G

পদ কাকে বলে? উহা কতো প্রকা ও কি কি?

বাংলা ব্যাকরণ
আলোচ্য বিষয়ঃ
পদ

বিশেষ্য পদঃ যে পদ বিশেষ্য সর্বনাম ও ক্রিয়াপদের দোষ গুণ অবস্থা সংখ্যা পরিমান ইত্যাদি প্রকাশ করে তাকে বিশেষণ পদ বলে। যথা- চলন্ত গাড়ি, বিশেষ্যের বিশেষণ। করুনাময় তুমি সর্বনামের বিশেষণ। দ্রুত চল- ক্রিয়ার বিশেষণ।
বিশেষণ দু ভাগে বিভক্তি । যথা-১. নাম বিশেষণ ২. ভাব বিশেষণ।

১. নাম বিশেষ:
যে বিশেষণ পদ কোন বিশেষ্য বা সর্বনাম পদকে বিশেষিত করে তাকে নাম বিশেষণ বলে। যথা: বিশেষ্যের বিশেষণ।
সুস্থ- সবল দেহ কে না ভালবাসে?

নাম বিশেষনের প্রকারভেদ
ক. রুপবাচক : নীল আকাশ, সবুজ  মাঠ, কালো মেঘ।
খ. গুণবাচক : চৌকস লোক, দক্ষ কারিগর, ঠান্ডা হওয়া।
গ. অবস্থাবাচক : তাজা মাছ, রোগা ছেলে, খোড়া পা।
ঘ. সংখ্যাবাচক : হাজার লোক, দশ দশা, শটাকা।
ঙ. ক্রমবাচক : নবম শ্রেণী চল্লিশ পৃষ্ঠা, প্রথমা কন্যা।
চ. পরিমাণবাচক : বিঘাটেক জমি, হাজার টনী জাহাজ।
ছ. অংশবাচক : অর্ধেক সম্পত্তি. ষোল আনা দখল , সিকি পথ।
জ. উপাদানবাচক : বেলে মাটি, মেটে কলসী, পাথুরে মুর্তি।
ঝ. প্রশ্নবাচক : কতদূর পথ? কেমন অবস্থা?
নিদির্ষ্টতাজ্ঞাপক : এই লোক, সেই মেয়ে, চৌদ্দই ডিসেম্বর।

পদ | বাংলা ব্যাকরণ লেকচার শীট

আরো পড়ুনঃ
বাংলা ২য় পত্রের বাছাইকৃত বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

বিশেষ্য পদের শ্রেণি বিভাগ
১। সংজ্ঞা (বা নাম) বাচক বিশেষ্য: যে পদ দ্বারা কোন ব্যক্তি ভৌগোলিক স্থান বা সংজ্ঞা এবং গ্রন্থ বিশেষের নাম বিজ্ঞাপিত হয তাকে সংজ্ঞা ( বা নাম) বাচক বিশেষ্য বলে। যেমন- মক্কা, মেঘনা, বিশ^নবী

২. জাতিবাচক বিশেষ্য: যে পদ দ্বারা কোন এক জাতীয় প্রাণী বা পদার্থের সাধারণ নাম বোঝায় তাকে জাতিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন- মানুষ গরু. পাখি , গাছ, পর্বত, নদী, ইংরেজ।

৩. বস্তবাচক বা দ্রব্যবাচক বিশেষ্য: যে পদে কোন উপাদানবাচক পদার্থের নাম বোঝায় তাকে বস্তবাচক বা দ্রব্যবাচক বিশেষ্য বলে। এই জাতীয় বস্তুর পরিমান নির্ণয় করা যায় কিন্তু গণনা করা যায় না। যথা- মাটি, চাউল, চিনি, লবণ, পানি।

৪. সমষ্টিবাচক বিশেষ্য: যে পদে বেশ কিছু সংখ্যক ব্যক্তি বা প্রাণীর সমষ্টি বোঝায়। তাই সমষ্টিবাচক বিশেষ্য। যথা- সভা, জনতা, সমিতি, পঞ্চায়েত, মাহফিলম ঝাক. বহর, দল।

