বত (ধনাধিক্য) দয়া কর বাবা, তােমার তাে হাত ঝাড়া দিলেই পর্বত।
  • হাটে হাঁড়ি ভাঙা (গােপনীতা প্রকাশ করা) আমাকে ক্ষেপিও না; হাটে কিন্তু হাঁড়ি ভেঙ্গে দেব।
বাংলা ২য় পত্রের বাছাইকৃত বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

No comments:

Post a Comment