৫. ভাববাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য পদে কোন ক্রিয়ার ভাব বা কাজের ভাব প্রকাশিত হয় তাকে  ভাববাচক বিশেষ্য বলে। যথা- গমন, (যাওয়ার ভাব বা কাজ) দর্শন  দেখার কাজ) শয়ন( শোয়ার কাজ)

৬. গুণবাচক বিশেষ্য: যে বিশেষ্য দ্বারা কান বস্তুর দোষ বা গুনের নাম বোঝায়। তাই গুণবাচক বিশেষ্য। যথা- মধুর বস্তুর গুণ- মধুরতা, তরল দ্রব্যের গুণ তারল্য তিক্ত দ্রব্যের দোষ বা গুণ তিক্ততা, তরুণের গুণ- তারুণ্য

আরো পড়ুনঃ
বাংলা ২য় পত্রের বাছাইকৃত বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর

সর্বনাম পদ
বিশেষ্যের পরিবর্তে যে শব্দ ব্যবহৃত হয় তাকে সর্বনাম বলে। সর্বনাম সাধারনত ইত: পূর্বে ব্যবহৃত বিশেষ্যের প্রতিনিধি স্থানীয় শব্দ। যেমন হস্তী প্রাণিজগতের সর্ববৃহৎ প্রাণী। তার শরীরটা যেন বিরাট এক মাংসের স্তুপ।

দ্বিতীয় বাক্যে তার শব্দটি প্রথম বাক্যের হস্তী বিশেষ্য পদটির প্রতিনিধি স্থানীয় শব্দরুপে ব্যবহৃত হয়েছে। তই তার শব্দটি সর্বনাম পদ। বিশেষ্য পদ অনুক্ত থাকলেও সুবোধ্য বিশেষ্য পদের পরির্বতে সর্বনাম পদ ব্যবহৃত হতে পারে। যেমন-
ক. যারা দেশের ডাকে সাড়া দিতে পারে তারাই তো সত্যিকারের পুরুষ।
খ. ধান ভানতে যারা শিবরে গীত গায় তারা স্থির লক্ষ্যে পৌছাতে পারেনা।

সর্বনামের শ্রেণিবিভাগ
বাংলাভাষায় ব্যবহৃত সর্বনাম পদকে নি¤œলিখিত কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। 
ক. পুরুষবাচক : আমি. তুমি, তোমার, সে, তারা।
খ. আত্মবাচক : স্বয়ং, নিজে, খোদ, আপনি
গ. সামীপ্যবাচক : এ, এই , এরা, ইহারা।
ঘ. দুরত্ববাচক : ঐ, ঐসব।
ঙ. সাকল্যবাচক : সব, সকল, সমুদয়, তাবৎ।
চ. প্রশ্নবাচক : কে, কি, কোন, কাহার, কার, কিসে।
ছ. অনিদির্ষ্টতাজ্ঞাপক: কোন, কেহ, কেউ , কিন্তু।
জ. ব্যতিহারিক : আপনা আপনি, নিজে নিজে, পরস্পর, আপষে।
ঞ. সংযোগজ্ঞাপক : যে যিনি, যারা, যাহারা।
ট. অন্যাদিবাচক : অন্য, অপর, পর।

অব্যয় পদ
যে পদ সর্বদা অপরিবতনীয় থেকে কখনও বাক্যের শোভা বর্ধন করে কখনও একাধিক পদের বাক্যাাংশের বা বাক্যের সংযোগ  বা বিয়োগ সম্বন্ধ ঘটায় তাকে অব্যয় বলে। বাংলা ভাষায় তিন প্রকার অব্যয় শব্দ রয়েছে।
১. খাটি বাংলা অব্যয় শব্দ: আর, আবার, ও , হা, না ইত্যাদি।
২. তৎসম অব্যয় শব্দ : যদি. তথা, সদা, সহসা, হঠাৎ. অর্থাৎ ইত্যাদি।
৩. বিদেশি অব্যয় শব্দ : 

No comments:

Post a Comment